হারাম বিশ্বকাপ খেলা ও পতাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে সামান্য আলোকপাত।
বিশ্বকাপ ফুটবল, বিজাতীয় পতাকা উড়ানো নিয়ে মুসলমান
কিছু ভাইদের বেশ আবেগ দেখলাম। উনারা বিভিন্ন আবেগ ও যুক্তির মাধ্যমে বুঝাতে চাচ্ছেন
হারাম খেলাধুলা করা ও পছন্দের দলকে সাপোর্ট করে বিজাতীয় পতাকা উড়ানো এসব করা নাকি সুশীলতা।আহা! কথা শুনে হাসি পেল।
আসুন আমরা কুরআন সুন্নাহ থেকে
দলিলভিত্তিক আলোচনা করব।
#প্রথমত খেলাধুলা হারাম।এ প্রসঙ্গে
হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ্ পাক উনার রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
كل لعب حرام الا ثلاثة الخ.
“সর্ব প্রকার খেলা বাতিল তিনটি ব্যতীত-
(১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ
দান করা,
(৩) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।” [মুস্তাদরেকে
হাকিম]
আরো উল্লেখ্য যে, আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাযাহ্ শরীফ ইত্যাদি হাদীস শরীফের কিতাবে হযরত ওকবা ইবনে
আমের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ হাদীস শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু
তারতম্য রয়েছে।
হযরত ইবনে আব্বাস রদিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু হতে রিওয়ায়েত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মুমিনের শ্রেষ্ঠ খেলা
সাঁতার কাটা, আর নারীর শ্রেষ্ঠ খেলা সূঁতা কাটা।”
“ছহীহ্ মুসলিম” ও “মুসনাদে আহমদ শরীফে”
হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দৌড় অনুশীলনে ইজাযত
দিয়েছেন।
حَدَّثَنَا
قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِي الْحَسَنِ الْعَسْقَلاَنِيِّ،
عَنْ أَبِي جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ رُكَانَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رُكَانَةَ،
صَارَعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَصَرَعَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
রোকনা পাহ্লোয়ানকে কুস্তিতে ধরাশায়ী করেছিলেন। [আবু দাউদ ৪০৭৮, তিরমিজি ১৭৯১(ইফাবা), বাইহাকি ১০/১৮]
হাদীস শরীফে উল্লিখিত খেলাগুলো ব্যতীত
সর্বপ্রকার খেলাকে হারাম করা হয়েছে। অথচ ওলামায়ে সূ রা হাদীস শরীফকে অস্বীকার করে ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি হারাম খেলাধুলাকে জায়িয বা বৈধ বলে কুফরী করেছে।
উল্লেখ্য, হাদীস শরীফে তথা শরীয়তে যেসব খেলার অনুমোদন রয়েছে, তা ব্যতীত যত প্রকার খেলা রয়েছে, তার প্রত্যেকটির মধ্যেই, না কোন দ্বীনি ফায়দা রয়েছে এবং না কোন দুনিয়াবী ফায়দা রয়েছে। বরং প্রতিটি খেলা
তিনটি অবস্থার কোন এক অবস্থা থেকে খালি নয়। হয় তা কুফরী হবে অথবা হারাম হবে, আর না হয় তা মাকরূহ্ হবে।
যে খেলা বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ্ বা
সাদৃশ্য রাখে অথবা দ্বীন ইসলাম থেকে সরিয়ে দেয়, তা সম্পূর্ণ কুফরী।
হাদীস শরীফে বর্ণিত রয়েছে,
حَدَّثَنَا
بِشْرُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سُلَيْمَانَ،
عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ
قَالَ " الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ ".
হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাথে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে।
{
বুখারী শরীফ(ইফাবা), হাদীস নং-৫৬৩৭-৫৭৪০ }
حَدَّثَنَا
عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو النَّضْرِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ
بْنُ ثَابِتٍ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ بْنُ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي مُنِيبٍ الْجُرَشِيِّ،
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ
تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ " .
হযরত ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
থেকে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার
সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।
{সুনানে আবু দাউদ(ইফাবা), হাদীস নং-৩৯৮৯}
যে খেলা ইসলামী আক্বীদা থেকে সরিয়ে নেয়না
কিন্তু হারাম ও গুণাহের কাজে লিপ্ত করে দেয়, তা কুফরী নয়, তবে কবীরা গুণাহের কারণ।
আল্লাহ্ পাক ইরশাদ ফরমান,
تَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى
الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
অর্থঃ- “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ
ও পরহিযগারীর মধ্যে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার মধ্যে
সাহায্য করনা।” (সূরা মায়িদা/২)
আর যে সমস্ত খেলা কুফরী ও হারাম কোনটিই
নয় কিন্তু প্রকাশ্যে তা পাপ বলেও মনে হয়না, মানুষ সাধারণভাবে সে সমস্ত খেলাকে জায়েয মনে করে থাকে, প্রকৃতপক্ষে তাও পাপেরই অন্তর্ভুক্ত। এতে যেমন ইবাদত-বন্দেগীর
ব্যাঘাত ঘটে এবং স্বাস্থ্য, সময় ও টাকা-পয়সার অপচয়
হয়,
তদ্রুপ পরস্পরের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষও পয়দা হয়। এ প্রসঙ্গে
আল্লাহ্ পাক বলেন,
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ وَكَانَ
الشَّيْطَانُ
অর্থঃ-“নিশ্চয়ই (সর্বপ্রকার) অপচয়কারী
শয়তানের ভাই।” (সূরা বণী ইসরাঈল/২৭)
আর হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে,
من
حسن اسلام المرء تر كه ما لا يعنيه
অর্থঃ- “কোন ব্যক্তির জন্য দ্বীনের সৌন্দর্য
হলো- অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকা।” (তিরমিযী, ইবনে মাযাহ্, মুয়াত্তা)
#দ্বিতীয়ত যারা পতাকা উড়াচ্ছে খেলাকে
উদ্দেশ্য করে। সেটা যে খেলাই হোক।হারাম কাজ তারা করে যাচ্ছে। এখানে তথাকথিত
দেশপ্রেম আবেগের বুলি কপচিয়ে হারাম কে হালাল বলা কুফরী ও হাদীছ অস্বীকার করার ই
নামান্তর।
আল্লাহ পাক বলেন-
تَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
অর্থঃ- “তোমরা পরস্পর পরস্পরকে নেক কাজ
ও পরহিযগারীর মধ্যে সাহায্য কর, পাপ ও শত্রুতার
মধ্যে সাহায্য করনা।” (সূরা মায়িদা/২)
#তৃতীয়ত হারাম খেলা প্রেমী ভাইয়েরা
বলতেছে যে- বিজাতীয় পতাকা উড়ানো কেন ঠিক হবে না? কাফের-মুশরিকদের তৈরিকৃত জিনিস
ব্যবহার করা গেলে কেন পতাকা উড়ানো হারাম হবে?
প্রথমত যেহেতু খেলা হারাম। আর হারাম
কাজের জন্য যেসকল কাজ করা হয় তাও হারাম হবে।
আর দ্বিতীয়ত বিধর্মীদের তৈরিকৃত কিছু যদি দ্বীন ইসলামের জন্য
ফায়দাজনক হয়।শরীয়তের খেলাপ না হয় তা হারাম হবে না।কিন্তু বিজাতীয় তর্জ-তরীক্বা বা
নিয়মনীতি হারাম হবে।
ইসলাম বিদ্বেষীরা বলে থাকে… ‘তোমরা ইহুদি
– নাসারাদের পছন্দ করনা আবার তাদের তৈরি অসংখ্য জিনিস ব্যবহার কর। ইন্টারনেট , ফেসবুক ব্যবহার করছ …এটাও তো কাফেরদের তৈরি।’
মুলত কোন কিছুর আবিস্কারক অমুসলিম হলেই
তা ব্যবহার কার নাজায়েজ হয়ে যায় না। এক্ষেত্রে মুসলমান যেমন অমুসলিমদের তৈরি জিনিষ
ব্যবহার করে , তেমনি অমুসলিমেরাও মুসলমানের তৈরি জিনিষ
ব্যবহার করে।
যদি শরীয়তে নিষিদ্ধ কোন কারণ না পাওয়া
যায়,
তাহলে এসব ব্যবহারে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।
প্রত্যেক নতুন দুনিয়াবী ও ভোগ্য সামগ্রির
ক্ষেত্রে মূলনীতি হল তা বৈধ হবে। তবে যদি শরয়ী নিষেধকৃত কোন কারণ পাওয়া যায়, তাহলে তা নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হবে।
তাহলে বিষয়টি আসলে কি??
মূলত এখানে দু্ইটি বিষয় আছে:
১) কাফিরের তৈরী জিনিসপত্র,
২) কাফিরদের নিয়মনীতি বা সংস্কৃতি
যারা এ দুটি বিষয়ের পার্থক্য ধরতে পারে
না তারাই এ ধরনের প্রশ্ন করে থাকে।
এক্ষেত্রে একজন মুসলমান হিসেবে প্রথমত
আমাদের জানতে হবে কুরআন হাদিসে এ নিয়ে কি বলা আছে ?
১) কুরআন শরীফ কাফিরের তৈরী জিনিসপত্র নিয়ে কি বলা আছে ?
পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে-
قُلْ مَنْ حَرَّمَ زِينَةَ اللَّهِ الَّتِي أَخْرَجَ لِعِبَادِهِ
وَالطَّيِّبَاتِ
“ আপনি বলুনঃ আল্লাহর সাজ-সজ্জাকে, যা তিনি বান্দাদের জন্যে সৃষ্টি করেছেন এবং পবিত্র খাদ্রবস্তুসমূহকে
কে হারাম করেছে? {সূরা আরাফ-৩২}
এ আয়াত বুঝাচ্ছে, নিজের পক্ষ থেকে কোন বস্তুকে হারাম করার অধিকার কারো নেই। হারাম
শুধু ঐ সকল বস্তুই হতে পারে, যা আল্লাহ বা তার হাবিব
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হারাম করেছেন।
সুতরাং যে বস্তুর হারাম হওয়া কুরআনে বা
হাদীসে বর্ণিত নেই,তাকে হুট করে হারাম
বলার অধিকার কারো নেই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ
উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,
هُوَ الَّذِي خَلَقَ لَكُمْ مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا
“মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের (ফায়দার)
জন্য দুনিয়ার সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত
শরীফ-২৯)
আল্লাহ তাআলা মানুষকে মেধা দিয়েছেন। উদ্ভাবণী
ক্ষমতা দিয়েছেন। যেন সেই ক্ষমতা দিয়ে সে দুনিয়া ও আখেরাতের উপকার অর্জন করতে পারে।
আল্লাহর দেয়া সেই মেধার ক্ষমতা দিয়ে কোন আবিস্কার করলেই যদি উক্ত বস্তুটি হারাম হয়ে
যায়,
তাহলে আল্লাহ তাআলার মেধা দেয়ার কোন যৌক্তিকতা বাকি থাকে না।
তবে, যদি উক্ত আবিস্কৃত, নববস্তুতে শরীয়তে নিষিদ্ধ
কোন কাজ পাওয়া যায়, তবে তা সুনিশ্চিত হারাম
হবে এতে কোন সন্দেহ নেই।
কুর আন শরীফে কাফিরদের নিয়মনীতি বা সংস্কৃতি
নিয়ে কি বলা আছে ?
পবিত্র সূরা শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ
পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَلَا تُطِعِ الْكَافِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَدَعْ أَذَاهُمْ
“তোমরা (মুসলমানগণ) কাফির ও মুনাফিকদের
অনুসরণ-অনুকরণ করো না।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৮)
সুতরাং সামাজিক সাইটের দ্বারা যদি গোনাহের
কাজ না করা হয়, দুনিয়াবী প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়, বা দ্বীন প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটিকে নাজায়েজ বলার কোন সুযোগ নেই। বরং দ্বীন প্রচারের
কাজে ব্যবহার করলে এর দ্বারা নিশ্চয় সওয়াব পাওয়া যাবে।
২) হাদিস শরীফে কাফিরের তৈরী জিনিসপত্র
নিয়ে কি বলা আছে ?
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
মিশরের সূতি কাপড় পরিধাণ করতেন, ইয়েমেনী চাদর ব্যবহার
করতেন এবং রোম-পারস্যের যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করতেন, যেসব দেশে ঐ সময় মুসলমানরা থাকত না, সবাই কাফির ছিলো। অর্থ্যাৎ তিনিই নিজেই কাফিরের তৈরী জিনিস ব্যবহার করেছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ
আছে- “নিশ্চয়ই দুনিয়া তোমাদের (খিদমতের) জন্য তৈরি করা হয়েছে আর তোমরা সৃষ্টি হয়েছে
পরকাল মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য।”
#হাদিস শরীফে কাফিরদের নিয়মনীতি বা সংস্কৃতি
নিয়ে কি বলা আছে ?
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় এসে ইহুদিদের আশুরার রোজা রাখতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এটা কিসের রোজা রাখ? তারা উত্তরে বলল, আশুরা একটি বড় দিন।
এ দিনে আল্লাহতায়ালা হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তার সম্প্রদায়কে মুক্তিদান করে ফেরাউন
ও তার সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিল। ফলে মুসা আলাইহিস সালাম ওই দিন রোজা রেখেছিলেন। আর
আমরা তার অনুকরণ করে এ রোজা রেখে থাকি। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের
বললেন,
তোমাদের তুলনায় মুসা আলাইহিস সালাম-এর ব্যাপারে আমাদের হক বেশি।
অতএব,
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আশুরার রোজা
রাখলেন এবং অন্যদেরও রাখার নির্দেশ দিলেন। (মিশকাত)
উলামাদের মতে, শুধু আশুরার দিন একটি রোজা রাখা মাকরুহ। কেননা, এতে ইহুদিরাও রোজা রাখে বিধায় তাদের সাদৃশ্য হয়ে যায়। হুযুর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তোমরা আশুরায় রোজা রাখ এবং ইহুদিদের বিরোধিতা করে এর আগে এবং পরে একটি করে রোজা
রাখ। (মা সাবাতা বিস সুন্নাহ)।
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু থেকে বর্ণিত, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা গোঁফ কাট এবং
দাঁড়ি লম্বা কর, আর অগ্নিপূজকদের বিরোধিতা
কর। (মুসলিম ১/১২৯)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মুশরিকদের বিরোধিতরা কর, দাঁড়ি লম্বা কর, আর গোঁফ ছোট কর। (বুখারী ২/৮৭৫, মুসলিম)
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহু হতে বর্ণিত, হযুউর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, দাড়ি বাড়াও , গোঁফ কাট এবং এ ক্ষেত্রে ইহুদী-খ্রীষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন
করোনা। (মুসনাদে আহমদ)
আলোচনার মাধ্যমে বুঝা গেল যে হারাম খেলাধুলার জন্য পতাকা উত্তোলন করাও হারাম।
দ্বীন ইসলাম পরিপুর্ণ তাই আসুন সবাই
শরীয়ত মুতাবিক চলার চেষ্টা করি।আল্লাহ পাক আমাদের দ্বীনের সহীহ সমঝ দান করুন।
আমীন।
No comments