পবিত্র কুরবানী উনার ফাযায়িল
হাদীছ শরীফ-এ উল্লেখ আছে, ‘ইয়াওমুন নহর অর্থাৎ কুরবানীর
দিনসমূহে আদম সন্তান যতো কাজ করে তন্মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে সবচেয়ে প্রিয়
কাজ কুরবানীর পশুর রক্তপাত।’
হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, একদা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘কুরবানী কি?’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘এটা আপনাদের পিতা হযরত
ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার সুন্নত ও আদর্শ।’ হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুম উনারা আবার জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এতে আমাদের কী লাভ?’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘প্রত্যেক পশমের বদলে একটি
করে নেকী আছে।’ (মুসনাদে আহমাদ, ইবে মাযাহ, মিশকাত শরীফ)।
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, একদা আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত
ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে বললেন, কুরবানীর পশুর প্রত্যেক রক্ত
বিন্দুর বদলে একটি করে গুনাহ মাফ হবে এবং ওই পশুটিকে তার রক্ত ও গোশতসহ
দাঁড়িপাল্লায় সত্তরগুণ ভারী করে দেয়া হবে। একথাটি শুনে হযরত আবু সাঈদ খুদরী
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি জিজ্ঞেস করেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ‘এই সমস্ত নেকী হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বংশের জন্য খাছ, না সর্বসাধারণ সবার জন্যও?’ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, ‘এটা আমার বংশ এবং সকল
মুসলমানের জন্য।’ (বায়হাকি, কানজুল উম্মাল পঞ্চম খ-, ১১৯ পৃষ্ঠা ও ৫১ পৃষ্ঠা, মুস্তাদরেকে হাকেম, চতুর্থ খ-, ২২২)।
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ করেন, ঈদুল আযহার দিনে বান্দার
কুরবানীর পশুর রক্ত মাটিতে পড়ার পূর্বেই আল্লাহ পাক তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেন।” সুবহানাল্লাহ!
হাদীছ শরীফ-এ আরো ইরশাদ হয়েছে, “যে সমস্ত পশু দ্বারা কুরবানী করা হবে ক্বিয়ামতের দিন
সেই পশুগুলি কুরবানীদাতাকে পিঠে করে বিদ্যুৎবেগে পুলছিরাত পার করে বেহেশ্তে
পৌঁছিয়ে দিবে।” সুবহানাল্লাহ!
No comments