পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার উসুল (কুরআন শরীফ)-১
=========================================
শরীয়তের কোন বিষয়ের মীমাংসা বা ফায়সালা করতে হলে তা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতেই করতে হবে, এর বাইরে কোন কথা বা কাজ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, শরীয়তের ভিত্তি বা দলীলই হলো উপরোক্ত চারটি। এ প্রসঙ্গে উসূলের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে যে,
“মূলতঃ শরীয়তের ভিত্তি হলো তিনটি। কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা এবং চতুর্থ হলো- ক্বিয়াস।” (নুরুল আনোয়ার)
(১) পবিত্র কুরআন শরীফঃ
মূলতঃ কুরআন শরীফের সম্পূর্ণটাই আল্লাহ্ পাক-এর ওহীর অন্তর্ভূক্ত। কেননা আল্লাহ্ পাক বলেন,
“রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কথাই নিজের থেকে বলেন না, ওটা ওহী ব্যতীত কিছুই নয়।” (সূরা নজম-৩,৪)
শুধু তাই নয়, উপরোক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, হাদীস শরীফগুলোও কুরআন শরীফের ন্যায় ওহীর অন্তর্ভূক্ত।
আর তাই ওহীকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১। “ওহীয়ে মাতলু” অর্থাৎ কুরআন শরীফ, যা তিলাওয়াত করা হয়।
২। “ওহীয়ে গায়ের মাতলু” অর্থাৎ হাদীস শরীফ যা তিলাওয়াত করা হয় না।
মূলতঃ কুরআন শরীফ শরীয়তের অকাট্য দলীল, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য পবিত্র কুরআন শরীফের হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ মেনে চলা অপরিহার্য। কারণ বিপথগামী, পথভ্রষ্ট মানুষদেরকে হিদায়াতের পথে আনার জন্যেই মহান আল্লাহ্ রব্বুল ইজ্জত পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ অবতীর্ণ করেন-
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ্ শরীফে ইরশাদ ফরমান-
“আমি এ কিতাবকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, মানুষদেরকে গোমরাহী হতে হিদায়েতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।” (সূরা ইব্রাহিম/১)
সুতরাং যারা এ কুরআন শরীফের আদেশ-নিষেধ, হুকুম আহকামের অনুসরণ করবে, তারা হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে, আর যারা অনুসরণ করবেনা তারা গোমরাহীর মধ্যে নিপতিত থাকবে। আর তাই কুরআন শরীফের অসংখ্য স্থানে কালামুল্লাহ্ শরীফের হুকুম-আহকামের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,
“আর যখন আমার পক্ষ হতে তোমাদের জন্য হিদায়াতের বাণী আসবে, আর এ হিদায়েতবাণীকে (কুরআন শরীফ) যাঁরা অনুসরণ করবে তাঁদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তা নেই।” (সূরা বাক্বারা/৩৮)
মহান আল্লাহ্ পাক অন্যত্র আরো ইরশাদ করেন,
“তোমাদের প্রভুর পক্ষ হতে তোমাদের নিকট যা (কুরআন শরীফ) অরতীর্ণ করা হয়েছে, তার অনুসরণ কর।” (সূরা আ’রাফ/৩)
কালামুল্লাহ্ শরীফে এ প্রসঙ্গে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“সেই নূরের (কুরআন শরীফ) অনুসরণ কর, যা তাঁর (রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) উপর অবতীর্ণ হয়েছে, (যারা এরূপ করবে) তারাই সফলকাম।” (সূরা আ’রাফ/১৫৭)
আর তাই মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,
خذوا ما اتينا كم بقوة.
“তোমাদেরকে যা দিয়েছি, (কুরআন শরীফ) তা শক্তভাবে আঁকড়িয়ে ধর।”
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটা স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, কুরআন শরীফ শরীয়তের অকাট্য দলীল এবং কুরআন শরীফকে অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর জন্য অবাশ্যই কর্তব্য।
শরীয়তের কোন বিষয়ের মীমাংসা বা ফায়সালা করতে হলে তা কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াসের দৃষ্টিতেই করতে হবে, এর বাইরে কোন কথা বা কাজ মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কেননা, শরীয়তের ভিত্তি বা দলীলই হলো উপরোক্ত চারটি। এ প্রসঙ্গে উসূলের কিতাবে উল্লেখ রয়েছে যে,
“মূলতঃ শরীয়তের ভিত্তি হলো তিনটি। কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ, ইজমা এবং চতুর্থ হলো- ক্বিয়াস।” (নুরুল আনোয়ার)
(১) পবিত্র কুরআন শরীফঃ
মূলতঃ কুরআন শরীফের সম্পূর্ণটাই আল্লাহ্ পাক-এর ওহীর অন্তর্ভূক্ত। কেননা আল্লাহ্ পাক বলেন,
“রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কথাই নিজের থেকে বলেন না, ওটা ওহী ব্যতীত কিছুই নয়।” (সূরা নজম-৩,৪)
শুধু তাই নয়, উপরোক্ত আয়াত শরীফ দ্বারা স্পষ্টই বুঝা যায় যে, হাদীস শরীফগুলোও কুরআন শরীফের ন্যায় ওহীর অন্তর্ভূক্ত।
আর তাই ওহীকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে-
১। “ওহীয়ে মাতলু” অর্থাৎ কুরআন শরীফ, যা তিলাওয়াত করা হয়।
২। “ওহীয়ে গায়ের মাতলু” অর্থাৎ হাদীস শরীফ যা তিলাওয়াত করা হয় না।
মূলতঃ কুরআন শরীফ শরীয়তের অকাট্য দলীল, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য পবিত্র কুরআন শরীফের হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ মেনে চলা অপরিহার্য। কারণ বিপথগামী, পথভ্রষ্ট মানুষদেরকে হিদায়াতের পথে আনার জন্যেই মহান আল্লাহ্ রব্বুল ইজ্জত পবিত্র কালামুল্লাহ্ শরীফ অবতীর্ণ করেন-
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ্ শরীফে ইরশাদ ফরমান-
“আমি এ কিতাবকে আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি, মানুষদেরকে গোমরাহী হতে হিদায়েতের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য।” (সূরা ইব্রাহিম/১)
সুতরাং যারা এ কুরআন শরীফের আদেশ-নিষেধ, হুকুম আহকামের অনুসরণ করবে, তারা হিদায়েতপ্রাপ্ত হবে, আর যারা অনুসরণ করবেনা তারা গোমরাহীর মধ্যে নিপতিত থাকবে। আর তাই কুরআন শরীফের অসংখ্য স্থানে কালামুল্লাহ্ শরীফের হুকুম-আহকামের অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,
“আর যখন আমার পক্ষ হতে তোমাদের জন্য হিদায়াতের বাণী আসবে, আর এ হিদায়েতবাণীকে (কুরআন শরীফ) যাঁরা অনুসরণ করবে তাঁদের কোন ভয় নেই এবং চিন্তা নেই।” (সূরা বাক্বারা/৩৮)
মহান আল্লাহ্ পাক অন্যত্র আরো ইরশাদ করেন,
“তোমাদের প্রভুর পক্ষ হতে তোমাদের নিকট যা (কুরআন শরীফ) অরতীর্ণ করা হয়েছে, তার অনুসরণ কর।” (সূরা আ’রাফ/৩)
কালামুল্লাহ্ শরীফে এ প্রসঙ্গে আরো ইরশাদ হয়েছে,
“সেই নূরের (কুরআন শরীফ) অনুসরণ কর, যা তাঁর (রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর) উপর অবতীর্ণ হয়েছে, (যারা এরূপ করবে) তারাই সফলকাম।” (সূরা আ’রাফ/১৫৭)
আর তাই মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,
خذوا ما اتينا كم بقوة.
“তোমাদেরকে যা দিয়েছি, (কুরআন শরীফ) তা শক্তভাবে আঁকড়িয়ে ধর।”
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা এটা স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, কুরআন শরীফ শরীয়তের অকাট্য দলীল এবং কুরআন শরীফকে অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর জন্য অবাশ্যই কর্তব্য।
No comments