সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত সংক্ষিপ্ত জীবনী মুবারক
সম্মানিত পরিচিতি মুবারক:
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম
তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিতা সিব্ত্বতুন (নাতনী) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত
বানাত উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা
বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক
হচ্ছেন ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমামাহ আলাইহাস সালাম’। সুবহানাল্লাহ! তিনি সকলের মাঝে
সিব্ত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতে যুন
নূর আলাইহাস সালাম হিসেবে পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক।
সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই
হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম:
সিব্ত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু
যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান হচ্ছেন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! আর উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শান মুবারক-এ স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ
حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ
اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَضْرَتْ زَيْنَبُ عَلَيْهَا السَّلَامُ
خَيْرُ بَنَاتِـىْ اُصِيْبَتْ فِـىَّ
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম
উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল
জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার শ্রেষ্ঠ বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আমার সম্মানার্থে তিনি অনেক সম্মানিত তাকলীফী শান মুবারক (কষ্ট মুবারক) গ্রহণ করেছেন।”
সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর ১৬/২৯০,
আল মু’জামুল
আওসাত্ব ৫/৮০, মা’রিফাতুছ ছাহাবা লি আবী নাঈম
২২/২২২, মাজমাউয যাওয়াদি ৯/৩৪১ ইত্যাদি)
অপর বর্ণনায় এসেছে,
هِيَ أَفْضَلُ بَنَاتِي
أُصِيبَتْ فِيَّ
অর্থ: “সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আফদ্বলু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম তিনি
আমার শ্রেষ্ঠ বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আমার সম্মানার্থে তিনি অনেক
সম্মানিত তাকলীফী শান মুবারক (কষ্ট মুবারক) গ্রহণ করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (শরহুয যারক্বানী
‘আলাল মাওয়াহিব ৪/৩১৮)
মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম:
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস
সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি ছিলেন উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা
আলাইহাস সালাম উনার আপন বোন হযরত হালাহ বিনতে খুওয়াইলিদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা
উনার মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনি হচ্ছেন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আপন খালাতো ভাই। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত
যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক পিতা ও মাতা উনাদের উভয়ের দিক
থেকে উপরে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! উনার সম্মানিত
নাম মুবারক হচ্ছেন আবুল আছ ইবনে রবী’ ইবনে আব্দিল উয্যা ইবনে আবদে শামস ইবনে আবদে মানাফ
ইবনে কুছাই ইবনে কিলাব আলাইহিমুস সালাম সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি সম্মানিত পিতা উনার
দিক থেকে চতুর্থ পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর
সম্মানিতা মাতা উনার দিক থেকে পঞ্চম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত নসবনামা মুবারক উনার সাথে মিলিত হয়েছেন।
সুবহানাল্লাহ! মূলত তিনি ছিলেন পূর্বমনোনীত। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহস সালাম হিসেবে সৃষ্টি মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি যাবতীয় উত্তম গুণাবলী মুবারক উনাদের অধিকারী ছিলেন এবং সম্মানিত ও পবিত্র মক্কা
শরীফ-এ অত্যন্ত সৎ ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিত্ব মুবারক হিসেবে সকলের মাঝে সুপরিচিত ছিলেন।
সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! কাজেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু
বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের যতো খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য মুবারক রয়েছেন সমস্ত
কিছুর অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার সাথে সৃষ্টি জগতের কারো তুলনা করা যাবে
না। তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন;
এছাড়া যত
শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক রয়েছেন সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান
উনাদের অধিকারী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক বর্ণনা করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَمَّا بَعْدُ اَنْكَحْتُ
حَضْرَتْ اَبَا الْعَاصِ بْنَ الرَّبِيْعِ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَحَدَّثَنِـىْ وَصَدَقَنِـىْ.
অর্থ: “আমি আমার মহাসম্মানিতা বানাত,
উম্মু আবীহা
আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খাইরু ওয়া আফজলু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনাকে হযরত যুন নূর ইবনে রবী আলাইহিস সালাম উনার নিকট সম্মানিত নিসবতে
আযীম শরীফ দিয়েছি। তিনি আমার সাথে প্রশংসনীয় আচরণ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি
পরম সত্যবাদী এবং এমন একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব মুবারক, যিনি উনার কথা মুবারক রেখেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ:
শি‘আবে আবী ত্বালিব থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক যখন ৪৯ বছর ৬ মাস ৫ দিন তখন উম্মুল মু’মিনীন
আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময়
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক
প্রকাশের পরবর্তী বছর ২৭ শে রজবুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ আনুষ্ঠানিকভাবে
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মি’রাজ শরীফ সংঘটিত হওয়ার পরের দিন ২৮শে রজবুল হারাম শরীফ
ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ শরীফ সিব্ত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান
মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন দুনিয়াবী দৃষ্টিতে বা হিসেবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ৫০তম বছর মুবারক
পার হয়ে ৫১তম বছর মুবারক চলাকালীন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সম্মানিত ও পবিত্র
স্থান মুবারক
যেই সম্মানিত ও পবিত্র বাড়ী মুবারক-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
অনুষ্ঠিত হয়েছিলেন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা
সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি সেই সম্মানিত ও পবিত্র বাড়ী রেখে উনার
ভাতিজা হাকীম ইবনে হিজাম উনার থেকে একটা বাড়ী কিনে সেখানে চলে আসেন। সুবহানাল্লাহ!
সেখানে সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিয়ে সম্মানিত অবস্থান করেন। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক করা পর্যন্ত সেই সম্মানিত হুজরা শরীফ-এ
সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! আর পূর্বের যেই বাড়ী মুবারক ছিলেন অর্থাৎ
যেই সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ-এ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ
অনুষ্ঠিত হয়েছিলেন, সেটা উম্মুল মু’মিনীন
আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
আযীমুশ শান নিসবতে আযীম শরীফ উনার সময় উনাকে সম্মানিত হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
সেই সম্মানিত বাড়ী মুবারক-এ সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি এবং আন নূরুল
ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতেন। সুবহানাল্লাহ! সেই সম্মানিত
ও পবিত্র বাড়ী মুবারকেই সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু
যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
করেন। সুবহানাল্লাহ!
এ সম্পর্কে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
إِنَّ هَذِهِ الدَّارُ
كَانَتْ لِأَبِي الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيعِ زَوْجِ زَيْنَبَ بِنْتِ النَّبِيِّ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَرَضِيَ اللهُ عَنْهَا وَفِيهَا ابْتَنَى بِزَيْنَبَ،
أَهْدَتْهَا إِلَيْهِ خَدِيجَةُ عليها السلام وَفِيهَا وُلِدَتْ أُمَامَةُ بِنْتُ أَبِي
الْعَاصِ عليهما السلام.
অর্থ: “নিশ্চয়ই এই সম্মানিত ও পবিত্র বাড়ী মুবারকখানা হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত বানাত, সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি
‘আলাল আলামীন, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত জাওযুম মুকাররাম সাইয়্যিদুনা হযরত
যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান মহাসম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ
অনুষ্ঠিত হওয়ার পর সম্মানিত ও পবিত্র প্রথম রাত্রি মুবারকে (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
লাইলাতুয যুফাফ শরীফ-এ) উনারা এই সম্মানিত ও পবিত্র বাড়ী মুবারকে সম্মানিত অবস্থান
মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! এই সম্মানিত ও পবিত্র বাড়ি মুবারকখানা সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি
‘আলাল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি ‘আলাল আলামীন, উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সম্মানিত
হাদিয়া মুবারক করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! আর এই সম্মানিত ও পবিত্র বাড়ী মুবারকেই সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখবারু মক্কা
শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ
قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مّـِنْ رَّبّـِكـُمْ وَشِفَآءٌ لِّـمَا فِى الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ
لّـِلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوْا
هُوَ خَيْرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ.
অর্থ: “হে মানুষেরা! হে সমস্ত জিন-ইনসান,
কায়িনাতবাসী!
অবশ্যই তোমাদের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ নছীহতকারী, তোমাদের অন্তরের সর্বপ্রকার ব্যাধিসমূহের সর্বশ্রেষ্ঠ আরোগ্যদানকারী, সর্বশ্রেষ্ঠ হিদায়াত দানকারী এবং খাছ করে ঈমানদারদের জন্য, আমভাবে সমস্ত কায়িনাতবাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ রহমতস্বরূপ আমার
যিনি মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
তাশরীফ মুবারক এনেছেন। সুবহানাল্লাহ! আমার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি যে, সম্মানিত ফযল মুবারক এবং সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’
তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করে,
মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করে। এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ
শরীফ’ তথা সম্মানিত খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাটা সবকিছু থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ
এবং সর্বোত্তম; যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের
জন্য সঞ্চয় করে।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইউনূস শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র
আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)
এ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মিছদাক্ব হচ্ছেন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
তাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ
শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা যেমন ফরয, তেমনিভাবে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর
আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উপলক্ষে
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করাও ফরয
তো অবশ্যই; বরং ফরয উনার উপর ফরয। সুবহানাল্লাহ!
কেননা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশে স্বয়ং মহান
আল্লাহ পাক তিনি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত
ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা সকলেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরাহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল
আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অন্যদিকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাতী-নাতনী আলাইহিমুস সালাম ও আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে
সিব্ত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন
নূর আলাইহাস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক
প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান
মুবারক প্রকাশে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
কতটুকু মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান,
তামাম কায়িনাতবাসী
সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের
জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
অনুসরণ মুবারক করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৮ শে রজবুল হারাম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেয়া এবং সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক রাখা:
সিব্ত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু
যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের
৭ম দিনে উনার পক্ষ থেকে সম্মানিত আক্বীক্বা মুবারক দেয়া হয় এবং উনার সম্মানিত ও পবিত্র
ইসম বা নাম মুবারক রাখা হয় ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উমামাহ আলাইহিস সালাম’। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক:
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اِنَّـمَا يُرِيْدُ
الله لِيُذْهِبَ عَنْكُمُ الرِّجْسَ اَهْلَ الْبَيْتِ وَيُـطَـهِّـرَكُمْ تَطْهِيْرًا.
অর্থ: “হে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম! নিশ্চয়ই
মহান আল্লাহ পাক তিনি চান আপনাদের থেকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা দূর করে আপনাদেরকে পবিত্র
করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ তিনি আপনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি মুবারক
করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত
শরীফ ৩৩)
এ সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার তাফসীরে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
هُمْ اَهْلُ بَيْتٍ
طَهَّرَهُمُ الله مِنَ السُّوْءِ وَاخْتَصَّهُمْ بِرَحْمَتِهٖ
অর্থ: “উনারা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাদেরকে সমস্ত প্রকার অপবিত্রতা ও পাপ থেকে পূত-পবিত্র রেখেছেন
এবং উনার সম্মানিত রহমত মুবারক দ্বারা খাছ করে নিয়েছেন, উনার সম্মানিত খাছ রহমত মুবারক দ্বারা আবৃত করে নিয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো
ইরশাদ মুবারক করেন,
فَاَنَا وَاَهْلُ
بَيْتِىْ مُطَهَّرُوْنَ مِنَ الذُّنُوْبِ.
অর্থ: “আমি এবং আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
আমরা সকলেই যুনূব তথা সমস্ত প্রকার ছগীরা-কবীরা এবং যাবতীয় অপছন্দনীয় কাজ থেকে পূত-পবিত্র।”
সুবহানাল্লাহ! (দালায়িলুন নুবুওওয়াহ লিল বায়হাক্বী, শিফা ১/৩২৫, সীরাতে হালবিয়্যাহ ১/৪২, আল মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ১/৪৯৮, খছাইছুল কুবরা ১/৬৬,
সুবুলুল
হুদা ওয়ার রশাদ ১/২৩৫, তাফসীরে দুররে মানছূর
লিস সুয়ূত্বী ৬/৬০৬, তাফসীরে ইবনে আবী হাতিম
৯/৩১৩৩ ইত্যাদি)
সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
اَنَّ النَّبِـىَّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُوْلُ نَـحْنُ اَهْلُ بَيْتٍ طَهَّرَهُمُ
اللهُ مِنْ شَجَرَةِ النُّبُوَّةِ وَمَوْضِعِ الرِّسَالَـةِ وَمُـخْتَلِفِ الْمَلَائِكَةِ
وَبَيْتِ الرَّحْمَةِ وَمَعْدِنِ الْعِلْمِ.
অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবসময় ইরশাদ
মুবারক করতেন, আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ! মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে (আমাদেরকে) সম্মানিত নুবুওওয়াত
মুবারক উনার বৃক্ষ, সম্মানিত রিসালাত মুবারক
উনার স্থান, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম
উনাদের, উনাদের দ্বারা সম্মানিত খিদমত
মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর
মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক উনার খনি মুবারক (ইত্যাদি সমস্ত কিছু) থেকে পবিত্র
রেখেছেন, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)
করেছেন।” সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে দুররে মানছূর ৬/৬০৬, ইবনে আবী হাতিম ৯/৩১৩৩)
ইমামুল মুহাদ্দিছীন মিনাল আউওয়ালিন ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ
হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আলোচ্য সম্মানিত ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে- اَهْلُ بَيْتٍ نَـحْنُ (আমরা মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম) বলেÑ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে
উনার নিজের অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! আর طَهَّرَهُمُ الله - মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
অর্থ হলো- মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস
সালাম উনাদেরকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) করেছেন। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
উনারা একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূরপাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের মুহতাজ ও উনাদের সম্মানার্থে উনারা
সম্মানিত এবং উনাদের প্রতিই উনারা দায়েমীভাবে রুজু। সুবহানাল্লাহ! ফলে উনারা সমস্ত
কিছু থেকেই বেনিয়াজ। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ও উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারক
উনার খনি মুবারক ইত্যাদি বরকতময় নিয়ামত মুবারক উনাদের প্রতি রুজু হওয়ার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের কোন সুযোগ নেই। অর্থাৎ মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র, ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী) । সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
কারণেই সম্মানিত নুবুওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, সমস্ত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা, সম্মানিত রহমত মুবারক এবং সম্মানিত ইলম মুবারকসহ সমস্ত কিছুই
ফযীলতপ্রাপ্ত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন।” সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
اَلله الصَّمَدُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)।” সুবহানাল্লাহ!
(সম্মানিত ও পবিত্র সূরা ইখলাছ শরীফ, সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত
শরীফ ২)
ইমামুল মুফাসসিরীন মিনাল আউওয়ালিন ইলাল আখিরীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ
হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যেমন সমস্ত মাখলূকাত থেকে, সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ!
ঠিক তেমনিভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি একমাত্র যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত সমস্ত মাখলূকাত থেকে, সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ!
আর ঠিক একইভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা
যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা ব্যতীত সমস্ত কায়িনাত
থেকে, সমস্ত কিছু থেকে ছমাদ তথা বেনিয়ায
(অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! উনারা সম্মানিত নুবুওওয়াত মুবারক, সম্মানিত রিসালাত মুবারক, বিভিন্ন ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের ও উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক, সম্মানিত রহমত মুবারক উনার ঘর মুবারক এবং সম্মানিত ইলম উনার
খনি মুবারক ইত্যাদি সমস্ত কিছু থেকে পবিত্র,
ছমাদ তথা
বেনিয়ায (অমুখাপেক্ষী)। সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযুর্গী-সম্মান
মুবারক এক কথায় উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন। এছাড়া যত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক রয়েছেন, সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক উনাদের অধিকারী হচ্ছেন উনারা। সুবহানাল্লাহ! তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত পবিত্রতা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কত বেমেছাল, তা এখান থেকেই স্পষ্ট হয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ!
যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্বা মুবারক সাইয়্যিদাতু
নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত
পবিত্রতা মুবারক, শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত,
বুযূর্গী-সম্মান
মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসীর চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। যা কস্মিনকালেও
ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল
সম্মানতি মুহব্বত, আদর, স্নেহ মুবারক:
সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম
তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেমেছাল
মুহব্বত, আদর, স্নেহ মুবারক পেয়েছেন এবং তিনি উনার মহাসম্মানিত নানাজান সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦াতামুন নাবিয়্যীন,
নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত তত্ত্বাবধান মুবারক-এ
বেড়ে উঠেন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وكان النبى صلى
الله عليه وسلم يحب حضرت امامة عليها السلام، وينشرح صدره سرورًا بمرءاها،
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম
উনাকে অনেক সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করতেন এবং উনাকে দেখার সাথে সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বুক মুবারক, অন্তর মুবারক আনন্দে ভরে
যেতেন।” সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম
উনাকে কতটুকু সম্মানিত মুহব্বত মুবারক করতেন,
সেটা সমস্ত
জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা
ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক:
দুনিয়াবী দৃষ্টিতে যখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
সম্মানিত বয়স মুবারক ৫৩ বছর, তখন তিনি মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ সম্মানিত হিজরত মুবারক
করেন। এ সময় সাইয়্যিদাতুনা বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ২
বছর ৭ মাস ১৪ দিন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত হিজরত মুবারক:
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক অনুযায়ী নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি উনার
মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর যখন উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ২ হিজরী
সনের সম্মানিত ও পবিত্র যিলক্বদ শরীফ মাসে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত
হিজরত মুবারক করেন, তখন সাইয়্যিদাতু নিসায়ি
আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি এবং উনার মহাসম্মানিত
ভাই সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আলাইহিস তিনি অর্থাৎ উনারাও উনার মহাসম্মানিত
আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ সম্মানিত হিজরত
মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ৩ বছর ৩ মাসের চেয়েও অধিক। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিত লখতে
জিগার মুবারক আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে, সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে এবং সিবতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আলাইহিস
সালাম উনাকে অর্থাৎ উনাদেরকে কাছে পেয়ে বেমেছাল খুশি মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
সাথে সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা এবং
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও বেমেছাল খুশি মুবারক হন। সুবহানাল্লাহ!
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে এবং সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আলাইহিস সালাম উনাকে অর্থাৎ
উনাদেরকে সম্মানিত কোল মুবারক-এ নিয়ে সম্মানিত বুছা মুবারক দিতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
এককভাবে মুহব্বত মুবারক লাভ:
উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদু শাবাবি আহলিল
জান্নাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি ৩য় হিজরী সনের ১৫ই রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুল আরবিয়া শরীফ বা’দ আছর মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! এর পূর্ব পর্যন্ত
সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন
নূর আলাইহাস সালাম তিনি, সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি এবং সিবতু
রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম ইবনে যুন নূরাইন
আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা এককভাবে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মহাসম্মানিত মুহব্বত মুবারক লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
ربما إنها تعلقت
بجدها صلى الله عليه وسلم فأراد أن يطيب نفسها
অর্থ: “সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি প্রায় সময় উনার মহাসম্মানিত
নানাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,
নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ঝুলে থাকতেন অর্থাৎ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কোল মুবারক-এ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক-এ থাকতেন।
সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার মন তুষ্ট মুবারক করার ইচ্ছা
করতেন। অর্থাৎ তিনি যে অবস্থায় ছিলেন সে অবস্থায় রেখে উনাকে সন্তুষ্ট মুবারক করতেন।”
সুবহানাল্লাহ! (শরহে রিয়াদ্বুছ ছলিহীন)
সম্মানিত কোল মুবারক নিয়ে সম্মানিত ছলাত মুবারক আদায়:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ
قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ كَانَ يُـصَـلِّـىْ وَهُوَ حَامِلٌ حَضْرَتْ اُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ بِنْتِ
رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا وَاِذَا
قَامَ حَـمَلَهَا.
অর্থ: “হযরত আবূ ক্বাতাদা রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
নিশ্চয়ই
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা
বানাত উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিনি
মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক-এ নিয়ে সম্মানিত ছলাত বা নামায মুবারক আদায় করতেন। যখন তিনি
সম্মানিত সিজদা মুবারক করতেন, তখন উনাকে পাশে রেখে দিতেন।
আবার যখন সম্মানিত ক্বিয়াম করতেন, তখন পুনরায় উনাকে সম্মানিত
কোল মুবারক-এ তুলে নিতেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী, মুসলিম, মুয়াত্তা, আবূ দাঊদ, নাসায়ী, মুসনাদে আহমদ ইত্যাদি)
অপর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ
قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ بَيْنَا نَـحْنُ فِى الْمَسْجِدِ جُلُوْسٌ
خَرَجَ عَلَيْنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَـحْمِلُ حَضْرَتْ
اُمَامَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِنْتَ اَبِـى الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيْعِ عَلَيْهِ
السَّلَامُ وَاُمُّهَا حَضْرَتْ زَيْنَبُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ وَهِىَ صَبِيَّةٌ يَّـحْمِلُهَا عَلـٰى عَاتِقِهٖ فَصَلّٰى رَسُوْلُ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِىَ عَلـٰى عَاتِقِهٖ يَضَعُهَا اِذَا رَكَعَ وَيُعِيْدُهَا
اِذَا قَامَ حَتّٰى قَضٰى صَلَاتَهٗ يَفْعَلُ ذٰلِكَ بـِهَا.
অর্থ: “হযরত আবূ ক্বাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, একদা আমরা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
মসজিদে নববী শরীফ-এ উপস্থিত থাকাকালে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে
আমাদের নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন, উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান আলাইহাস সালাম ছিলেন আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত
খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এ সময় (দুনিয়াবী দৃষ্টিতে সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম) উনার সম্মানিত
বয়স মুবারক অল্প ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক-এ নিয়ে আসেন এবং উনাকে মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক-এ নিয়েই সম্মানিত নামায মুবারক আদায় করেন। তিনি যখন সম্মানিত
রুকু মুবারক করতেন, তখন উনাকে পাশে রাখতেন।
আর যখন সম্মানিত ক্বিয়াম মুবারক করতেন (দাঁড়াতেন), তখন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কোল মুবারক-এ তুলে নিতেন। এভাবেই তিনি উনার সম্মানিত
ছলাত বা নামায মুবারক শেষ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসলিম, আবূ দাঊদ, নাসাঈ, মুসনাদে আহমদ, ইবনে হিব্বান, শু‘য়াবুল ঈমান ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে,
عن أبي قتادة صاحب
رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بينما نحن ننتظر رسول الله صلى الله عليه وسلم للصلاة
في الظهر أو العصر وقد دعاه بلال للصلاة، إذ خرج إلينا و أمامة بنت أبي العاص بنت ابنته
على عنقه، فقام رسول الله صلى الله عليه وسلم في مصلاه وقمنا خلفه، وهي في مكانها الذي
هي فيه، قال: فكبر فكبرنا، قال: حتى إذا أراد رسول الله صلى الله عليه وسلم أن يركع
أخذها فوضعها، ثم ركع وسجد، حتى إذا فرغ من سجوده ثم قام أخذها فردها في مكانها، فما
زال رسول الله صلى الله عليه وسلم يصنع بها ذلك في كل ركعة حتى فرغ من صلاته صلى الله
عليه وسلم) ].
অর্থ: “বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবূ ক্বাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে
বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) আমরা সম্মানিত
যুহর অথবা আছর নামায আদায় করার জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অপেক্ষায় অপেক্ষমান ছিলাম। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত
বিলাল রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
সম্মানিত ছলাত বা নামায মুবারক উনার জন্য আহব্বান মুবারক করলেন। অতঃপর নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু
যিন নূর আলাইহাস সালাম যিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত,
আন নূরুল
ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাঁধ
মুবারক-এ নিয়ে আমাদের নিকট সম্মানিত তাশরীফ মুবারক নিলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত
ও পবিত্র জায়নামায মুবারক উনার মধ্যে দাঁড়ালেন এবং আমরা উনার পিছনে দাঁড়ালাম। আর সাইয়্যিদাতুনা
হযরত বিনতু যুন নূর আলাইহাস সালাম তিনি যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক উনার
মধ্যে ছিলেন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র স্থান মুবারক উনার মধ্যেই থাকলেন তথা মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক উনার মধ্যেই থাকলেন। সুবহানাল্লাহ! হযরত আবূ ক্বাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন, তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আল্লাহু আকবার বললেন, (সম্মানিত তাকবীরে ঊলা মুবারক বাঁধলেন) আমরাও আল্লাহু আকবার বললাম, (সম্মানিত তাকবীরে ঊলা মুবারক বাঁধলাম।) সুবহানাল্লাহ! হযরত ক্বতাদাহ
রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বলেন,
এমনকি নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন সম্মানিত
রুকূ মুবারক করার ইচ্ছা মুবারক করলেন,
তখন সাইয়্যিদাতুনা
হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে (অত্যন্ত সম্মানিত মুহব্বত মুবারক উনার সাথে)
ধারণ মুবারক করে (পাশে) রেখে সম্মানিত রুকু’-সিজদা মুবারক করলেন। এমনকি যখন নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি উনার সম্মানিত সিজদাহ মুবারক শেষ করে
ক্বিয়াম মুবারক করলেন তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে (অত্যন্ত
মুহব্বত মুবারক উনার সাথে) ধারণ মুবারক করে উনাকে উনার স্বস্থান মুবারক উনার মধ্যে
(মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক উনার মধ্যে রাখেন।) সুবহানাল্লহ! নূরে মজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি সম্মানিত ছলাত বা নামায মুবারক শেষ
করা পর্যন্ত প্রত্যেক রাকা‘য়াত মুবারক উনার মধ্যেই এরূপ করেছেন। অর্থাৎ তিনি এভাবে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে নিয়ে সম্মানিত যুহর বা সম্মানিত
আছর উনার নামায সম্মানিত জামায়াত মুবারক উনার সাথে আদায় করেন। সুবহানাল্লাহ! (শরহে
সুনানে আবূ দাউদ)
অপর বর্ণনায় এসেছে,
أن النبي - صلى
الله عليه وسلم - أمَّ الناس في المسجد فكان إذا قام حمل أمامة بنت زينب وإذا سجد وضعها
رواه البخاري ومسلم .
অর্থ: “নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যুন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
কোল মুবারক-এ নিয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার মধ্যে হযরত ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের ইমামতী মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যখন
তিনি সম্মনিত ক্বিয়ামত মুবারক করতেন তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস
সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কাঁধ মুবারক-এ নিতেন। আর যখন সম্মানিত সিজদাহ
মুবারক করতেন তখন উনার পাশে রাখতেন।” সাবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
উপরোক্ত মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফসমূহ উনাদের মাধ্যমে অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে
প্রমাণিত হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস
সালাম উনাকে কতো বেমেছাল মুহব্বত মুবারক করতেন, আদর-¯েœহ মুবারক করতেন। যার কারণে
তিনি সম্মানিত নামায মুবারক আদায় করা অবস্থায়ও উনাকে সম্মানিত কোল মুবারক-এ নিতেন।
সুবহানাল্লাহ! তাহলে উনার সম্মানিত শান-মান,
ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার উর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট সর্বাধিক
প্রিয়:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রিয়পাত্র
উনাদের মধ্যে সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত
বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْنَ
الثالثة سيدتنا حَضْرَتْ الصديقة عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُهْدِيَتْ لَهٗ هَدِيَّةٌ فِيْهَا قِلَادَةٌ مِّنْ
جَزْعٍ فَقَالَ لَاَدْفَعَنَّهَا اِلـٰى اَحَبِّ اَهْلِـىْ اِلَـىَّ فَقَالَتِ النِّـسَاءُ
ذَهَبَتْ بـِهَا ابْنَةُ اَبِـىْ قُحَافَةَ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَدَعَا النَّبِـىُّ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَضْرَتْ اُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ عَلَيْهِمَا السَّلَامُ
فَعَلَّقَهَا فِـىْ عُنُقِهَا.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আকীকজাতীয়
বিশেষমণি দ্বারা তৈরি একখানা সম্মানিত দামি হার মুবারক হাদিয়াস¦রূপ আসলো। তখন তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, অবশ্য অবশ্যই আমি এই সম্মানিত
হার মুবারক আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের
মধ্যে যিনি আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় উনাকে হাদিয়া মুবারক করবো। সুবহানাল্লাহ! তখন
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা বলাবলি করছিলেন, সম্ভবত এই সম্মানিত হার মুবারক উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনাকে হাদিয়া করা হবে। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসা ‘আলাল আলামীন, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা মেয়ে সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে ডেকে উনার
সম্মানিত গলা মুবারক-এ এই সম্মানিত হার মুবারকখানা পরিয়ে দিলেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে
আহমদ ৬/১০১, আল ওয়াফী ৩/২৯৬, গয়াতুল মাক্বছাদ ৪/৭,
যখায়েরুল
‘উক্ববাহ ১/১৬১, ইছাবাহ ৮/২৫, মুসনাদে আবী ইয়া’লা ৭/৪৪৫ ইত্যাদি )
অন্য বর্ণনায় এসেছে,
عَنْ اُمّ الْمُؤْمِنِيْنَ
الثالثة سيدتنا حَضْرَتْ الصديقة عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ اُهْدِىَ
لِرَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قِلَادَةٌ مِّنْ جَزْعٍ مُّلَمَّعَةٌ
بِالذَّهَبِ وَنِسَاؤُهٗ مُـجْتَمِعَاتٌ فِـىْ بَيْتٍ كُلُّهُنَّ وَحَضْرَتْ اُمَامَةُ
بِنْتُ اَبِـى الْعَاصِ بْنِ الرَّبِيْعِ عَلَيْهَا السَّلَامُ جَارِيَةٌ تَلْعَبُ
فِـىْ جَانِبِ الْبَيْتِ بِالتُّرَابِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ كَيْفَ تَرَيْنَ هٰذِهٖ. فَنَظَرْنَا اِلَيْهَا فَقُلْنَا يَا رَسُوْلَ اللهِ
صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا رَاَيْنَا اَحْسَنَ مِنْ هٰذِهٖ قَطُّ وَلَا اَعْجَبَ.
فَقَالَ ارْدُدْنَهَا اِلَـىَّ. فَلَمَّا اَخَذَهَا قَالَ وَاللهِ لَاَضَعَنَّهَا فِـىْ
رَقَبَةِ اَحَبِّ اَهْلِ الْبَيْتِ اِلَـىَّ. قَالَتْ حَضْرَتْ عَائِشَةُ عَلَيْهَا
السَّلَامُ فَاَظْلَمَتْ عَلَـىَّ الْاَرْضُ بَيْنِـىْ وَبَيْنَهٗ خَشْيَةَ اَنْ يَّضَعَهَا
فِـىْ رَقَبَةِ غَيْرِىْ مِنْهُنَّ وَلَا اَرَاهُنَّ اِلَّا اَصَابَهُنَّ مِثْلَ الَّذِىْ
اَصَابَنِـىْ وَوَجَـمْنَا جَـمِيْعًا سُكُوْتًا فَاَقْبَلَ بِـهَا حَتّٰى وَضَعَهَا
فِـىْ رَقَبَةِ اُمَامَةَ بِنْتِ اَبِـى الْعَاصِ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَسُرِّىَ عَنَّا.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম
তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ আকীকজাতীয়
বিশেষ মণি দ্বারা তৈরি, যা স¦র্ণ মিশ্রিত বা স¦র্ণ দ্বারা আবৃত এরূপ
একখানা দামি সম্মানিত হার মুবারক হাদিয়া মুবারক এসেছিলো। তখন হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন
আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সকলেই সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক
করছিলেন। তখন সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত
বিনতু যিন নূর ইবনে রবী’ আলাইহাস সালাম উনার দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অল্প বয়স মুবারক ছিলেন।
ফলে তিনি সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ উনার পার্শ্বে মাটি নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলেন।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সবাইকে উদ্দেশ্য
করে ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা এই সম্মানিত হার
মুবারক উনাকে কিরূপ দেখছেন? তারপর আমরা সকলেই সম্মানিত
হার মুবারক উনার দিকে তাকালাম এবং বললাম,
ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা এই সম্মানিত হার মুবারক উনার মতো এরূপ অবাক করা অধিক সুন্দর
হার কখনো দেখিনি। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, আপনারা সম্মানিত হার মুবারকখানা
আমার নিকট নিয়ে আসুন। তারপর তিনি সম্মানিত হার মুবারকখানা নিয়ে বললেন, নিশ্চয়ই যিনি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ
আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয়, উনার সম্মানিত গলা মুবারক-এ আমি এই সম্মানিত হার মুবারকখানা
পরিয়ে দিবো। সুবহানাল্লাহ! উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ
আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর আমার উপর যমীন অন্ধকারাচ্ছন্ন
হলো, আমার এবং উনার মাঝে, এই চিন্তায় যে,
তিনি আমি
ব্যতিত অন্য কোনো উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত গলা মুবারক-এ এই সম্মানিত
হার মুবারকখানা পরিয়ে দেন কিনা। আমি দেখলাম যে, আমার উপর যা আপতিত হয়েছে, অন্য সকল হযরত উম্মাহাতুল
মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের উপরও তা আপতিত হয়েছে। আমরা প্রত্যেকেই পরিপূর্ণরূপে
নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। অতঃপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত হার মুবারকখানা এনে সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত গলা মুবারক-এ
পরিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! তারপর আমরা প্রত্যেকেই আনন্দিত হলাম, খুশি মুবারক প্রকাশ করলাম।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর
লিত্ব ত্ববারনী ২২/৪৪২, মাজমাউয যাওয়াইদ ৯/২৫৪, সিমতুন নুজূম ১/২১৪,
সুবুলুল
হুদা ওয়ার রশাদ ১১/৩২)
মহাসম্মানিত আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী
শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি প্রকাশ্যে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ
করার পর বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি প্রায় দেড় বছর দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত অবস্থান
মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যখন দ্বিতীয় হিজরী সনের ১৮ই শাওওয়াল শরীফ মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন,
খ¦াতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার নিকট হাজির হওয়ার জন্য রওয়ানা হন। পথিমধ্যে উনার উপর হামলা চালালে তিনি
উটের পিঠ থেকে পাথরের উপর সম্মানিত তাশরীফ মুবরক নেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি তখন হামেলা
শান মুবারক-এ ছিলেন। আঘাতের কারণে উনার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় দুনিয়ার যমীনে
তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং উনার অনেক ‘নূরুন নাজাত মুবারক’ (রক্ত মুবারক) প্রবাহিত
হন। এর ফলে তিনি দীর্ঘ দিন মারিদ্বী শান মুবারক প্রকাশ করেন এবং এই মারিদ্বী শান মুবারক
প্রকাশ করা অবস্থায় ৮ম হিজরী সনের ৮ই মুহাররমুল হারাম শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম ইশরাকের
ওয়াক্তে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী
শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস
সালাম উনার আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ৯ বছর ৫ মাস ১০ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত নানাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা
শরীফ-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক:
উম্মু আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা
হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত
যাওজুম মুকাররাম সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর ইবনে রবী’ আলাইহিস সালাম তিনি কোন শাদী মুবারক
করেননি। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিতা
আম্মাজান আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের
পর উনার মহাসম্মানিত নানাজান নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনারই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
হুজরা শরীফ-এ সম্মানিত অবস্থান মুবারক করতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
ليجد في حفيدته
أمامة ما يُخفف من حزنه على فراق ابنته زينب.
অর্থ: “অবশ্যই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি উনার মহাসম্মানিতা সিবত্বতুন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম
উনার মধ্যে এমন কিছু পেতেন যা উম্মু আবীহা,
আন নূরুল
ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার সম্মানিত জুদায়ী মুবারক উনার কারণে যে কষ্ট অনুভব হতো তা হালকা করে দিতো।”
সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত নানাজান ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিতা আম্মাজান উম্মু
আবীহা, আন নূরুল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত
খইরু ওয়া আফজালু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের ৩ বছর ২ মাস ৪ দিন পর ১১ হিজরী সনের
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রবী‘উল আউওয়াল শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন
নূর আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত বয়স মুবারক ছিলেন ১২ বছর ৭ মাস ১৪ দিন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত আযীমুশ শান প্রথম নিসবতে আযীম শরীফ:
কিতাব-এ বর্ণিত রয়েছে,
وَلَـمَّا كَبُرَتْ
حَضْرَتْ اُمَامَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ تَزَوَّجَهَا عَلِىُّ بْنُ اَبِـىْ طَالِبٍ
عَلَيْهِ السَّلَامُ بَعْدَ مَوْتِ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَكَانَتْ حَضْرَتْ
فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ وَصَّتْ حَضْرَتْ عَلِيًّا عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنْ
يَّـتَزَوَّجَهَا فَلَمَّا تُـوُفِّـيَتْ حَضْرَتْ فَاطِمَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ
تَزَوَّجَهَا.
অর্থ: “আর যখন সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি বড় হন, তখন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি উনাকে সম্মানিত
নিসবতে আযীম শরীফ করেন। কেননা উম্মু আবীহা আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা
আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনাকে সম্মানিত
ওছীয়ত মুবারক করেছিলেন যে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ পাওয়ার পর তিনি যেন সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত
নিসবতে আযীম শরীফ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাই উম্মু আবীহা আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা
হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
করার পর সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি সিবত্বতু রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে
সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গবাহ ৬/২২)
আর এই সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ উনার বিষয়টি ফায়ছালা করেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত
বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূর আলাইহিস
সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
উল্লেখ্য সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার মাধ্যমে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার কোন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস
সালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেননি।
মহাসম্মানিত আব্বাজান আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী
শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত আব্বাজান সাইয়্যিদুনা
হযরত যুন নূর আলাইহিস সালাম তিনি ১২ হিজরী সনের ১২ই যিলহজ্জ শরীফ ইয়াওমুল খমীস শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত আযীমুশ শান দ্বিতীয় নিসবতে আযীম শরীফ:
সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি ৪০ হিজরী সনের ১৭ই
রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুস সাবত শরীফ আছরের সময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী
শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী
শান মুবারক প্রকাশ করার পর সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ ইবনে নাওফিল আলাইহিস সালাম তিনি
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করেন।
সুবহানাল্লাহ! তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত জাদ্দু রসূল্লিাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার মহাসম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদুল হযরত হারিছ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত নাতী আলাইহিস
সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি হচ্ছেন-
المغيرة بْن نوفل
بْن الحارث بْن عبد المطلب بْن هاشم عليهم السلام القرشي الهاشمي ولد عَلَى عهد رَسُول
اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بمكة قبل الهجرة،
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরাহ ইবনে নওফেল ইবনে হারিছ ইবনে আব্দুল মুত্তালিব
ইবনে হাশিম আলাইহিমুস সালাম আল কুরাইশী আল হাশিমী। তিনি সম্মানিত হিজরত মুবারক উনার
পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গবাহ্)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
فلما جرج عَليّ
أوصى أن يتزوجها المغيرة بْن نوفل، فتزوجها بعد قتل عَليّ،
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি যখন আঘাতপ্রাপ্ত
হলেন, আহত হলেন তখন তিনি হযরত মুগীরাহ
ইবনে নওফিল আলাইহিস সালাম উনাকে ওছিয়ত মুবারক করেন সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর
আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মনিত নিসবতে আযীম শরীফ করার জন্য। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদতী শান মুবারক প্রকাশ
করার পর হযরত মুগীরাহ ইবনে নওফেল আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন
নূর আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গবাহ্)
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
وخطبها إِلَى الْحُسَيْن
بن عَليّ فَزَوجهَا مِنْهُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরা ইবনে নাওফিল আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করার
প্রস্তাব মুবারক পেশ করেন। অতঃপর সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত মুগীরা ইবনে নওফিল আলাইহিস সালাম উনার সাথে
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নিসবাতে আযীম শরীফ উনার
বিষয়টি ফায়ছালা মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সিমতুন নুজূম)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
فَدَعَا رجَالًا
فَقَالَ اشْهَدُوا أَنِّي قد تَزَوَّجتهَا وأصدقتها كَذَا وَكَذَا
অর্থ: “অতঃপর হযরত মুগীরাহ ইবনে নওফেল
আলাইহিস সালাম তিনি অনেক লোকজন ডেকে বললেন,
আপনারা সাক্ষী
থাকুন আমি সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে আমি সম্মানিত নিসবতে
আযীম শরীফ করলাম এবং আমি উনাকে এরূপ এরূপ সম্মানিত মোহরানা মুবারক দিলাম।” সুবহানাল্লাহ!
(সিমতুন নুজূম)
কিতাবে আরো বর্ণিত রয়েছে,
فَلَمَّا تُوُفِّـىَ
حَضْرَتْ عَلِـىٌّ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَقَضَتِ الْعِدَّةَ تَزَوَّجَهَا الْـمُغِيْرَةُ
عَلَيْهِ السَّلَامُ فَوَلَدَتْ لَهٗ حَضْرَتْ يَـحْيٰـى عَلَيْهِ السَّلَامُ وَبِهٖ
كَانَ يُكَنّٰى فَهَلَكَتْ عِنْدَ الْـمُغِيْرَةِ عَلَيْهِ السَّلَامُ.
অর্থ: “অতঃপর যখন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু
ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ
করেন এবং সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু
যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি সম্মানিত ইদ্দত মুবারক পূর্ণ করেন, তখন হযরত মুগীরা ইবনে নাওফিল আলাইহিস সালাম তিনি সিবত্বতু রসূলিল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনাকে
সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ করেন। হযরত মুগীরা ইবনে নাওফেল আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত
ও পবিত্র হুজরা শরীফ মুবারক-এ সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার হযরত ইয়াহইয়াহ আলাইহিস সালাম
নামে একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক অনুযায়ী হযরত মুগীরাহ
আলাইহাস সালাম তিনি (হযরত আবূ ইয়াহইয়াহ আলাইহিস সালাম) সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ
করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরা আলাইহিস
সালাম উনার সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ থাকা অবস্থায় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময়
বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (উসদুল গবাহ ৬/২২)
মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম:
৪৩ হিজরী সনে সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত বিনতু যিন নূর আলাইহাস সালাম উনার একজন মহাসম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম তিনি
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! উনার
সম্মানিত ইসম বা নাম মুবারক হচ্ছেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
উনার সম্মানিত ও পবিত্র ইসম বা নাম মুবারক অনুযায়ী হযরত মুগীরাহ আলাইহাস সালাম তিনি
হযরত আবূ ইয়াহইয়াহ আলাইহিস সালাম সম্মানিত কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করেছিলেন। সুবহানাল্লাহ!
তিনি দুনিয়াবী দৃষ্টিতে অল্প বয়স মুবারকেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইয়াহইয়া আলাইহিস সালাম তিনি ব্যতীত
সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত বিনতু যিন
নূর আলাইহাস সালাম উনার অন্য কোন আওলাদ ছিলেন না।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সিবত্বতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা
হযরত বিনতে যিন নূর আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত মুগীরা আলাইহিস সালাম উনার
সম্মানিত ও পবিত্র হুজরা শরীফ থাকা অবস্থায় ৪৫ হিজরী শরীফ উনার সম্মানিত ২৭ শে ছফর
শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ (ইওয়ামুল ইছনাইনিল ‘আযীম শরীফ) মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে
৪৫ বছর ৬ মাস ২৯ দিন সম্মানিত অবস্থান মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
No comments