Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফে শবে বরাতের কোন অস্তিত্ব নেই- এ বক্তব্য সম্পূর্ণ জিহালতপূর্ণ ও গুমরাহীমূলক, যা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত ------- পর্ব -> (৫)







>>> অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাও শবে বরাত প্রমাণিত <<<

অর্ধ শা’বান তথা শবে বরাত সম্পর্কে রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ করেছেন তা সর্বজনমান্য ও বিশ্বখ্যাত হাদীছগ্রন্থে রয়েছে কিতাবের নামসহ তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
(ধারাবাহিক)

# “জামিউত্ তিরমিযী শরীফ”-এর ১ম খণ্ডের ৯২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

(৫৮-৬১)

حدثنا احمد بن منيع حدثنا يزيد بن حرون اخبرنا الحجاج بن ارطاة عنه يحيى بن ابى كثير عن عروة عن ام المؤمنين حضرت عائشة عليها السلام قالت فقدت رسول الله صلى الله عليه وسلم ليلة فخرجت فاذا هو بالبقيع فقال اكنت تخافين ان يحيف الله عليك ورسوله فقلت يا رسول الله صلى الله عليه وسلم انى ظننت انك اتيت بعض نسائك فقال ان الله عز وجل ينزل ليلة النصف من شعبان الى السماء الدنيا فيغفر لاكثر من عدد شعر غنم كلب.
অর্থ: “হযরত ইমাম তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন হযরত আহমাদ ইবনু মানী রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেছেন ইয়াযীদ ইবনু হারুন রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, হযরত হাজ্জাজ ইবনু আরত্বহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত ইয়াহইয়া ইবনে আবী কাছীর হযরত উরওয়াহ হযরত উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে | হযরত উরওয়াহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম থেকে | উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, এক রাতে রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে (আমার ঘরে) না পেয়ে উনার খোঁজে বের হলাম | অতঃপর আমি দেখতে পেলাম, রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জান্নাতুল বাক্বীতে উনার মাথা মুবারক আকাশের দিকে উত্তোলন করে আছেন | তখন রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে দেখে বললেন, হে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম! আপনি কি এই আশঙ্কা করছেন যে, মহান আল্লাহ্ পাক এবং উনার রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা আপনার আমনত খিয়ানত করেছেন?
অতঃপর উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বললেন, আমি জবাবে বললাম, এটাতো আদৌ আমার পক্ষে সমীচীন নয় ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম | বরং আমি মনে করেছি, হয়তোবা আপনি আপনার অন্য কোন উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার কাছে তাশরীফ নিয়েছেন | তখন রসলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে লক্ষ্য করে বললেন, (আজকের এই শবে বরাতে) মহান আল্লাহ্ পাক ১৫ই শা’বান তথা বরাতের রাতে নিকটস্থ আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের বকরীর পশমের চেয়েও অধিক সংখ্যক লোককে ক্ষমা করে থাকেন |” হযরত আবু ঈসা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, উক্ত অনুচ্ছেদে হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে অনুরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে |
(উরফশ্ শাযী, তুহফাতুল আহওয়াযীহ, আরিদাতুল আহওয়াযীহ)

# বিশ্ববিখ্যাত কিতাব হাম্বলী মাযহাবের ইমাম হযরত আহমদ ইবনে হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি-উনার “মুসনাদ”-এর ২য় খণ্ডের ১৭৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

(৬১)

حدثنا عبد الله حدثنا ابى ثنا حسن ثنا ابن لهيعة ثنا يحيى ابن عبد الله عن ابى عبد الر حمن الحبلى عن عبد الله بن عمرو ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال يطلع الله عز وجل الى خلقه ليلة النصف من شعبان فيغفر لعباده الا لاثنين مشا وقاتل نفس.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন, আমার কাছে বর্ণনা করেন আমার পিতা | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, হযরত হাসান রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, হযরত ইবনু লাহীয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, ইয়াহইয়া ইবনে আব্দুল্লাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি আবী আব্দুর রহমান হাবলী রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা থেকে | তিনি বলেন, নিশ্চয়ই হযরত রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহ্ পাক অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে সৃষ্টির জন্য অবতরণ করেন নিকটস্থ আকাশে | অতঃপর হিংসুক এবং মানুষ হত্যাকারীদের ব্যতীত সকল মানুষকে ক্ষমা করে দিয়ে থাকেন |

# বিশ্ব বিখ্যাত হাদীছ শরীফ-এর কিতাব হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “শুয়াবুল ঈমান” নামক কিতাবের ৩য় খণ্ডের ৩৭৮ ও ৩৭৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

(৬২)

حدثنا عبد الله بن يوسف الاصبهانى انا ابو اسحاق ابراهيم بن احمد بن فراس مكى نا محمد بن على بن زيد الصائغ نا الحسن بن على بن عبد الرزاق نا ابن ابى سبرة عن ابراهيم بن محمد عن معاوية بن عبدالله بن جعفر عن ابيه عن على بن ابى طالب قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا كانت ليلة النصف من شعبان فقوموا ليلتها وصوموا يومها فان الله تعالى يقول الا من مستغفر فاغفرله الا من مسترزق فأرزقه الا من سائل فاعطيه الا كذا حتى يطلع الفجر.
অর্থ: “হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, আমাদের কাছে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন, হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে ইউসুফ আছবাহানী রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন হযরত আবু ইসহাক্ব ইব্রাহিম ইবনে আহমদ ইবনে ফারাস মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন, হযরত মুহম্মদ ইবনে আলী ইবনে যায়িদ ছয়িগ রহমতুল্লাহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন হযরত হাসান ইবনে আলী ইবনে আব্দুর রাযযাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি আলাইহি | তিনি বলেন, আমাদের কাছে বর্ণনা করেন ইবনু আবী সাবরাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি হযরত ইবরাহীম ইবনে মুহম্মদ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে | তিনি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে জাফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে | তিনি হযরত আলী ইবনে আবু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে | হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন যে, রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত আগমন করে, তখন তোমরা ওই শবে বরাতের রাতে জেগে জেগে ইবাদত করবে এবং ওই দিনে রোযা পালন করবে | কেননা (ওই রাতে) মহান আল্লাহ্ পাক বলেন, কে আছো ক্ষমা প্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো | কে আছো রিযিক্ব তলবকারী? আমি তার রিযিক্ব পুরা করে দিবো এবং কে আছো প্রার্থনাকারী তথা অভাবী? আমি তার অভাব মিটিয়ে দিবো | সাবধান! এভাবেই মহান আল্লাহ্ তায়ালা তিনি ফজর পর্যন্ত বান্দাদেরকে আহবান করতে থাকেন |”
উল্লেখ্য, বিশ্ব বিখ্যাত হাদীছ শরীফ-এর কিতাব হযরত ইমাম বায়হাক্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “শুয়াবুল ঈমান” নামক কিতাবে এ বিষয়ে আরো ৮টি হাদীছ শরীফ উল্লেখ করেছেন, প্রয়োজনে তা উল্লেখ করা যেতে পারে |

উল্লেখ্য যে, এ পর্যন্ত বিশ্ববিখ্যাত তাফসীল গ্রন্থ এবং হাদীছ শরীফ থেকে যা উল্লেখ করা হয়েছে তার আলোকেই প্রমাণিত হলো যে, অর্ধ শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে ইবাদত করা এবং সার্বিক বিষয়ের মঙ্গল কামনা করা এবং যাবতীয় মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ পাক উনার দরবারে তাওফীক কামনা করা একান্ত জরুরী এবং সুন্নত | যা রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার উম্মতদেরকে শিক্ষা দানের জন্য শবে বরাতে সারা রাত জাগ্রত থেকে শবে বরাতের রাত্রি জাগরণের উৎসাহ প্রদান করেছেন | যেহেতু ওই রাতেই আগামী এক বৎসরের বান্দাদের যাবতীয় বিষয়ের ভাগ্য তালিকা তৈরী হয়ে থাকে | যা পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সূরা আদ দুখান-এর ৩ ও ৪ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ইরশাদ করেন-

انا انزلناه فى ليلة مباركة
(নিশ্চয়ই আমি উহা বরকতময় রজনীতে অবতীর্ণ করেছি)
অতঃপর আল্লাহ্ পাক তিনি পরবর্তী আয়াত শরীফ-এ বলেন-

فيها يفرق كل امر حكيم
ওই বরকতের রাত্রিতে প্রত্যেক হিকমতপূর্ণ বিষয়ের ফায়ছালা করা হয়ে থাকে |

প্রথমত (হু) যমির বা সর্বনাম দ্বারা পবিত্র কুরআন শরীফকেই বুঝানো হয়েছে | যেহেতু অসংখ্য তাফসীরে উল্লেখ আছে, যেমন তাফসীরে দুররে মানছুর, তাফসীরে তাবারী ইত্যাদি তাফসীরে আছে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ যখন লওহে মাহফুযে লিপিবদ্ধ করেন তখন সেই সময়টি ছিলো লাইলাতুল মুবারক-এর রাত্রি | আর লাইলাতুম মুবারাকা দ্বারা সকল তাফসীরে সকল মুফাসসীরীনগণ উনারা উল্লেখ করেছেন যে, অর্ধ শা’বানের রাত্রি তথা শবে বরাতের ফায়ছালাকৃত বিষয়সমূহ জারি করা হয় লাইলাতুল ক্বদরে তথা শবে ক্বদরে | এবং এটাও উল্লেখ আছে যে, শবে ক্বদরে যে পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিলের কথা বলা হয়েছে আর তা হচ্ছে লওহে মাহফুয থেকে রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর প্রথম নাযিল করা হয় শবে ক্বদরে | কাজেই পবিত্র কুরআন শরীফ-এ শবে ক্বদরে এবং শবে বরাতে নাযিল হওয়ার ব্যাপারে কোনো মতানৈক্যই মূলত নেই |

অতএব প্রমাণিত হয় যে, শবে বরাতে বান্দাদের যাবতীয় বিষয়ের ফায়ছালা করা হয় | আর শবে ক্বদরে উক্ত ভাগ্যলিপি তথা ফায়ছালাকৃত বিষয়সমূহ জারি বা চালু করা হয় | প্রসঙ্গে একাধিক হাদীছ শরীফও দলীল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে | মূলত যাদের আক্বীদা খারাপ যাদের অন্তরে গালিজ রয়েছে, শয়তানী কুমন্ত্রণা রয়েছে, যারা বাতিলপন্থী বদ মাযহাবের বদ আক্বীদার আধিকারী, আল্লাহ্ পাক এবং উনার হাবীব রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দুশমন শুধুমাত্র তারাই কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, অগ্রাহ্য, অমান্য এবং দুর্বল মনে করে থাকে | নাঊযুবিল্লাহ্!

তারা যেভাবে গোমরাহ হয়ে আল্লাহ্ পাক উনার ইবাদত থেকে এবং রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদর্শ থেকে গাফিল ও বঞ্চিত হয়েছে, বিধায় তারা চায় মুসলমানরা, মু’মীনেরা যেন ক্ষমা না চায় এবং ক্ষমা না পায়, তারা গুনাহগার হয়ে থাকুক | এই কারণেই ইবলিস শয়তান ও তার অনুসারীরা ফতওয়া দিচ্ছে যে শবে বরাতে তথা অর্ধ শা’বানের রাতে কোন ইবাদত বন্দেগী করার প্রয়োজন নেই | নাঊযুবিল্লাহ্! অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত বলতে কিছুই নেই | এ কথা বলে মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে এবং হাদীছ শরীফকে অস্বীকার করার মাধ্যমেই কুফুরী আক্বীদাহ ঢুকাচ্ছে |

হতে পারে সামান্যতম নেক আমল মানুষের সারাজীবনের নাজাতের মূল ওসীলা | সামান্যতম নেক আমল হলেও আদনা মুসলমানও তা থেকে নিষেধ করতে পারে না | বরং সামান্যতম ঈমান থাকলেও সে সামান্যতম নেক আমলের প্রতি মানুষদের তথা মু’মিনদেরকে উৎসাহ করবে | মূলত যারা শবে বরাত বিরোধী মূলত তারা হাদীছ শরীফ-এর বিরোধী তথা আল্লাহ্ পাক এবং উনার হাবীব রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দুশমন | তাদের কাজই হচ্ছে বিভিন্ন ছুতা-নাতা, জোড়াতালি, বিভিন্ন খোড়া যুক্তি দাঁড় করিয়ে মুসলমানদেরকে নেক আমল থেকে সরিয়ে রাখার অপচেষ্টা চালানো |

কাজেই যারা গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট, তারা হাদীছ শরীফকে গ্রহণ করবেনা, পালন করবেনা তারা চায় সকল মানুষ তাদের মত পথভ্রষ্ট হয়ে যাক | সেজন্যই ইবলিস শয়তানের অনুসারী ইহুদী-নাসারারা তাদের গুপ্তচর মুসলমানদের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছে এবং তারা নিজেদেরকে ইসলামের আদর্শ, হাদী, নায়িবে নবী, বড় বড় মুফতি ও মুহাদ্দিস, ফক্বীহ, শায়খুল হাদীছ, শায়খুত তাফসীর, খতিব, মাওলানা হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে | অথচ তাদের কাজ হচ্ছে ফিরআউনের মত |

অথচ অসংখ্য হারাম ও কুফরী কাজে নিজেরা সারাটি জীবন অতিবাহিত করছে এবং ইহুদীদের ধর্ম ও বিশ্বাসকে চালু করার কাজেই সর্বদা বাকপটু এরাই হাদীছ শরীফ-এর ভাষায় উলামায়ে ‘ছূ’ তথা দুনিয়াদার ও ধর্ম ব্যবসায়ী নামধারী মাওলানা | এরাই হচ্ছে ওহাবী, খারেজী, মওদুদী, রাফিজী, কাদিয়ানী, বাহাই ইত্যাদি বাতিল ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত | যাদের মাথার তালু থেকে পায়ের তালা পর্যন্ত রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন সুন্নত তথা কোন আদর্শই খুঁজে পাওয়া যায় না | এদের কোন কথাই শুনা যাবে না | তারা মুসলমানদের মহা সংক্রামক ব্যাধি তথা ক্যান্সার | এরা ঈমান আক্বীদা বিধ্বংসী | তাই তারা সর্বদা রসূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার শান ও মানের খিলাফ কথা বার্তা বলে থাকে | এবং রসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা করতে বলেছেন তা থেকে মানুষকে নিষেধ করে থাকে | যা নিষেধ করেছেন তা করতে বলে | এদের থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে এবং দূরে থাকতে হবে | তাছাড়া ঈমানদার হওয়া কস্মিনকালেও কল্পনা করা যায়না |

অথচ অসংখ্য অগণিত হাদীছ শরীফ-এ রয়েছে ১৫ই শা’বানের রাতে তথা শবে বরাতে রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত-বন্দেগী করা সুন্নত তো অবশ্যই নাজাত ও ফযীলতের কারণ এবং এই শবে বরাতে বান্দাদের ভালো মন্দ আগামী এ বৎসরের যাবতীয় ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে থাকে | এজন্য আল্লাহ্ পাক উনার হাবীব রসূরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রাত্রে ইবাদত-বন্দেগী এবং দিনে রোযা পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন | এবং যাবতীয় খায়ের বরকতযূক্ত বিষয়ের জন্য প্রার্থনা করা মুবারক নির্দেশ দিয়েছেন এবং বুরায়ী বা খারাবী থেকে পানাহ চাওয়ার ব্যাপারে আদেশ করেছেন |

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.