Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত করার ফযীলত



من احبنى كان معى فى الجنة
অর্থ:- “যে ব্যক্তি আমাকে মুহব্বত করল সে বেহেস্তে আমার সাথেই থাকবে।” (তিরমিযী, মেশকাত, মেরকাত, আশয়াতুল লোময়াত, লোময়াত, মুযাহেরে হক্ব, তালিকুছ্ ছাবীহ, ত্বীবী)
সৃষ্টির মূল বিষয় হলো মুহব্বত। আল্লাহ পাক মুহব্বতের কারণেই আল্লাহর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি করেছেন।

হাদীছে কুদসীতে উল্লেখ করা হয়েছে- আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “আমি গুপ্ত ধনভান্ডার ছিলাম, যখন আমার মুহব্বত হলো যে, আমি প্রকাশ হই, তখন আমি আমার পরিচয়ের জন্য মাখলুক সৃষ্টি করলাম।”

মেশকাত শরীফে উল্লেখ আছে যে, আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন,
احبوا الله لان يغدو كم من نعمته واحبونى حبه.
অর্থ: তোমরা আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত কর, কেননা আল্লাহ পাক তোমাদের অনুগ্রহ করে প্রতপালন করছেন এবং উনর মুহব্বতের কারণেই আমাকেও মুহব্বত কর।”

স্বয়ং আল্লাহ পাক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত রাখেন বলে নিজ বান্দারেকেও উনার হাবীব, সাইয্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত রাখতে বলেছেন। যে ব্যক্তি বিনা কারণে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি মুহব্বত রাখবে, সে ব্যক্তির জন্য আল্লাহ পাক উনার প্রতি মুহব্বত রাখা হবে। এ প্রসঙ্গে একটি ওয়াক্বিয়া উল্লেখ করা যায়।
হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, যদিও তিনি আবূ জেহেলের ছেলে ছিলেন, পরবর্তী সময় তিনি ইসলাম কবুল করেছিলেন। একবার (হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তখনও মুসলমান হননি বা ইসলাম কবুল করেননি) একটা আইন করা হলো- কোন ব্যক্তি যদি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক প্রকাশ করে বা সম্পর্ক স্থাপন করে, তার শাস্তি মৃত্যুদন্দ।

তার কিছুদিন পর দেখা গেল, এই হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (তখনো তিনি ইসলাম কবুল করেননি) রাস্তর মধ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাথে মুয়ানাকা বা আলিঙ্গন করলেন মুহব্বতের সাথে। কুরাঈশরা এটা দেখে ফেললো। তখন কুরাঈশরা হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে লক্ষ্য করে বললো, হে আকরামা, আপনি তো আমাদের সর্দারের ছেলে, আপনারা আইন করেছেন যে, কোন ব্যক্তি যদি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে বা মুহব্বত স্থাপন করে, তার শাস্তি মৃত্যুদ- কিন্তু আমরা আপনকে দেখলাম, আপনি নিজেই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ুনার সাথে কোলাকুলি বা মুয়ানাকা করলেন। এখন নিশ্চয়ই আপনাদের আইন মুতাবেক আপনার শাস্তি হওয়া উচিত। তখন হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, ‘সত্যি, আমি সর্দারের ছেলে হয়েছি, তাতে কি? আমরার কাজটি ভুল হয়ে গেছে। আমাদের কৃত আইন মুতাবেক আমার শাস্তি মৃত্যুদ- তোমরা তা বাস্তবায়িত কর। তখন হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জিজ্ঞাসা করা হলো- আপন কিভাবে শাস্তি নিবেন? তিনি বললেন, তোমরা যা পছন্দ কর। শেষ পর্যন্ত উনার কথামতই উনাকে হাত-পা বেঁধে লোহিত সাগরের মধ্যে ফেলে দেয়া হলো। কিন্তু আল্লাহ পাক উনর কুদরত, হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পানিতে ডুবছিলেন না। তিনি স্বাভাবিকভাবে বেঁচে রইলেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেল- হাজার হাজার মাছ ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী উনার চার কিনারে ঘুরতে লাগলো এবং দরূদ শরীফ পাঠ করতে লাগলো। কেউ উনাকে স্পর্শ করলো না। বরং তারা পিঠে ও মাথায় করে নিরাপদে তীরে পৌঁছে দিল। এরপর উনাকে বলা হলো, এখন আপনাকে কিভাবে শাসিত দেয়া যায়? তিনি  বললেন, এক কাজ কর, আমাকে জঙ্গলে নিয়ে যাও, হিংস্র প্রাণীর মধ্যে ফেলে দাও, আমাকে তারা খেয়ে ফেলুক, আমার উপযুক্ত শাস্তি হোক। উনার কথামত উনাকে জঙ্গলে দিয়ে আসা হলো। দেখা গেল যে, জঙ্গলের সমস্ত হিং¯্র প্রাণীগুলি এসে হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চারপাশে ভীড় করে দরূদ শরীফ পাঠ করতে লাগলো। অনেকক্ষণ পর একটা সিংহী হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বাঁধনগুলি কেটে উনাকে জঙ্গলের কিনারে পৌঁছে দিল। কুরাইশরা উনাকে পূর্ণরূপে সুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আশ্চর্য হলো। কুরাঈশরা উনাকে পূর্ণরূপে সুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে আশ্চর্য হলো। কুরাঈশরা বললো, হে আকরামা আপনাকে সমুদ্রের মাছ ও জঙ্গলের প্রাণীরা ভক্ষণ করলো না বরং হিফাযত করলো, তার কি কারণতখন হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তিনি বললেন, “আমার সাথে সমুদ্রের মাছগুলির আলাপ হয়েছে। আমি বলেছি, “হে মৎসা ও প্রাণীরা!  তোমরা আমাকে খেয়ে ফেল। আমি আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক চল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মুহব্বতের সহিত মুয়ানাকা করেছি, তার শাস্তি স্বরূপ আমাকে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়েছে।” কিন্তু সমুদ্রের মাছগুলি বললো, “হে হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, এটা কোনদিন সম্ভব নয়। আপনার শরীর থেকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঘ্রাণ মুবারক আসছে। আমরা কি করে আপনাকে খাই? আমরা কি করে আপনাকে কষ্ট দেই? পানিও আপনাকে কষ্ট দিতে রাজী নয়। একমাত্র সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতমুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যাদা, মুহব্বতের কারণে। (সুবহানাল্লাহ) একইভাবে জঙ্গলের পশুরাজ আমাকে একই কথা বললো এবং সম্মানের সাথে আমাকে জঙ্গলের কিনারায় পৌঁছে দিল।

অত:পর তুরাঈ,রা বললো, তাহলে কি করে আপনাকে শাস্তি দেয়া যায়। তখন হয়রত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বললেন, এক কাজ কর, আমাকে পাহাড়ের উপর থেকে ফেলে দাও, তাই করা হলো। কিন্তু আল্লাহ পক উনার কুদরতে হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার সুস্থ অবস্থায় পাহাড়ের নিচে এসে পৌঁছলেন। অর্থাৎ আল্লাহ পাক উনার নির্দেমে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর  পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মর্যদা-মুহব্বতের কারণে ফেরেশতাগণ ধরে হযরত আকরামা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে পাহাড়ের নীচে নামালেন, যার কারণে উনার কিছুই হলো না।

অত:পর উনাকে আর শাস্তি দেয়া হলো না। মৃত্যুদ- আর কার্যকরী হলো না। শেষ পর্যন্ত তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং ইসলামের জন্য আল্লাহ পাক ও সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে উদ্ধুদ্ধ হয়ে অনেক জ্বিহাদ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে মুহব্বত করার কারণে আল্লাহ পাক উনাকে দুনিয়াবী সমস্ত, আযাব থেকে হিফাযত করলেন। কেবল তাই নয় বরং শেষ পর্যন্ত উনাকে ঈমান দান করে পরকালের আযাব থেকে বাঁচিয়ে দিলেন। যার ফলশ্রুতিতে তিনি আল্লাহর রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছোহবত হাছিল করে ইহকাল এবং পরকালের জন্য একজন বিশিষ্ট ছাহাবি হিসাবে মর্যাদাবান ব্যক্তি হয়ে গেলেন। (সুবহানাল্লাহ)


এই ওয়াক্বিয়া থেকে এটাই অনুধাবন করা যায় যে, আল্লাহ পাক উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যিনি মুহব্বত করবেন, আল্লাহ পাক তাকে মুহব্বত করবেন। তিনি আশেকে রসূলের অন্তুর্ভুক্ত হবেন এবং দুনিয়া ও পরকাল উভয় জাহানেই সফলকাম ও সম্মানিত হবেন।
____________________________________________________________________________________
২৯ মাহে যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৩৮ হিজরী
২৩ রবি’, ১৩৮৫ শামসি
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ঈসায়ী
ইয়াওমুল খম্‌স (বৃহস্পতিবার)

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.