Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

মিরাজ শরীফের রাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথায় ছিলেন?


আফসোস আমাদের দেশের মানুষের জন্য! আমাদের বিবেকবোধের জন্য!
এ দেশে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ কিছু লিখলে বা বললে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কেউ লিখলে তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড হয়। অথচ সমগ্র সৃষ্টি জগতের যিনি রসূল, হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করলে, অপপ্রচার করলে তাদের কোন বিচার করা হয় না।
যদিও নাস্তিকদের এই আপত্তিটা অনেক আগের তারপরও নব্য কিছু নাস্তিক কিছু বিদেশী এজেন্টদের প্রিয় ভাজন হওয়ার জন্য সেই পুরানো কথার রং মাখিয়ে বর্ণনা করছে।
(
সবাই আগে নাউযুবিল্লাহ পড়ে নিন) তারা বলেছে, মিরাজ শরীফের রাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বাড়িতে ছিলেন। আবদুল মুত্তালিবের পরিবারের সদস্যরা একদিন তাকে জোর করলে তিনি শোনান মেরাজের কাহিনি। তিনি কল্পিত এক ডানাওয়ালা ঘোড়ায় চেপে আল্লার সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আসলে সেদিন তিনি উম্মেহানীর সাথে রাত কাটিয়েছিলেন। (আসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ)
রেফারেন্স হিসাবে বলেছে, এই বিষয়ে উম্মে হানী বিনতে আবু তালিব বলেন, ” ঐ রাত্রে উনি আমার গৃহে ঘুমান। রাতের সর্বশেষ নামাজ শেষ করে উনি ঘুমাতে যান; সেই সাথে আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরের কিছু আগেই উনি আমাদেরকে জাগিয়ে তুললেন। আমরা ফজরের নামাজ পড়লাম।” (ইবনে ইসহাক, পৃঃ ১৮৪)
এখানে আমাদের কয়েকটা পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
১) মিরাজ শরীফের রাত্রে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোথায় ছিলেন?
২) যদি তিনি উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহা উনার বাড়িতে থাকেন তাতে সমস্যা কি?
৩) তাদের নোংরা দাবীর স্বপক্ষে একটা সামন্য দলীলও কি দিতে পারবে?
প্রথম বিষয়ের ফয়সালা হচ্ছে, হাদীছ শরীফে আছে মিরাজ শরীফের রাতে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কাবা শরীফে হাতিমে ছিলেন,
أن نبي الله صلى الله عليه وسلم حدثهم عن ليلة أسري به بينما أنا في الحطيم وربما قال في الحجر مضطجعا
অর্থ: নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহী ওয়া সাল্লাম ইসরার রাতের ঘটনা প্রসেঙ্গে বলেন: আমি তখন হাতীমে কাবা অথবা বলেছেন, হিজরে চিৎ হয়ে শুয়ে ছিলাম। (বুখারী শরীফ- কিতাবুল মানাকিবে আনছার- বাবুল মিরাজ- হাদীস ৩৬৭৪)
উক্ত হাদীছ শরীফ সিয়া সিত্তার সবগুলো কিতাবে বর্ণিত আছে।
প্রথম কথা হচ্ছে সহীহ হাদীছ শরীফের মোকাবেলায় সিরাতের কিতাব গ্রহনযোগ্য নয়। সহীহ হাদীছে আমরা দেখছি মিরাজ রাত্রে নবীজী কাবা শরীফে ছিলেন, উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহার গৃহে নয়। সূতরাং নাস্তিকদের আপত্তি এখানে টেকে না।
দ্বিতীয়ত, যদি আমরা ধরি তিনি রাতে কিছু সময় উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহার বাসায় ছিলেন তাতেই বা কি প্রমাণ হয়? উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহা তিনি ছিলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চাচাতো বোন। আপনাদের কাছে প্রশ্ন চাচাতো বোনের বাড়ি যাওয়া কি নিষেধ?
নাস্তিকরাই দলীল দিয়েছে, উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেনঐ রাত্রে উনি আমার গৃহে ঘুমান। রাতের সর্বশেষ নামাজ শেষ করে উনি ঘুমাতে যান; সেই সাথে আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরের কিছু আগেই উনি আমাদেরকে জাগিয়ে তুললেন। আমরা ফজরের নামাজ পড়লাম।” (ইবনে ইসহাক, পৃঃ ১৮৪)
এই কোটেশনটা মন দিয়ে পড়েন, লেখা আছে - রাতের সর্বশেষ নামাজ (ইশা) শেষ করে উনি ঘুমাতে যান; সেই সাথে আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি।”
লেখা আছে আমরাও ঘুমিয়ে পড়ি। আমরা মানে? অর্থাৎ উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও উনার পরিবারের আরো যারা ছিলেন, অর্থাৎ একাধিক মানুষ। তারমানে ঘরে আরো লোক ছিলো।
আরো লিখা আছে, “ভোরের কিছু আগেই উনি আমাদেরকে জাগিয়ে তুললেন। আমরা ফজরের নামাজ পড়লাম।”
আমাদের জাগিয়ে তোলা মানে কি? পরিবারবর্গ যারা ছিলেন তাদের জাগিয়ে দেন। প্রমাণ হলো উক্ত ঘরে উম্মে হানী রদ্বিয়াল্লাহু অানহা একা ছিলেন না। পরিবারবর্গ নিয়েই ছিলেন। আর হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আলাদা অন্য ঘরে ছিলেন।
এখন প্রশ্ন হলো কোন যুক্তিতে নাস্তিকরা হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে নোংরা মানহানীকর কুৎসিত কথা বলে? কোন সুস্থ মস্তিষ্কে লোক কি এমন উদ্ভট দাবি করতে পারে?
ধরুন, কোন নাস্তিকের বাড়িতে তার কোন আত্মীয় বেড়াতে এলো। সে আত্মীয় রাতে তাদের বাড়িতে থাকলো। পরদিন যদি বলা হয় সেই আত্মীয় নাস্তিকদের মা বোনের সম্ভ্রম হরন করছে তাহলে বিষয়টা কেমন হবে?
কোন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে গেলেই কি সেখানে আশালীন সর্ম্পক হয়? আসলে যে যেমন সে অন্য জনকে তেমন মনে করে। নাস্তিকরা আত্ময় স্বজনের বাসায় গিয়ে অপকর্ম করে বলে অন্যের বেলায়ও তেমন ধারনা করে দলীল বিহীন ভাবে। আল্লাহ পাক এই অপবাদ দানকারীদের ধ্বংস করুন। আমীন।


No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.