পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে নওরোজ বা যেকোনো নববর্ষ পালন করা হারাম, বিদয়াত ও কুফরী
নওরোজ
বা নববর্ষ পালন করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম
উনার দৃষ্টিতে হারাম, বিদয়াত ও কুফরী। হোক সেটা বাংলা,
ইংরেজি কিংবা আরবী। নববর্ষ পালন ইহুদী,
নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী মুশরিকদের তর্জ-তরীক্বা যা পালন
করা থেকে বিরত থাকা সকল মুসলমানের জন্য ফরয ওয়াজিব।
উল্লৈখ্য, সাধারণভাবে প্রচীন
পারস্যের শাসক জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব
৮০০ সালে এই নওরোজের প্রবর্তন করেছিল এবং এ
ধারাবিহকতায় এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগতভাবে নববর্ষে জাতীয় উৎসব
পালিত হয়। কোনো কোনো বর্ণনায় ইরান থেকেই এ কুফরী অনুষ্ঠানটি মধ্য প্রাচ্যসহ
বিভিন্ন মুসলিম দেশে প্রবেশ করে এমনকি ভারত উপমহাদেশে ও প্রবেশ করে।
কাজেই, মুসলমানদের জন্য বাংলা নববর্ষ,
ইংরেজি নববর্ষ ও
হিজরী নববর্ষসহ সকল নববর্ষ পালন করা
বিজাতীয়দের অনুসরণ করার নামন্তর হিসেবে হারাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা যায় অনেকেই
আরবী বা হিজরী নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায়। আরবী বা হিজরী নববর্ষ পালন করা যে
হারাম তা তারা জানে না। এটা যে বিজাতীয়দের অনুসরণ,
তাশবীহ এটা তারা বুঝে না,
অথচ তারা
অনেকেই আলিম-ওলামা,
মুফতী ও মুফাসসির ও মুহাদ্দিছ দাবি করে।
নাঊযুবিল্লাহ!
হযরত
ইমাম আবূ হাফস কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি
তিনি বলেন, নওরোজ
বা নববর্ষ উপলক্ষে কেউ যদি একটা ডিমও দান করে,
তাহলে তার ৫০ বছরের নেক আমল থাকলে তা বরবাদ
হয়ে যাবে। নাঊযুবিল্লাহ!
কাফির, মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদী, নাছারা, বিধর্মীদের অনুসরণ করা হারাম। পবিত্র
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে এ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে-
إِنَّ شَرَّ الدَّوَابِّ عِنْدَ اللَّـهِ الَّذِينَ كَفَرُوا فَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ
অর্থ:
নিশ্চয়ই সমস্ত প্রাণীর মাঝে মহান আল্লাহ
পাক উনার নিকট কাফিররাই নিকৃষ্ট, যারা ঈমান আনেনি। (পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ ৫৫)
অন্যত্র ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ
অর্থ: তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ
করো না। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৪)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত
রয়েছে-
عن
حضرت
عمرو
بن
شعيب
عن
أبيه
عن
جده
رضى
الله
تعالى عنهم أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ليس منا من تشبه بغيرنا
অর্থ:
হযরত আমর ইবনে শুয়াইব রহমতুল্লাহি আলাইহি
উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন এ ব্যক্তি আমার উম্মতের
অন্তর্ভুক্ত নয় যে বিজাতীদের সাথে সাদৃশ্য রাখে। (মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ
মুবাকর হয়েছে-
عَنْ
حَضَرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যে
সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে,
সে তাদের দলভুক্ত অর্থাৎ তার হাশর-নশর
তাদের সাথেই হবে। (সুনানে আহমদ শরীফ,
সুনানে আবূ দাউদ শরীফ)
অতএব, পহেলা বৈশাখ,
পহেলা জানুয়ারি,
পহেলা মুহররম,
ইত্যাদি ইত্যাদি নববর্ষ পালন করা
হারাম ও বিদয়াত। আর এই হারাম ও বিদয়াত থেকে বিরত থাকা ফরয-ওয়াজিব উনার অন্তর্ভুক্ত।
যিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক
তিনি আমাদেরকে সর্বপ্রকার হারাম থেকে পরহেয থাকার তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
No comments