আহমদ রেজা খাঁ ও রেজভী ফির্কার মুরব্বীদের কিতাবের দলিলে প্রমাণিত ছবি তোলা ,ভিডিও ওয়া জ/প্রোগ্রাম করা,টিভি চ্যানেলে ধর্মীয় প্রোগ্রাম করা কঠিন নাজায়িজ ও হারাম।

ইসলামী শরীয়তে ছবি তোলা, আঁকা ,টিভি তে প্রোগ্রাম করা ,ভিডিও করা সম্পূর্ণরূপে
হারাম।সুবহানাল্লাহ! বর্তমান ফিতনা ফাস্যাদের জামানায় নামধারী ওলামায়ে সূরা দ্বীন
বিকৃতি করবে। নিজেদের মত মনগড়া ফতওয়া প্রচার করবে।নাউজুবিল্লাহ!
বর্তমানে আমরা দেখতে পাই আহমদ রেজা খাঁ ও রেজভী ফির্কার অনুসারী ভাইয়েরা অহরহ
হারাম ছবি তুলছে এবং অনেকে এটাকে জায়িজ বলে যাচ্ছে কিম্বা জায়িজ বানানোর অপকৌশল
করে যাচ্ছে।নাউজুবিল্লাহ!
এমনকি গতকাল তাহিরুল ক্বাদরীর অনুসারী এক ভাই ছবি তোলাকে জায়িজ বলে ফেললো।
নাউজুবিল্লাহ!
তারা বলে ছবি তোলা জায়িজ ,আঁকা হারাম।ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা জায়িজ । টিভিতে ইসলামী
প্রোগ্রাম করা জায়িজ নাউজুবিল্লাহ!দাবীটা এমন যেন মদ হারাম ,কিন্তু কোকেন ,ইয়াবা
হালাল। নাউজুবিল্লাহ! উসূলের ন্যূনতম ইলিম নেই রেজভী ভাইদের। এই জন্য এই হাল। আর
ইলিম যদি থাকে তবে আসলে নিজেদের ছল-চাতুরী ঢাকার জন্য এই মিথ্যার আশ্রয়। এই রেজভী
ভাইয়েরা দেখি তাদের মুরব্বী আহমদ রেজা খাঁ সাহেব কেও মানে না।
এখন দেখুন তাহাদের মুরব্বী আহমদ রেজা খাঁর কিতাব ফতোয়ায়ে রেজভিয়াতে কী আছে-
রেজভিয়া কিতাবের ১০ম খণ্ডের ৭১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে,
“সাধারণভাবে প্রাণীর ছবি তৈরী করা হারাম ‘ছায়াযুক্ত’ হোক অথবা ‘ছায়াহীন’, হাতে হোক
অথবা ক্যামেরায়। সাইয়্যিদুল ইনস ওয়াল জিন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার বরকতময় যামানায় ছায়াযুক্ত অর্থাৎ মুজাসসাম এবং ছায়াহীন অর্থাৎ গায়রে মুজাসসাম
উভয় প্রকার ছবিরই প্রচলন ছিলো। আর হাদীছ শরীফে আমভাবে (সকল) ছবির ব্যাপারেই নিষেধাজ্ঞা এসেছে
এবং তা তৈরী করার কারণে কঠিন শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে।সুতরাং সকল প্রকার ছবিই নিষেধের
আওতায় আসবে| রাফিযী বা শিয়াদের কোন একটি দল ‘ছায়াহীন’ বা ‘শরীরবিহীন’ ছবিকে
জায়িয বলে থাকে|” নাউযুবিল্লাহ্!
রেজভীয়া কিতাবের ১০ খণ্ডে আরো উল্লেখ আছে-
“আল্লামা শামী “রদ্দুল মুহতারে” উল্লেখ করেন যে, প্রাণীর ছবি তৈরী করা নাজায়িয|
কেননা এটা স্রষ্টার সাদৃশ্যতা দাবী করার নামান্তর| অনুরূপ “বাহরুর রায়িকে” উল্লেখ আছে যে, প্রাণীর ছবি তৈরী
করা প্রত্যেক অবস্থাতেই হারাম| কেননা এতে স্রষ্টার সাদৃশ্যতা
রয়েছে| …………… যেহেতু ছবি হারাম হওয়ার কারণ হলো স্রষ্টার সাথে
সাদৃশ্যতা| তাই পার্থক্য করা যাবেনা (বরং সব ধরণের ছবিই হারাম)
………….।”
রেজভী ফির্কার লোকেরা টিভি চ্যানেলে ইসলামী প্রোগ্রাম করাকে জায়িজ বলে
।নাউজুবিল্লাহ! আসুন দেখি তাদের মুরব্বীরা এ প্রসঙ্গে কি বলেছে-
অল ইন্ডিয়া সুন্নী জামিয়াতুল আওয়ামের পরিচালনায় মাসলাকে আলা হযরত থেকে
প্রকাশিত “ত্রৈমাসিক সুন্নী জগৎ” পত্রিকার দ্বাদশ বর্ষ , ১ম সংখ্যা ,জমাদিউল উলা
১৪৩৭ হিজরি, ফেব্রুয়ারী ২০১৬, ফাল্গুন ১৪২২ সংখ্যার ১৬ পৃষ্ঠায় “ভিডিও ক্যাসেট করা
ও টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম করা সম্পর্কে শরীয়তের হুকুম” শিরোনামে আর্টিকেলে যা
লিখা হয়েছে তার মূল বক্তব্য হলো-
১।জীবের ছবি তোলা হারাম, তাযীমের সাথে রাখা হারাম, ছবি তোলা কঠিন শাস্তির
কারণ। ভিডিও ক্যাসেট তৈরি করা বা করানো
এবং তা দেখা ও দেখানো কঠিন নাজায়েজ ও হারাম। ২।এছাড়া ফতোয়ায়ে রেজভিয়ার বরাত দিয়ে আরো লিখা
হয়েছে, যে সভাতে শরীয়ত বিরোধী কর্ম হয় তাতে অংশগ্রহণ করা জায়িজ নয়।
৩।ঘরে টিভি রাখা ও দেখা-দেখানো হারাম। ইচ্ছাকৃত ফটো দেখা হারাম। যদি তা কোন
আল্লাহর অলীর ও হয়।
৪।যদি কোন মৌলবী/পীর সাহেব ছবি তোলে বাঁ তোলায় ইহার কারণে সে কঠিন গূনাহগার
হবে ও জাহান্নামের শাস্তির উপযুক্ত হবে।
৫।টিভি চ্যানেলে ইসলামী প্রোগ্রাম হোক বাঁ গায়েরে ইসলামী প্রোগ্রাম হোক তা
দেখা বা দেখানো নাজায়িজ ও গুনাহের
কাজ।টিভি ও ভিডিওকে জায়িজ মনে করা প্রকাশ্য গোপমরাহী ও শয়তানের সাহায্যকারী ।ইহা
দেখা,দেখানো ,তৈরি করা ,করানো শরয়ী দলিল অনুযায়ী একেবারে হারাম ।
৬।শয়তানের সর্বাপেক্ষা বড় ধোকা হল নাজায়িজ কাজ কে নেকীর কাজ মনে করা। ভিডিওর
সাথে দ্বীনের প্রচার করা প্রকৃত দ্বীনের প্রচার নয় বরং দ্বীনকে তামাশা বানানো।
৭।এই ফতোয়াকে মারকাজে দারুল ইফতার মুফতীগণ সহীহ বলে স্বাক্ষর করেছেন। যা
মুসাদ্দাকাতে তাজুশ শরীয়াহ পুস্তিকাতে বর্ণিত আছে।
৮।টিভি ভিডিও দেখা টেলিকাষ্ট করা কীবারেই নাজায়িজ ও হারাম।
৯।যে ব্যক্তি টিভি চ্যানেলে বক্তব্য রাখে বা সুন্নী জনগণকে টিভি দেখার জন্য
উৎসাহিত করে ,সমর্থণ করে সেই ব্যক্তিকে ইমাম করা তার পিছনে নামাজ আদায় করা তার
নিকট মুরীদ হওয়া তাঁকে সুন্নী জলশায় বক্তা হিসেবে দাওয়াত করা সমস্তই নাজায়িজ ও
নিষেধ।
১০।টিভি ভিডিও ফিতনা হচ্ছে এসময়ের সবথেকে বড় ফিতনা।//
বিদ্রঃ এই পত্রিকার পরিচালনা কমিটি
,সম্পাদক মণ্ডলী ও বিশেষ সদস্যবৃন্দের নাম ও প্রধান কার্যালয় দেয়া আছে এই পোস্টের
ছবিতে।পাশাপাশি ফতওয়া খানার ও মূল পত্রিকার স্ক্রিণশর্ট দেয়া আছে।

তাহলে সম্মানিত পাঠক আপনারা কী বুঝলেন? এরা কীভাবে এই ফতোয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের
মতকে প্রকাশ করে হারাম নাজায়িজ কাজ করছে। আর কুরআন সুন্নাহর পাশাপাশি তাদের ই মুরব্বীদের অস্বীকার করছে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে দ্বীনের সহীহ সমঝ দান করুন। দ্বীন বিকৃতিকারী থেকে হিফাজত
করুন।আমীন।
No comments