একজন মুসলমান কখনোই অমুসলিমদের কোনো অনুষ্ঠানে যেতে পারে না

অনেক নামধারী মুসলমান অসাম্প্রদায়িকতার পরিচয় দিতে গিয়ে কাফির-মুশরিকদের ‘ভাই’
বলে কাছে টেনে নেয়, কাফির-মুশরিকদের পূজা, ক্রিসমাস, বৈসাবীতে অংশগ্রহণ করে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ মহান আল্লাহ
পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে কাফিরদের প্রতি কঠোর মনোভাব পেশ করেছেন।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন-
(১) “নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার
নিকট কাফিররাই সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি।” (পবিত্র
সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৫)
(২) “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তায়ালা উনার সাথে শত্রুতা
করে কাফিররা।” (পবিত্র সূরা বাকারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৮)
(৩) “তোমরা (মুসলমানরা) তোমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে
পাবে প্রথমতঃ ইহুদীদেরকে অতঃপর মুশরিকদেরকে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ ৮২)
(৪) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধু
হিসেবে গ্রহণ করো না। তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব
করবে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫১)
(৫) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মু’মিন ব্যতীত অন্য কাউকে
অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করো না, তারা তোমাদের ক্ষতিসাধনে কোনো ক্রটি করে না। তোমরা
কষ্টে থাকো, তাতেই তাদের আনন্দ। শত্রুতাপ্রসূত বিদ্বেষ তাদের মুখেই ফুটে
বেরোয়। আর যা কিছু তাদের মনে লুকিয়ে রয়েছে, তা আরো অনেকগুণ বেশি জঘন্য।
তোমাদের জন্যে নিদর্শন বিশদভাবে বর্ণনা করে দেয়া হলো, যদি তোমরা তা অনুধাবন করতে সমর্থ হও।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ ১১৮)
(৬) “দেখ! তোমরাই তাদের ভালোবাস, কিন্তু তারা তোমাদের প্রতি মোটেও সদভাব পোষণ করে না। আর তোমরা সমস্ত কিতাবেই বিশ্বাস
করো। অথচ তারা যখন তোমাদের সাথে এসে মিশে, তখন বলে- আমরা ঈমান এনেছি।
পক্ষান্তরে তারা যখন পৃথক হয়ে যায়, তখন তোমাদের উপর রোষবশতঃ
আঙ্গুল কামড়াতে থাকে। বলুন, তোমরা আক্রোশে মরতে থাকো। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি
মনের কথা ভালোই জানেন।” (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ:পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
(৭) “তোমাদের যদি কোনো ভাল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি ক্ষতি হয়, তাহলে তারা আনন্দিত হয়। আর যদি তোমরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার উপর ইস্তিকামত থাকো
এবং তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের কোনোই ক্ষতি হবে না।
নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই মহান আল্লাহ পাক উনার আয়ত্তে রয়েছে।” (পবিত্র সূরা
আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১২০)
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান যুগের মুসলমানগণ
পবিত্র দ্বীন ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়ে সেই কাফিরদেরই অনুসরণ করছে। কাফির-মুশরিকদের
ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাচ্ছে! তাদের প্রবর্তিত পহেলা বৈশাখ, অমঙ্গল শোভাযাত্রায় যাচ্ছে! যে নিজেকে মুসলমান দাবি করে থাকে সে কি মহান আল্লাহ
পাক উনার আদেশ মুবারক উনার বিরুদ্ধে যেতে পারে? নিজেকে সত্যিকারের মুসলমান
পরিচয় দিয়ে থাকলে কাফির-মুশরিকদের সমস্ত অনুষ্ঠান বর্জন করুন।
No comments