Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

সূরা আল ইমরান উনার ৮১ নং আয়াৎ শরীফের সহীহ তাফসীর দ্বারা প্রমাণিত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নবী হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছেন


মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন ,
وَإِذْ أَخَذَ اللّهُ مِيثَاقَ النَّبِيِّيْنَ لَمَا آتَيْتُكُم مِّن كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ ثُمَّ جَاءكُمْ رَسُولٌ مُّصَدِّقٌ لِّمَا مَعَكُمْ لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنصُرُنَّهُ قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ وَأَخَذْتُمْ عَلَى ذَلِكُمْ إِصْرِي قَالُواْ أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُواْ وَأَنَاْ مَعَكُم مِّنَ الشَّاهِدِينَ
অর্থঃ- "আর যখন মহান আল্লাহ পাক তিনি সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের থেকে  অঙ্গীকার মুবারক গ্রহণ করলেন যে , আপনাদেরকে সম্মানিত কিতাব ও হিকমত দেওয়া হবে । অতঃপর আপনাদের নিকট একজন মহাসম্মানিত রসূল (হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আগমন করবেন । তিনি আপনাদের ও আপনাদের কাছে যা কিছু রয়েছে সমস্ত কিছুর তাছদ্বীক বা সত্যায়ন করবেন । আপনারা অবশ্যই অবশ্যই উনার প্রতি ঈমান আনবেন এবং উনার খিদমতের আঞ্জাম দিবেন । মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন , আপনারা কি তা স্বীকার করে নিলেন এবং এই মর্মে আমার ওয়াদা গ্রহণ করলেন ? উনারা বললেন , আমরা স্বীকার করে নিলাম । মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন , তাহলে আপনারা সাক্ষী থাকুন এবং আমিও আপনাদের সাথে সাক্ষী রইলাম । (সূরা আল ইমরান , আয়াত নং ৮১)

ثمَّ بَين الله ميثاقه يَوْم تلى على النَّبِيين فِي مُحَمَّد ونعته وَصفته فَقَالَ {وَإِذْ أَخَذَ الله مِيثَاقَ النَّبِيين} يَقُول أَخذ الْمِيثَاق على النَّبِيين أَن يبين بَعضهم لبَعض صفة مُحَمَّد ونعته وفضله {لَمَآ آتَيْتُكُم} يَقُول حِين أَعطيتكُم {مِّن كِتَابٍ وَحِكْمَةٍ} فِيهِ الْحَلَال وَالْحرَام {ثُمَّ} تأخذون أَيْضا على أمتكُم أَن إِذا {جَآءَكُمْ رَسُولٌ مُّصَدِّقٌ} مُوَافق بِالتَّوْحِيدِ {لِّمَا مَعَكُمْ} من الْكتاب {لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ} يَقُول لتقرن بِهِ وبفضله {وَلَتَنصُرُنَّهُ} بِالسَّيْفِ على أعدائه وببيان صفته {قَالَ أَأَقْرَرْتُمْ} قَالَ الله لَهُم أقبلتم {وَأَخَذْتُمْ على ذَلِكُم} مَا قلت {إِصْرِي} عهدي {قَالُوا} أَي النَّبِيُّونَ {أَقْرَرْنَا} قبلنَا {قَالَ} الله {فَاشْهَدُوا} على ذَلِكُم {وَأَنَاْ مَعَكُمْ مِّنَ الشَّاهِدين} على ذَلِك فَأشْهد الله بَعضهم على بعض بذلك وَشهد هُوَ بِنَفسِهِ على ذَلِك فَبين كل نَبِي لأمته ذَلِك وَأشْهد كل نَبِي أمته بَعضهم على بعض بذلك وَشهد كل نَبِي بِنَفسِهِ على ذَلِك

অর্থঃ অতঃপর বর্ণনা কর আল্লাহ পাক যখন সেই দিন উনার অংগকার উনার হযরত নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের কাছ থেকে গ্রহণ করলেন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে ,উনার বৈশিষ্ট্য মুবরক বর্ণনা করলেন ৷ অতঃপর আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,আল্লাহ পাক যখন হযরত নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের অংগকার গ্রহণ করেছিলেন,অর্থাৎ,তিনি­ বললেনআপনারা এই বলে অংগকার করুন যে,আমার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ব্যাপারে একে অপরের কাছে উনার গুণ ও ফজিলত বর্ণনা করবেন যদি তা করেন তাহলে আমি  আপনাদেরকে কিতাব ও হিকমত হাদিয়া করবো, যার মধ্যে হালাল ও হারামের বর্ণনা রয়েছে অতঃপর (যদি আপনাদের জীবদ্দশায় উনার আগমন হয় তবে)আপনারা উনার দ্বীন গ্রহণ করবেন বা সরাসরিভাবে আপনারা উনার উম্মত হবেন,যখন উনি আগমন করবে পবিত্র তাওহদের বানী নিয়ে, এবং আপনাদের রিসালাতকে সত্যায়ন করবে,আপনারা উনার উপর ঈমান  আনয়ন করবেন এবং উনার পবিত্র ফজিলতের ব্যাপারে স্বীকৃতি দিবেন ৷আর উনাকে সাহায্য করবেন তরবারী দ্বারা উনার শত্রুদের মোকাবেলায়, এবং আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানা-ছিফত করবেন অর্থাৎ,আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করলেন, আপনারা কি স্বীকৃতি দিলেন ? উনারা কবুল করলেন, অতঃপর আল্লাহ পাক বললেন,আমি আপনাদের উপর সাক্ষী রইলাম,এবং সাক্ষ্যদানকারীদের অন্তর্ভুক্ত হইলাম অর্থাৎ,এর দ্বারা আমি আপনাদের প্রত্যেকের উপর সাক্ষী থাকলাম,অতঃপর প্রত্যেক হযরত নবী আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের উনার উম্মত হওয়ার বর্ণনা দিলেন,এবং সাক্ষী দিলেন আমরা প্রত্যেক নবী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত হলাম৷এবং সেই সাক্ষী আমাদের অন্তর দ্বারা দিলাম সুবহানাল্লাহ৷ (তাফসীরে ইবনে আব্বাস , ১/৫১ )

একইভাবে এসেছে তাফসীরে জালালাইনে দেখুন-
{وَ} اذْكُرْ {إذ} حِين {أَخَذَ اللَّه مِيثَاق النَّبِيِّينَ} عَهْدهمْ {لَمَا} بِفَتْحِ اللَّام لِلِابْتِدَاءِ وَتَوْكِيد بمعنى الْقَسَم الَّذِي فِي أَخْذ الْمِيثَاق وَكَسْرهَا مُتَعَلِّقَة بِأَخَذَ وَمَا مَوْصُولَة عَلَى الْوَجْهَيْنِ أَيْ لِلَّذِي {آتَيْتُكُمْ} إيَّاهُ وَفِي قِرَاءَة آتَيْنَاكُمْ {مِنْ كِتَاب وَحِكْمَة ثُمَّ جَاءَكُمْ رَسُول مُصَدِّق لِمَا مَعَكُمْ} مِنْ الْكِتَاب وَالْحِكْمَة وَهُوَ مُحَمَّد صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ {لَتُؤْمِنُنَّ بِهِ وَلَتَنْصُرُنَّهُ} جَوَاب الْقَسَم إنْ أَدْرَكْتُمُوهُ وَأُمَمهمْ تَبَع لَهُمْ فِي ذَلِكَ {قَالَ} تَعَالَى لَهُمْ {أَأَقْرَرْتُمْ} بِذَلِكَ {وَأَخَذْتُمْ} قَبِلْتُمْ {على ذلك إصْرِي} عَهْدِي {قَالُوا أَقْرَرْنَا قَالَ فَاشْهَدُوا} عَلَى أنفسكم وأتباعكم ذلك {وَأَنَا مَعَكُمْ مِنْ الشَّاهِدِينَ} عَلَيْكُمْ وَعَلَيْهِمْ
তাফসীরে জালালাইন , ১/৭৮ (আরবী) , ১/৬৭০(বাংলা)
এছাড়া তাফসিরে জালালাইনে আরো উল্লেখ আছে,
হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের থেকে বর্ণিত , “ এই আয়াত শরীফে একজন মহাসম্মানিত রসূল বলতে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেই বুঝানো হয়েছে।অর্থাৎ আল্লাহ পাক সমস্ত হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের কাছে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুয়াত ও রিসালাতের উপরে ঈমান আনার অঙ্গীকার নিয়েছেন। উনারা যদি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুয়াতকাল পায় তাহলে উনার উপর জাহিরীভাবে ঈমান আনতে হবে তথা সরাসরি উম্মত হতে হবে। আর যদি না পান তাহলে নিজেরা ঈমান রাখার পাশাপাশি স্ব স্ব উম্মতকে উনার ব্যাপারে অবগত করবেন।” (তাফসীরে জালালাইন ১ম খন্ড )

এই আয়াত শরীফ থেকে প্রমানিত যে আলমে আরওয়াহ তথা রূহের জগতে আল্লাহ পাক সমস্ত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের কে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপরে ঈমান আনার পরই নবুয়াত দিয়েছেন। আর এ থেকে প্রমানিত হয় যে হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নবী ও রাসুল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে সৃষ্টি হয়েছেন , তবে প্রেরিত হয়েছেন সবার শেষে  ।
কেননা একজন নবী কখনো কি একজন মানুষের উপরে ঈমান আনতে পারবে? কস্মিনকালেও নয়।
মহান আল্লাহ পাক ইরশাদ মুবারক করেন,
أَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ
অর্থঃ অর্থাৎ আমিই (হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম মুসলমান (সূরা আনআম , আয়াত নং ১৬৩)
হাবীবুল্লাহ , হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সর্বপ্রথম নবী হিসেবেই সৃষ্টি হয়েছেনঃ (১০০ টি দলিল দ্বারা প্রমাণিত)
হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছেঃ

(-১৫)  
عَنْ حَضَرَتْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالىٰ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كُنْتُ اَوَّلُ النَّبِيْنَ فِى الْخَلْقِ وَاٰخِرُهِمْ فِىْ الْبَعْثِ.

অর্থঃ- হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, সৃষ্ট জীবের মধ্যে আমিই সর্বপ্রথম নবী হিসাবে সৃষ্টি হয়েছি। কিন্তু প্রেরিত হয়েছি সব নবী রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শেষে।”

দলীল-
তিরমিযী শরীফ- কিতাবুল মানাকিব- ফাদ্বায়িলুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- ৫ম খন্ড ৫৮৫ পৃষ্ঠা, হাদীস ৩৬০৯।
মুসতাদরাকে হাকেম ২য় খন্ড ৬৬৫ পৃষ্ঠা, হদীস শরীফ ৪২০৯।
মুছান্নাফে আবী শায়বা ৭/৩৬৯, হাদীস ৩৬৫৫৩।
মিরকাত শরীফ ১১/৫৮।
কানযুল উম্মাল , হাদীস ৩১৯১৬।
য়লামী শরীফ , হাদীস ৪৮৫০।
সহিহ ইবনে হিব্বান ১/৪৭।
ইবনে আসাকীর ২৬/৩৮২।
তারিখে বাগদাদ ৩/৭০।
তাফসীরে দূররে মানছুর ৫/১৮৪
তাফসীরে বাগবী ৫ম খন্ড ২০২ পৃষ্ঠা।
শেফা শরীফ ১/৪৬৬
তাহযীব লি ইবনে হাজর ৫/১৪১।
বেদায়া ওয়ান নেহায়া ২/৩০৭।
মানিলুচ্ছফা ৫ম খন্ড ৩৬ পৃষ্ঠা।
(১৬-২৩)
كُنْتُ نَبِيًّا وَآدَمُ بَيْنَ الْمَاءِ وَالطِّينِ
অর্থঃ- আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম পানি ও মাটিতে ছিলেন।”
দলীল-
মিরকাত শরীফ , ৯/৩৮৪, হাদীছ নং- ৫৭৫৮
তাবাকাতে ইবনে সা’দ ১ম খন্ড ১৪৮ পৃষ্ঠা।
কানযুল উম্মাল , হাদীস ৩২১১২।
তাফসীরে নিশাপুরী , / পৃষ্ঠা
তাফসীরে রুহুল বয়ান  , ৩/২৭৫ , ৬/৩৮৫ , ৯/১৮ , ১০/৫০৬
তুহফাতুল আহওয়াজী , ১০/৫৬
আল মাকাসিদুল হাসানা , ১/৫২১-৫২২ , হাদীছ নং-৮৩৮ , ৮৪২
মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া , ১/৩১-৩২

(২৪-২৫) كنت نبيا ولا ماء ولاطين
অর্থঃ- আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন পানিও ছিলো না মাটিও ছিলো না।”
দলীল-
মিরকাত শরীফ ১১ খন্ড ৫৮ পৃষ্ঠা।
তাফসীরে রুহুল বয়ান , ৩/২৭৫


(২৬-৫৯)
] حَدَّثَنَا أَبُو هَمَّامٍ الْوَلِيدُ بْنُ شُجَاعِ بْنِ الْوَلِيدِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: " وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ ".

হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি কখন থেকে নবী? নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, “ আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আলাইহিস সালাম শরীর ও রুহের মাঝে ছিলো।“ অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্টির আগে থেকেই আমি নবী।
 দলিলঃ
*তিরমিযী শরীফ , কিতাবুল মানাকিব ,ফাদ্বায়িলুন নবী অধ্যায়,৫/৫৮৫,হাদীস নং-৩৬০৯
*মুসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, ৪/৬৬,৫/৫৯, হাদীস নং-২৩৬২০
*মুস্তাদরিক লিল হাকিম ,২/৬৬৫-৬৬৬,হাদীস নং-৪২০৯-৪২১০
*মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, ৭/৩৬৯, হাদীস নং-৩৬৫৫৩
*মাজমুয়ায়ে আওসাত, ৪/২৭২,হাদীস নং-৪১৭৫
*মাজমুয়ায়ে কবীর, ১২/৯, হাদীছ নং-১২৫৭১
* হিলইয়াতুল আউলিয়া ,৭/১২২,৯/৫৩
*তারীখুল কবীর, ৭/৩৭৪,হাদীস নং-১৬০৬
*আস-সুন্নাহ ,১/১৮৮,হাদীস নং-২০০
*আস-সুন্নাহ(ইবনে আসিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি),১/১৭৯,হাদীস নং—১১
*আহাদ ওয়াল মাছানী ৫/৩৪৭, হাদীছ নং-২৯১৮
*আস সুন্নাহ(আহমদ বিন হাম্বল রহমাতুল্লাহি আলাইহি),২/৩৯৮,হাদীস নং-৮৬৪
*তাবকাত আল কুবরা ,১/১৪৮,৭/৬০
*থিক্বাত, ১/৪৭
*মাজমুয়ায়ে সাহাবা, ২/১২৭,হাদীস নং-৫৯১,৩/১২৯,হাদীস নং-১১০৩
*তাবক্বাত,১/৫৯,১২৫
*আহাদীছ আল মুখছারা, ৯/১৪২-১৪৩,হাদীছ নং-১২৩-১২৪
*মু’তাসার আল মুখতাসার,১/১০
*মুসনাদে ফিরদাউস লিল দায়লামী, ৩/২৮৪,হাদীছ নং-৪৮৪৫
*তারীখে দামিস্ক আল কবীর, ২৬/৩৮২, ৪৫/৪৮৮-৪৮৯
*ইতিক্বাদ ই আহ্লুস সুন্নাহ ,৪/৭৫৩,হাদীছ নং-১৪০৩
*তারীখে বাগদাদ, ৩/৭০,হাদীছ নং-১০৩২
*তাহযীবুত তাহযীব, ৫/১৪৭,হাদীছ নং-২৯০
*আল আসাবাহ লি ইবনে হাজার আসক্বালানী,৬/২৩৯
*তা’যীল আল মুনফি’য়া লি ইবনে হাজার আসক্বালানী, ১/৫৪২,হাদীছ নং-১৫১৮
*আল ইস্তিয়াব,৪/১৪৮৮, হাদীছ নং-২৫৮২
*সায়্যির আল  ‘আলাম আন নুবালা , ৭/৩৮৪,১১/১১০
*খাসায়িসুল কুবরা ১/১৮
*আল হাওয়ালিল ফাওতয়া ,২/১০০
*আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া ২/৩০৭,৩২০-৩২১
*তারীখে জারজানী ১/৩৯২,হাদীছ নং-৬৫৩
*মাওয়াহিবুল লাদুন্নিয়া ,১/৬০
*মাজমা’ আয যাওওয়াইদ ,৮/১২২
*শরফুল মুস্তাফা ১/২৮৬,হাদীছ নং-৭৫
উল্লেখ্য , এই হাদীস শরীফখানা মাইসারা আল আল ফাজর, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস,আব্দুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব,উমর বিন খত্তাব,আমীর রদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও বর্ননা করেছেন।

(৬০)
ওহাবী গুরু নাসিরুদ্দিন আলবানীর সিলসিলাতু্ল আহাদিসিস সহীহাহ কিতাবেঃ

يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى وَجَبَتْ لَكَ النُّبُوَّةُ؟ قَالَ: " وَآدَمُ بَيْنَ الرُّوحِ وَالْجَسَدِ ".
হযরত মাইসারাতুল ফাজর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করলেন,ইয়া রাসুলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আপনি কখন থেকে নবী? নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, “ আমি তখন থেকেই নবী যখন আদম আলাইহিস সালাম শরীর ও রুহের মাঝে ছিলো।“ অর্থাৎ আদম আলাইহিস সালাম সৃষ্টির আগে থেকেই আমি নবী।
(সিলসিলতুল আহাদীসিস সহীহাহ, ৪/৪৭২,হাদীছ নং-১৮৫৬,আল মারিফ লিন নাশর,রিয়াদ,সৌদি আরব)
(৬১-৭০)
عن حضرت ميسرة الفجر رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم كنت نبيا وادم بين الروح والـجسد.
অর্থঃ হযরত মাইসারাতুল ফাজর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন , নূরে মুজাসসাম,হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি তখনো নবী ছিলাম, যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম রূহ ও শরীরে ছিলেন।
* কানযুল উম্মাল/৩১৯১৭
* দায়লামী/৪৮৫৫
* তারীখে বুখারী
* মুসনাদে আহমদ
* ত্ববারানী
* মিশকাত
* আবু নঈম
* আলহাবী
*ইত্তিহাফুচ্ছাদাত
*তাযকিরতুল মাওদুয়াত

(৭১-৭৪)
হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু নূরে নুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন,”আল্লাহ পাক যখন হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করে উনার বংশধর সম্পর্কে জানালেন......তারপর হযরত আদম আলাইহিস সালাম শেষের দিকে(খতামুন নাবিয়্যিন হিসেবে) আমাকে(নূরে নুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে) “আলোকজ্জ্বল নূর” মুবারক হিসেবে দেখলেন। হযরত আদম আলাইহিস সালাম বল্লেন,”আয় বারে ইলাহী এই সম্মানিত নূর মুবারক ইনি কে? আল্লাহ পাক বল্লেন,”এটা আপনার সম্মানিত আওলাদ ,উনি সর্বপ্রথম সৃষ্টি,উনি সবশেষ সম্মানিত নবীও রাসুল হিসেবে প্রেরিত হবেন।আর হাশরের ময়দানে উনি সর্বপ্রথম শাফায়েত করবেন।
(দালালিয়ুন নুবুয়াত,৫/৪৮৩, দারুল কুতুব আল-ইলমিয়্যাহ,বৈরুত,লেবানন)
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি হাদিস শরীফ কে হাসান বলেছেন।
অন্যান্য কিতাবের রেফারেন্সঃ
*খাসায়িসুল কুবরা, ১/৩৯
*আল আওয়াইয়িল ,১/৬১,হাদীস নং-৫
*তারীখে মদীনা দামেস্ক ,৪২/৬৭

(৭৫-১০০)
عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك
অনুবাদঃ হযরত ফারুকে আযম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্নিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারাক করেছেন, (ইবলিশ যখন )হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে নিষিদ্ব গাছের ফল ভক্ষন করাতে সক্ষম হল, [যার দরূন উনাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর অনুতপ্ত হৃদয়ে ইস্তেগফার করতে ছিলেন।] তখন তিনি একবার আসমানের দিকে মুখ করলেন, আর বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ পাক ! হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওসীলায় আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন ওহী নাজীল হয়- হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কিভাবে আপনি চিনলেন? [যার ওসীলা দিয়ে আপনি দুআ করছেন?] তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তখন আমি আরশে লেখা দেখলাম-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখনই আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে, হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার চেয়ে সর্বোচ্চতর ব্যক্তিত্ব কেউ নেই যার নাম মুবারক আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন। তখন ওহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষে নবী ও রসূল হিসেবে প্রেরিত হবেন। আপনার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবেন। যদি তিনি না হতেন, তাহলে আপনাকেও সৃষ্টি করা হতো না।
দলিলঃ
দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ : ৫/৪৮৯ পৃ
মুসতাদরাকে হাকেম - ২/৪৮৬ পৃ : হাদস : ৪২২৮
আল মাদখাল : ১/১৫৪
আল মুজামুল আওসাত : ৬/৩১৩ : হাদীস নং-৬৫০২
আল মুজামুস সগীর : ২/১৮২ : হাদীস নং-৯৯২,
মুজমায়ে কবীর
আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২২৭
কাশফুল কাফা : ১/৪৬ ও ২/২১৪
হিলইয়াতুল আউলিয়া,
শেফাউস সিকাম
তারিখে দিমাশক’: ৭/৪৩৭ পৃ
আল ওয়াফা বি আহওয়ালিল মোস্তফা : ৩৩
বয়ানুল মীলাদুন্নবী : ১৫৮
আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ১/১৮ পৃ
মাযমাউজ যাওয়ায়েদ : ৮/২৫৩
নাসীম র-রিয়াদ’
খাসায়েসুল কুবরা : ১/১২ : হাদিস ১২
কআদ দুররে মানসুর : ১/১৪২
আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ : ১/ ৮২ ও ২/৫২৫
শরহে মাওয়াহিব : ১/১৭২
সীরাতে হালাবিয়্যাহ : ১/৩৫৫
তাফসীরে আজিযী : ১/১৮৩
শাওয়াহিদুল হক : ১৩৭
আনোয়ার-ই-মুহম্মদীয়া : ৯-১০
জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪
হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৩১ পৃ ও ৭৯৫ পৃ
(
মাকতুবাত এ তাওফিক হিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর)
যে সকল মুহাদ্দিসগন এ হাদিস শরীফটি সহিহ বলেছেনঃ
১) ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন হাদিসটি সহীহ। (আল মুস্তাদরাক , ২/৬১৫)
২) ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান। (শিফাউস সিকাম / ১২০)
৩) ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,হাদীসটি বিশুদ্ধ। (দাফউ শুবহাহ , ১/৭২)
৪) ইমাম কাস্তালানী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ। (মাওয়াহিবুল লাদুনিয়া , ১/১৬৫)
৫) ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। (ওয়াফাউল ওয়াফান , ২/৪১৯)
৬) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ(খাসায়িসুল কুবরা , ১/৮)
৭) ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তার কিতাবে উল্লেখ করেছেন। (মাজমাউল ফাতাওয়া , ২/১৫৯)
যদি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন, তবে আমি আপনাকে সৃষ্টি করতাম না’-এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন, এ হাদীসটি পূর্বের কথাকে শক্তিশালী করেছে। (মাজমু উল ফাতাওয়া , ২/১৫৯)
৮) বাত্বিলদের জবাবে ইমাম ইবনু কাসীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি পরিস্কার বলেছেন, এই হাদীসটি বানোয়াট নয়। এটা দ্বারা নির্দ্বিধায় দলীল প্রদান করা যাবে। (আস সীরাতুন নাবাবিয়্যাহ , ১/১৯৫)
৯) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ। (আল আসরারুল মারফুআহ , ১/২৯৫)
সুতরাং উপরের হাদীছ শরীফ সমূহ সর্বোচ্চমানের সহীহ ও নির্ভরযোগ্যসুবহানাল্লাহ !!

উপরিউক্ত হাদীছ শরীফসমূহ থেকে যা যা প্রমাণ হলঃ
১।আল্লাহ পাক হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পুর্বেই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নবী ও রসূল হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
২।আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম নবী ও রাসুল হিসেবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সৃষ্টি করেছেন , কিন্তু প্রেরণ করেছেন সবার শেষে। অর্থাৎ তিনি প্রেরণের দিকে শেষ নবী তবে সৃষ্টিতে সবদিক থেকে প্রথম এমনকী নবী ও রসূল হিসেবেও । আর আদম আলাইহিস সালাম দুনিয়াতে প্রেরণের দিকে থেকে প্রথম নবী ও রসূল। সুবহানাল্লাহ!
৩।হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওসীলা দিয়ে দুয়া করলে তা ১০০ ভাগ মক্ববুল। সুবহানাল্লাহ!
আল্লাহ পাক আমাদের কে দ্বীন উনার সহীহ ইলিম দান করুন। আমীন।

পরবর্তী পর্বে নূরে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্থানান্তরের বিষয় নিয়ে লিখার কোশেশ করবো। ইনশাআল্লাহ !

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.