Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

যেসব কারণে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হয় এবং ক্বাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হয়।



পবিত্র রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, স্যালাইন, ইনহেলার, ইনসুলিন ইত্যাদি নেয়া পবিত্র রোযা ভঙ্গের কারণ।
রাত আছে মনে করে ছুবহে ছাদিকের পর পানাহার করলে বা আহলিয়ার সাথে নির্জনবাস করলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে।
পবিত্র রোযা অবস্থায় ওযূ বা গোসল করার সময় নাকে পানি দিয়ে উপরের দিকে টানা এবং কুলি করার সময় গড়গড়া করা নিষিদ্ধ।
পবিত্র রোযা অবস্থায় হুক্কা, বিড়ি, সিগারেট ইত্যাদি পান করলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। উল্লেখ্য, হুক্কা, বিড়ি, সিগারেট ইত্যাদি পান করা সম্পূর্ণ হারাম।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার পবিত্র রোযা রেখে শরীয়তসম্মত কারণ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে পবিত্র রোযা ভঙ্গ করলে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হবে। কাফফারা হলো একটি রোযা ভাঙ্গার জন্য লাগাতার ষাটটি পবিত্র রোযা রাখা। অথবা ষাটজন মিসকীনকে দু’বেলা পেট ভরে খাদ্য খাওয়ানো।
পবিত্র রোযা অবস্থায় আগরবাতির ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। কিন্তু রাস্তায় চলাচলের সময় গাড়ির ধোঁয়া, রান্না-বান্না করার সময় চুলার ধোঁয়া নাকে প্রবেশ করলে মা’জুর বা অক্ষমতার কারণে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে না।
পবিত্র রোযা রেখে পেস্ট, কয়লা, পাউডার, ছাই ইত্যাদি যেকোনো প্রকার মাজন দ্বারা দাঁত মাজা মাকরূহ। এগুলোর সামান্য অংশও যদি গলার ভিতরে প্রবেশ করে, তাহলে পবিত্র রোযা ভেঙে যাবে। এছাড়া সর্বাবস্থায়ই গুল ব্যবহার করা হারাম। কারণ গুল মাদক দ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র রোযা রেখে মুখের থুথু বারবার না ফেলে গিলে ফেললে পবিত্র রোযা উনার কোনো ক্ষতি হবে না।
পবিত্র রোযা অবস্থায় তেল মালিশ করা, নখ ও চুল কাটা এবং শরীর ঠা-া করার জন্যে গোসল করায় যোযা ভঙ্গ হবে না। চোখে সুরমা বা ওষুধ ব্যবহার করার দ্বারা রোযা ভঙ্গ হবে না; এমনকি ওষুধের স্বাদ গলায় অনুভব হলে বা সুরমার রঙ থুথুর সাথে দেখা গেলেও রোযা ভঙ্গ হবে না।
পবিত্র রোযা রেখে দিনে ঘুমালে এবং ঘুমের মধ্যে গোসল ফরয হলে পবিত্র রোযা উনার কোনো ক্ষতি হবে না।
ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। আর অল্প বমি করলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে না। অনিচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি হোক আর অল্প বমি হোক তাতে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে না। ইচ্ছাকৃত মুখ ভরা বা অল্প বমি গিলে ফেললে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। পক্ষান্তরে যদি অনিচ্ছাকৃত অল্প বমি ভিতরে চলে যায়, তাতে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে না; কিন্তু মুখ ভরা বমি অনিচ্ছাকৃতভাবে ভিতরে চলে গেলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। এসব কারণে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হলে শুধু ক্বাযা আদায় করতে হবে। কিন্তু কাফফারা দিতে হবে না।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.