Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

হানাফী মাযহাবে নামাজের দলিল-১


প্রসঙ্গঃ হানাফী মাযহাবে নামাযের মুছল্লায় দাঁড়িয়ে অর্থাৎ জায়নামাযে দাঁড়িয়ে দুয়া এবং নামাযের নিয়ত এর দলিল


হানাফী মাযহাবের ইমাম, ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি হাদীছ শরীফের হাকিম ছিলেন। অর্থাৎ তিনি সমস্ত হাদীছ শরীফ সম্পর্কে ইলম রাখতেন। যার কারণে উনার প্রতিটি মাসয়ালার স্বপক্ষে হাদীছ শরীফ থেকে দলীল-আদিল্লাহ রয়েছে।
অতএব, নামাযের মুছাল্লায় অর্থাৎ জায়নামাযে দাঁড়িয়ে যে দু’য়া পড়তে হবে এবং নামাযের নিয়ত করতে হবে তার প্রমাণ হাদীছ শরীফেই রয়েছে। যেমন জায়নামাযে দাঁড়িয়ে দু’য়া পড়া সম্পর্কে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
عن على رضى الله تعالى عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان اذا قام الى الصلوة قال انى وجهت وجهى للذى فطر السموت والارض حنيفا وما انا من المشر كين.
অর্থঃ- “হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নামায পড়তে দাঁড়াতেন তখন তিনি বলতেন,
انى وجهت وجهى للذى فطر السموت والا رض حنيفا وما انا من المشر كين.
উচ্চারণঃ “ইন্নী ওয়াজ্জাহ্তু ওয়াজ্হিয়া লিল্লাযী ফাতারাস্ সামাওয়াতি ওয়াল্ র্আদ্বা হানীফাঁও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন।”
অর্থাৎ- “নিশ্চয়ই আমি তাঁর দিকে মুখ করলাম যিনি আসমান ও যমীন সৃষটি করেছেন। আমি মুশরিকদের দলভুক্ত নই।” (তিরমিযী শরীফ)
এ দু’য়া নামাযের বিছানায় দাঁড়িয়ে ক্বিবলামুখী হয়ে পাঠ করতে হয়।
আর নামাযের নিয়ত করা সম্পর্কে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
عن عمر بن الخطاب رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم انما الاعمال بالنيات وانما لكل امرئ مانولى.
অর্থঃ- “হযরত উমর ফারূক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই প্রতিটি আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ মানুষের প্রতিটি কাজ-কর্ম তার নিয়ত অনুযায়ী হয়ে থাকে। আর প্রত্যেক ব্যক্তি তার আমলের প্রতিদান তাই পায় যা সে নিয়ত করে থাকে।” (বুখারী শরীফ)
এ হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় জমহুর উলামায়ে কিরামের অভিমত হলো, সকল প্রকার আমল বা কাজই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। নিয়ত ব্যতীত কোন কাজই হবেনা।
পূর্বোল্লিখিত বুখারী শরীফে বর্ণিত হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যায় হযরত ইমামে আ’যম আবু হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর অভিমত হলো, মানুষের আমলসমূহ দু’প্রকার। যথাঃ
اعمال مقصودة ও اعمال غير مقصودة
সুতরাং اعمال مقصودة তথা নামায, রোযা, হজ্জ ইত্যাদি আমলের ক্ষেত্রে নিয়ত শর্ত। আর اعمال غير مقصودة ওযূ, গোসল, পানাহার করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে নিয়ত শর্ত নয়। তবে আমলের পূর্ণতার জন্য নিয়ত করা উত্তম।
অতএব, নামায পড়ার পূর্বে অবশ্যই নামাযের নিয়ত করতে হবে। অন্যথায় নামায শুদ্ধ হবেনা। নামায যদি নফলের নিয়ত করে তবে নফল হবে, ফরযের নিয়ত করলে ফরয হবে। সুতরাং যে নামায আদায় করা হবে সে নামাযেরই নিয়ত করে তাকবীরে উলা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, নিয়ত অন্তরের কাজ। যেমন নিয়তের আভিধানিক অর্থ হলো,
القصد والارادة.
“সংকল্প করা বা ইচ্ছা করা।”
আর পারিভাষিক অর্থ সম্পর্কে বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
النية هو القلب الى الفعل.
“নিয়ত হলো মানুষের অন্তরের এমন ইচ্ছা যার মাধ্যমে কোন কাজ সম্পাদন করা হয়ে থাকে।”
ফতহুর রব্বানী গ্রন্থকার বলেন,
النية توجه القلب جهة الفعل ابتغاء وجه الله تعالى وامتثالا لامره.
“আল্লাহ পাক-এর সন্তুষ্টি লাভ ও তাঁর আদেশ পালনার্থে কোন কাজের দিকে মনের ঐকান্তিক আগ্রহ ও ইচ্ছাকে প্রয়োগ করাকে নিয়ত বলে।”
তবে মনের ভাব আরবী বা নিজের ভাষায় করা আফযল বা উত্তম। নিজের ভাষায় না বললেও কোন ক্ষতি নেই।
উল্লেখ্য, দ্বীন ইসলামের বহু বিষয় এমন আছে, যা মনের বা অন্তরের সাথে সম্পর্ক, অথচ তা মুখে বলতে হয়। যেমন, ঈমান অন্তরের বিশ্বাসকে বলে কিন্তু মুখে তা স্বীকার করাকে জরুরী বলা হয়েছে। এমনিভাবে আরো অনেক বিষয় আছে যা অন্তরের কাজ। অথচ তা মুখে বলার ব্যাপারে তাকীদ দেয়া করা হয়েছে।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.