Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সাইয়্যিদুল জিননি ওয়াল ইনস, ইমামুল আউয়ালীন ওয়াল আখিরীন, খতীবুল আম্বিয়া হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন নবী


ولاتقولوا لمن يقت فى سبي الله اموات بل احياء ولكن لا تشعرون.
অথ: “যারা আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় শহীদ হয়েছেন তোমরা তাদেরকে মৃত বলোনা। বরং তারা জীবিত। অথচ তোমরা তা উপলব্ধি করতে পারছো না।” (সূরা বাক্বারা/১৫৪)
অর্থাৎ যারা মহান আল্লাহ্ পাক-এর মতে ও পথে থাকতে গিয়ে তথা দ্বীন ইসলাম বিজয়ের লক্ষ্যে মহান আল্লাহ্ পাক-এর  সন্তুষ্টির জন্য জীবন দিয়েছেন বা শহীদ হয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ্ পাকই তাঁদেরকে  احياء বা জীবিত বলেছেন।     আর ওলীআল্লাহ্ গণের শানেও বলা হয়েছে,
ان اولياء الله لايموتون بل ينتقلون من دار الفناء الى دار البقاء.
অর্থঃ- “ওলী আল্লাহ্গণ মৃত্যুবরণ করেন না বরং তাঁরা অস্থায়ী জগত থেকে স্থায়ী জগতের দিকে প্রত্যাবর্তন করেন।” (মিরকাত ৩য় খন্ড, ২৪১ পৃষ্ঠা) এছাড়াও আমভাবে সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণও স্বীয় রওজা মুবারকে জীবিত রয়েছেন। যেমন, কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
انه رأى موسى عليه السلام قائما يصلى فى قبره وكذا لك ابراهيم عليه السلام.
অর্থঃ- “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লৗাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মূসা আলাইহিস্ সালামকে তাঁর রওজা মুবারকে নামাযরত অবস্থায় দাঁড়ানো দেখেছেন। অনুরূপভাবে হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালামকেও দেখেছেন।” (মিরকাত ৩য় জিঃ ২৪১ পৃষ্ঠা) এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে,
عن انس رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم الانبياء عليهم السلام احياء فى قبورهم يصلون.
অর্থঃ- “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ স্বীয় রওজা শরীফে জীবিত থাকেন। তাঁরা রওজা মুবারকে নামাযও আদায় করেন।” (তারীখে ইস্পাহান ২/৮৩, ফয়জুল ক্বাদীর ৩/১৮৪, আবূ ইয়ালা, দায়লামী/৪০৪)    শুধু তাই নয় বরং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণই স্বীয় রওজা শরীফে অবস্থান করে আল্লাহ্ পাক-এর ইবাদত-বন্দিগীতে মশগুল রয়েছেন এবং রিযিকও পাচ্ছেন।    অন্য হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
عن اوس رضى الله تعالى عنه قال قال النبى صلى الله عليه وسلم ان الله تعالى حرم على الارض ان تأكل اجساد الانبياء.
অর্থঃ- “হযরত আউস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক যমীনের জন্য নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের শরীর মুবারককে ভক্ষন করা (নষ্ট করা) হারাম করে দিয়েছেন।”(আহমদ, আবূ দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাযাহ্, ইবনু হিব্বান, মুস্তাদরাকে হাকিম, কানযুল উম্মাল, মিশকাত, মিরকাত)    হাদীস শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,
فنبى الله حى يرزق.
অর্থঃ- “সুতরাং আল্লাহ্ পাক-এর নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ স্বীয় রওজা মুবারকে জীবিত রয়েছেন এবং তাঁরা খাদ্যও খেয়ে থাকেন।” (ইবনে মাযাহ্, মিশকাত, মিরকাত/৩য় খন্ড পৃষ্ঠা-২৪১)   উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনায় এটাই ছাবেত হলো যে, ওলীআল্লাহ্গণসহ শুহাদা-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ এবং সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণ স্বীয় মাযার শরীফ বা রওজা শরীফে জীবিত রয়েছেন। তাহলে যিনি সমস্ত নবীদের নবী, রসূলদের রসূল এমনকি সমস্ত কায়েনাতের নবী ও রসূল তিনি কি করে রওজা মুবারকে জীবিত নন? অবশ্যই তিনি রওজা মুবারকে জীবিত অবস্থায়ই রয়েছেন। কারণ তিনি হায়াতুন্ নবী।   
এ সম্পর্কে হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
من صلى على عند قبرى سمعته.
অর্থঃ- “যে ব্যক্তি আমার রওজা মুবারকের নিকটে এসে আমার প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করবে আমি অবশ্যই তাঁর দরূদ  শরীফ শুনতে পাই।” (বাইহাক্বী, মিশকাত/৮৭) অন্য হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে,
اصحابى اخواتى صلوا على فى كل يوم الاثنين والجمعة فانى اسمع صلوتكم بلا واسطة.
অর্থঃ- “হে আমার ছাহাবীগণ, হে আমার উম্মতগণ! তোমরা আমার প্রতি প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার দরূদ শরীফ পাঠ করো। নিশ্চয়ই তোমাদের সেই দরূদ শরীফ আমি বিনা মধ্যস্থতায় শুনতে পাই।” উক্ত হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে,
 سمعته سمعا حقيقيا بلا واسطة.
অর্থঃ- “(হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন)আমি হাক্বীক্বীভাবে বিনা মধ্যস্থতায় তা শুনতে পাই।” (মিরকাত ২য় খন্ড, ৩৪৭ পৃষ্ঠা)  কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয়েছে,
ان النبى صلى الله عليه وسلم فى قبره حى
অর্থঃ- “নিশ্চয়ই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রওজা মুবারকে জীবিত অবস্থায়ই আছেন।” (মিরকাত ২য় খন্ড ২২৩ পৃষ্ঠা)         
উপরোক্ত বর্ণনায় এটাই প্রমাণিত হলো যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রওজা মুবারকে শায়িত অবস্থায় স্বীয় উম্মতের দরূদ ও সালাম শুনতে পান। যদি তিনি হায়াতুন্ নবী না-ই হন তবে কি করে তা শুনতে পান? অবশ্যই তিনি হায়াতুন্ নবী।        

উপরোক্ত দলীলভিত্তিক আলোচনায় এটাই ছাবিত হলো যে, ক্বিয়ামত পর্যন্তই আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রওজা মুবারকে সেই শরীর মুবারকেই অক্ষত অবস্থায় জীবিত থাকবেন; যে শরীর মুবারকে রওজা শরীফে রাখা হয়েছে।
________________________________________________________________________________________
২৯ মাহে যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৩৮ হিজরী
২৩ রবি’, ১৩৮৫ শামসি
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈসায়ী
ইয়াওমুল খম্‌স (বৃহস্পতিবার)

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.