Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনী মুবারক ২


দিল্লী সফর, বাইয়াত ও খিলাফত লাভঃ

মাখজানে আহম্মদী ১৮ পৃষ্ঠায়, সাওয়ানেহ আহম্মদী, সীরাতে সাইয়্যিদ আহম্মদ শহীদকরাচী ছাপা ৯০ পৃষ্ঠায় লিখা আছে,হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি রায় বেরেলী থেকে দিল্লী এলেন সিরাজুল হিন্দ, ইমামুল মুহাদ্দিস হযরত শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সাক্ষাত ও সোহবত লাভের জন্য। প্রথমেই তিনি উনাকে সুন্নাত ত্বরীকা মুতাবিক সালাম পেশ করলেন এবং উনার সাথে মুসাফা করলেন। হযরত শাহ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার সালাম দেয়ার সুন্নাত তরীকা ও আদব কায়দা দেখে জিজ্ঞেস করলেন, কি কারণে এলেন? জবাবে তিনি বললেন আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত-মারিফত হাসিলের জন্য। শাহ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি এরপর জিজ্ঞেস করলেন, কোন বংশের? তিনি বললেন, সাইয়্যিদ বংশের। তখন হযরত শাহ আব্দুল আযীয রহমাতুল্লাহি আলাইহি খুশী হয়ে বললেন, এটা তো আপনারই বংশগত মিরাসী হক। আল্লাহ্ পাক উনার  ফযল-করম আপনিও তা অর্জন করতে পারবেন। এরপর তিনি উনাকে চার তরীকায় বাইয়াত করালেন এবং হযরত শাহ্ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নেক সোহবতের কারণে তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে সুলুকের রাস্তা অতিক্রম করে মনজিলে মাকসুদে পৌঁছে গেলেন। হযরত শাহ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি স্বল্প সময়ে আপন মুরীদের এহেন তরক্কী ও উন্নতী দেখে অত্যন্ত খুশী হলেন এবং উনার গোটা খান্দানের নামজাদা আলেমদেরকে তার কাছ থেকে ফয়েজ হাসিল ও তালিম নেয়ার জন্য বিশেষ তাগিদ দিলেন। অতঃপর উনাকে খিলাফতের খিরকা পরিধানে ভূষিত করে বিদায় দিলেন।

         
হযরত শাহ আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার স্বপ্নঃ

আল্লামা রুহুল আমীন বশীর হাটি রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কারামতে আহমদীপৃঃ ২৭ হযরতুল আল্লামা জাফর থানেশ্বরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রণীত তাওয়ারীখে আজীবা১১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি দিল্লী পৌঁছার সাত দিন আগে হযরত শাহ আব্দুল আজীজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে স্বপ্ন দেখেন যে, তিনি দিল্লীর জামে মসজিদে তাশরীফ এনেছেন। চারদিক থেকে লোক উনার যিয়ারতের জন্য আসছে। তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি লাঠি হযরত শাহ্ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি কে দিয়ে বললেন, তুমি এটি নিয়ে মসজিদের দরজায় বস আর যে আমার সাক্ষাতের জন্য আসে উনার পরিচয় আমাকে জানাও। আমি যাকে অনুমতি দিব তাকে তুমি আমার সাক্ষাতে নিয়ে আসবে আর যাকে নিষেধ করবো তাকে আনবেনা। অতঃপর তিনি লাঠি খানা নিয়ে মসজিদের দরজায় দাঁড়ালেন এবং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ মত কাজ করলেন। হুজুর পাক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুমতি সাপেক্ষে বহু লোক এই ভাবে উনার জিয়ারত লাভে ধন্য হলো। সকাল বেলা হযরত শাহ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি এই স্বপে¦র ব্যাখ্যার জন্য সেই জামানার বিখ্যাত বুযুর্গ হযরত শাহ গোলাম আলী দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নিকট জানতে গেলেন। তিনি বললেন, এর ব্যাখ্যা হলো- হযরত সাইয়্যিদ হাসান রহমাতুল্লাহি আলাইহি যিনি মুরীদানদেরকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যিয়ারত করিয়ে দিতেন। আজ দেড়শত বৎসর হতে তা বন্ধ। তখন হতে হিদায়েতের জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তাওয়াজ্জুহ রহিত হয়ে গিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, আপনার কোন উপযুক্ত মুরীদ দ্বারা তা আবার চালু বা প্রসারিত হবে। হযরত শাহ্ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি এর এই স্বপ্নদেখার সাত দিন পর রঈসুল আউলিয়া হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি দিল্লী পৌঁছে উনার নিকট বাইয়াত হন।
                                         


তরীকা মশক করা ও নিছবত হাসিলঃ
হযরত শাহ সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হয়েই তিনি কঠিন রিয়াজত ও মুশাক্কাতে কোমর বেঁধে নিলেন।  এ সম্পর্কে     ওয়াসীলে ওয়াজীর আলা তরীকুল বাশীর ওয়ান নাজিরএবং সাওয়ানেহ আহম্মদীকিতাবের ৫৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,এই সময় হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ রহমাতুল্লাহি আলাইহি কঠিন রিয়াজত ও মুশাক্কাতের মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। বছরের পর বছর এক ওজুতে এশা ও ফজর নামাজ আদায় করতেন অর্থাৎ সারা রাত বিনিদ্র অবস্থায় ইবাদত-বন্দেগী করতেন। এমনকি রাতের নামাজে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে উনার পা মোবারক ফুলে  যেতো।
উনার ত্বরীকার নিসবত হাছিল সম্পর্কে আল্লামা রুহুল আমীন রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার একখানা বিজ্ঞাপন রদকিতাবের ২৫ পৃষ্ঠায় ও হযরত কারামত আলী জৈনপুরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার যাদুত তাকওয়াকিতাবে উল্লেখ করেছেন, হযরত আব্দুল আজীজ মুহাদ্দিস দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনারফায়িজ উনার বরকতে হযরত গাউসে সাকালাইন হযরত বড় পীর সাহেব রহমাতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত বাহাউদ্দীন নকশবন্দী বোখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি এই দুই বুযুর্গ উনাদের রূহ মুবারক বাতেনী ভাবে উনার তর্বিয়তের জন্য প্রকাশিত হলেন এবং একমাস পর্যন্ত এই দুইজন তরীকার ইমাম উনাকে সম্পূর্ণ ভাবে নিজেদের তরীকার দিকে নিসবত দিলেন। এক দিন উভয় রূহ মুবারক উনার নিকট প্রকাশিত হয়ে এক প্রহর পর্যন্ত উনার নফস উনার  উপর সজোরে তাওয়াজ্জুহ্ দিলেন। এতে দুই খান্দানের নিসবত তিনি পেলেন। চিশ্তীয়া তরীকার নিসবত হাসিল সম্পর্কে উক্ত কিতাবের ২৬ পৃষ্ঠায় বর্ণিত আছে,একবার তিনি খাজা কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার মাযার মুবারকে মুরাকাবায় বসলেন এবং মুরাকাবা হালতে তিনি উনার নিকট থেকে চিশতীয়া খান্দানের নিয়ামত লাভ করেন। এই ভাবে মুজাদ্দেদীয়া, শাজালিয়া তরীকার নিসবতওউনার হাসিল হয়।


কামালতে নুবুওওয়াতের মাকাম হাসিলঃ

সিরাতুল মুস্তাকিম১৪৯-১৫২ পৃষ্ঠা, “তাওয়ারিখে আজিবা১০/১১ পৃষ্ঠায়, “কারামতে আহম্মদী২৩ পৃষ্ঠা হতে জানা যায়,আফজালুল আওলিয়া, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনি কামালতে নুবুওওয়াত তবকার ওলী ছিলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহু আলাইহিস সালামউনাকে স্বপেসাক্ষাত দিলেন। তিনি স্বপ্নে দেখেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনটি খোরমা নিজের হাত মুবারকে নিয়ে উনার মুখ মুবারকে দিচ্ছেন। জাগ্রত হওয়ার পর উক্ত স্বপ্নতিনি নিজের মধ্যে স্থায়ী পেলেন।
         

এরপর একদা আরো তিনি স্বপে¦ দেখেন- হযরত কাররামাল্লাহ ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ও যাহরা আলাইহাস সালামস্বপ্নেউনাকে গোসল করিয়ে নিজের সন্তানের মত মূল্যবান নতুন কাপড় পরিধান করালেন। এই স্বপ্নের ঘটনার পর হতে কামালতে নুবুওওয়াতের নিসবত উনার মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে বিকশিত হতে লাগলো।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.