আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বিনয় ও আল্লাহভীতি
পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে হযরত
ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম
উনার বহু ছানা ছিফত মুবারক বর্ণিত হয়েছে। সুদীর্ঘ প্রায় সাড়ে দশ বছর তিনি সম্মানিত খিলাফত পরিচালনা করেন। উনার সম্মানিত
খিলাফতকালে কোন বিষয় তিনি সমাধান দিতে বাদ রাখেননি। তাই ক্বিয়ামত পর্যন্ত
কেউ ন্যায় ও ইনসাফের শাসন
প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাকে অবশ্য অবশ্যই উনাকে অনুসরণ করতে হবে।
উনাকে অনুসরণ করা ব্যতীত কখনই তা সম্ভব
নয়।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
উনার সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক
করেন, মহান আল্লাহ পাক
তিনি হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার যবান ও অন্তরে সত্যের বিকাশ ঘটান। তিনি আরো ইরশাদ
মুবারক করেন, আমার
পর কেউ নবী হলে তিনিই নবী হতেন।
সুবহানাল্লাহ! এতদসত্বেও তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি পোষণ করতেন অত্যন্ত ভয় অর্থাৎ উনার মধ্যে
অতিশয় আল্লাহভীতি বিরাজ করতো। মহান আল্লাহ পাক উনার ভয়ে তিনি এতবেশি কাঁদতেন
যার ফলে উনার দুগ-দেশে দুটি
কালো রেখা পড়ে গিয়েছিল। অনুতাপ করে তিনি একথাও বলতেন, যদি হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মা উনাকে জন্ম না
দিতেন, তবে তো
তিনি দুনিয়াতে আসতেন না অথবা তিনি মানুষ
হিসেবে জন্ম নিতেন না। তিনি আরো বলতেন হায়! আমি যদি ছাগ ছানা হতাম! মানুষ আমাকে মোটা তাজা
বানিয়ে আমার কিছু অংশ ভাজি করে আর কিছু অংশ টুকরা টুকরা করে খেয়ে ফেলতো।
২৮ মাহে যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৩৮ হিজরী
২২ রবি’, ১৩৮৫ শামসি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈসায়ী
ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈসায়ী
ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)
No comments