যামানার মুজাদ্দিদ তথা মুজাদ্দিদ যামান উনাকে চেনা ও জানা ফরয
মহান
আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যুগে যুগে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম
উনাদেরকে পাঠিয়েছেন। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ধারাবাহিকতা
বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরামগণ এবং
ওলীআল্লাহগণ অর্থাৎ মুজাদ্দিদগণ উনাদের যুগ। ধারাবাহিকভাবে মহান আল্লাহ পাক
প্রত্যেক হিজরী শতকের শুরুতেই একজন করে মুজাদ্দিদ পাঠিয়েছেন, পাঠাবেন,
পাঠাচ্ছেন। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রত্যেক যামানার শুরুতেই উম্মতের জন্য
মুজাদ্দিদ পাঠান। যিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে তাজদীদ করেন।”
অর্থাৎ
যিনি মুজাদ্দিদ হবেন তিনি উনার যুগের সমস্ত উম্মতদেরকে মহান আল্লাহ পাক
উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পথে ডাকেন। এবং উম্মতের মাঝে হাদী হিসেবে এসে
উম্মতদেরকে হিদায়েত করবেন। সুতরাং এখন আমাদের সকলকে ‘মুজাদ্দিদ আ’যম’ উনাকে
চিনতে হবে। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে
ব্যক্তি তার যামানার মুজাদ্দিদ উনাকে চিনলো না সে জাহিলিয়াতের ন্যায়
মৃত্যুবরণ করবে।” (পবিত্র মুসলিম শরীফ)
অতএব, আমাদের সকলের উচিত
যামানার মুজাদ্দিদ উনাকে চেনা। উনাকে চিনে উনার ক্বদমে এসে উনার হাত
মুবারকে বাইয়াত গ্রহণ করে শয়তান এবং তার বিভ্রান্তিকর পথ থেকে ফিরে এসে
পবিত্র দ্বীন-ইসলাম উনার পথে দাখিল হওয়া।
আর মহান আল্লাহ পাক
তিনি যেহেতু প্রত্যেক যামানাতেই একজন করে মুজাদ্দিদ পাঠিয়েছেন, সেহেতু এই
যামানাতেও একজন মুজাদ্দিদ অবশ্যই পাঠিয়েছেন। আর বর্তমান যামানার যিনি
মুজাদ্দিদ তিনিই হচ্ছেন মুজাদ্দিদে আ’যম, গাউসুল আ’যম, আওলাদে রসূল,
সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবল আলাইহিস
সালাম তিনি।
অতএব, আমাদের সকলকে অবশ্যই উনার ক্বদম মুবারকে এসে
উনার হাত মুবারকে বাইয়াত গ্রহণ করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার পথে দাখিল হতে
হবে। মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরকে সেই তাওফীক দান করেন। আমীন!
No comments