Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

প্রাণীর ছবির ক্ষেত্রে শরয়ী ফায়সালা -- পর্ব-৫ ( ছবির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা, টি.ভি, ভি.সি.আর, সি.সি.টি.ভিতে প্রদর্শিত দৃশ্যাবলী অবশ্যই ছবির অন্তর্ভূক্ত)

পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরী করা, কারানো ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা:

প্রিয় বন্ধুরা আমরা ইতোমধ্যেই পবিত্র হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ ও ফিক্বাহের কিতাব সমূহের দলীলের মাধ্যমে ‘ছবি’র ব্যাখ্যা জেনেছি| এবার আমরা ছবির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জানবো|
মূলতঃ টি.ভি, ভি.সি.আর, সি.সি.টি.ভিতে প্রদর্শিত দৃশ্যাবলী অবশ্যই ছবির অন্তর্ভূক্ত| কেউ কেউ ছবির শরয়ী ও বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা বা ব্যাখ্যা না জানার কারণে এবং টি.ভি, ভি.সি.আর, সি.সি.টি.ভি সম্পর্কে সঠিক ও পর্যাপ্ত ইলম না থাকার কারণে বলে থাকে যে, টি.ভি, ভি.সি.আর, সি.সি.টি.ভিতে দৃশ্যমান দৃশ্যাবলী ছবি নয়| (নাউযুবিল্লাহ্)
তাদের এ বক্তব্য ও ধারণা সম্পূর্ণই ভুল, অবান্তর ও দলীলবিহীন| বস্তুত ‘ছবির’ শরয়ী ও বৈজ্ঞানিক সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন তুলে ধরলে সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হবে যে, টি.ভি, ভি.সি.আর, সি.সি.টি.ভিতে প্রদর্শিত দৃশ্যাবলী অবশ্যই ‘ছবি’| তাই নিম্নে ‘ছবির’ সংজ্ঞা ও ব্যাখ্যা তুলে ধরা হলো|
ছবির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাঃ
আলোর প্রতিফলন বা প্রতিসরণ ব্যতীত অন্য যে কোন পদ্ধতিতেই হোক না কেন, যদি কোন বস্তু বা জীব যে কোন স্থানে আকার আকৃতিতে দৃশ্যমান হয়, তবে সেই আকার আকৃতিটিকে শরীয়তের দৃষ্টিতে উহার ছবি বলে| পক্ষান্তরে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন বস্তু বা জীব যেখানেই যে অবস্থায়ই থাকুক, আলোর প্রতিফলন বা প্রতিসরণ বা উভয়ের মাধ্যমে যদি তা যে কোন স্থানে আকার আকৃতিতে দৃশ্যমান হয় তবে সেই আকার আকৃতিটি ছবি নয়|
ছবির ধারনাকে ভালভাবে বোঝানোর জন্য আনুষাঙ্গিক কিছু বিষয় আলোচনা করা হল|
(ক) আলোর প্রতিফলণঃ
আলোকরশ্মি যখন বায়ু বা অন্য কোন স্বচ্ছ মাধ্যমের ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় অন্য কোন মাধ্যমে বাধা পায়, তখন দুই মাধ্যমের বিভেদ তল থেকে কিছু পরিমান আলো প্রথম মাধ্যমে ফিরে আসে| আলোর বাধা পেয়ে এই ফিরে আসাকে ‘আলোর প্রতিফলণ’ বলে|
(এ বিষয়ে  ১নং ফটো দ্রষ্টব্য)




আরো সূক্ষ্মভাবে ব্যাখ্যা করলে বলা যায় যে, আলো হচ্ছে এক প্রকার Electromagnetic wave এই Wave এর নির্দিষ্ট Frequency থাকে|
আলোর ক্ষুদ্রতম অংশকে বলে ফোটন (Photon)| এই আলো যখন কোন বস্তুর উপর পড়ে তখন সেই বস্তু থেকে অসংখ্য প্রতিফলিত ‘ফোটন’ বের হয়| যাদের Frequency ভিন্ন রকম| ফলে আমরা বস্তুটির বিভিন্ন অংশকে বিভিন্ন রকম দেখতে পাই| অর্থাৎ বস্তুটিকে আমরা হুবহু ঐ বস্তুর মত দেখতে পাই| আলোর এই প্রতিফলণ নির্ভর করে প্রতিফলকের গুণাগুণের উপর| এগুলো হল-
(১) প্রতিফলকের স্বচ্ছতা ও মসৃণতা
(২) আলোর গতিপথে বাধা সৃষ্টি করা এবং
(৩) প্রতিফলকটির আলো শোষন না করার ক্ষমতা|
অর্থাৎ কোন বস্তু যত বেশী স্বচ্ছ ও মসৃণ হবে এবং সেটাতে যদি আলো ভেদ না করতে পারে এবং আলো শোষন করার ক্ষমতা যত কম হবে, সেই বস্তু তত ভাল ‘আলোর প্রতিফলণ’ ঘটাতে পারে | আলোর প্রতিফলণ যত ভাল হবে প্রতিফলিত আলোর Frequency তত কাছাকাছি হবে|
(খ) আলোর প্রতিসরণঃ
আলোকরশ্মি এক স্বচ্ছ মাধ্যম থেকে অন্য স্বচ্ছ মাধ্যমে প্রবেশ করার সময় দুই মাধ্যমের বিভেদ তলে আলোকরশ্মি দিক পরিবর্তন করে| একে আলোর প্রতিসরণ বলে| একই মাধ্যমে ঘনত্বের তারতম্যের কারণেও প্রতিসরণ হয়ে থাকে|
(এ বিষয়ে  ২নং ফটো দ্রষ্টব্য)






আলোর প্রতিফলণ ও প্রতিসরনের ব্যবহারঃ
(১) আয়না, স্থির পানি, মসৃণ ধাতব পৃষ্ঠ ইত্যাদিতে আলোর প্রতিফলন হয়| স্থির পানি, মসৃন ধাতব পৃষ্ঠ (যেমন- চকচকে লোহা) ইত্যাদি প্রতিফলকের চেয়ে রূপালী প্রলেপ দেয়া আয়না বেশী ভাল প্রতিফলকের কাজ করে| ফলে সূর্যের আলো আয়নার মধ্যে পড়ে অনেকটা একই Frequency তে প্রতিফলিত হয়| (অবশ্য ১০০% নয়)|
মূলতঃ আয়না এত ভাল প্রতিফলক, যার মধ্যে অল্প আলো পড়লেও সেটা প্রতিফলিত হতে পারে| ফলে সূর্যের আলো যখন কোন বস্তুর উপর পড়ে, তখন সে বস্তু থেকে যে বিভিন্ন Frequency এর ফোটন বের হয়| সেটা যদি আবার আয়নার মধ্যে পড়ে, তবে এই পূণরায় প্রতিফলিত আলোর ফোটনের Frequency একই হয়| ফলে কোন বস্তুকে সরাসরি যে রকম দেখি, আয়নার মধ্যে সেটাকে একই রকম দেখি|
মূল কথা হলো, কোন বস্তুকে সরাসরি দেখা এবং আয়নার মধ্যে দেখার মধ্যে মৌলিক কোন পার্থক্য নেই| এখানে শুধুমাত্র প্রতিফলনের সংখ্যা একবার বৃদ্ধি পায়|
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, মহান আল্লাহ্ পাকের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গামলার পানির মধ্যে এবং দর্পনে নিজ চেহারা মুবারক দেখেছেন|
কাজেই আয়না, পানি এবং এ জাতীয় মসৃণ পৃষ্ঠে আমরা যা দেখি, তা কখনও ‘ছবি’ হতে পারেনা|
(২) টেলিস্কোপের মাধ্যমে দূরবর্তী বস্তু বা জীবকে কাছে বা বড় এবং স্পষ্ট দেখা যায়| এই যন্ত্রে আলোর প্রতিফলণ ও প্রতিসরণ উভয়টিই ব্যবহৃত হয়| ম্যাগনিফাইং গ্লাসে এবং চশমার মাধ্যমে যথাক্রমে ক্ষুদ্র বস্তুকে বড় করে দেখা এবং অস্পষ্ট বস্তুকে স্পষ্ট করে দেখা হয়| এখানেও ‘আলোর প্রতিসরণ’ ব্যবহৃত হয়|
অনুবীক্ষন যন্ত্রেও (Microscope) আলোর প্রতিসরণের কারণে বস্তুর আসল আকারের চেয়ে অনেক বড় একটি চুড়ান্ত অবাস্তব প্রতিবিম্ব পাওয়া যায়|
দূরবীক্ষন যন্ত্র (Telescope) যার দ্বারা অনেক দূরবর্তী বস্তু খালী চোখে দেখা যায়, তাতে আলোর প্রতিফলণ ও প্রতিসরণ দু’ পদ্ধতিই প্রয়োগ করা যায়| এজন্য দূরবীক্ষণ যন্ত্র দু’ প্রকার-
(১) প্রতিসরণ দূরবীক্ষণ যন্ত্র (Refracting Telescope),
(২) প্রতিফলক দূরবীক্ষণ যন্ত্র (Reflecting Telescope)|
(গ) প্রতিবিম্বঃ
কোন বিন্দু থেকে নিঃসৃত আলোকরশ্মিগুচ্ছ প্রতিফলিত বা প্রতিসরিত হয়ে যদি দ্বিতীয় কোন বিন্দুতে মিলিত হয় বা দ্বিতীয় কোন বিন্দু থেকে অপসৃত হচ্ছে বলে মনে হয়, তাহলে ঐ দ্বিতীয় বিন্দুকে প্রথম বিন্দুর প্রতিবিম্ব (Image) বলে|

(এ বিষয়ে  ৩নং ফটো দ্রষ্টব্য)
                        

(ঘ) ক্যামেরা (Camera)-
এই যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথমে বস্তুর নেগেটিভ চিত্র পাওয়া যায়| যাকে পরে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার দ্বারা পজিটিভ বা প্রকৃতচিত্র তৈরী করা হয়|
(ঙ) টেলিভিশন (Television)
টেলিভিশনের মাধ্যমে শব্দ শোনার সাথে সাথে বস্তুর ছবি দেখতে পাওয়া যায়| বৃটিশ বিজ্ঞানী লজি বেয়ার্ড ১৯২৩ সালে প্রথম টেলিভিশন আবিষ্কার করে| ১৯৪০ সালে টি.ভি বর্তমান অবস্থায় উন্নত হয়| T.V / Closed Circuit T.V / Video Cassette Recorder / Video Cassette player ইত্যাদির কার্যাবলীকে তিনভাগে ভাগ করা যায়| যথাঃ-
(১) Transmission বা প্রেরন,
(২) Medium বা মাধ্যম,
(৩) Reception বা গ্রহন|
T.V এবং V.C.R বা V.C.P এর ক্ষেত্রে প্রথমে কোন বস্তুর ছবি তুলে সেই ছবির বিভিন্ন অংশের, আর Closed circuit T.V এর ক্ষেত্রে কোন বস্তুর সরাসরি বিভিন্ন অংশের প্রতিফলিত ফোটনের Frequency অনুযায়ী এক ধরনের Electrical Signal তৈরী হয়| সেই Signal কে আরও Processing এর পর Transmit করা হয়| T.V. এর ক্ষেত্রে Transmit করা হয় বাতাসে| আর V.C.R এবং Closed Circuit T.V এর ক্ষেত্রে তারের মধ্যে| মাধ্যম বাতাসই হোক আর তারই হোক সেটা Receiver (অর্থাৎ T.V.) এ যখন আসে তখন সেটা Receive করার পর কিছু Processing করা হয়, এই Signal গুলো T.V. তে অবস্থিত একটি Electronic Gun কে নিয়ন্ত্রন করে| ফলে এই Gun টি T.V. এর পর্দার যে অংশে যতটুকু Electron ছাড়লে হুবহু Transmit করা ছবির মত হবে সে অংশে ততটুকু ইলেকট্রন ছাড়ে| এই Electron গুলো রাসায়নিক প্রলেপ পতিত হয়ে উজ্জল ও অনুজ্জল বিন্দুর সমন্বয়ে ছবি তৈরী করে| এই ছবি T.V. এর পর্দায় দেখা যায়| অর্থাৎ T.V. / V.C.R. / V.C.P. / Closed Circuit T.V সবক্ষেত্রেই পর্দায় যা আসছে সেটা সুস্পষ্ট এবং বিশেষভাবে অঙ্কিত ছবি|
অনেকে অজ্ঞতাবশতঃ টেলিভিশনকে পানি ও আয়নার সাথে তুলনা করেছেন| মূলতঃ টেলিভিশন পানি ও আয়নার মত নয়| তারা টেলিভিশনে কিভাবে ছবি আসে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার কারণে অজ্ঞতাপ্রসূত ফতওয়া দিয়েছে যে টেলিভিশন আযানের মত| তাদের ফতওয়া সম্পূর্ণরূপেই ভুল ও পরিত্যাজ্য|
সিনেমা / চলচ্চিত্র / ছায়াছবিঃ
মুই ব্রীজ নামক বিজ্ঞানী ১৮৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্র তৈরী করে| সে একটি চলমান ঘোড়ার বিভিন্ন অবস্থানের ২৪টি ছবি তৈরী করে| ছবিগুলোকে যখন দ্রুত চালানো হত, তখন ঘোড়াটা দৌড়াচ্ছে বলে মনে হত| ১৮৯৩ সালে টমাস এডিসন মুইব্রীজের আবিষ্কারকে আরও উন্নত করে| সেই সর্বপ্রথম সবাক চলচ্চিত্র আবিষ্কার করে|
চলচ্চিত্র প্রকৃতপক্ষে আলোকচিত্রেরই উন্নত সংস্করণ| কোন জিনিসের অনেকগুলো স্থির ছবি ধারাবাহিকভাবে Film বা এক প্রকার স্বচ্ছ পদার্থের উপর সাজান হয়| যন্ত্রের (Projector) মাধ্যমে আলোর প্রক্ষেপণের দ্বারা এই সকল ছবি বৃহত্তররূপে প্রতিবিম্বত হয়ে পর্দার (Screen) উপর পড়ে|
প্রতিটি ছবি সেকেন্ডের সামান্যতম অংশ সময়ের জন্য স্থিরভাবে পর্দায় পড়ে এবং এটা মুছে যাওয়ার সাথে সাথে আর একটা পর্দার উপর পড়ে এবং এভাবে ক্রমাগত পড়তে থাকে|
চোখের মাধ্যমে যদি আমাদের মস্তিষ্কে কোন বস্তুর প্রতিবিম্ব অনুভূত হয়, তবে সেটা মুছে যেতে যতটুকু সময়ের প্রয়োজন তার পূর্বেই যদি আর একটা প্রতিবিম্ব তৈরী হয়, তবে এই প্রতিবিম্বগুলোর পার্থক্য নির্ণয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়| একারণেই চলচ্চিত্রের স্থির ছবিগুলোর পার্থক্য দর্শকের কাছে ধরা পড়েনা| দর্শকের কাছে মনে হয় একই ছবি এবং ছবিতে যা দেখান হয় তা বুঝি চলমান|
মূলতঃ তা ঠিক নয়, বরং স্থির ছবিই একটার পর একটা আসে যায়| যে জন্য একে চলচ্চিত্র বলে| ছবির উপর আলোর প্রক্ষেপণের মাধ্যমে এর (ছবির) ছায়া পর্দার উপর নিক্ষিপ্ত হয়, সেজন্য চলচ্চিত্রকে ‘ছায়াছবিও’ বলে|
উপরোক্ত আলোচনার পর বলা যায় যে, শরীয়তের দৃষ্টিতে সচলতা বা স্থিরতা, Direct Tele Cast বা Indirect Tele Cast Film- এর দ্বারা তৈরী বা Film ব্যাতীত তৈরী, স্থায়ীত্বতা বা অস্থায়িত্বতা ইত্যাদি কোনটাই ছবি হওয়ার জন্য শর্ত নয় |
ছবির উপরোক্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দ্বারা এটাই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো যে, আলোর প্রতিফলণ বা প্রতিসরণ ব্যতীত অন্য যে কোন পদ্ধতিতেই হোক না কেন, যদি কোন বস্তু বা জীব যে কোন স্থানে আকার আকৃতিতে দৃশ্যমান হয়, তবে সেই আকার আকৃতিটিকে শরীয়তের দৃষ্টিতে উহার ছবি বলে| পক্ষান্তরে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন বস্তু বা জীব যেখানেই যে অবস্থায়ই থাকুক, আলোর প্রতিফলণ বা প্রতিসরণ বা উভয়ের মাধ্যমে যদি তা সে কোন স্থানে আকার আকৃতিতে দৃশ্যমান হয় তবে সেই আকার আকৃতিটি ছবি নয়|
অতএব, ‘ছবি’ কে আরবীতে تصوير (তাসবীর) صورة (ছূরত) تصالىب (তাছালীব) تمء شىل (তামাছীল) বলা হয়| ইংরেজীতে Photo, Picture, Image ইত্যাদি বলা হয়|
কিন্তু যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন, এবং যে কোন পদ্ধতিতেই তৈরী, আঁকা বা তোলা হোক না কেন- পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস অর্থাৎ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদা ও ফতওয়া মুতাবিক জিন্দাই (জীবিত) হোক আর মুর্দাই (মৃত) হোক সমস্ত প্রাণীর ছবিই তৈরী করা, তোলা, আঁকা, দেখা, ছাপান, রাখা ইত্যাদি নাযায়েজ, হারাম|
প্রাণীর ছবি হারাম হওয়ার ব্যাপারে আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের মধ্যে কোন প্রকার ইখতিলাফ (মতভেদ) নেই| কেননা ছবি হারাম হওয়ার ব্যাপারে একাধিক ছহীহ্ হাদীছ শরীফ, হাদীছ শরীফের শরাহ্, সমস্ত মশহুর ফিক্বাহ ও ফতওয়ার কিতাবে সরাসরি উল্লেখ রয়েছে|

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.