আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের পরিচয় ও কারা এই দলভুক্ত ১
আসলে বর্তমান জামান ফেতনা-ফ্যাসাদের জামানা।হাদীস শরীফে বলা আছে, এমন একটা জামানা আসবে যখন ঈমান রক্ষা করো এমনই কঠিন হবে ,যেমন হাতের তালুতে জলন্ত কয়লা রাখা কঠীন তেমন।
এখন সবাই নিজেকে হক্ব দাবী করে বা করবে এটাই স্বাভাবিক।না দাবী করাটাই অস্বাভাবিক।তবে সম্মানিত কুরআন শরীফ, সুন্নাহ শরীফ,ইজমা শরীফ ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে যিনি হক্ব তিনিই আহলে সুন্নাত ওয়াল আজামাতের অন্তর্ভুক্ত।
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ,হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “ আমার বিছাল শরীফ উনার পরে আমার উম্মতেরা ৭৩ দলে বিভক্ত হবে ৭২ দল জাহান্নামে যাবে অর্থাৎ বাত্বিল ফির্কা।আর একদল জান্নাতী তথা নাজাতী হক্ব ফির্কা।সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই সম্মানিত নাজী দল কারা? নবীজী বল্লেন,যারা আমার মথে মত ও আপনাদের পথে পথ।”(আবু দাউদ ও তিরমিজি শরীফাইন)
এই হাদীস শরীফের ব্যখ্যায় মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “ সেই দল হচ্ছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত।”
এখন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত দাবী করলেই কেও সুন্নী হয় না।তার প্রথমত আক্বীদা ১০০ ভাগ সুন্নী আক্বীদা হতে হবে।আর আমল যতটূকু করবে তা ও হতে হবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার অন্তর্ভুক্ত।
নিচে সংক্ষেপে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মূল আক্বীদা দেয়া হলঃ
১।আল্লাহ পাক সম্পর্কে-
*আল্লাহ পাক নিরাকার।আল্লাহ পাক উনি কারো মুহতাজ নন।
*আল্লাহ পাক উনাকে তুলনা করা শিরক।
২।নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে-
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নূরে মুজাসসাম তথা আপাদমস্তক নূর মুবারকের তৈরী।তিনি খলক্বী নূর।জাতি নূর নন।
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোন ছায়া মুবারক ছিলো না
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আউয়ালুল খলক্ব
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাজির নাজির
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাসুম তথা নিষ্পাপ
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সবকিছু যা উনার থেকে বের হয়েছে ও প্রবেশ করেছে সব পবিত্র থেকে পবিত্রতম
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে আদম আলাইহিস সালাম পর্যন্ত উনার পূর্বপুরুষ সকলে আল্লাহওয়ালা ছিলেন।
*হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কূল-মাখলুকাতের নবী।
অর্থাত হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন।
আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম সম্পর্কিত আক্বীদা:
*আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা নবীজি পাক উনার খুশবু মুবারক
*আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মর্যাদা আল্লাহ পাক ও নবীজি উনার পরই।সুবহানাল্লাহ
*আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা ঈমান উনার মূল
*আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে পবিত্র করার মত পবিত্র করেই সৃষ্টি করা হয়েছে।
*আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা জান্নাত উনার মালিক।
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম সম্পর্কে-
*হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা মাসুম।
*হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা অহী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
*হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম সাধারণ মানুষের মত নন।
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সম্পর্কে-
*হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা প্রত্যেকে অনুসরনীয়।
*হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও নিষ্পাপ
*হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিরোধীতাকারী কাফির
*হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা ছাহাবী হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছেন। সুবহানআল্লাহ
আউলিয়া ই কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম সম্পর্কে-
*আউলিয়া ই কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা মাহফুজ
*আউলিয়া ই কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইলহাম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
*আউলিয়া ই কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনারা সমস্ত হারাম থেকে মাহফুজ।
কুরআন শরীফ সম্পর্কে-
*কুরআন শরীফ নাজিলকৃত।
*কুরআন শরীফ মাখলুক নয়।
হাদীস শরীফ সম্পর্কে-
*হাদীস শরীফ অহীয়ে গায়ের মাতলু
*হাদীস শরীফ কে জাল বলা যাবে না।
এছাড়া নিম্নোক্ত আক্বীদা পোষোণ করতে হবে-
*পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরজে আইন ও সমস্ত নেক আমল থেকে উত্তম।
*পীর ছাহেবের মুরীদ হওয়া ফরযে আইন।মুরীদ হয়ে সুলতানুল আজকারের প্রথম পর্যায় অর্থাৎ দশ লতিফার জিকির করা ফরযে আইন।
*মীলাদ-ক্বিয়াম শরীফ পালন করা ফরজে আইন।
*ছবি তোলা হারাম ও কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত
*ভিডীও করা ,টিভি দেখা হারাম।
*পর্দা করা ফরজ
*গনতন্ত্র ,লং মার্চ,ভোট, হরতাল,রাজতন্ত্র,সমাজতন্ত্র,কুশপুত্তলিকা দাহ,মৌ্লবাদ হারাম ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত
*সুদ-ঘুষ হারাম
একজন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত উনার অন্তর্ভুক্ত আল্লাহ পাক উনার অলী বা একজন হক্কানী আলিম উনার পোশাক কেমন হবে-
*মাথায় সাদা,সুতি,গোল,চার টুকরো বিশিষ্ট,মাথার সাথে লেগে থাকে এমন খাস সুন্নতি টুপি
*টুপির উপরে সাদা/কালো/সবুজ রঙের পাগড়ী থাকবে রুমাল থাকবে
*পাগড়ীর উপরে সাদা রঙের
*গায়ে গোল,কলারবিহিন,ফারাবিহিন,নেসফে সাক,কল্লিদ্বার,কাপড়ের গুটলি বিশিষ্ট কোর্তা থাকবে
*সেলাইবিহীন ফাড়া লুঙ্গি বা ইযার বা সালোয়ার থাকবে
*খয়েরী রঙের ক্রস ফিতাবিশিষ্ট সুন্নতি নালাইন বা জুতা থাকবে
*খাস সুন্নতি কাঠের প্লেট ,বাটি,পান পাত্র,নিমকদানী,চামড়ার দস্তরখান ব্যবহার করবেন
*সুন্নতী বাবরী চুল থাকবে
*মুখে খাস সুন্নতি দাড়ি থাকবে
উপরিউক্ত সংক্ষিপ্ত আলোচনা থেকে আমরা জানতে পারলাম আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ও কিছু আমল।
এখন আমরা যদি দেখি কেও অলীআল্লাহ দাবীদার হয়ে থাকে তাহলে উনার আক্বীদা ১০০ ভাগ সঠিক উপরের আক্বীদার সাথে মিল থাকবে।আর সাধারন সুন্নী মুসলমান উনার আক্বীদাও ১০০ ভাগ উপরের আক্বীদা হবে।
কীভাবে বুঝবেন কোন আলিম হক্ব আর কে না-হক্ব ?
********************¬********************¬*******
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার সম্মানিত কিতাব কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন -
وَأَحْسِنُوا ۛ إِنَّ اللَّـهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
অর্থ: "তোমরা ইহসান উনার মকাম হাছিল করো অর্থাৎ ইখলাছ অর্জন করো। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি মুহসিনীন তথা ইখলাছ অর্জনকারীদেরকে মুহাব্বত বা পছন্দ করেন।" (সম্মানিত সূরা বাক্বারা শরীফ: সম্মানিত আয়াত শরীফ ১৯৫)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﻻﺣﻮﺹ ﺑﻦ ﺣﻜﻴﻢ ﻋﻦ ﺍﺑﻴﻪ ﺳﺌﻞ ﺭﺟﻞ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺸﺮ ﻓﻘﺎﻝ ﻻﺗﺴﺌﻠﻮﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﺸﺮ ﻭﺳﻠﻮﻧﻰ ﻋﻦ ﺍﻟﺨﻴﺮ
ﻳﻘﻮﻟﻬﺎ ﺛﻼﺛﺎ ﺛﻢ ﻗﺎﻝ ﺍﻻ ﺍﻥ ﺷﺮ ﺍﻟﺸﺮ ﺷﺮﺍﺭ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﻭﺍﻥ ﺧﻴﺮ ﺍﻟﺨﻴﺮ
ﺧﻴﺎﺭ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ .
অর্থ : “হযরত আহওয়াছ ইবনে হাকীম রহমতুল্লাহি আলাইহি তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট নিকৃষ্ট লোক সম্পর্কে জানার জন্য প্রশ্ন করলেন। তখন সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আপনি আমাকে খারাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন না বরং ভাল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। তিনি উহা তিনবার বললেন। অতঃপর বললেন, সাবধান! নিশ্চয়ই নিকৃষ্টেরও নিকৃষ্ট লোক হলো উলামায়ে ‘সূ’ অর্থাৎ দুনিয়ালোভী ধর্মব্যবসায়ী আলিমগণ আর নিশ্চয়ই সৃষ্টির শ্রেষ্ট হচ্ছেন হচ্ছেন
হক্কানী-রব্বানী আলিমগণ।” (দারিমী শরীফ) উপরোক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মূলত দু’প্রকার আলিমের কথা বলা হয়েছে। যথা-
(১) হক্ব আলিম
(২) না-হক্ব আলিম।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে হক্ব আলিম আর না-হক্ব আলিমের পরিচয় কি?
হক্ব ও না হক্ব আলিম চিনার উপায়ঃ
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﻟـﺤﺴﻦ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻋﻠﻤﺎﻥ ﻓﻌﻠﻢ ﻓﻰ ﺍﻟﻘﻠﺐ ﻓﺬﺍﻙ
ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺍﻟﻨﺎﻓﻊ ﻭﻋﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﻓﺬﺍﻟﻚ ﺣﺠﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ
ﺍﺩﻡ
অর্থ : “হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত তিনি ইরশাদ করেন, ইলম দু’প্রকার।
(১) ক্বলবী ইলম (ইলমে তাছাউফ) যা উপকারী ইলম, (২) জবানী ইলম (ইলমে ফিক্বাহ) যা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য দলীল স্বরূপ।” (দারিমী শরীফ, বাইহাক্বী শরীফ, দাইলামী শরীফ, তারগীব ওয়াত তারহীব, তারীখ, আব্দুল বার, মিশকাত, মিরকাত, লুময়াত আশয়াতুল, লুময়াত, শরহুত্ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ, মুযাহিরে হক্ব) এ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যের ব্যাখ্যায় মালেকী মাযহাবের ইমাম, ইমামুর দাহ্র, ফখরুদ্দীন, শায়খুল মাশায়িখ, রহ্নুমায়ে শরীয়ত ওয়াত্ব তরীক্বত, ইমামুল আইম্মা, হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﻣﻦ ﺗﻔﻘﻪ ﻭﻟـﻢ ﻳﺘﺼﻮﻑ ﻓﻘﺪ ﺗﻔﺴﻖ ﻭﻣﻦ ﺗﺼﻮﻑ ﻭﻟـﻢ ﻳﺘﻔﻘﻪ ﻓﻘﺪ
ﺗﺰﻧﺪﻕ ﻭﻣﻦ ﺟﻤﻊ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻘﺪ ﺗـﺤﻘﻖ
অর্থ : “যে ব্যক্তি ইল্মে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো, কিন্তু ইল্মে তাছাউফ শিক্ষা করলো না, সে ব্যক্তি ফাসেকের অন্তর্ভূক্ত। আর যে তাছাউফ করে অর্থাৎ মা’রিফাত চর্চা করে অথচ ইল্মে ফিক্বাহ শিক্ষা করে না অর্থাৎ শরীয়ত মানে না বা অস্বীকার করে, সে যিন্দিক বা কাফিরের অন্তর্ভূক্ত। আর যে উভয়টাই শিক্ষা করলো, সেই মুহাক্কিক অর্থাৎ সেই আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালামগণের ওয়ারিছ বা হক্কানী আলিম।” (মিরকাত শরীফ) আর উক্ত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যের ব্যাখ্যায় হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﻭﺭﺛۃ ﺍﻻﻧﺒﯿﺎﺀ ﻋﻠﻤﻤﯿﮑﮧ ﺍﺯ ﺍﻧﺒﯿﺎﺀ ﻋﻠﯿﮩﻢ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﻭﺍﻟﺘﺴﻠﯿﻤﺎﺕ
ﺑﺎﻗﯽ ﻣﺎﻧﺪﮦ ﺍﺳﺖ ﺩﻭﻧﻮﻉ ﺍﺳﺖ ﻋﻠﻢ ﺍﺣﮑﺎﻡ ﻭﻋﻠﻢ ﺍﺳﺮﺍﺭ ﻭﻭﺭﺙ
ﮐﺴﯽ ﮨﺴﺖ ﮐﮧ ﺍﻭﺭﺍ ﮨﺮﺩﻭﻧﻮﻉ ﻋﻠﻢ ﺳﮩﺮ ﺑﻮﺩﻧﮧ ﺃﻧﮑﮧ ﺍﻭﺭﺍ ﺍﺯﯾﮏ ﻧﻮﻉ
ﻧﺼﺐ ﺑﻮﺩﻧﮧ ﺍﺯ ﻧﻮﻉ ﺩﯾﮕﺮ ﮐﮧ ﺃﻥ ﻣﻨﺎﻓﯽ ﻭﺭﺍﺛﺖ ﺍﺳﺖ ﭼﮧ ﻭﺭﺍﺛﺖ ﺭﺍ
ﺍﺯ ﺟﻤﯿﻊ ﺍﻧﻮﺍﻉ ﺗﺮﮎ ﻣﻮﺭﺙ ﻧﺼﯿﺐ ﺍﺳﺖ ﻧﮧ ﺍﺯﺑﻌﺾ ﻭﺃﻧﮑﮧ ﺍﻭﺭﺍ
ﺍﺯﻣﻌﯿﻦ ﻧﺼﯿﺐ ﺍﺳﺖ ﺩﺍﺧﻞ ﻏﺮﻣﺎ ﺍﺳﺖ ﮐﮧ ﻧﺼﯿﺐ ﺍﻭﺑﺠﻨﺲ ﺣﻖ ﺍﻭ
ﺗﻌﻠﻖ ﮔﺮﻓﺘﮧ ﺍﺳﺖ
অর্থ : “আলিমগণ আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালামগণের ওয়ারিছ, এ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আলিম উনারাই যাঁরা আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাদের রেখে যাওয়া ইল্মে আহ্কাম (ইল্মে ফিক্বাহ) ও ইল্মে আসরার (ইল্মে তাছাউফ) উভয় প্রকার ইল্মের অধিকারী। অর্থাৎ তিনিই প্রকৃত ওয়ারিছ বা স্বত্ত্বাধিকারী। আর যে ব্যক্তি শুধুমাত্র এক প্রকার ইল্মের অধিকারী, সে ব্যক্তি আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাদের প্রকৃত ওয়ারিছ নয়। কেননা পরিত্যক্ত সম্পত্তির সকলক্ষেত্রে অংশীদার হওয়াকেই ওয়ারিছ বলে। আর যে ব্যক্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোন নির্দিষ্ট অংশের অধিকারী হয় তাকে গরীম বলে। অর্থাৎ সে ওয়ারিছ নয় গরীমের অন্তর্ভূক্ত।” (মাক্তুবাত শরীফ) দ্বিতীয়তঃ ওই ব্যক্তিই হাক্বীক্বী আলিম যিনি অর্জিত ইল্ম অনুযায়ী পরিপুর্ণ আমল করেন। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ﻋﻦ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺍﻥ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻟﻜﻌﺐ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻣﻦ ﺍﺭﺑﺎﺏ ﺍﻟﻌﻠﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻌﻤﻠﻮﻥ ﺑـﻤﺎ ﻳﻌﻠﻤﻮﻥ ﻗﺎﻝ ﻓﻤﺎ
ﺍﺧﺮﺝ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻣﻦ ﻗﻠﻮﺏ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ؟ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻄﻤﻊ
অর্থ : “(আমীরুল মু’মিনীন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত কা’ব ইবনুল আহ্বার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন) আলিম বা ইল্মের অধিকারী কে? তিনি উত্তরে বললেন, যাঁরা ইল্ম অনুযায়ী আমল করেন। হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, কোন জিনিস আলিমদের অন্তর থেকে ইল্মকে বের করে দেয়? তিনি উত্তরে বললেন, লোভ অর্থাৎ দুনিয়ার সম্পদ, সম্মান ইত্যাদি হাছিলের আকাঙ্খা।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)বিশিষ্ট তাবিয়ী, আমিরুশ শরীয়ত ওয়াত্ ত্বরীক্বত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হলো আলিম কে? তিনি জবাবে বলেন,
ﺍﻧـﻤﺎ ﺍﻟﻔﻘﻴﻪ ﺍﻟﺰﺍﻫﺪ ﻓﻰ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﺍﻟﺮﺍﻏﺐ ﺍﻟﻰ ﺍﻻﺧﺮﺓ ﻭﺍﻟﺒﺼﻴﺮ ﺑﺬﻧﺒﻪ
ﻭﺍﻟـﻤﺪﺍﻭﻡ ﻋﻠﻰ ﻋﺒﺎﺩﺓ ﺭﺑﻪ ﻭﺍﻟﻮﺍﺭﻉ ﺍﻟﻜﻒ ﻋﻦ ﺍﻋﺮﺽ ﺍﻟـﻤﺴﻠﻤﻴﻦ
ﻭﺍﻟﻌﻔﻴﻒ ﻋﻦ ﺍﻣﻮﺍﻟـﻬﻢ ﻭﺍﻟﻨﺎﺻﺢ ﻟـﺠﻤﺎﻋﺘﻬﻢ
অর্থ : “ফক্বীহ বা আলিম হলেন ওই ব্যক্তি, যিনি দুনিয়া হতে বিরাগ, পরকালের প্রতি ঝুঁকে আছেন, গুণাহের প্রতি সতর্ক, সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদতে মশগুল, পরহিজগার বা সুন্নত উনার পাবন্দ, মুসলমানের মান-সম্মান নষ্ট করে না, তাদের সম্পদের প্রতি লোভ করে না এবং তাঁর অধীনস্তদেরকে নছীহত করেন।” উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মূলত হক্কানীআলিম বা সত্যিকার নায়িবে নবী তিনিই-
(১) যিনি দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়েআহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করেন,
(২) ইল্মেফিক্বাহ অর্জন করার সাথে সাথে একজন হক্কানী শায়খ বা মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াতহয়ে ইল্মে তাছাউফ চর্চা করতঃ অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহভীতি বা তাক্বওয়াঅর্জন করেছেন,
(৩) অর্জিত ইলম অনুযায়ী পরিপূর্ণ আমল করেন,
(৪) সুন্নত উনার পূর্ণ পায়রবী করেন,
(৫) হারাম-নাজায়িয ওশরীয়তবিরোধী কাজে লিপ্ত হন না।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে উনারাই হক্কানী আলিম বা নায়িবে নবী।(ইনশাআল্লাহ চলবে)
এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ﻋﻦ ﺍﻟـﺤﺴﻦ ﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻋﻠﻤﺎﻥ ﻓﻌﻠﻢ ﻓﻰ ﺍﻟﻘﻠﺐ ﻓﺬﺍﻙ
ﺍﻟﻌﻠﻢ ﺍﻟﻨﺎﻓﻊ ﻭﻋﻠﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻠﺴﺎﻥ ﻓﺬﺍﻟﻚ ﺣﺠﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻋﻠﻰ ﺍﺑﻦ
ﺍﺩﻡ
অর্থ : “হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত তিনি ইরশাদ করেন, ইলম দু’প্রকার।
(১) ক্বলবী ইলম (ইলমে তাছাউফ) যা উপকারী ইলম, (২) জবানী ইলম (ইলমে ফিক্বাহ) যা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে বান্দার জন্য দলীল স্বরূপ।” (দারিমী শরীফ, বাইহাক্বী শরীফ, দাইলামী শরীফ, তারগীব ওয়াত তারহীব, তারীখ, আব্দুল বার, মিশকাত, মিরকাত, লুময়াত আশয়াতুল, লুময়াত, শরহুত্ত্বীবী, তা’লীকুছ ছবীহ, মুযাহিরে হক্ব) এ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যের ব্যাখ্যায় মালেকী মাযহাবের ইমাম, ইমামুর দাহ্র, ফখরুদ্দীন, শায়খুল মাশায়িখ, রহ্নুমায়ে শরীয়ত ওয়াত্ব তরীক্বত, ইমামুল আইম্মা, হযরত ইমাম মালেক রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﻣﻦ ﺗﻔﻘﻪ ﻭﻟـﻢ ﻳﺘﺼﻮﻑ ﻓﻘﺪ ﺗﻔﺴﻖ ﻭﻣﻦ ﺗﺼﻮﻑ ﻭﻟـﻢ ﻳﺘﻔﻘﻪ ﻓﻘﺪ
ﺗﺰﻧﺪﻕ ﻭﻣﻦ ﺟﻤﻊ ﺑﻴﻨﻬﻤﺎ ﻓﻘﺪ ﺗـﺤﻘﻖ
অর্থ : “যে ব্যক্তি ইল্মে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো, কিন্তু ইল্মে তাছাউফ শিক্ষা করলো না, সে ব্যক্তি ফাসেকের অন্তর্ভূক্ত। আর যে তাছাউফ করে অর্থাৎ মা’রিফাত চর্চা করে অথচ ইল্মে ফিক্বাহ শিক্ষা করে না অর্থাৎ শরীয়ত মানে না বা অস্বীকার করে, সে যিন্দিক বা কাফিরের অন্তর্ভূক্ত। আর যে উভয়টাই শিক্ষা করলো, সেই মুহাক্কিক অর্থাৎ সেই আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালামগণের ওয়ারিছ বা হক্কানী আলিম।” (মিরকাত শরীফ) আর উক্ত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যের ব্যাখ্যায় হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ ﻭﺭﺛۃ ﺍﻻﻧﺒﯿﺎﺀ ﻋﻠﻤﻤﯿﮑﮧ ﺍﺯ ﺍﻧﺒﯿﺎﺀ ﻋﻠﯿﮩﻢ ﺍﻟﺼﻠﻮﺍﺕ ﻭﺍﻟﺘﺴﻠﯿﻤﺎﺕ
ﺑﺎﻗﯽ ﻣﺎﻧﺪﮦ ﺍﺳﺖ ﺩﻭﻧﻮﻉ ﺍﺳﺖ ﻋﻠﻢ ﺍﺣﮑﺎﻡ ﻭﻋﻠﻢ ﺍﺳﺮﺍﺭ ﻭﻭﺭﺙ
ﮐﺴﯽ ﮨﺴﺖ ﮐﮧ ﺍﻭﺭﺍ ﮨﺮﺩﻭﻧﻮﻉ ﻋﻠﻢ ﺳﮩﺮ ﺑﻮﺩﻧﮧ ﺃﻧﮑﮧ ﺍﻭﺭﺍ ﺍﺯﯾﮏ ﻧﻮﻉ
ﻧﺼﺐ ﺑﻮﺩﻧﮧ ﺍﺯ ﻧﻮﻉ ﺩﯾﮕﺮ ﮐﮧ ﺃﻥ ﻣﻨﺎﻓﯽ ﻭﺭﺍﺛﺖ ﺍﺳﺖ ﭼﮧ ﻭﺭﺍﺛﺖ ﺭﺍ
ﺍﺯ ﺟﻤﯿﻊ ﺍﻧﻮﺍﻉ ﺗﺮﮎ ﻣﻮﺭﺙ ﻧﺼﯿﺐ ﺍﺳﺖ ﻧﮧ ﺍﺯﺑﻌﺾ ﻭﺃﻧﮑﮧ ﺍﻭﺭﺍ
ﺍﺯﻣﻌﯿﻦ ﻧﺼﯿﺐ ﺍﺳﺖ ﺩﺍﺧﻞ ﻏﺮﻣﺎ ﺍﺳﺖ ﮐﮧ ﻧﺼﯿﺐ ﺍﻭﺑﺠﻨﺲ ﺣﻖ ﺍﻭ
ﺗﻌﻠﻖ ﮔﺮﻓﺘﮧ ﺍﺳﺖ
অর্থ : “আলিমগণ আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালামগণের ওয়ারিছ, এ হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আলিম উনারাই যাঁরা আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাদের রেখে যাওয়া ইল্মে আহ্কাম (ইল্মে ফিক্বাহ) ও ইল্মে আসরার (ইল্মে তাছাউফ) উভয় প্রকার ইল্মের অধিকারী। অর্থাৎ তিনিই প্রকৃত ওয়ারিছ বা স্বত্ত্বাধিকারী। আর যে ব্যক্তি শুধুমাত্র এক প্রকার ইল্মের অধিকারী, সে ব্যক্তি আম্বিয়া আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম উনাদের প্রকৃত ওয়ারিছ নয়। কেননা পরিত্যক্ত সম্পত্তির সকলক্ষেত্রে অংশীদার হওয়াকেই ওয়ারিছ বলে। আর যে ব্যক্তি পরিত্যক্ত সম্পত্তির কোন নির্দিষ্ট অংশের অধিকারী হয় তাকে গরীম বলে। অর্থাৎ সে ওয়ারিছ নয় গরীমের অন্তর্ভূক্ত।” (মাক্তুবাত শরীফ) দ্বিতীয়তঃ ওই ব্যক্তিই হাক্বীক্বী আলিম যিনি অর্জিত ইল্ম অনুযায়ী পরিপুর্ণ আমল করেন। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
ﻋﻦ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﺍﻥ ﻋﻤﺮ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻟﻜﻌﺐ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ
ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻨﻪ ﻣﻦ ﺍﺭﺑﺎﺏ ﺍﻟﻌﻠﻢ؟ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﻳﻌﻤﻠﻮﻥ ﺑـﻤﺎ ﻳﻌﻠﻤﻮﻥ ﻗﺎﻝ ﻓﻤﺎ
ﺍﺧﺮﺝ ﺍﻟﻌﻠﻢ ﻣﻦ ﻗﻠﻮﺏ ﺍﻟﻌﻠﻤﺎﺀ؟ ﻗﺎﻝ ﺍﻟﻄﻤﻊ
অর্থ : “(আমীরুল মু’মিনীন, হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি হযরত কা’ব ইবনুল আহ্বার রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জিজ্ঞাসা করলেন) আলিম বা ইল্মের অধিকারী কে? তিনি উত্তরে বললেন, যাঁরা ইল্ম অনুযায়ী আমল করেন। হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, কোন জিনিস আলিমদের অন্তর থেকে ইল্মকে বের করে দেয়? তিনি উত্তরে বললেন, লোভ অর্থাৎ দুনিয়ার সম্পদ, সম্মান ইত্যাদি হাছিলের আকাঙ্খা।” (দারিমী শরীফ, মিশকাত শরীফ, মিরকাত শরীফ)বিশিষ্ট তাবিয়ী, আমিরুশ শরীয়ত ওয়াত্ ত্বরীক্বত ইমাম হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহিকে জিজ্ঞাসা করা হলো আলিম কে? তিনি জবাবে বলেন,
ﺍﻧـﻤﺎ ﺍﻟﻔﻘﻴﻪ ﺍﻟﺰﺍﻫﺪ ﻓﻰ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﺍﻟﺮﺍﻏﺐ ﺍﻟﻰ ﺍﻻﺧﺮﺓ ﻭﺍﻟﺒﺼﻴﺮ ﺑﺬﻧﺒﻪ
ﻭﺍﻟـﻤﺪﺍﻭﻡ ﻋﻠﻰ ﻋﺒﺎﺩﺓ ﺭﺑﻪ ﻭﺍﻟﻮﺍﺭﻉ ﺍﻟﻜﻒ ﻋﻦ ﺍﻋﺮﺽ ﺍﻟـﻤﺴﻠﻤﻴﻦ
ﻭﺍﻟﻌﻔﻴﻒ ﻋﻦ ﺍﻣﻮﺍﻟـﻬﻢ ﻭﺍﻟﻨﺎﺻﺢ ﻟـﺠﻤﺎﻋﺘﻬﻢ
অর্থ : “ফক্বীহ বা আলিম হলেন ওই ব্যক্তি, যিনি দুনিয়া হতে বিরাগ, পরকালের প্রতি ঝুঁকে আছেন, গুণাহের প্রতি সতর্ক, সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদতে মশগুল, পরহিজগার বা সুন্নত উনার পাবন্দ, মুসলমানের মান-সম্মান নষ্ট করে না, তাদের সম্পদের প্রতি লোভ করে না এবং তাঁর অধীনস্তদেরকে নছীহত করেন।” উপরোক্ত দলীল ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, মূলত হক্কানীআলিম বা সত্যিকার নায়িবে নবী তিনিই-
(১) যিনি দ্বীন ইসলাম উনার প্রতিটি বিষয়েআহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করেন,
(২) ইল্মেফিক্বাহ অর্জন করার সাথে সাথে একজন হক্কানী শায়খ বা মুর্শিদ উনার নিকট বাইয়াতহয়ে ইল্মে তাছাউফ চর্চা করতঃ অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহভীতি বা তাক্বওয়াঅর্জন করেছেন,
(৩) অর্জিত ইলম অনুযায়ী পরিপূর্ণ আমল করেন,
(৪) সুন্নত উনার পূর্ণ পায়রবী করেন,
(৫) হারাম-নাজায়িয ওশরীয়তবিরোধী কাজে লিপ্ত হন না।
পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে উনারাই হক্কানী আলিম বা নায়িবে নবী।(ইনশাআল্লাহ চলবে)
No comments