প্রতিটি শ্রেণীতে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অন্তর্ভুক্ত চাই
==============================
“হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ পাক
উনার পক্ষ হতে ‘ফযল ও রহমত’ পেয়েছে সে জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয় তাদের
এ খুশি প্রকাশ করাটা তাদের সমস্ত সঞ্চয়ের থেকে উত্তম।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা
ইউনুস শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৮)
সুতরাং প্রতিটি মুসলমানের চিন্তা- চেতনায়, অনুভূতিতে-উপলব্ধিতে, মুহব্বতে-মা’রিফতে, ধ্যানে-খেয়ালে সদা-সর্বদা পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার
চিন্তা-চেতনা বদ্ধমূল থাকা ফরয-ওয়াজিব।
দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশে ৯৮ ভাগ মুসলমান
উনাদের চিন্তা-চেতনার মধ্যে তা অনুপস্থিত। পক্ষান্তরে এদেশের মুসলমানগণ এবং তাঁদের
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চেতনায় লালিত হচ্ছে বেদ্বীন-বদদ্বীন, কাফির-মুশরিকদের আলোচনা, বিজাতি-বিধর্মীয়দের কৃষ্টি-কালচার,
হারাম অপসংস্কৃতির
চর্চা ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ!
কাজেই মুসলমানদের মধ্যে ইসলামী চেতনা,
ধর্মীয় শিক্ষা
এবং সঠিক দ্বীন ইসলাম চর্চা ফিরিয়ে আনতে হলে সর্বত্র বিশেষ করে পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি
শ্রেণীতে আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
আগমন দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার চেতনা অন্তর্ভুক্ত করার বিকল্প নেই।
এটা ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের সরকারের উপর এক গুরু দায়িত্ব যে, সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতি জাগ্রত রাখতে ও
ধর্মীয় সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে সর্বপ্রকার ব্যবস্থা ও সুযোগ সৃষ্টি করে দিবে।
আর এজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি সিলেবাসের পাঠ্যপুস্তকের প্রতিটি শ্রেণীতে
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ঈদ বা খুশির দিন পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ সম্পর্কে আলোচনা, কবিতা, ক্বাছীদা অন্তর্ভুক্ত
করতে হবে।
No comments