নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার ছায়া মুবারক না থাকার কারনই হচ্ছেন তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম এ সংক্রান্ত হাদীছ শরীফ উনার সনদ তথা বর্ননাকারীদের প্রতি বাত্বিল ফির্কা ওহাবী দেওবন্দীদের মিথ্যা অভিযোগের জাওয়াব
প্রকাশ থাকে যে ,ইমামুল মুহাদ্দিছীন আল্লামা জালালুদ্দীন সূযূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনিও উনার "খাছায়িছুল
কুবরা "নামক কিতাবে উক্ত হাদীছ শরীফখানা উল্লেখ করে এ মতের সমর্থন করেন। অথচ বাতিল ফিরকা ওহাবী দেওবন্দীরা উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
বিরোধীতা করে থাকে,
এ বর্ণনাটি জাল ও ভিত্তিহীন। নাউযুবিল্লাহ!
তারা বলে ,এই হাদীছ শরীফ উনার সূত্রে রয়েছেন আব্দুর রহমান বিন কাইছ যাফরানী ,যার সম্পর্কে মুহাদ্দিছীনে কিরাম উনাদের কঠোর মন্তব্য রয়েছে। এছাড়া তারা বলে থাকে উক্ত রাবী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি,ইমাম নাসায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রমুখ প্রখ্যাত ইমাম উনাদের কঠোর উক্তি রয়েছ... ইত্যাদি।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেই উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদ ছহীহ নয় , তারপরও উছুল অনুযায়ী পবিত্র হাদীছ শরীফখানা ছহীহ। কারণ কোন পবিত্র হাদীছ যদি সনদগতভাবে ছহীহ নাও হয় , কিন্তু উলামায়ে কিরামগন যদি গ্রহন করেন তবে ছহীহ বলে সাব্যস্ত হবে । এ বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিখ্যাত আলিমে দ্বীন হযরত খতীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি কয়েকটা পবিত্র হাদীস শরীফ উল্লেখ করেন যা সনদগতভাবে দুর্বল কিন্তু সকল আলিম এই পবিত্র হাদীস শরীফ গুলো আমল করে আসছেন । আর তিনি তাই বলেন , , , ,
لما احتجوا به جميعا غنوا عن صلب الا سناد له
অর্থঃ আমলের মাধ্যমে যুগযুগ ধরে এগুলো ছহীহ হিসেবে অনুসরণ করে একথার প্রমাণ করেছেন যে , এগুলোর সনদ তালাশ করার প্রয়োজন নেই । (আল ফক্বীহ ওয়াল মুতাফাককিহ ১\৪৭১, ইবনুল কাইয়্যিম এর ই'লামু মুওয়াকুকঈন ১\৪৭১)
বিখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত জালালুদ্দীন সূয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি এ বিষয়ে বলেন –
حيكم للحديث با لصحة اذا تلقاه الناس با لقبو ل
وان لم يكن له اسناد صحيح
অর্থঃ কোন হাদীছ শরীফ উনার পবিত্র ছহীহ সনদ না পাওয়া গেলেও যদি সকলের আমলের মাধ্যমে হাদীছ শরীফ উনারে বক্তব্য অনুসৃত হয় তাহলে সে হাদীছ শরীফখানা সহীহ বলে গন্য হবে। (তাদরীবুর রাবী ১/৬৬)
হাফীজুল হাদীছ,বুখারী শরীফ উনার অন্যতম ব্যাখাকারক হযরত ইবনে হাজার আসক্বালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন , "যে বৈশিষ্ট্যের কারণে হাদীছ শরীফ গ্রহনযোগ্য বলে বিবেচিত হয় তার মধ্যে একটি হলো কোন হাদীছ শরীফেরে বক্তব্য অনুযায়ী আমল করার ব্যাপারে সকল আলিম। ঐকবদ্ধ হওয়া। তাহলে সে হাদীছ শরীফটি গ্রহনযোগ্য ও তার বক্তব্য অনুযায়ী আমল করা আবশ্যক হয়ে পড়ে । উছূলে হাদীছ শরীফ উনার অনেক ইমাম এই নীতি সুস্পষ্ট বণর্না করেন । এর একটি উদাহারণ হচ্ছে হযরেত ইমাম শায়িয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বক্তব্য , "কোন পানির যদি স্বাদ ,গন্ধ, রং পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে তা ব্যবহার যোগ্য নয়। '' এ পবিত্র হাদীছ শরীফখানা উনারে সনদ কে যদিও হাদীছ,শরীফ বিশারদগন ছহীহ মনে করেন না , তথাপি এটাই সকলের বক্তব্য ,এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই। "ওয়ারিছদের জন্য অছিয়ত প্রযোজ্য নয় " এ পবিত্র হাদীছ শরীফ খানাও উলামায়ে কিরামগন (সনদগতভাবে) প্রমাণিত মনে করেন না , কিন্তু সকলের আমলের মাধ্যমে এটি অনুসৃত হয়েছে ।(তাউযীহুল আফকার ১/২৫৭, সহীহ ইবনে খুযায়মা :হাদীছ শরীফ ১৬৪৩)
সুতরাং বাহ্যিকভাবে যদিও কোন হাদীছ শরীফ উনার সনদ ছহীহ বলে মনে না হলেও যদি সে হাদীছ শরীফখানা উলামায়ে কিরামগন গ্রহন করেন ,তাহলে উক্ত হাদীছ শরীফখানা ছহীহ হয়ে যায় ।হযরত হাকীম তিরমীযী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাদীছ শরীফখানাও তেমনি একটি হাদীছ শরীফ। উক্ত হাদীছ শরীফখানা সকল মুহাদ্দিছগন গ্রহন করেছেন এবং স্ব স্ব কিতাবে বর্ণনা করেছেন।
এখানে মূল বিষয় হচ্ছে কোন ইমাম হাদীছ শরীফ উনার একজন রাবী সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন অর্থাৎ সনদ নিয়ে কথা বলছেন কিন্তু মতন নিয়ে কারো কোন আপত্তি নাই ।এই হাদীছ শরীফ উনার মতন নিয়ে কেউ আপত্তি করছেন এমন দলীল কেউ কেয়ামত পর্যন্ত দেখাতে পারবেন না । আর উক্ত হাদীছ শরীফ উনার ব্যাপারে কেউ কোন বিরুপ মন্তব্যও করেন নি । বরং সকল ও মুহাদ্দীছগন একমত হয়েছেন হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার কোন ছায়া ছিলনা।আর শুধু এই একটা সনদই নয় , আরো অনেক সনদ এই পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে।
ছহীহ সনদে হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার ছায়া মুবারক ছিলোনা। যা ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও ইমাম মুসলিম রহতুল্লাহি আলাইহি উনাদের দাদা উস্তাদ হাফিজে হাদীছ ইমাম আব্দির রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি , মুসনাদে আব্দির রাজ্জাক কিতাবের মধ্যে হাদীছ শরীফখানা বর্ণনা করেছেন-
عن عبد الرزاق رحمة الله عليه عن ابن جريج رحمةالله عليه قال اخبرني حضرت نافع رحمة الله عليه ان حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه قال لم بكن لرسول الله صلى الله عليه و سلم ظل و لم يقع مع الشمس قط الا غلب ضوءه ضوء الشمس و لم يقع مع سر اج قط الا غلب ضوءه ضوء السراج
অর্থঃ "হযরেত আব্দির রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলিাইহি তিনি হযরত জুরাইজ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে ,
তিনি হযরত না'ফে রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে ,
তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন , হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কোনো ছায়া মুবারক ছিলোনা এবং সূর্যের আলোতে কখনও উনার ছায়া মুবারক পড়তোনা । সুবহানাল্লাহ! আর বাতির আলোতেও কখনো ছায়া মুবারক পড়তোনা। কেননা উনার নূর মুবারক বাতির আলোকে ছাড়িয়ে যেত ।" (আয যুযউল মাফক্বুদ মিনাল যুযউল আউয়াল ,
মুছন্নাফে আব্দির রাজ্জাক ,কিতাবুল ঈমান অধ্যায়ের ১ম খন্ড ৫৬ পৃষ্ঠার ৪ নম্বর হাদীছ শরীফ,
জামিউল ওয়াসিল ফি শরহে শামায়েল লি মোল্লা ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ২১৭ পৃষ্ঠা, আল মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া আলা শামায়িলে মুহম্মদিয়া ১০৫ পৃষ্ঠা )
উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত সকল রাবী ছিকাহ বা নির্ভরযোগ্য । হযরত ইমাম আব্দুর রাজ্জাক রহমতুল্লাহি আলাইহি , হযরত না'ফে রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা প্রত্যেকে ছিলেন উচুঁ স্তরের ছিকাহ রাবী । (তাহযীবুত তাহযীব ,মিযানুল ই'তিদাল)
আর মূল বর্ণনাকারী ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ছিলেন বিশিষ্ট ছাহাবী। এ হাদীছ শরীফ বিখ্যাত মুহাদ্দিছ মুল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি ,হাফিজে হাদীছ হযরত ইমাস যাওজী রহমতুল্লাহি আলাইহি, ইমাম যুরকানী রহমতুল্লাহি আলাইহি সব স্ব স্ব কিতাবে উল্লেখ করেছেন।এই হাদীছ শরীফ থেকে যে বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে তা হলো হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার ছায়া মুবারক ছিলো না।এই ছহীহ হাদিস শরীফ উনাকে গ্রহন করে নিয়েছেন পৃথিবীর সকল ইমাম ও মুহাদ্দিছগন ।পৃথিবীর কোনো ইমাম ও মুহাদ্দিছগন , এই হাদীছ শরীফ উনার ব্যাপারে কোন আপত্তি করেন নি । বরং বিনা দ্বিধায় উক্ত হাদীছ শরীফ গ্রহন করে নিয়েছেন এবং এই আক্বীদাই পোষণ করছেন।
এছাড়া অসংখ্য মুহাদ্দিছগন স্ব স্ব কিতাবে বর্ণনাও করেছেন। হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারকের ছায়া মুবারক না থাকার কারণে তিনি ছিলেন নূরে মুজাস্সাম । সবহানাল্লাহ ! যে বিষয়টা সকল ইমাম ও মুহাদ্দিছগন একমত হয়েছেন । কেউই দ্বিমত পোষণ করেন নি।
এমনকি দেওবন্দী কওমীরা যে ছায়া মুবারক ছিলো বলে মিথ্যা অপবাদ দেয় তাতের মুরুব্বীরাও একবাক্যে বলে গেছেন ,হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছায়া মুবারক ছিলোনা ।
ওহাবী দেওবন্দীরা ছায়া মুবারক ছিলো বলে যে পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করে তা কি উপরোক্ত ইমাম ,মুহাদ্দিছগন উনাওদর জানা ছিল না ? অবশ্যই জানা ছিল। শুধু জানাই ছিলো না উনানা এক একজন ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীছ ও হাফিজে হাদীছ অনেকে হুজ্জাত ও ছিলেন। সুবহানাল্লাহ ! বিরোধীতা কারীরা যেন উছূলে হাদীছ শরীফ উনার কিতাব খুলে মুহাদ্দিছ ,হাফিজে হাদীছ ও হুজ্জাতের সংজ্ঞাপিগে নেয়। কিন্তু যেহেতু ঐ সকল হাদীছ শরীফ দ্বারা ছায়া মুবারক থাকা প্রমাণিত হয়না বরং ঐ হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখা মূলক অর্থ নিতে হবে এ বিষয়ে উনারা পূর্ণ অবগত ছিলেন। তাই উনারা একবাক্যে উল্লেখ করেছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার ছায়া মুবারক ছিলোনা।
ওহাবী দেওবন্দীরা ছায়া মুবারক ছিলো বলে যে পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করে তা কি উপরোক্ত ইমাম ,মুহাদ্দিছগন উনাওদর জানা ছিল না ? অবশ্যই জানা ছিল। শুধু জানাই ছিলো না উনানা এক একজন ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীছ ও হাফিজে হাদীছ অনেকে হুজ্জাত ও ছিলেন। সুবহানাল্লাহ ! বিরোধীতা কারীরা যেন উছূলে হাদীছ শরীফ উনার কিতাব খুলে মুহাদ্দিছ ,হাফিজে হাদীছ ও হুজ্জাতের সংজ্ঞাপিগে নেয়। কিন্তু যেহেতু ঐ সকল হাদীছ শরীফ দ্বারা ছায়া মুবারক থাকা প্রমাণিত হয়না বরং ঐ হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখা মূলক অর্থ নিতে হবে এ বিষয়ে উনারা পূর্ণ অবগত ছিলেন। তাই উনারা একবাক্যে উল্লেখ করেছেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার ছায়া মুবারক ছিলোনা।
নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জিসিম মুবারক উনার ছায়া মুবারক থাকার মিথ্যা দাবীর স্বপক্ষে বাতিল ফিরক্বা ওহাবী দেওবন্দীদের লিখিত বিভ্রান্তিকর 'প্রচলিত জাল হাদীছ নামক' বইতে মুস্তাদরেকে হাকিম কিতাবের ৫ম খন্ড ৬৪৮ পৃষ্ঠার ৮৪৫৬ নম্বর হাদীছ শরীফ এবং মুসনাদে আহমদ শরীফের ৭ম খন্ডের ৪৭৪ পৃষ্ঠার ২৬৩২৫ নম্বর হাদীছ শরীফ দুটির ভুল ব্যাখা খন্ডনঃ
নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
অর্থঃ
"আখিরী যামানায় বহু সংখ্যক মিথ্যাবদী দাজ্জাল বের হবে। তারা তোমাদের নিকট এমন সব(মিথ্য, মনগড়া, বিভ্রান্তিকর) কথা উপস্থাপন করবে ,যা তোমরা শুননি এবং তোমাদের বাপ দাদারাও শোনেননি । সাবধান! তোমরা তাদের কাছ থেকে দূরে থাকো এবং তাদেরকে তোমাদের খেকে দূরে রাখো । তাহলে তারা তোমাদেরকে গুমরাহ করতে পারবেনা এবং ফিতনায় ফেলতে;পারবেনা।" (মুসলিম শরীফ ,মিশকাত শরীফ কিতাবুল ঈমান বাবুল ই'তিছাম বিল কিতাবি ওয়াস সুন্নাহ-১ম পরিচ্ছেদ হাদীছ শরীফ নং ১৪৬)
আমরা এখন আখেরী যামানায় বাস করছি ।এই সময়ে উলায়ে ছূ রা এমন কথা বলছে যা মানুষদের ঈমান আক্বীদার জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ ।সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার জন্য ,কুরআন শরীফ ,হাদীছ শরীফ উনার ভুল ব্যখা করছে।
আমরা এখন আখেরী যামানায় বাস করছি ।এই সময়ে উলায়ে ছূ রা এমন কথা বলছে যা মানুষদের ঈমান আক্বীদার জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ ।সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার জন্য ,কুরআন শরীফ ,হাদীছ শরীফ উনার ভুল ব্যখা করছে।
এই ধর্মব্যবসায়ীরা নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারক কিভাবে ইহানত করা যায় সেই ফিকিরেই থাকে। নাউযুবিল্লাহ ! তারা তাদের পুস্তক, পত্রিকার মধ্যে একটা কথা বলে ," নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাস্সাম নন তাই উনার ছায়া মুবারক ছিলো। "নাউযুবিল্লাহ ! নাউযুবিল্লাহ ! নাউযুবিল্লাহ! তাতের এই ভ্রান্ত দাবির পক্ষে তারা কিছু দলীল ও দিয়ে থাকে।
দুটা হাদীছ শরীফ উপস্থাপন করে তারা বলে যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নূরে মুজাস্সাম নন তাই উনার ছায়া মুবারক ছিলো। নাউযুবিল্লাহ !
No comments