পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার মধ্যে দেখা যায় “হারামকে হালাল বলার শাস্তি”
বর্তমান সময়ে অনেকেই হারামকে হালাল বলে
ফতওয়া দেয়। বলে-
-এত পর্দা লাগে না (নাউযুবিল্লাহ)
-হারাম ছবি তোলার দরকার আছে। (নাউযুবিল্লাহ)
-হারাম টিভি দেখা হালাল। (নাউযুবিল্লাহ)
-হারাম খেলাধূলা হালাল। (নাউযুবিল্লাহ)
- হারাম গনতন্ত্র হালাল। (নাউযুবিল্লাহ)
যারা এভাবে হারামকে হালাল বলে ফতওয়া দেয়, পরকালে তাদের কেমন শাস্তি হবে সে সম্পর্কে পবিত্র হাদীস শরীফ
উনার মধ্যে বর্ণিত আছে। পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার উর্ধ্বাগমণ উনার সময় নূরে মুজাসসাম
হাবীবুললাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেক কিছু অবলোকন করেন, যা পবিত্র ‘বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ’-এ বর্ণিত রয়েছে। হাদীস
শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন:
“কিছুদূর গিয়ে দেখতে পেলাম একটি খাঞ্চা
রাখা আছে এবং তাতে উত্তম ভাজা গোশত রয়েছে। আর একদিকে রয়েছে অন্য একটি খাঞ্চা। তাতে
আছে পচা দুর্গন্ধময় ভাজা গোশত। এমন কতকগুলো লোকদের দেখলাম যারা উত্তম ভালো গোশতের কাছে
না যেয়ে ওই পচা দুর্গন্ধময় ভাজা গোশত খাচ্ছে। আমি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে
বললাম,
এ লোকগুলো কারা? উত্তরে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, এরা হলো আপনার উম্মতের ওই সব লোক যারা হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করতো এবং
হারামের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো।” (নাউযুবিল্লাহ)
অর্থাৎ আজকে যারা হারামকে হালাল এবং হালালকে
হারাম বলে ফতওয়া দিচ্ছে, তাদের পরকালে জাহান্নামে
পচা দুর্গন্ধময় গোশত ভক্ষন করতে হবে।
No comments