Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

দেওবন্দী মুফতে শফীর কিতাবে নবীজীর বিলাদত শরীফের তারিখ ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ


পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলে দেওবন্দী ওহাবীরা অপপ্রচার চালায় হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফ নয়। তারা তাদের পক্ষের দলীল দেয়ার জন্য মিশরের নাস্তিক মাহমুদ পাশার দলীল দেয়।
অথচ তাদের মুরুব্বীরা এই প্রসঙ্গে কি বলেছে দেখে নেন-









“ সারকথা যে বছর আসহাবে ফীল কা’বা আক্রমন করে, সেই বছর রবিউল আউয়াল মাসে ১২ তারিখ রোজ সোমবার দিনটি ছিলো পৃথীবির জীবনে এক অনণ্য সাধারন দিবস। যে দিন নিখিল ভুবন সৃষ্টির মূল লক্ষ্য , দিবস রজনী পরিবর্তনের মূখ্য উদ্দেশ্য , হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও বণী আদমের গৌরব, হযরত নূহ আলাইহিস সালামের কিস্তির নিরাপত্তার নিগূঢ় তাৎপর্য , হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামের প্রর্থনা ও হযরত মুসা আলাইহিস সালাম ও হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম এর ভবিষ্যতবানী সমূহের উদৃষ্ট পুরুষ অর্থাৎ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ মোস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীর বুকে আগমন করেন।” (দলীল: সীরোতে খতিমুল আম্বিয়া, লেখক- মুফতে শফী পাকিস্তান, পৃষ্ঠা ৪, প্রকাশনা - এমদাদীয়া লাইব্রেরি)







উক্ত কিতাবে একটা টীকা সংযোজন করা হয়েছে, “ সর্বসম্মত মতানুনারে নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্ম রবিউল আউয়াল মাসের সোমবার হয়েছিলো। কিন্তু তারিখ নির্ধরনের জন্য ৪ টি রেওয়ায়েত প্রসিদ্ধ রহিয়াছে। যথা- দ্বিতীয়, অষ্টম, দশম, দ্বদশ। হাফিজ মোগলতাঈ (রহ) ২য় তারিখের রেওয়ায়েত গ্রহন করিয়া অন্যান্য রেওয়ায়েতকে দুর্বল বলিয়া মন্তব্য করিয়াছেন। কিন্তু প্রসিদ্ধ রেওয়ায়েত হচ্ছে দ্বাদশ তারিখের রেওয়ায়েত। এমনকি ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি ইহার উপর ইজমার দাবী বর্ণনা করেছেন। ইহাকে কামেলে ইবনে আছীরে গ্রহন করা হয়েছে।
মাহমূদ পাশা মিশরী যাহা গননার মাধ্যমে ৯ তারিখকে গ্রহন করেছেন তাহা জমহুরের বিরোধী সনদবিহীন উক্তি। চন্দ্রোদয়ের বিভিন্ন হওয়ার কারনে গননার উপর এমন কোন নির্ভযোগ্যতা জন্ম হয় না যে ইহার উপর ভিত্তি করিয়া জমহুরের বিরুদ্ধাচারণ করা হইবে।”

 মজার বিষয় হচ্ছে মুফতে শফী নিজে বর্ণনা করে যে- মুফতে শফীর পীর ও মোর্শেদ আশরাফ আলী থানবী এই সবার পূর্বে কিতাব কে কবুল করে তার খানকায়ে এমদাদিয়ার সিলেবাস পাঠ্যসূচী করেছিল। আর থাবী তার “তাতিম্মাতে ওসিয়ত” কিতাবে এই ঘোষণা করে অন্যদের কে উৎসাহিত ও করেছিল।  আর মাত্র তিন মাসের মাসের মধ্যে পাঞ্জাব , হিন্দুস্তান ও বাংলার শতাধিক মাদ্রাসা ও ইসলামী সংগঠনের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত ও করা হয়েছিল।আরো
(সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া,৯ পৃষ্ঠা)



মজার বিষয় এই কিতাবকে বাংলাদেশের দেওবন্দীদের অন্যতম গুরু বাইতুল মুকাররমের সাবেক খতীব ওবায়দুল হক ব্যাপক প্রশংসা করেছে। সে আশরাফ আলী থানবীর রেফারেন্সে বলেছে, ইহাকে বিভিন্ন আনজুমান ও পাঠ্যপুস্তকের তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেছিলো।

এখন আপনারাই বলুন দেওবন্দী মুরুব্বীদের মতামতের বিরোধীতা করে বর্তমান দেওবন্দীরা কেন ১২ ই রবিউল আউয়াল শরীফের বিরোধীতা করে??

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.