সহীহ হাদীছ শরীফ উনার দলিলে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি "নূরে মুজাসসাম"।
। মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনাকে সবকিছু সৃষ্টির পূর্বে নূর হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।
আমরা সহীহ হাদীস শরীফ থেকে প্রমান করে দেখাবো আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার "নূর" মুবারক সৃষ্টি করেছেন।
আমাদের প্রিয় নবীজী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূর এ মুজাস্সাম। সর্ব প্রথম আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।
এ প্রসঙ্গে সহীহ হাদীস শরীফে বর্নিত আছে। হাদীস শরীফখানা বর্ননা করেন ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের উস্তাদের উস্তাদ। ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ,ইমামে আযম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার ছাত্র, বিখ্যাত মুহাদ্দিস ,তাবে তাবেয়ী, হাফিজে হাদীস, আল্লামা আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিখ্যাত হাদীস শরীফ গ্রন্থ"মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক" ১ম খন্ড ৯৯ পৃষ্ঠায় ১৮ নং হাদীস শরীফে।
ইমাম হযরত আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফ বর্ননা করেন হযরত মা'মার বিন রশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,তিনি বর্ননা করেন মুহম্মদ বিন মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে,তিনি বর্ণনা করেন বিখ্যাত ছাহাবী জাবির বিন আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে।
(আল জুয আল মাফকাদ মিন আল জুয আল আওয়াল মিন আল মুসান্নাফ আব্দদুর রাযযাক,
দারুল মুহাদ্দিস,রিয়াদ,সউদি আরব)
হাদীস শরীফ-
حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟ حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان، جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔
অর্থ: হযরত জাবের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত, তিনি বলেন,আমি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বললাম,ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবানি হোক, আপনি আমাকে জানিয়ে দিন যে, আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম কোন জিনিস সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলেন, হে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু! নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম সব কিছুর পূর্বে আপনার নবীর নূর মুবারক সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর সেই নূর মুবারক আল্লাহ পাক উনার ইচ্ছা অনুযায়ী কুদরতের মাঝে ঘুরছিলো।আর সে সময় লওহো, ক্বলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা, আসমান, জমিন, চন্দ্র, সূর্য, মানুষ ও জ্বিন কিছুই ছিলো না। "
দলীল সমুহ ---
(১) মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক ১/৯৯, হাদীস ১৮
(২) দালায়েলুন নবুওয়াত ১৩/৬৩
(৩) মাওয়াহেবুল্লাদুন্নিয়া ১/৯
(৪) মাদারেজুন নবুওয়াত ২/২
(৫) যুরকানী ১/৪৬
(৬) রুহুল মায়ানী ১৭/১০৫
(৭) সিরাতে হলবীয়া ১/৩০
(৮) মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃ
(৯) ফতোয়ায়ে হাদীসিয়া ১৮৯ পৃ
(১০) নি' মাতুল কুবরা ২ পৃ
(১১) হাদ্বীকায়ে নদীয়া ২/৩৭৫
(১২) দাইলামী শরীফ ২/১৯১
(১৩) মকতুবাত শরীফ ৩ খন্ড ১০০ নং মকতুব
(১৪) মওজুয়াতুল কবীর ৮৩ পৃ
(১৫) ইনছানুল উয়ুন ১/২৯
(১৬) নূরে মুহম্মদী ৪৭ পৃ
(১৭) আল আনোয়ার ফি মাওলিদিন নবী ৫ পৃ
(১৮) আফদ্বালুল ক্বোরা
(১৯) তারীখুল খমীস ১/২০
(২০) নুজহাতুল মাজালিস ১ খন্ড
(২১) দুররুল মুনাজ্জাম ৩২ পৃ
(২২) কাশফুল খফা ১/৩১১
(২৩) তারিখ আননূর ১/৮
(২৪) আনোয়ারে মুহম্মদীয়া ১/৭৮
(২৫) আল মাওয়ারিদে রাবী ফী মাওলীদিন নবী ৪০ পৃষ্ঠা ।
(২৬) তাওয়ারীখে মুহম্মদ
(২৭) আনফাসে রহীমিয়া
(২৮) মা' য়ারিফে মুহম্মদী
(২৯) মজমুয়ায়ে ফতোয়া ২/২৬০
(৩০) নশরুতত্বীব ৫ পৃ
(৩১) আপকা মাসায়েল আওর উনকা হাল ৩/৮৩
(৩২) শিহাবুছ ছাকিব ৫০
(৩৩) মুনছিবে ইছমত ১৬ পৃ
(৩৪) রেসালায়ে নূর ২ পৃ
(৩৫) হাদীয়াতুল মাহদী ৫৬পৃ
(৩৬) দেওবন্দী আজিজুল হক অনুবাদ কৃত বুখারী শরীফ ৫/৩
আমাদের সমাজের অনেক দেওবন্দী/ খারেজী/ওহাবী/লা মাযহাবী/ তাবলীগি ইত্যাদি বাতিল ফির্কা এই হাদীস শরীফকে নিজেদের সার্থ চরিতার্থ করার জন্য জাল/দুর্বল বলে থাক। আসুন আমরা সত্যতার মাপকাঠিতে হাদীস শরীফটির সনদ যাচাই করে দেখি। যিনি এ হাদীস শরীফ বর্ননা করেছেন তিনি হচ্ছেন হাফিজে হাদীস,ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হলেন মুসলিম উম্মাহের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর দাদা উস্তাদ। যদি বিতর্কের খাতিরে ধরেই নেই আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তাঁর কিতাবে দুর্বল হাদীস উল্লেখ করেছেন তাহলে বলতে হয় বুখারী শারীফেও দুর্বল হাদীস আছে যেহেতু ইমাম বুখারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদীস শাস্ত্রের জ্ঞান লাভ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর কাছ থেকে। কিন্তু বুখারী শারীফে দুর্বল হাদীস আছে সেটা কেউই বলেন না। তাই “হাদীসটি দুর্বল/জাল" কথাটি ভুল প্রমাণীত হল।
সম্পূর্ন
নূর বিষয়ক হাদীস শরীফ(আরবিতে)
১/৪
২/৪৪/৪
হাদীসের সনদটি নিম্নরূপ :
হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
↓
জাবির বিন আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
↓
মুহাম্মাদ বিন মুঙ্কদার রাহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
মা'মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি
↓
আব্দুর রাজ্জাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি।
সুবহানাল্লাহ্ !!!
এবার দেখা যাক বর্নিত হাদীস শরীফ উনার রাবীদের সম্পর্কে মুহাদ্দীগণের মন্তব্য :
হাফিজে হাদীস,তাবে তাবেয়ীন ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি :
আহমাদ ইবন সালীহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, "আমি একবার আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি হাদীস শাস্ত্রে আব্দুর রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে নির্ভরযোগ্য আর কাউকে পেয়েছেন? আহমাদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, না"।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর আসক্বলানী ২/৩৩১
ইয়াহিয়াহ বিন মাইন
রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,যদি ইমাম আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহি মুরতাদ ও
হন(মাআজাল্লাহ) তবুও উনার থেকে হাদীস নেয়া বাদ দেওা যাবে না (মানে নিতেই হবে)
√তাহজিবুত তাহজিব ৬/৩১৪
√মিজানুল ইতিদাল ২/৬১২
ইমাম আবু যারদাহ
রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,ইমাম আব্দুর রাযযাক রহ্মাতুল্লাহি আলাইহি নির্ভরযোগ্য।
√ তাহজিবুত তাহজিব লি হাফিয ইবনে হাজর আসক্বলানী,৬/৩১১
হাদীস শরীফ উনার অপর রাবী মা'মার বিন রাশীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি :
উনার সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমি বসরার সকল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞের থেকে মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাকে মা'মার বিন রাশীদ এর সূত্রে পাওয়া হাদীসগুলো পছন্দ করি। ইবন হাজর আসকলানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে প্রখর স্বরনশক্তি সম্পন্নএবং নির্ভরযোগ্য বলেন।
দলীল-
√তাহজিবুত তাহজিব ১/৫০৫
√ আসমাউর রেজাল।
উক্ত মা'মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সূত্রে বর্ণিত বুখারী শারীফের হাদীস সংখ্যা প্রায় ২২৫ এবং মুসলিম শারীফে বর্ণিত হাদীস সংখ্যা প্রায় ৩০০ টি।সুবহানাল্লাহ্ !
ইমাম ইবনে সাদ বলেছেন, মা'মার বিন রাশীদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমাম হাসান বসরী
রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার জানাজায় সামিল ছিলেন।আর উনার সম্মপর্কে ইমাম আব্দুল্লাহ
বিন মুবারক ও ইমাম আব্দুর রাযযাক রহমাতুল্লাহি আলাইহিম বলেন,তিনি ফক্বীহ,মুত্তাকি
ও হাফিয ছিলেন।
(থিক্বাত, ৭ম খন্ড,রাবী নাং ১১০৭০)
Imam Ibn e
Hajr 'Asqalni nain farmaya k Ma'mar bin Rashid thiqah thabat faazal hain.
(তাকরীব আত তাহজীব
২/২০২)
৩।মুহম্মদ বিন মুঙ্কাদার
রহমাতুল্লাহি আলাইহিঃ
ইমাম হুমায়দি রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, মুনকদার রহমতুল্লাহি আলাইহি একজন হাফিজ,ইমাম জারাহ তাদীলের ইমাম ইবন মা'ঈন রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, উনি নির্ভরযোগ্য।
দলীল-
√ তাহজিবুত তাহজিব ০৯/১১০৪৮
√ আসমাউর রেজাল ।
হযরত মুনকদার রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা বুখারী শারীফে ৩০টি এবং মুসলিম শারীফে ২২টি।সুবহানাল্লাহ্ !!
আর মূল বর্ননাকারী হলেন হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একজন সুপ্রসিদ্ধ সাহাবী। বুখারী ও মুসলিম শারীফের উনার থেকে বর্ণিত অনেক হাদীস আছে। সুতরাং বুঝা গেল। হাদীসটির সকল রাবীই নির্ভরযোগ্য এবং উনাদের সূত্রে বুখারী ও মুসলিম শারীফেও হাদীস বর্ণিত আছে। সুতরাং বলা যায়, ইমাম বুখারী ও মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উভয়ের হাদীস শর্তানুসারে হাদীসটি সহীহ।সুবহানাল্লাহ্ !!
আলহামদুলিল্লাহ ! আমরা পরিস্কার এবং বিশুদ্ধ সনদের মাধ্যমে হাদীস শরীফটির গ্রহনযোগ্যতা জানতে পারলাম।এবার আসুন আমরা দেখি উক্ত হাদীস শরীফ সম্পর্কে মুহাদ্দিস এবং হাদীস শরীফ বিশারদগন কি বলেছেন।
বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস, যিনি এই উপমহাদেশে হাদীস শরীফের ব্যাপক প্রচার প্রসার করেছেন, সু দীর্ঘ সময় মদীনা শরীফে যিনি ইলিমচর্চা করেছেন। যিনি প্রতিদিন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাত লাভ করতেন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত হাদীসে জাবির রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বা নূর সংক্রান্ত হাদীস শরীফকে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।তিনি উনার কিতাবে লিখেন-
ﺩﺭﺣﺪﻳﺚ ﺻﺤﻴﺢ ﻭﺍﺭﺩ ﺷﺪ ﻛﻪ ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻱ
অর্থ: "সহীহ হাদীস শরীফে" বর্নিত হয়েছে যে, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন!"
দলীল-√ মাদারেজুন নবুওয়াত ২য় খন্ড ২ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস, আরেফ বিল্লাহ, সাইয়্যিদিনা আব্দুল গনী নাবেলসী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফকে সরাসরি সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন।তিনি বলেন-
ﻗﺪ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺷﻴﻲ ﻣﻦ ﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻛﻤﺎ ﻭﺭﺩ ﺑﻪ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ ﺍﻟﺼﺤﻴﺢ
অর্থ: নিশ্চয়ই প্রত্যেক জনিস হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক থেকে সৃষ্টি হয়েছে, যেমন এব্যাপারে 'সহীহ' হাদীস শরীফ বর্নিত রয়েছে।"
দলীল-√ হাদীক্বায়ে নদীয়া- দ্বিতীয় অধ্যায়-৬০ তম অনুচ্ছেদ-২য় খন্ড ৩৭৫ পৃষ্ঠা।
বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন,আল্লামা ইমাম মুহম্মদ মাহদ ইবনে আহমদ ফার্সী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উক্ত হাদীস শরীফকে সহীহ বলে নিজেরকিতাব মুবারকে উল্লেখ করেছেন।তিনি বর্ননা করেন-
ﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ ﻧﻮﺭﻩ ﻭﻣﻦ ﻧﻮﺭﻱ ﺧﻠﻖ ﻛﻞ ﺵﺀﻱ
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম আমার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং আমার নূর মুবারক থেকে সবকিছু সৃষ্টি করেন।"
দলীল-√ মাতালেউল মাসাররাত ২৬৫ পৃষ্ঠা ।
উক্ত হাদীস শরীফের সমর্থনে বিখ্যাত মুহাদ্দিস, ছহীবে মেরকাত, ইমামুল মুহাদ্দিসীন মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﻭﺍﻣﺎﻧﻮﺭﻩ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻓﻬﻮ ﻓﻲ ﻏﺎﻳﺎﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﻈﻬﻮﺭ ﺷﺮﻗﺎ ﻭ ﻏﺮﺑﺎ ﻭﺍﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻠﻪ
ﻧﻮﺭﻩ ﻭﺳﻤﺎﻩ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ﻧﻮﺭﺍ
অর্থ: হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক পূর্ব ও পশ্চিমে পূর্নরুপে প্রকাশ পেয়েছে। আর মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন। তাই নিজ কিতাব কালামুল্লাহ শরীফে উনার নাম মুবারক রাখেন 'নূর'।"
দলীল-√ আল মওযুআতুল কবীর ৮৩ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস,আল্লামা আবুল হাসান বিন আব্দিল্লাহ আল বিকরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন--
ﻗﺎﻝ ﻋﻠﻲ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻻ ﺷﻲﺀ ﻣﻌﻪ ﻓﺎﻭﻝ ﻣﺎ ﺧﻠﻖ ﻧﻮﺭ ﺣﺒﻴﺒﻪ ﻗﺒﻞ ﺍﻥ ﻳﺨﻠﻖ
ﺍﻟﻤﺎﺀ ﻭﺍﻟﻌﺮﺵ ﻭﺍﻟﻜﺮﺳﻲ ﻭﺍﻟﻠﻮﺡ ﻭﺍﻟﻘﻠﻢ ﻭﺍﻟﺠﻨﺔ ﻭﺍﻧﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﺠﺎﺏ
অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ওয়া আলাইহিস সালাম বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহ পাক ছিলেন, তখন অন্য কোন অস্তিত্ব ছিলো না।অতঃপর তিনি পানি,আরশ,কুরসী, লওহো,ক্বলম,জান্নাত, জাহান্নাম ওপর্দা সমূহ ইত্যাদি সৃষ্টি করার পূর্বে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নূর মুবারক সৃষ্টি করেন।"
দলীল-√ আল আনওয়ার ফী মাওলিদিন নাবিয়্যিল মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৫ পৃষ্ঠা।
বিখ্যাত তাফসির কারক,ইমামুল মুফাসসিরীন, আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﺟﻤﻴﻊ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻣﻦ ﻧﻮﺭ ﻣﺤﻤﺪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻭﻟﻢ ﻳﻨﻘﺺ ﻣﻦ
ﻧﻮﺭﻩ ﺳﻲﺀ
অর্থ: এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সকল মাখলুকাত "নূরে মুহম্মদী" ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামথেকে সৃষ্টি করেছেন। অথচ "নূরে মুহম্মদী" ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কিঞ্চিত পরিমানও কমে নাই।"
দলীল-
√ তাফসীরে রুহুল বয়ান ৭ম খন্ড ১৯৭-১৯৮ পৃষ্ঠা।
উক্ত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফ খানা নিজ কিতাবে সহীহ বলে উল্লেখ করেছেন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বলা হয়-" ইমাম বায়হাক্কী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন স্বীয় যুগের হাদীসশরীফ এবং ফিক্বাহ শাস্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্যক্তিত্ব। উম্মত যাদেরমাধ্যমে খুব উপকৃত হয়েছে এবং হাফিজে হাদীস এমন সাতব্যক্তি ছিলেন তাদের যাদের গ্রন্থ সবচাইতে উৎকৃষ্ট বলে স্বীকৃত। সেইসাত জনের একজন হলেন, ইমাম বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ।"
দলীল-
√ আসমাউর রেজাল-বাবু আইম্মাতুল হাদীস।
১।এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম,আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ননা করেন--
ﺍﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻲ ﺧﻠﻖ ﻗﺒﻞ ﺍﻻﺷﻴﺎﺀ ﻧﻮﺭ ﻧﺒﻴﻚ
"..... নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার "নূর" মুবারক সৃষ্টি করেন।" দলীল-
√ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা।
আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হু্যুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার থেকে বর্ণ্না করেন,আল্লাহ পাক যখন আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করলেন ,তখন উনাকে উনার আল আওলাদ সম্পর্কে
জানালেন।আদম আলাইহিস সালাম উনাকে উনার
শ্রেষ্ঠত্ব জানালেন।তখন তিনি দেখলেন এক খণ্ড নূর মুবারক(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হু্যুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি)উনার শ্রেষ্ঠত্ব সবার উপরে।তখন আদম
আলাইহিস সালাম আল্লাহ পাক উনাকে বল্লেন,উনি কে? তখন আল্লাহ পাক বল্লেন,এটা আপনার আওলাদ নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হু্যুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।যিনি কিয়ামতের দিন
সর্বপ্রথম শাফায়াত করবেন।
(দালালিয়ুন নুবুয়াত ৫/৪৮৩)
No comments