ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।
ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল
খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল
আলাইহিমুস সালাম উনারা ডাল খেয়েছেন। শুধু তাই নয়, স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতের জন্য ডাল খাওয়া আবশ্যক করে দিয়েছেন।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে
ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
حَدَّثَنِي أَبِي عَلِيُّ بْنُ أَبِي
طَالِبٍ عَلَيْهِ السَّلَام قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ: عَلَيْكُمْ بِالْعَدَسِ؛ فَإِنَّهُ مُبَارَكٌ مُقَدَّسٌ؛ وَإِنَّهُ
يُرِقُّ الْقَلْبَ وَيُكْثِرُ الدَّمْعَةَ، وَقَدْ بَارَكَ فِيهِ سَبْعُونَ
نَبِيًّا أَحَدُهُمْ عِيسَى بن مَرْيَمَ.
হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস
সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আপনাদের জন্য ডাল (খাওয়া) আবশ্যক। নিশ্চয় এটি বরকতময় পবিত্র
(খাদ্য)। নিশ্চয় এটি কলবকে প্রশান্ত ও প্রসারিত করে, চোখের পানি (অর্থাৎ দৃষ্টিশক্তি) বৃদ্ধি করে। আর সত্তর জন হযরত
নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কারণে এটি বরকতময় হয়েছে, উনাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন হযরত রূহুল্লাহ
আলাইহিস সালাম তিনি। (আল আসারূল মারউয়িয়্যাতু ফিল আত্বয়ামাতিস সারিয়্যাহ)
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক অনুসরণে
হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতল্লাহি আলাইহিম উনারা গুরুত্ব সহকারে বরকতময় সুন্নতি খাবার
ডাল গ্রহণ করেছেন।
وَكَانَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ
الْعَزِيزِ يَأْكُلُ يَوْمًا خُبْزًا بِزَيْتٍ، وَيَوْمًا بِلَحْمٍ ، وَيَوْمًا
بِعَدَسٍ. قَالَ الْحَلِيمِيُّ: وَالْعَدَسُ وَالزَّيْتُ طَعَامُ الصَّالِحِينَ
হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতল্লাহি
আলাইহি তিনি কোনো দিন জয়তুন দিয়ে, কোনো দিন গোশত দিয়ে আবার কোনো দিন ডাল দিয়ে রুটি খেতেন। হযরত
হালিমী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, ডাল এবং জয়তুন হচ্ছে নেককারদে খাবার। (তাফসীরে কুরতুবী : সুরা
বাকারা শরীফ উনার ৬১নং আয়াত শরীফ উনার তাফসীর)
No comments