Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

লাইলাতুল ক্বদর উনার ফযীলত


عن ابى هريرة رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قام ليلة القدر ايمانا واحتسابا غفرله ماتقدم من ذنبه. (متفق عليه(
তরজমা : হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন- যে ব্যক্তি (মহান আল্লাহ পাক ও উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি) পূর্ণ বিশ্বাস রেখে সাওয়াব প্রাপ্তির আশায় ক্বদরের রাতে ইবাদত করবে, তার পূর্বকৃত সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করা হবে। (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)
তাশরীহ : লাইলাতুল ক্বদর বা শবে ক্বদর হচ্ছে- উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ নিয়ামত। যার গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। যা শুধুমাত্র উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ। অপর কারো জন্য নয়।
ক্বদর শব্দটি আরবী। এর একাধিক অর্থ অভিধানে বর্ণিত হয়েছে। তন্মধ্যে একটি হচ্ছে মাহাত্ম বা সম্মান। যেহেতু এ রাতে বান্দা তওবা, ইস্তেগফার এবং ইবাদতের মাধ্যমে ক্ষমাপ্রাপ্ত হয়ে সম্মানিত হয় সেহেতু এ রাত্রিকে ক্বদর নামকরণ করা হয়েছে। আর উদ্ধৃত হাদীছ শরীফখানা সেদিকেই ইংগিত করে ব্যক্ত হয়েছে।
এ রাতের ফাযায়েল-ফযীলত, মর্যাদা-মর্তবা সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
ليلة القدر خير من الف شهر. تنز ل الملائكة والروح. فيها باذن ربهم.
অর্থ : শবে ক্বদর হচ্ছে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফেরেশতাগণ এবং জীব্রাঈল আলাইহিস সালাম উনাদের প্রতিপালকের আদেশে দুনিয়ার জমিনে অবতীর্ণ হন। (পবিত্র সুরা ক্বদর শরীফ)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ক্বদরের রাত্রে হযরত জীব্রাঈল আলাইহিস সালাম হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের একটি দলসহ দুনিয়ার যমিনে অবতরণ করেন এবং আল্লাহ পাক উনার এমন সব বান্দাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন, যারা দাঁড়িয়ে অথবা বসে আল্লাহ পাক উনার যিকির তথা ইবাদতে লিপ্ত থাকেন।” (বায়হাক্বী শরীফ)
হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণের এ দোয়া প্রার্থনার সময়কাল মাগরিব হতে ফযর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ প্রসংগে পবিত্র সুরা ক্বদর শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
سلام هى حتى مطلع الفجر.
অর্থ : মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন- “ফযর’ উদিত হওয়া পর্যন্ত শান্তির এ অমিয়ধারা চলতে থাকে।”
আর এ রাতে অবতীর্ণ শান্তি তথা রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাযাত থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদরের কোন উম্মত যেন বঞ্চিত না হয়, সেজন্য তিনি স্বয়ং নিজে যেমন সারা রাত জেগে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করেছেন, তেমনি উনার পরিবার-পরিজনকেও নির্দেশ দিয়েছেন।
এ প্রসংগে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,
كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجتهد فى العشر الاو اخر مالا يجتهد فى غيره.
অর্থ : “হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজান শরীফে শেষ দশকের ইবাদতে এত অধিক পরিশ্রম করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।” (মুসলিম শরীফ)
কারণ রমজান শরীফের শেষ দশকের মধ্যে লাইলাতুল ক্বদর নিহিত।
আর এটি এমন একটি সম্মানিত রাত, যে রাতে মানুষ নিষ্পাপ হয়ে যায় এবং আল্লাহ পাক উনার অফুরন্ত নিয়ামত লাভ করে। সর্বোপরি এ রাতের দোয়া ব্যর্থ হয়না।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে,
ان الدعاء يستجاب فى خمس ليال اول ليلة من رجب وليلة نصف من شعبان وليلة القدر المبار كة وليلة العيدين.
অর্থ : আখেরী রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই দোয়া পাঁচ রাতে দোয়া কবুল হয়- (১) রজব মাসের প্রথম রাত (২) শাবান মাসের ১৪ই তারিখ দিবাগত রাত (৩) ক্বদরের রাত এবং (৪ ও ৫) দু’ঈদের দু’রাতের দোয়া।”
তবে শবে ক্বদরের দোয়ার বিষয় বস্তু কি ধরণের হবে তার শিক্ষা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে। হযরত আয়িশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম বলেন, একদা আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কে জিজ্ঞাসা করলাম- হে আল্লাহ পাক উনার হাবীব! আমি শবে ক্বদর জানতে পারলে কি বলবো বা কি ধরণের দোয়া করবো? জবাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, সে রাতে আপনি বলুন-
الهم انك عفو تحب العقوفاعف عنى.
অর্থ : “হে মহান আল্লাহ পাক! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালবাসেন। অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। (আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাযাহ)
শবে ক্বদরের নির্দিষ্ট তারিখ সম্পর্কে বিভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। তবে নির্ভরযোগ্য ও সহীহ্ মত হচ্ছে- রমজান শরীফের শেষ দশকের বেজোড় রাত্রিসমূহের মধ্যে শবে ক্বদর নিহিত।
মহান আল্লাহ পাক আমাদেরকে লাইলাতুল ক্বদরের ফজিলত লাভ করার তৌফিক দান করুন। (আমীন)

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.