নবীউল উম্মী, নবীয়ে আক্বদাস, তাফসীরে কালামে ইলাহী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দৃষ্টিতে ইলমের মযাদা
رب زدنى علما.
অর্থঃ- “হে আমার রব! আমার ইল্ম বৃদ্ধি করে দিন।” (সূরা ত্বহা/১১৪)
কোন ঈমানদারকে পরিপূর্ণ মুসলমান হতে হলে তাকে প্রথমতঃ প্রতিটি বিষয়ের ফরয
পরিমাণ ইল্ম অর্জন করতে হবে। আর একমাত্র কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ,
ইজমা
ও ক্বিয়াস সম্পর্কিত জ্ঞানকে ইল্ম বলা হয়।
ইল্ম ব্যতীত কোন ব্যক্তির পক্ষে
আল্লাহ্ পাক-এর সন্তুষ্টি ও আল্লাহ্ পাক-এর রসূল সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম-এর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব নয়। কাজেই প্রত্যেক ব্যক্তিকেই জরুরত আন্দাজ
ইলম অর্জন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পাক বলেন,
“প্রত্যেক
সম্প্রদায় থেকে একটি দল কেন দ্বীনি ইলমে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করার জন্য বের হয়ে
আসেনা।”
আর হাদীস শরীফে সাইয়্যিদুল মুরসালীন,
ইমামুল
মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,
“আল্লাহ্
পাক যার ভালাই চান তাকে দ্বীনের ইল্ম (দ্বীনি সমঝ) দান করেন।”
উপরোক্ত হাদীস শরীফ দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হয় যে, যে ব্যক্তি ইলমে দ্বীন অর্জন করলো সে ব্যক্তি
অশেষ কল্যাণ লাভ করলো। এই ইল্মের মর্যাদা সম্পর্কে হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন, আমি সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে
বলতে শুনেছি, “যে ব্যক্তি ইল্ম
হাছিল করার জন্য কোন একটি পথ অবলম্বন করলো,
সেই
পথ অবলম্বন করার কারণে আল্লাহ্ পাক তাকে জান্নাতে যাওয়ার রাস্তাসমূহের একটা রাস্তা
খুলে দিবেন।” (সুবহানাল্লাহ্)
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেন, “নিশ্চয়ই
ফেরেশ্তারা ত্বলেবে ইল্মের সন্তুষ্টির জন্য তাদের নূরের পাখাগুলো রাস্তায় বিছিয়ে
দেন। যাতে ত্বলেবে ইল্মরা সেই নূরের পাখার
উপর দিয়ে হেঁটে তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারে” (সুবহানাল্লাহ্)
অর্থাৎ স্বয়ং ফেরেশ্তারা সেই ত্বলেবে
ইল্মদের সন্তুষ্টি তালাশ করে থাকেন আল্লাহ্ পাক-এর হুকুমে।
অন্য আয়াত শরীফে আল্লাহ্ পাক বলেন,
“যাদেরকে
ঈমান দেয়া হয়েছে এবং ইল্ম দেয়া হয়েছে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে।” অর্থাৎ
ঈমান দেয়ার পর যাদেরকে ইলম দেয়া হয়েছে তাদেরকে বিশেষ মর্যাদা, ফযীলত,
বুযূর্গী, সম্মান দেয়া হয়েছে আল্লাহ্ পাক-এর তরফ
থেকে।” (সুবহানাল্লাহ্)
অন্য হাদীস শরীফে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল,
সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, “নিশ্চয়ই নবী-রসূল
আলাইহিমুস্ সালামগণ দীনার ও দিরহাম রেখে যাননি। তাঁরা রেখে গেছেন ইল্ম। আর এই ইল্ম
সম্পর্কে আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন যে, “দেখ,
যে
ইল্ম এবং আলিমকে মুহব্বত করে সে ব্যক্তির সারা জিন্দিগীতে তার আমল নামায় কখনই কোন
গুণাহ্ লিপিবদ্ধ হবেনা।” (সুবহানাল্লাহ্)
এখন চিন্তা ফিকিরের বিষয় যে,
আল্লাহ্
পাক ইল্ম এবং আলিমকে কত ফযীলত, কত বুযূর্গী, মর্যাদা দিয়েছেন। সেজন্য হযরত আব্দুল্লাহ্
ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, “হে আব্দুল্লাহ্
ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু! ইল্ম অর্জন কর এবং তা মানুষকে শিক্ষা দাও। ফারায়েজ
সম্পর্কে শিখ।
এ জন্যই আল্লাহ্ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া বলেছেন যে, “তোমরা আলিম হয়ে যাও অথবা ত্বলেবে ইল্ম হয়ে
যাও অথবা শ্রোতা হয়ে যাও অথবা মুহব্বতকারী হয়ে যাও। পঞ্চম হয়োনা, ধ্বংস হয়ে যাবে।”
আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে হাক্বীক্বী ইল্ম হাছিল করার তাওফীক দান করুন। (আমীন)
য
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনার একমাত্র দলীলভিত্তিক পত্রিকা-“মাসিক আল
বাইয়্যিনাত নিয়মিত পাঠ করুন” পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে সমাজের সবস্তরে আনজুমানে আল
বাইয়্যিনাত গঠন করুন।
No comments