Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

পবিত্র ইফতারী উনার সুন্নাত মুবারক সমূহ



═════════ ═════════
তাড়াতাড়ি ইফতার করা সুন্নত:
সূর্য পরিপূর্ণভাবে অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা সুন্নত। ইহুদী-নাছারারা সূর্য অস্ত যাওয়ার অনেক পরে ইফতার করে। জীবনের প্রতিক্ষণে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত (অনুসরণ-অনুকরণ) করতে হবে। কোনো ক্ষেত্রে ইহুদী-নাছারা, বেদ্বীন-বদদ্বীন, মজুসী-মুশরিকদের অনুসরণ করা জায়িয নেই। মুসলমানগণ যখনই তাদের অনুসরণ করবে, তখনই তারা সম্মানিত দ্বীন থেকে সরে যাবে। তখনই তাদের দ্বারা উনারা লাঞ্ছিত হবে। অপমানিত হবে, অপদস্থ হবে। পবিত্র রমাদ্বান মাসে ইফতার ও সাহরীতে সেই শিক্ষা দিয়েছেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضَرَتْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اللهُ تَعَالى أَحَبُّ عِبَادِي إِلَيَّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার বান্দাগণের মধ্যে আমার নিকট সর্বাধিক প্রিয় ঐ ব্যক্তি যে ব্যক্তি তাড়াতাড়ি ইফতার করে।” (তিরমিযী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْر
অর্থ: “হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মানুষ ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে যতদিন তাড়াতাড়ি ইফতার করবে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَزَالُ الدِّينُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلُوا النَّاسَ الْفِطر ، لِاَنَّ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى يُؤَخِّرُونَ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যতকাল মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততকাল সম্মানিত দ্বীন বিজয়ী থাকবেন। (সম্মানিত মুসলমান উনাদের কর্তৃত্ব থাকবে) কেননা ইহুদী ও নাছারারা বিলম্বে ইফতার করে।” (আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
খেজুর অথবা পানি দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত:
গাছের তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত। যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে শুকনা খেজুর বা খোরমা খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলে পানি দ্বারা ইফতার শুরু করা সুন্নত।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُفْطِرُ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّيَ عَلَى رُطَبَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَتُمَيْرَاتٌ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ تُمَيْرَاتٌ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَّاءٍ
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসাসম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাগরিবের নামায আদায়ের পূর্বে কয়েকটি তাজা খেুজর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি খেজুর না থাকতো তাহলে শুকনো খেজুর বা খোরমা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি শুকনো খেজুরও না থাকতো তাহলে কয়েক কোষ বা কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ)
উল্লেখ্য যে, নূরে মুজাসাসম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে না থাকার কোনো পশ্ন থাকতে পারে না। উনি মুবারক ইচ্ছা করলে সবকিছুই উনার কাছে হাজির বা উপস্থিত হয়ে যায়। উম্মতগণ সকলের অবস্থা বা সুযোগ এক রকম হবে না। উনারা বিভিন্ন অবস্থার সম্মুখীন হতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তিনি সবই করেছেন। যাতে সকল উম্মতই উনার ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণের মধ্যে থাকে। কোনো ক্ষেত্রেই যেন ইহুদী-নাছারা ও বিধর্মীদের অনুসরণ-অনুকরণ না করে। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন তোমাদের সকলের জন্য আদর্শ।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত আছে-
وَعَنْ سُليمَانَ بْنِ عَامِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنِ اَلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ فَاِنَّه بَرَكَةٌ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنَّهُ طَهُورٌ
অর্থ: “হযরত সালমান ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন তোমরা কেউ ইফতার করো সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করে। কেননা তাতে বরকত রয়েছে। তবে যদি খেজুর না পাওয়া যায় তবে যেন পানি দ্বারা ইফতার শুরু করে। কেননা পানি হলো পবিত্রকারী।” (আহমদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, আবূ দাউদ শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, দারেমী শরীফ)

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.