Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

রেজাখানী দাওয়াতে ইসলাম ছদ্মবেশী সন্ত্রাসী সংগঠন


আল কায়েদা, হিযবুত তাহরীরের মত রেজাখানীদের তথাকথিত “দাওয়াতে ইসলাম” ছদ্মবেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে যাচ্ছে। এই রেজাখানী সংগঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশে অদূর ভবিষ্যতে কি ঘটতে যাচ্ছে এখনি চিন্তা করে দেখা দরকার !!!
বাংলাদেশে রেজাখানিদের একটি সংগঠনের নাম দাওয়াতে ইসলামী। এ সংগঠনটি ঢাকাস্থ মাদারটেক, মুহম্মদপুর, সায়দাবাদসহ কয়েকটি এলাকায় মসজিদে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সংগঠনটি চেনার উপায় সাদা পাঞ্জাবি, মাথায় সবুজ পাগড়ি ও গলায় খয়েরী চাদর দেখে। তারা দাবি করে, তাদের সংগঠনের মূল ইয়িলাস আত্তার কাদেরী নামক এক পাকিস্তানী লোক (এ লোকটিমাদানী টিভি’ নামে একটি টিভি চালিয়ে থাকে) । অনেক আগে কার্যক্রম শুরু করলেও গত বছর তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে (http://goo.gl/4NB9e4)
অর্থাৎ, বাংলাদেশে সংগঠনটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, কিন্তু তা পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান থেকে। এখন আমার কথা হচ্ছে, দাওয়াতে ইসলামী সংগঠনটির মূলরা পাকিস্তানে বসে কি করছে সেটা কিন্তু আমাদের জানা উচিত। এখানে জেনে রাখা প্রয়োজন, দাওয়াতে ইসলামী নামক সংগঠনটি একটি তাবলীগ জামাতের কপিপেস্ট সংগঠন। উপর দিয়ে তারা দুনিয়ার ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানে না। তাদের প্রকাশ্য কার্যক্রম: দাওয়াত দেয়া, বিভিন্ন মসজিদে অবস্থান করা, চিল্লা দেয়া (তারা চিল্লা বলে না, বলে ইস্তেমা), মসজিদে বেলায় বেলায় ‘ফয়জানে সুন্নত’ নামক বই পড়া ইত্যাদি। এগুলোর মাধ্যমে মাদানী টিভি পরিচালনাকারী ইলিয়াস কাদেরীর মূল টার্গেট যে লোক রিক্রুট করা সেটা খুব ভালোভাবে বুঝা যায়। (http://goo.gl/TvvkXK)
কিন্তু লোক রিক্রুট করে পরবর্তী উদ্দেশ্য কি ?? আপনাদের জেনে রাখা প্রয়োজন পাকিস্তানে বেরেলভী দলগুলো মধ্যে সবচেয়ে উগ্র সংগঠন ‘সুন্নী তেহরিক’র নামক দলটির আবির্ভাব ঘটেছিলো দাওয়াতী ইসলামী নামক এ সংগঠনটির পেট থেকেই। মানে ইলিয়াস আত্তার কাদেরী মুরীদ সেলিম কাদেরী মাধ্যমে দাওয়াতই ইসলামী কর্মীদের নিয়েই সৃষ্টি করেছিলো এ সংগঠনটি। দুটো আলাদা সংগঠন ও বেশভুষা আলাদা হয়ে গেলেও তাদের ভেতর রয়েছে পুরোপুরি অন্ত:যোগাযোগ। (সূত্র: https://lubpak.com/archives/239329)
এখানে একটি জিনিস অনুধাবন করা প্রয়োজন, পাকিস্তানে সুন্নী তেহরিক (http://goo.gl/4E72i7) নামক উগ্র রেজাখানি সংগঠনটি যে কারণেই সৃষ্টি হোক, যেহেতু বাংলাদেশে দাওয়াতে ইসলামী নামক তাদের গুরু সংগঠনের কার্যক্রম আছে তাই আমাদের দেশের বাস্তবতা বিবেচনা করেই উক্ত সংগঠনটির দিকে খেয়াল রাখার দরকার। কারণ:
১) সম্রাজ্যবাদীরা কৌশলে পাকিস্তানে বিভিন্ন ধর্ম নির্ভর দলগুলোর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত তৈরী করেছে, উদ্দেশ্য পুরো পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করে রাখা। মুসলমানরাই নিজেরা নিজেদের বোমা মেরে পরষ্পরকে মেরে ফেলছে। কিন্তু আমরা চাই না, বাংলাদেশেও পাকিস্তানের মত পরিবেশ তৈরীর সুযোগ দেয়া হোক।
২) দাওয়াতে ইসলামী সরাসরি পরিচালিত হয় পাকিস্তান থেকে। পাকিস্তানে কেন্দ্র থেকে কোন উপায়ে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে তা যাচাই করার দরকার আছে।
৩) দেশী সংগঠনগুলো যাই করুক, তারা সবাই বাংলাদেশী। দেশে নাগরীকদের সবকিছু করাও সম্ভব নয়। কিন্তু যখন কোন সংগঠন পাকিস্তান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়, যাদের প্রচুর সরবরাহকারী ফান্ড (টিভি চ্যানেল চালাতে কত খরচ হয় সেটা সবার জানা) রয়েছে, সেক্ষেত্রে দেশ পাড়ি দিয়ে কার্যক্রম সন্দেহের সৃষ্টি করে। কারণ দুইদিন পর লোকবল বাড়লে তারাও যে সুন্নী তেহরীকের বাংলাদেশ শাখা খুলবে না তার গ্যারান্টি কি ??
তাই দাওয়াতে ইসলামী নামক সংগঠনটি কার্যক্রমের দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী’র দৃষ্টি দেয়া জরুরী বলেই মনে করি।


No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.