ছবি মূতি ভাষ্কর্য জায়িয করতে ইসলাম বিদ্বেষীরা এবার নবীজীর শানে মিথ্যা অপবাদ দিলো
নাস্তিক হাসান মাহমুদের লেখা খন্ডন করার পর (http://bit.ly/2lV84VO) তার এক সমর্থক একটা হাদীস শরীফ পেশ করেছে। এটা দিয়ে সে বোঝাতে চেয়েছে ছবি ভাষ্কর্য জায়িয। নাউযুবিল্লাহ।
হাতুড়ে ডাক্তার যে মানুষের জীবনের জন্য হুমকী স্বরূপ এটাই এখন দেখার বিষয়।
ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত আবু দাউদ থেকে:
আমার এই লেখার ১ নং পিকচার দেখেন: ইসলামী ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত আবু দাউদের
৩৯৯০ নম্বর হাদীস থেকে দলীল দিয়েছে “//ইয়াযীদ ইবনে খালিদ (রঃ) ………আইশা
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম এমন একখানি কালো ডোরাদার পশমী চাদর গায়ে দিয়ে বের হন, যাতে
জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি ছিল।//
উক্ত কিতাবের স্ক্যান কপি দেয়া হয়েছে। একটা শব্দ মার্ক করা হয়েছে খেয়াল
করুন। শব্দটা হচ্ছে مُرَحَّلٌ এই শব্দের তারা অর্থ করেছে “জীব-জন্তু ও
মানুষের ছবি”।
এবার এই পিকচার দেখেন। এটা হচ্ছে সেই ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত “আরবী-বাংলা অভিধান”।
আরবী-বাংলা অভিধান এর ২য় খন্ড ৭৩০ পৃষ্ঠা চিহিৃত অংশ দেখুন:
শব্দটা হচ্ছে مُرَحَّلٌ ।এর অর্থটা দেখেন। এই শব্দের অর্থ করা হয়েছে “উটের
হাওদার উপর বিছানো নকশ করা কাপড়।” নকশী কাপড় কে সম্পূর্ণ ভুল অর্থ করে
উদ্দেশ্য প্রনোদীতভাবে “জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি” হিসাবে উল্লেখ করে অনুবাদ
করেছে আবু দাউদ শরীফে। আমরা মূল আবু দাউদ শরীফ ও এর পাঁচটা শরাহ চেক করে
দেখেছি, সেই সাথে ৮/৯ টা আরবী অভিধানও দেখেছি কোথাও مُرَحَّلٌ এর অর্থে
“জীব-জন্তু ও মানুষের ছবি” করা হয়নি।
সূতরাং এখানে হাদীস শরীফের নামে শব্দের অর্থ বিকৃতি করে নবীজীর শরীর
মুবারকে প্রানীর ছবির চাদর ছিলো প্রমাণ করতে চাওয়া কতবড় ধৃষ্টতা সেটার
বিচার জনগনের কাছে ছেড়ে দিলাম।
No comments