আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বত নাজাতের মূল
মহান আল্লাহ পাক তিনি ও উনার
রসূল, নূরে
মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তরফ থেকে ঘোষণাকৃত চারটি হারাম
বা সম্মানিত মাসসমূহের অন্যতম পবিত্র মাস যিলহজ্জ শরীফ। বিভিন্ন দিক থেকে এ পবিত্র
মাস উনার বুযুর্গী ও সম্মান বিদ্যমান। তন্মধ্যে অন্যতম কারণ হলো পবিত্র ২৭শে
যিলহজ্জ শরীফ তথা এই সুমহান পবিত্র দিনে ফাছিহুজ জিকরান, সাইয়্যিদুর
রোব, আশিদ্দাউ
আলাল কুফফার হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক
প্রকাশ করেন।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার
আগমন এবং বিদায় তথা পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ ও বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
রহমত, বরকত, সাকীনা
লাভের কারণ।” সুবহানাল্লাহ!
এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
পরিপূর্ণ মিছদাক হচ্ছেন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম, যিনি
মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার খাছ নায়িব, জলীলুল ক্বদর ছাহাবী এবং হযরত নবী-রসূল
আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর দ্বিতীয় সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মুবারক।” সুবহানাল্লাহ!
উনার মুবারক শানে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার পর যদি কোনো ব্যক্তিত্ব মুবারক নবী হতেন, তিনি
হতেন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ
মুবারক হয়েছে, “স্বয়ং
মহান আল্লাহ পাক উনার যবান মুবারকে কথা বলেন” অর্থাৎ উনার পবিত্র যবান মুবারকে
হক্বটা রেখেছেন। সুবহানাল্লাহ!
মূলত উনার সুমহান
ত্যাগ-তিতিক্ষায় পবিত্র দ্বীন ইসলাম সারা পৃথিবীতে গিয়ে পৌঁছেছে এবং তিনি উনার
জান-মাল সমস্ত কিছু মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলে কুরবান করে দিয়েছেন। এখন সমস্ত জিন-ইনসান যে
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল কুরবানীর কারণে
অক্ষত পবিত্র দ্বীন ইসলাম পেয়েছে এবং সেই হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম
উনাদের মধ্যে অন্যতম ব্যক্তিত্ব মুবারক পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দ্বিতীয় খলীফা, আমীরুল
মু’মিনীন, খলীফাতুল
মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যে সুমহান দিন
মুবারকে মহান আল্লাহ পাক উনার সাক্ষাৎ মুবারকে গিয়েছেন সেদিন মুবারকে কুল-কায়িনাত, জিন-ইনসানকে
উচিত সাধ্য-সামর্থ্য অনুযায়ী খুশি প্রকাশ করা, উনার প্রতি তা’যীম-তাকরীমপূর্বক ছানা-ছিফত
মুবারক করে উনার মুহব্বত-মা’রিফত হাছিল করা। কেননা উনাকে মুহব্বত করা হচ্ছে পবিত্র
ঈমান। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত
ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মুহব্বতই হচ্ছে পবিত্র ঈমান।”
সুবহানাল্লাহ!
কাজেই যিনি খালিক্ব মালিক রব
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন আমাদেরসহ কায়িনাতের সকল জিন-ইনসানকে এই সুমহান দিনসমূহে
উনাদেরকে যথাযথ তাযীম-তাকরীমপূর্বক উনাদের ছানা-ছিফত মুবারক করে উনাদের প্রতি
হাক্বীক্বী মুহব্বত-মারিফত জ্ঞাপন করে হাক্বীক্বী খুশি প্রকাশ করার তাওফীক দান
করেন। আমীন।
২৮ মাহে যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৩৮ হিজরী
২২ রবি’, ১৩৮৫ শামসি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈসায়ী
ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈসায়ী
ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)
No comments