পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার মধ্যে রোযা রাখার ফযীলত
হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি হারাম মাসে (যিলক্বদ, যিলহজ্জ, মুর্হরম ও রজব) তিন
(৩) দিন রোযা রাখবে, তার জন্য নয় (৯) বৎসর
ইবাদতের ছওয়াব লিখা হবে। হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, বর্ণনাটি আমি নিজ কানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুনেছি।”
বর্ণিত আছে, “যারা পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার মধ্যে রোযা রাখে, তাদের গুনাহ মাফের জন্য হযরত ফেরেশ্তা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা
পবিত্র রজবুল হারাম উনার প্রথম জুমুয়াহ শরীফ রাত্রির শেষ তৃতীয়াংশে দোয়ায় মশগুল থাকেন।”
উল্লেখ্য, পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ ব্যতীত অন্যান্য প্রতি মাসে নির্দিষ্ট
সংখ্যক রোযা রাখা খাছ সুন্নত। শাওয়াল মাসে ৬টি, যিলহজ্জ মাসে ৯টি এবং অন্যান্য প্রতি মাসে ৩টি।
সুতরাং এ বরকতময় মাসে রোযা রাখার সুন্নতটি
আদায় করতে হলে উত্তম ও আফযল হলো- পহেলা তারিখ, পহেলা জুমুয়াহ তারিখ এবং সাতাশ তারিখের দিন রোযা রাখা। কারণ উক্ত দিন তিনটি অন্যান্য
দিন অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সম্মানিত।
যেমন বর্ণিত রয়েছে যে, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ উনার পহেলা রাতটি দোয়া কবুলের খাছ রাত্রি, পহেলা জুমুয়াহ শরীফ রাতটি হচ্ছে পবিত্র রাগায়িব শরীফ উনার সুহান
রাত্রি মুবারক অর্থাৎ যে রাত্রিতে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার আম্মা আলাইহাস
সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারকে তাশরীফ নেন এবং সাতাশ তারিখের রাতটি হচ্ছে পবিত্র
মি’রাজ শরীফ উনার মহান রাত্রি।
No comments