Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

বাংলাদেশে জিএমও ফুড (GMO Food) নিষিদ্ধ করতে হবে




বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব দেশই বিষাক্ত বিকৃত জিন বা জিএম (জেনেটিক্যাল মডিফাইড) শস্য কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা করছে। ইউরোপের ২৬টি দেশের মধ্যে ১৯টি দেশে জিএম শস্য চাষ নিষিদ্ধ। ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস ব্যান করার জন্য সাধারণ জনগণ আন্দোলন পর্যন্ত করেছে। ভারতে প্রবল বিতর্ক এবং জনরোষের মুখে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী জয়রাম রমেশ ২০১০ সালে জিএম শস্য (বিটি বেগুন) বাণিজ্যিকিকরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ভারতের সবক’টি রাজ্য এইসব শস্য বাজারজাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
চীন সরকার গোল্ডেন রাইস-এর বীজ তার দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি চোরাই পথেও যেন এ ধানের বীজ তার দেশে প্রবেশ করতে না পারে এ নিয়েও সতর্ক থাকছে চীন।
অথচ বাংলাদেশের মতো সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে থাকা এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনকারী দেশে ভিটামিন-এ’র জন্য গোল্ডেন রাইস উৎপাদনে স্বীকৃত দেওয়া সত্যিই আশ্চর্যজনক!
গোল্ডেন রাইস কি?
একধরণের চাল, যেটা সরাসরি প্রকৃতির দান নয়। ল্যাবরেটরিতে ‍কৃত্রিমভাবে চালের প্রজনন পরিবর্তন করে এক ধরণের মোডিফাইড চাল। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিটি বেগুন ও গোল্ডেন রাইস জাতীয় শস্য খেলে মানবদেহের উপকৃত ব্যাকটেরিয়া মরে যায়। যা মানবদেহের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সম্প্রতি কিছু কুচক্রী মহলের পরামর্শে বাংলাদেশে গোল্ডেন রাইস জিআর-২ বীজ আমদানি করার চেষ্টা চলছে।
গোল্ডেন রাইস খেলে কি ক্ষতি হতে পারে:
১) গর্ভবতী নারী খেলে তার সন্তানের জন্মগত ত্রুটি (birth defects) ঘটতে পারে
২) যে মানুষ কম পরিমাণ চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণ করে, সে এ ধরনের চাল খেলে তার শরীরের বিষাক্ততা দেখা দিতে পারে।
৩) যে মানুষ ডায়রিয়ায়, ক্ষুদ্রান্ত্রেও প্রদাহসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত, সে এ ধরনের চাল খেলে শরীরের নানাবিধ বিষাক্ততা দেখা দিতে পারে।
৪) হজম প্রক্রিয়ায় বিটা ক্যারোটিন (গোল্ডেন রাইসে আছে) পরিবর্তিত হয়ে রেটিনল বা রেটিনোইক এসিড তে রূপান্তরিত হতে পারে, যা চর্বি বা plasma তে জমা হতে পারে কিন্তু এর প্রভাব বিষাক্ত এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
এ সম্পর্কে বাংলাদেশে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলে-“'BRRI-র অনুরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ক্রপ বায়োটেকনোলজি গত ২০শে সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে।”
আফসোস !!!
আমাদের দেশে এই আত্মঘাতী বীজ বাণিজ্যিকিকরণের পেছনে কে বা কারা কাজ করছে তাদেরকে চিহ্নিত করা ও খুঁজে বের করাও সময়ের দাবি। গোল্ডেন রাইস নিয়ে ইতোমধ্যে সচেতন মহল পত্র-পত্রিকায়, সোস্যাল নেটওয়ার্কে বেশ সমালোচনা করছেন। প্রশ্নের মুখে পড়ছেন সরকারের মন্ত্রীরা। কিন্তু ঘাপটি মেরে বসে আছে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়া বরপুত্ররা।
গোল্ডেন রাইস উৎপাদনের অনুমোদন প্রশ্নের মুখে পড়ে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, “বিরি-র (বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট) অনুরোধে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল কমিটি অন ক্রপ বায়োটেকনোলজি গত ২০শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে এই ধান উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে।”
এই বিরি হচ্ছে ধান গবেষণার একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু বর্তমানে এটি চালাচ্ছে কারা? সরকারকে অনুরোধ জানানো এই বিরি-র মহাপরিচালক হচ্ছে ড. জীবন কুমার বিশ্বাস এবং এর সচিব হচ্ছে শ্যামল কান্তি ঘোষ।
সঙ্গত কারণেই বলতে হয়, স্বাধীনতার পর থেকে ধান গবেষণার এই প্রতিষ্ঠানটিতে ২৬ জন মহাপরিচালক হয়েছেন, যার মধ্যে ১ জনও হিন্দু ছিলেন না। কিন্তু ২৭ নম্বরে জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস এসেই মুসলিম নিধনের মতোই উদ্দেশ্যমূলক পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাসের উপরে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সচিব পদে আছে ‘শ্যামল কান্তি ঘোষ’ নামক আরেক গোঁড়া হিন্দু। এরাই প্রকৃত সত্য গোপন রেখে ইতিবাচক ভঙ্গির উপস্থাপনা করে দেশে এসব বিষাক্ত ধান উৎপাদন করার অনুমোদন নিয়ে সরকারকে বিপাকে ফেলতে চাইছে।
প্রকৃতপক্ষে এরা দেশ ও জাতির শত্রু। কোটি কোটি মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে এরাই।
সুতরাং এদের চিহ্নিত করে কঠোরভাবে বিচারের আওতায় এনে প্রয়োজনে এদের মৃত্যুদন্ড দেয়া উচিত।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.