মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। ছোঁয়াচে রোগ বিশ্বাস করা কাট্টা হারাম, কুফরী এবং শিরকীর অন্তর্ভুক্ত (১)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ১০ম খলীফা, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ
হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চীন নাস্তিকসহ কাফেরগুলি খাছ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার শান মুবারক-এ চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করার কারণে
এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের শান
মুবারক-এ চূ-চেরা, ক্বীলও ক্বাল করার কারণে
এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধিতা করার কারণে, মসজিদগুলি ভেঙ্গে দেয়ার কারণে, জামাত বন্ধ করে দেয়ার কারণে, রোযা বন্ধ করার কারণে, মুসলমানদেরকে দাড়ি রাখতে
বাধা দেয়ার কারণে, পর্দা করতে বাধা দেয়ার
কারণে তাদের প্রতি করোনা নামক এই মহা গযব নাযিল হয়েছে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ওয়া
আহলি বাইতিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যার কারণে তারা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”
তিনি উনার খোদায়ী জবান মুবারক-এ আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন যে, “করোনা কোনো মহামারিও নয়, রোগও নয়। এটা হচ্ছে- কাফির-মুশরিকদের প্রতি এবং তাদের গোলামদের প্রতি এক কাট্টা
কঠিন গযব। তোমরা স্বর্ণের অক্ষরে লিখে রাখো,
মুসলমানদের
কখনও করোনা হবে না। করোনা হবে কাফির-মুশরিকদের এবং তাদের গোলামদের। চীনে যে, কোটি কোটি লোক মরলো,
কেউ দেখাতো
পারবে না, একটা মুসলমান মারা গেছে। কেউ যদি
প্রমাণ করতে পারে যে, কোনো মুসলমান করোনায় আক্রান্ত
হয়েছে, আমরা তাকে পুরস্কার দিবো। কাফির-মুশরিকদের
আর রক্ষা নেই। এই করোনা তাদেরকে জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিবে। সামনে তাদের জন্য
আরো কঠিন ভয়াবহ খোদায়ী গযব অপেক্ষমান রয়েছে।” সুবহানা মুর্শিদ ক্বিবলা ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
কাজেই করোনা কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। এটা হচ্ছে- কাফির-মুশরিকদের প্রতি এবং তাদের
গোলামদের প্রতি এক কাট্টা কঠিন গযব। মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া
অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। ছোঁয়াচে রোগ বিশ্বাস করা কাট্টা
হারাম, কুফরী এবং শিরকীর অন্তর্ভুক্ত।
এই সম্পর্কে অসংখ্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ لاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ وَلاَ هَامَةَ وَلاَ صَفَرَ.
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ
নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই।” (ইবনে মাজাহ্ শরীফ মহাসম্মানিত ও
মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৩৫৩৯)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَ وَلَا صَفَرَ.
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ
নেই এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই।” (মুসনাদে ইসহাক্ব ইবনে রাহওয়াইহ্
১/২৩৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রلَا عَدْوَى وَلَا هَامَةَ وَلَا نَوْءَ وَلَا صفرগ্ধ
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই। তারকার (উদয় বা অস্ত যাওয়ার) দ্বারা
ভাগ্য নির্ধারণ ও বৃষ্টি হওয়া বা না হওয়া ভিত্তিহীন এবং সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে অশুভ
বলতে কিছুই নেই।” (মুসলিম শরীফ, আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ-৩৯১,
তুহফাতুল
আশরাফ ১০/২৩৪ ইত্যাদি)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ্রلاَ عَدْوَى وَلاَ طِيَرَةَ، وَيُعْجِبُنِي الفَأْلُগ্ধ قَالُوا: وَمَا الفَأْلُ؟ قَالَ: ্রكَلِمَةٌ طَيِّبَةٌগ্ধ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে
কিছুই নেই। শুভ লক্ষণ আমাকে আশ্চার্যান্তিত করে। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তা‘য়ালা আনহু উনারা বললেন, শুভ লক্ষণ কী? জবাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করলেন, উত্তম কথা।” (বুখারী শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৭৭৬,
মুসলিম শরীফ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ২২২৪,
মুসনাদে
আহমদ ২০/৩১, মুসনাদে আবী দাঊদ ত্বয়ালসী ৩/৪৬৭, মুসনাদে বায্যার ১৩/৪১৯ ইত্যাদি)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রلَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ، وَأُحِبُّ الْفَأْلَ الصَّالِحَগ্ধ
অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
“ ছোঁয়াচে
বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে কিছুই নেই। আর আমি শুভ লক্ষণকে
পছন্দ করি।” (মুসলিম শরীফ হাদীছ শরীফ নং ৪/১৭৪৬, ইবনে মাজাহ্ শরীফ হাদীছ শরীফ ৩৫৩৯,
মুসনাদে
আহমদ ১৬/৩৪২, আদাব লিইবনে আবী শায়বাহ্ ১/২১২, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ্ ৫/৩১০)
অপর বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: "لَا عَدْوَى وَلَا طيرة، وأحب الفال الصالح"
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক বলে কোন রোগ নেই এবং অশুভ বা কুলক্ষণ বলতে
কিছুই নেই। আর আমি শুভ লক্ষণকে পছন্দ করি।” (ছহীহ ইবনে হিব্বন ১৩/১৪১, মুস্তাখ্রাজে আবী ‘আওয়ানাহ্ ১৭/৫১৫)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عن سعد بن مالك - رضي الله عنه - أن رسول الله - صلى الله وعليه وسلم - كان يقول: "لا هامة، ولا عدوى، ولا طيرة، وإن تكن الطيرة في شيء ففي الفرس، والمرأة، والدار"
অর্থ: “হযরত সা’দ ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করতেন, “পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই, ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই এবং
অশুভ বলতে কিছু নেই। যদি কোন কিছুর মধ্যে অশুভ বা কুলক্ষণে কিছু থাকতো, তাহলে ঘোড়া, মহিলা এবং ঘর-বাড়ির মধ্যে
থাকতো।” (ইবনে মাজাহ্ শরীফ হাদীছ শরীফ ৩৫৩৯)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ্রلاَ عَدْوَى وَلاَ صَفَرَ وَلاَ هَامَةَগ্ধ فَقَالَ أَعْرَابِيٌّ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، فَمَا بَالُ إِبِلِي، تَكُونُ فِي الرَّمْلِ كَأَنَّهَا الظِّبَاءُ، فَيَأْتِي البَعِيرُ الأَجْرَبُ فَيَدْخُلُ بَيْنَهَا فَيُجْرِبُهَا؟ فَقَالَ: ্রفَمَنْ أَعْدَى الأَوَّلَ؟গ্ধ
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই, সম্মানিত ছফর শরীফ মাসে কোন খারাপী নেই এবং পেঁচার মধ্যে কুলক্ষণের কিছুই নেই।
তখন একজন বেদুঈন ছাহাবী বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! তাহলে আমার উটের এ অবস্থা হলো কেন? যে উটগুলো হরিণের মতো তরুতাজা ছিল, যেগুলো ময়দানে স্বাধীনভাবে বিচরণ করত। এমতাবস্থায় কোথা থেকে
খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত একটি উট এসে সে উটের পালে মিলিত হলো এবং উটগুলোকে খুঁজলি-পাঁচড়ায়
আক্রান্ত করে দিলো। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করলেন, তাহলে প্রথম উটটিকে কে
সংক্রমিত করলো? (বুখারী শরীফ মহাসম্মানিত
ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ নং ৫৭১৭, মুসলিম শরীফ হাদীছ শরীফ নং ২২২০, জামি‘উ মা’মার ইবনে রশিদ ১০/৪০৪, আবূ দাঊদ শরীফ ৪/১৭,
মুসনাদে
বায্যার ১৪/২৮০ ইত্যাদি)
অর্থাৎ প্রথমটি যেভাবে খুজলিযুক্ত হয়েছিলো ঠিক পরবর্তী উটগুলোও সেভাবেই খুজলিযুক্ত
হয়েছে।” অর্থাৎ ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ্রلَا عَدْوَى وَلَا طِيَرَةَ وَلَا هَامَةَগ্ধ، فَقَامَ إِلَيْهِ رَجُلٌ، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، الْبَعِيرُ يَكُونُ بِهِ الْجَرَبُ فَيُجْرِبُ بِهِ الْإِبِلُ؟ قَالَ: ্রذَلِكَ الْقَدَرُ، فَمَنْ أَجْرَبَ الْأَوَّلَ؟গ্ধ
অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই এবং পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই। তখন একজন
ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম! একটি উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হয়, তারপর তার দ্বারা অপর একটি উটকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হলো। নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
এটা হচ্ছে
তকদীর। তাহলে প্রথম উটটিকে কে সংক্রমিত করলো?”
(ইবনে মাজাহ্
শরীফ হাদীছ শরীফ ৩৫৩৯, আদাব লিইবনে আবী শায়বাহ্
১/২০৭, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ্ ৫/৩১০)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ্ لَا عَدْوَى، وَلَا طَيْرَةَ، جَرِبَ بَعِيرٌ فَأَجْرَبَ مِائَةً، وَمَنْ أَعْدَى الْأَوَّلَ
অর্থ: “হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলে কিছু নেই, অশুভ বলতে কিছু নেই এবং পেঁচার মধ্যে কোন কুলক্ষণ নেই। (তখন
একজন ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) একটি উট খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত হলো, তারপর সেই উটটি ১০০টি উটকে খুঁজলি-পাঁচড়া যুক্ত করে ফেললো।
(নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এটা হচ্ছে তকদীর।) তাহলে প্রথম উটটিকে কে সংক্রামিত করলো?” (মুসনাদুল হুমাইদী ২/২৭০)
No comments