হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাড়িয়ে সালাম দেওয়াই আদব চাই রওযা শরীফে হোক বা যেখান থেকেই হোক না কেন৷ সুবহানাল্লাহ!
উপমহাদেশসহ আরবী-আজমী সুন্নী ঈমানদার সহ ওহাবী, দেওবন্দী খারেজীসহ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য মশহুর মুহাদ্দিস , ওলীআল্লাহ, শায়েখ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিস
দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার অনেক কিতাবের মাঝে একখানা ফারসী ভাষায় রচিত কিতাব
হলো 'জযবুল ক্বুলুব ইলা দিয়ারিল মাহবুব'৷
বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে ' হৃদয়ের টানে মদীনার পানে' নামে৷ কিতাবখানা মদীনা শরীফ, রওযা শরীফ উনাদের শান-মান , ফাজায়িল-ফজীলত , ইজ্জত-মর্যাদা নিয়ে লিখিত৷
এই কিতাব খানায় ৩৩২-৩৩৫ পৃঃ রওযা পাকে
সালাম পেশ করার নিয়ম শিরোনামে উল্লেখ করা
হয়েছে -
১৷ সাইয়্যিদুল মুরসালীন রহমাতুল্লীল আলামীন হুযূর আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে সালাম দেওয়ার সময় খাড়া হয়ে ডান হাতকে বাম হাতের উপরে বেঁধে নেবে৷
২৷ যিয়ারতকারী জালী শরীফের জানালার মুখোমুখী অথবা এর নিকটে বা দূরে দাঁড়াবে৷
৩৷ হুযূর আকরাম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবীত অবস্থায় উনার সম্মুখে
যে শ্রদ্ধা, আদব , বিনয় , ভয়-ভীতি ও মুহাব্বত নিয়ে
দাঁড়ানো হতো সে বিশ্বাস এবং সেসব গুণাবলী সহকারে এখানেও দাঁড়াবে৷
৪৷ মনে প্রাণে একথার ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে যে , হুযূর আকরাম
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উপস্থিতি ,অবস্থান ও যিয়ারত সম্পর্কে সম্যকভাবে ওয়াকিফহাল৷
৫৷ ..... এ মহান দরবারে খাড়া হওয়া এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনাকে সম্বোধন করার সুযোগ লাভ করা নিতান্তই সৌভাগ্যের বিষয়৷
৬৷ .....দাঁড়িয়ে আল্লাহ তা'আলার তারীফ-প্রশংসা , দরূদ- ও সালাম এবং দু'আতে মশগুল হবে৷
কিতাবের ৩৪১ পৃঃ উল্লেখ আছে -
"মসজিদের ভেতরে বা বাইরে
গমনাগমণের সময় যতবারই রওজা শরীফ অতিক্রম করবে , ততবারই দাঁড়িয়ে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর দরূদ ও সালাম
পেশ করবে৷ যদিও বা দিনে কয়েকবার যাতায়াত করতে হয়৷"
No comments