হাদীস শরীফ ও আল্লাহ পাক উনার ওহী, রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিজের কথা নয়।
বর্তমান জামানা ফিতনা-ফাসাদের জামানা কিছু লোক মুখে মুখে বলে থাকে
যে তারা কুরআন শরীফ মানে হাদীছ শরীফ মানে না ।আসলে এরা কুরআন শরীফ ও মানেনা ।এ সকল
লোক হলো কাফির।
আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ
মুবারক করেনঃ
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
অর্থঃ আমার হাবীব রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি নিজের ইচ্ছামতো কোন কথা বলেন না। আমি যা ওহীর মাধ্যমে উনার কাছে পাঠাই তাই বলে থাকেন। (সূরা নাজম শরীফঃ ৩-৪)
তার মানে এই আয়াত শরীফ প্রমাণ করে
রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু লাইহি ওয়েয়া সাল্লাম যে কথাই বলতেন তা সম্মানিত ওহী মুবারক
উনার অন্তর্ভুক্ত।
মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক করেনঃ
مَنْ يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ
أَطَاعَ اللَّهَ وَمَنْ تَوَلَّى فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا
যে লোক রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার হুকুম মান্য করবে সে
মহান আল্লাহ পাক উনার হুকুম মান্য করলো। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করল, আমি আপনাকে (হে রাসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি (তাদের কোনো হেফাজত কারি
নাই)। (পবিত্র সূরা আন নিসা শরীফঃ আয়াত শরীফ ৮০)
আল্লাহ বলেন,
আল্লাহ বলেন,
وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ
وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا
“রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের যা দিয়েছেন তা তোমরা
গ্রহণ কর, আর তিনি যা
নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক।” (সূরা
হাশরঃ ৭)
দেখেনতো এই আয়াতে হাদিস মানার দলিল পান কি না ? আমি যদি বলি আল্লাহ পাক তিনি আদেশ করার
মাধ্যমে হাদিস মানা ফরজের অন্তর্ভুক্ত
হয়েছে যেভাবে আদেশস্বরূপ বলা হয়েছে , "তোমরা সালাত আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর ।"
আল্লাহ পাক উনার আদেশ ফরজ সাব্যস্ত করে । এবার আবার সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতের দিকে তাকায় দেখেন ।
আল্লাহ পাক উনার আদেশ ফরজ সাব্যস্ত করে । এবার আবার সূরা হাশরের ৭ নং আয়াতের দিকে তাকায় দেখেন ।
আল্লাহ্ পাক বলেন,
وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ
اللَّهِ
عَلَيْكُمْ
وَمَا
أَنْزَلَ
عَلَيْكُمْ
مِنَ الْكِتَابِ وَالْحِكْمَةِ يَعِظُكُمْ بِهِ
“তোমাদের উপর আল্লাহ পাক উনার নে’য়ামতের কথা স্মরণ কর, আর যে কিতাব ও হিকমত তোমাদের নিকট নাযিল
করেছেন, যা দ্বারা তিনি তোমাদের উপদেশ প্রদান করেন। (সূরা বাকারাঃ
২৩১)
এখানে হিকমত অর্থ যা আল্লাহ্ পরোক্ষভাবে
কোন ফেরেশতার মাধ্যম ব্যতীত উনার নবীর কাছে
নাযিল করেছেন।
ইমাশ শাফেঈ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “আল্লাহ্ পাক এই আয়াতে الْكِتَابِ উল্লেখ করেছেন তার অর্থ হচ্ছে কুরআন। আর উল্লেখ করেছেন وَالْحِكْمَةِ। আমি কুরআনের পন্ডিতদের নিকট শুনেছি তাঁরা বলেছেন এখানে হিকমত হচ্ছে সুন্নাত বা রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ । তিনি বলেন, এখানে হিকমত অর্থ সুন্নাত বা রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাদীছ ব্যতীত অন্য কিছু করা জায়েয হবে না। কেননা উহা কিতাবের কথা উল্লেখ করার সাথে সাথেই উল্লেখ করা হয়েছে। কেননা আল্লাহ্ পাক উনার নিজের আনুগেত্যের সাথে সাথে উনার রাসূলের আনুগত্য ও অনুসরণ করা মানুষের উপর ফরয করে দিয়েছেন।
আল্লাহ পাক তিনটি নিয়মে নবী-রাসূল আলাইহিমুস উনাদের কাছে ওহী প্রেরণ করেছেন। তিনি বলেন,
وَمَا
كَانَ
لِبَشَرٍ
أَنْ يُكَلِّمَهُ اللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِنْ وَرَاءِ
حِجَابٍ
أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِيَ بِإِذْنِهِ مَا يَشَاءُ
“কোন মানুষের জন্যে সমিচীন নয় যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন; কিন্তু (১) ওহীর মাধ্যমে অথবা (২) পর্দার অন্তরাল থেকে অথবা
(৩) তিনি কোন দূত
প্রেরণ করবেন, অতঃপর আল্লাহ্
যা চান, সে তা উনার অনুমতিক্রমে
পৌঁছে দেবে।” (সূরা শূরাঃ ৫১)
অর্থাৎ আল্লাহ পাক নিজেই ওহী
করেন। আর সেটাই হল পরোক্ষ ওহী বা ওহী গাইর মাতলু। যাকে এলহামও বলা হয়। আল্লাহ্ নবীর অন্তরে
যে বিষয়কে জাগ্রত করতেন সেটাই উনার ওহী ছিল। এটা
কোন ফেরেশতার মাধ্যমে ছিল না। বিষয়টি যেমন জাগ্রত অবস্থায় হত তেমনি স্বপ্নযোগেও হত।
এমতাবস্থায় সাধারণতঃ
আল্লাহ্ তা’আলার পক্ষ থেকে শব্দ বা বাক্য অবতীর্ণ হয় না; কেবল বিষয়বস্তু অন্তরে জাগ্রত হয়, যা পয়গম্বরগণ নিজের ভাষায় ব্যক্ত করেন। আর
সেটাই হচ্ছে মুহাদ্দেছীনদের
পরিভাষায় হাদীছ বা সুন্নাহ্
আল্লাহ পাক বলেন,
وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
উপরের আয়াত সমূহের অর্থ দাঁড়ায় নবীজী নিজের থেকে কোন কথা বলেন না । এখন প্রশ্ন হলো তাহলে তিনি যা বলতেন তার সব কি ওহীর অন্তর্ভুক্ত ছিল না ? তিনি কি কুরআনের আয়াত ব্যতীত ভিন্ন কোন প্রসঙ্গে কথা বলতেন না , বলেননি ?
বললে সেটাও তিনি আয়াত অনুযায়ী নিজের থেকে বলেননি । সেটাও ওহীর অন্তর্ভুক্ত ছিল । তাই নয় কি ?
তাহলে হাদীছ শরীফ কী ওহীর অন্তরভুক্ত
নয়? তাহলে হাদীছ শরীফ অস্বীকার যারা করবে তারা কুরান শরীফ অস্বীকার কারী কাফির হবে
কি না? অবশ্যই হবে।
আল্লাহ পাক আমাদেরকে সম্মানিত দ্বীন
উনার সহীহ সমঝ দান করুন। আমীন।
উম্মত হওয়ার জন্য সুন্নত পালন করা ফরজ
যে এর চুল পরিমাণ ইহানত করবে সে ইসলাম থেকে খারিজ হয়েযাবে।
আর রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে আমার সুন্নত মুবারক কে ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে।
সুত্রঃ (তিরমিজী শরীফ খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৬)
.
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে আমার সুন্নত মুবারক এর পরোয়া করবে না সে আমার উম্মত নয়।
সুত্রঃ (মুসলিম শরীফ খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৯৪)
.
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে আমার সুন্নত মুবারক এর পরোয়া করবে না সে আমার উম্মত নয়।
সুত্রঃ (বোখারী শরীফ খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৫৭)
.
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বলেছেনঃ যে আমার সুন্নত মুবারক এর উপর আমল করে না সে আমার উম্মত নয়।
সুত্রঃ (ইবনে মাজা শরীফঃ পৃষ্ঠা ১৩৩)
.
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমার সুন্নত মুবারক এর উপর চলার চেষ্টা করা নিজের বা যেকোনো মনগড়া জিনিসের উপর চলার চেষ্টা করা থেকে অনেক ভাল।
সুত্রঃ (আল-মাতালিব শরীফঃ খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৯০)
সুত্রঃ (ইতেহাফ শরীফঃ খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১৩৮)
.
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেনঃ সুন্নত মুবারক এর তরীকায় অল্প আমল বিদয়াতি তরীকার বেশি আমল থেকে উত্তম।
সুত্রঃ (কানযুল উম্মাল ১ খ. ২১৯ পৃ.)
.
যে অন্যদের তরীকায় চলে
সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
(কানযুল উম্মাল ১ খ. ২১৯ পৃ.)
.
যে আমার সুন্নত ছেড়ে দিবে
সে আমার উম্মত নয়।
(আদদুররুল মানসূর ২ খ. ৩০৮ পৃ.)
.
যে আমার সুন্নতের উপর আমল করে না সে আমার উম্মত নয়।
(আদদুররুল মানসূর ২ খ. ৩০৭ পৃ.)
.
হযরত আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, যে আমার কোন সুন্নত জিন্দা করল সে যেন আমাকে জিন্দা করল।
আর যে আমাকে জিন্দা করল সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে।
(তিরমিজী শরীফ ২খ.৯৬ পৃ.)
.
যে আমার সুন্নতের খেলাফ করল সে আমার উম্মত নয়।
(ইতেহাফুস সাদাতে ৭ খ. ১০৯ পৃ.)
আর রসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে আমার সুন্নত মুবারক কে ভালবাসে সে আমাকে ভালবাসে। আর যে আমাকে ভালবাসে সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে।
সুত্রঃ (তিরমিজী শরীফ খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৯৬)
.
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে আমার সুন্নত মুবারক এর পরোয়া করবে না সে আমার উম্মত নয়।
সুত্রঃ (মুসলিম শরীফ খন্ড ১, পৃষ্ঠা ৯৪)
.
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, যে আমার সুন্নত মুবারক এর পরোয়া করবে না সে আমার উম্মত নয়।
সুত্রঃ (বোখারী শরীফ খন্ড ২, পৃষ্ঠা ৭৫৭)
.
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো বলেছেনঃ যে আমার সুন্নত মুবারক এর উপর আমল করে না সে আমার উম্মত নয়।
সুত্রঃ (ইবনে মাজা শরীফঃ পৃষ্ঠা ১৩৩)
.
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন, আমার সুন্নত মুবারক এর উপর চলার চেষ্টা করা নিজের বা যেকোনো মনগড়া জিনিসের উপর চলার চেষ্টা করা থেকে অনেক ভাল।
সুত্রঃ (আল-মাতালিব শরীফঃ খন্ড ৩, পৃষ্ঠা ৯০)
সুত্রঃ (ইতেহাফ শরীফঃ খন্ড ১ পৃষ্ঠা ১৩৮)
.
রসুলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেনঃ সুন্নত মুবারক এর তরীকায় অল্প আমল বিদয়াতি তরীকার বেশি আমল থেকে উত্তম।
সুত্রঃ (কানযুল উম্মাল ১ খ. ২১৯ পৃ.)
.
যে অন্যদের তরীকায় চলে
সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
(কানযুল উম্মাল ১ খ. ২১৯ পৃ.)
.
যে আমার সুন্নত ছেড়ে দিবে
সে আমার উম্মত নয়।
(আদদুররুল মানসূর ২ খ. ৩০৮ পৃ.)
.
যে আমার সুন্নতের উপর আমল করে না সে আমার উম্মত নয়।
(আদদুররুল মানসূর ২ খ. ৩০৭ পৃ.)
.
হযরত আনাস (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসূলুল্ল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লাম বলেছেন, যে আমার কোন সুন্নত জিন্দা করল সে যেন আমাকে জিন্দা করল।
আর যে আমাকে জিন্দা করল সে আমার সাথে জান্নাতে যাবে।
(তিরমিজী শরীফ ২খ.৯৬ পৃ.)
.
যে আমার সুন্নতের খেলাফ করল সে আমার উম্মত নয়।
(ইতেহাফুস সাদাতে ৭ খ. ১০৯ পৃ.)
No comments