সাইয়্যিদুল আ'ইয়াদ শরীফ কিভাবে পালন করতে হবে?
=================================================
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন যে, কিভাবে সাইয়্যিদুল
আ’ইয়াদ শরীফ পালন তথা ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন
করতে হবে? এই বিষয়ে অর্থাৎ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে, উনার বেলাদত শরীফ (আগমন)
উনার সম্মানার্থে, কিভাবে সাইয়্যিদুল
আ’ইয়াদ শরীফ পালন তথা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ পালন
করতে হবে এর উত্তর স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনিই বলে দিয়েছেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّا
اَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَّنَذِيْرًا ◌ لِّتُؤْمِنُوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهِ
وَتُعَزِّرُوْهُ وَتُوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَاَصِيْلًا
অর্থ: “হে আমার হাবীব নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! নিশ্চয়ই আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। অতএব, তোমরা (উম্মতরা) মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার
হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি ঈমান আনো এবং তোমরা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, সম্মান মুবারক করো
ও সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ সদা-সর্বদা উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো।” (পবিত্র সূরা ফাতহ শরীফ
: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮-৯)
উপরোক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা প্রদত্ত আদেশ মুবারক অর্থাৎ “তোমরা আমার
হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ( تُعَزِّرُوهُ ‘তুয়াযযিরূহু’) খিদমত মুবারক করো, تُوَقِّرُوهُ ‘তুয়াক্বিরূহু’ তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক করো, تُسَبِّحُوهُ ‘তুসাব্বিহূহু’ উনার ছানা-ছিফত মুবারক অর্থাৎ প্রশংসা মুবারক
করো।” এই বিষয়গুলোর অর্থাৎ এই আয়াত শরীফ উনার পরিপূর্ণ মেছদাক হয়ে -‘ফালইয়াফরাহু’ অর্থাৎ
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদ,
ঈদে
মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে হবে।
আর সেই লক্ষ্যে অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক, তা’যীম-তাকরীম মুবারক অর্থাৎ সম্মান মুবারক ও
উনার প্রশংসা মুবারক করার লক্ষ্যে যামানার ইমাম, মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ লক্ষ্যস্থল, মুজাদ্দিদে আ’যম, হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম, রাজারবাগ শরীফ উনার মাঝে জারী করেছেন অনন্তকাল
ব্যাপী সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ মাহফিল। তিনি এমন একজন ওলীআল্লাহ যিনি সকাল-সন্ধ্যা
মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব,
নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের
সন্তুষ্টি মুবারক তালাশ করে থাকেন।
সুতরাং দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানগণ উনাদের উচিত হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার
সংসর্গে আসা এবং দায়িমীভাবে ‘ফালইয়াফরাহু’ বা খুশি মুবারক প্রকাশ এর মাধ্যম দিয়ে হাক্বীক্বীভাবে
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার লক্ষে রাজারবাগ শরীফ আসা।
কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন –
وَاصْبِرْ
نَفْسَكَ مَعَ الَّذِينَ يَدْعُونَ رَبَّهُم بِالْغَدَاةِ وَالْعَشِيِّ يُرِيدُونَ
وَجْهَهُ ۖ وَلَا تَعْدُ عَيْنَاكَ عَنْهُمْ تُرِيدُ زِينَةَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا
ۖ وَلَا تُطِعْ مَنْ أَغْفَلْنَا قَلْبَهُ عَن ذِكْرِنَا وَاتَّبَعَ هَوَاهُ وَكَانَ
أَمْرُهُ فُرُطًا.
অর্থ : “আপনি নিজেকে উনাদের সংসর্গে আবদ্ধ রাখুন যিনারা সকাল ও সন্ধ্যায় উনাদের
পালনকর্তাকে উনার সন্তুষ্টি মুবারক অর্জনের উদ্দেশ্যে ডেকে থাকেন (যিকির করেন) এবং
আপনি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য্যে মোহগ্রস্থ হয়ে উনাদের থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিবেন
না। ঐ ব্যক্তিকে অনুসরণ করবেন না,
যার
অন্তর আমার যিকির থেকে গাফিল করে দিয়েছি,
যে
নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করে এবং যার কার্যকলাপ হচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত উনার খেলাফ
বা বিপরীত।” (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
No comments