প্রাণীর ছবির ক্ষেত্রে শরয়ী ফায়সালা --> পর্ব-১২ (পবিত্র কা’বা শরীফ, পবিত্র মক্কা শরীফ উনার হিফাযতকারী মহান আল্লাহ্ পাক স্বয়ং নিজেই| সি.সি টিভি বা কোন ব্যাক্তি বা কোন গোষ্ঠী এর হিফাযতকারী নয়)
পবিত্র কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরী
করা, কারানো ও ছবি আঁকা, তোলা,
তোলানো, রাখা,
রাখানো, দেখা,
দেখানো
হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা:
►► পবিত্র কা’বা শরীফ,
পবিত্র
মক্কা শরীফ উনার হিফাযতকারী মহান আল্লাহ্ পাক স্বয়ং নিজেই| সি.সি টিভি বা কোন ব্যাক্তি বা কোন গোষ্ঠী এর
হিফাযতকারী নয়ঃ
↓
নিরাপত্তা বা পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যে পবিত্র স্থানসমূহে ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি
শুধু শরীয়তেই হারাম নয়, মুসলামনদের কাছে
তা একটি অবান্তর এবং বিবেক বর্জিত বিষয়|
সাধারণভাবে যা ধারণা করা হয় তার চেয়েও অনেক বেশী ক্যামেরার সাহায্যে হাজীদের পর্যবেক্ষণ
করা হয় এবং তাদের ছবি রেকর্ড করা হয়|
২০০৫
সালে পবিত্র মক্কা শরীফ উনার পবিত্র স্থানসমূহে স্থাপিত ৯০০০ এরও বেশী সি.সি টিভি ক্যামেরার
মাধ্যমে হজ্জের মৌসুমে হাজীদের নিরাপত্তার নামে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল| পবিত্র মসজিদুল হারাম শরীফ, পবিত্র মিনা, পবিত্র আরাফা এবং অন্যান্য পবিত্র স্থানগুলোকে সৌদি আরবের সিভিল
ডিফেন্স পরিদপ্তর নিরীক্ষণের জন্য সি.সি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনতে চাচ্ছে| জামারাত ব্রিজের চারিদিকে (যে যায়গায় অতীতে অনেকগুলো
দুর্ঘটনা সংয়টিত হয়েছিল) প্রায় ১০০০টি সি.সি টিভি স্থাপিত রয়েছে| জামারাত এবং অন্যান্য জায়গায় গৃহীত সকল ব্যবস্থার
উদ্দেশ্য হল শুধু ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা যেন এই সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণ
ব্যবস্থা অপ্রীতিকর ঘটনাকে প্রতিরোধ করতে পারে| কিন্তু বাস্তবে অপরাধ এবং অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে
সি.সি টিভি দ্বারা নিরীক্ষণের কার্যকারীতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ এবং বিতর্ক রয়েছে| যা আপনারা ইতিপূর্বেই ১১তম পর্বে উল্লেখিত বর্ণনা
দ্বারা অবগত হয়েছেন|
নিরীক্ষণের উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সি.সি টিভি ক্যামেরাগুলো যখন চালু থাকে তখন এগুলো
প্রতি সেকেন্ডে ৪০০টি ছবি তুলতে সক্ষম|
প্রশ্ন
হলো- কেন মুসলমানরা নিরাপত্তা বা পর্যবেক্ষণের নামে তাদের ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় বিষয়ে
অন্য কারও অবৈধ হস্তক্ষেপ মেনে নিবে?
তাছাড়া
পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার হিফাযতের দায়িত্ব কি কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সি.সি টিভির উপর ন্যাস্ত করা হয়েছে? হয় নাই| বরং পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নিরাপত্তা ও
হিফাযতের জিম্মাদারী হচ্ছে স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক|
যেমন যমীনের বুকে পবিত্র বাইতুল্লাহ্ শরীফ বা কা’বা শরীফই হচ্ছে প্রথম ঘর| যা মানবজাতির ইবাদতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে| মহান আল্লাহ্ পাক সর্বপ্রথম ফেরেশতাদের মাধ্যমে
এই সম্মানিত ঘর তৈরী করেন| আর এ ঘরের হিফাযতকারী
তিনি নিজেই|
হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার যামানায় সারা বিশ্বব্যাপী যখন প্লাবন হয়েছিলো তখন
মহান আল্লাহ্ পাক এ পবিত্র ঘরকে আসমানে তুলে নিয়ে হিফাযত করেন|
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ-এর ‘সূরা ফীল’-এ মহান আল্লাহ্ পাক ইরশাদ করেন,
“হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি কি দেখেননি অর্থাৎ আপনি তো
দেখছেন যে, আপনার রব হস্তিওয়ালাদের
সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন এবং তাদের কূটকৌশল কিভাবে ধুলিস্যাত করেছেন, এবং প্রেরণ করেছেন তাদের উপর ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি, উহারা তাদের উপর কঙ্করময় পাথর নিক্ষেপ করেছে, অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণের ন্যায় করেছেন|”
‘সূরা ফীল’-এর মধ্যে পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফ বা পবিত্র কা’বা শরীফ উনার হিফাযতকারী
যে স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক নিজেই সে বিষয়টা স্পষ্ট করে সমস্ত দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে দেওয়া
হয়েছে|
‘সূরা ফীল’-এর শানে নূযূল সম্পর্কে ‘তাফসীরে ইবনে জারীর ত্ববারী, কবীর,
কুরতুবী, মাদারিক, খাযিন, বাগবী, ইবনে কাছীর, মুনীর, মুয়ালীম, ইবনে আব্বাস, দুররে মানছূর,
জালালাইন, মাযহারী, আমীনিয়া, কাশশাফ ইত্যাদি তাফসীরগ্রন্থে
লিখিত আছে, আবিসিনিয়ার রাজার
অনুমতিক্রমে তার প্রতিনিধি হিসেবে আবরাহা নামে এক ব্যক্তি ইয়েমেনের শাসনকর্তা হিসেবে
নিযুক্ত হয়| আবরাহা লক্ষ্য করলো, পবিত্র হজ্জের সময় লক্ষ লক্ষ লোক প্রচুর মাল-সম্পদ
নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফে হজ্জ করতে যায়,
তা
দেখে সে ঈর্ষান্বিত হয় এবং চিন্তা করে,
ইয়েমেনে
সানআ’ শহরে একটা সুন্দর গির্জা তৈরি করে মানুষদেরকে হজ্জ করার জন্য আহবান করবে| তার ডাকে লোকজন যদি সাড়া দিয়ে হজ্জ করতে আসে
তাহলে সমস্ত পশুপাল ও মাল সম্পদ দ্বারা সে ফায়দা লাভ করতে পারবে| এ খেয়ালে সে ইয়েমেনে সানআ’ শহরে মূল্যবান পাথর
দিয়ে একটা গির্জা তৈরি করে| গির্জার দেয়ালগুলি
স্বর্ণ, মণি-মুক্তা, হীরা-জহরত দিয়ে প্রলেপ দেয় এবং নানা রকম মূর্তি, প্রতিমা স্থাপন করে| অতঃপর সে তার দেশ ও আশেপাশের এলাকায় ঘোষণা করে
দেয়, যাতে সকলে পবিত্র মক্কা শরীফ
না গিয়ে তার এ ‘খলীছা’ গির্জায় হজ্জ করতে আসে| এতে আরববাসী বিশেষ করে মক্কাবাসী ও উনার অধিবাসী কুরাইশগণ অসন্তুষ্ট
হন|
ঘটনা প্রবাহে কেনানা গোত্রের এক ব্যক্তি পূর্বোক্ত গির্জায় চাকুরি নেয়| অতঃপর সে সুযোগ বুঝে এক রাত্রিতে সে গির্জায়
প্রবেশ করে সেখানে ইস্তিঞ্জা করে অপবিত্র করে সেখান থেকে চলে যায়|
অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, এক ব্যবসায়ী কাফেলা
সেখানে রাত্রি যাপন করে| তারা আলো এবং খাবার
পাক করার জন্য আগুন জ্বালায় সে আগুনে হঠাৎ গির্জার একটা অংশ পুড়ে যায়| আবরাহার কিছু লোক যারা সেখানে পূজা করতো তারা
সে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়| এটা শুনে আবরাহা
অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয় এবং শপথ করে,
পবিত্র
কা’বা শরীফ সে ধ্বংস করে দিবে| (নাউযুবিল্লাহ্) কারণস্বরূপ
সে বলে, মক্কা শরীফের অধিবাসীরাই
তার গির্জা অপবিত্র করেছে ও পুড়িয়ে দিয়েছে|
তখন
সে আবিসিনিয়ার রাজাকে ব্যাপারটা জানিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে| অনেক সৈন্য-সামন্ত ও পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হস্তি
মাহমুদসহ ১৩টি হস্তি নিয়ে পবিত্র মক্কা শরীফের দিকে রওয়ান হয়| আবরাহা চেয়েছিল, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আটটা হস্তি দিয়ে পবিত্র কা’বা
শরীফের চারটা ভিতের সাথে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে সজোড়ে টান দিয়ে পবিত্র কা’বা শরীফকে
সহজেই ভূপাতিত করবে| রাস্তায় অনেকে বাধা
দেয়া সত্বেও সে বাধা উপেক্ষা করে পবিত্র মক্কা শরীফে পৌছে| সেখানে পবিত্র মক্কাবাসীদের উটসহ অনেক চতুষ্পদ
জন্তু লুটপাট করে নেয়| তারমধ্যে হযরত আব্দুল
মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার দুইশত উটও ছিল|
এ সংবাদ
শুনে হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম আবরাহার সাথে দেখা করেন এবং উনার দুইশত উট
ফেরত চান| আবরাহা উনাকে দেখে দাঁড়িয়ে
অত্যন্ত তা’যীম-তাকরীম করে এবং বিস্ময় প্রকাশ করে বলে, আপনি কা’বা শরীফ হিফাযতের কথা না বলে শুধু আপনার
উট চাইলেন, এর কি কারণ?
জবাবে হযরত আব্দুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম বলেন, উটের মালিক আমি সেজন্য উটগুলি হিফাযত করা আমার
দায়িত্ব| আর পবিত্র কা’বা শরীফের মালিক
আমি নই| কা’বা শরীফের মালিক হচ্ছেন
স্বয়ং মহান আল্লাহ্ পাক| আর আমি হচ্ছি পবিত্র
কা’বা শরীফের খিদমতগার বা খাদিম|
কাজেই, মহান আল্লাহ্ পাক উনার ঘর পবিত্র কা’বা শরীফ
মহান আল্লাহ্ পাক নিজেই হিফাযত করবেন;
তা
বলার অপেক্ষা রাখে না| আর তোমাদের সাথে
যুদ্ধ করার আদৌ কোন ইচ্ছা আমাদের নেই|
এখন
তোমার যা ইচ্ছা তুমি তা-ই করতে পারো|
আমরা
অতিসত্ত্বর স্থান ত্যাগ করে নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয় নিবো|
অতঃপর আবরাহা হযরত মুত্তালিব আলাইহিস সালাম উনার উট ফেরত দিলো| হযরত মুত্তালিব আলাইহিস সালাম কিছু লোকজনসহ পবিত্র
কা’বা শরীফে গিয়ে গিলাফ মুবারক ধরে মহান আল্লাহ্ পাক উনার নিকট রোনাজারি করে দুয়া
করলেন এবং বললেন, আয় আল্লাহ্ পাক!
আপনি ঘরের মালিক ও হিফাযতকারী| আমি এ পবিত্র ঘরের
দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলাম তা যথাযথ পালন করার চেষ্টা করেছি| এখন আবরাহা এসেছে পবিত্র কা’বা শরীফের ক্ষতি
করার জন্য| সে যে পরিমাণ সৈন্য-সামন্ত
ও অস্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে তাকে বাধা দেয়ার মত আমাদের ক্ষমতা নেই| কাজেই,
আপনার
ঘর আপনার হিফাযতে দিয়ে আমরা নিরাপদ দূরত্বে আশ্রয়ে চলে যাচ্ছি|
পরের দিন আবরাহা তার সমস্ত বাহিনী নিয়ে পবিত্র কা’বা শরীফের ক্ষতি করার জন্য অগ্রসর
হলো| কিন্তু হস্তিগুলো একটাও সামনের
দিকে আগ্রসর হচ্ছিলো না| কিছুক্ষণের মধ্যে
দেখা গেলো, কিছু ক্ষুদ্র আকৃতির
পাখি যা আকারে কবুতরের চেয়ে ছোট|
কতগুলি
সাদা বর্ণের, কতগুলি কালো বর্ণের, কতগুলি নীল বর্ণের| সমুদ্রের দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে লাগলো| উহাদের মাথা ছিলো হিংস্র জন্তুর মত, ঠোট ছিলো হস্তির শুঁড়ের মত আর নখগুলি ছিলো কুকুরের
মত| প্রত্যেকটি পাখি তিনটি কঙ্করময়
প্রস্তুর বহন করে এনেছিলো| একটি ঠোটে, দু’টি পায়ে| আবরাহা ও তার বাহিনীর উপরে এসে সে কঙ্করগুলি নিক্ষেপ করতে লাগলো| এর ফলে তৎক্ষণাৎ কিছু ধ্বংস হয়ে গেলো| কিছু আহত অবস্থায় পলায়ন করার পথে ধ্বংস হলো| কঙ্করগুলি উপর দিক থেকে পড়ে নিচ দিয়ে বের হয়ে
মাটিতে অদৃশ্য হয়ে যেত| যার কারণে আবরাহার
সৈন্য বাহিরী, হস্তিবাহিনী ভক্ষিত
তৃণের ন্যায় দলিত-মথিত হয়ে গেলো|
কুরাইশগণ
দূর থেকে এ ঘটনা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করলেন|
আর
কঙ্করগুলি ছিলো ডাল অপেক্ষা বড় ও ছোলা বুট থেকে ছোট| আবরাহা ইয়েমেন পর্যন্ত পৌছালো| এবং তার উপর দিয়ে পাখিগুলি উড়তে থাকলো| সেখানে পৌছার পরে পাখির কঙ্কর নিক্ষেপের কারণে
সেও ভক্ষিত তৃণের ন্যায় দলিত মথিত হয়ে গেলো|
আর
তার মন্ত্রী ইয়াকছুম পালিয়ে আবিসিনিয়ায় রাজার কাছে এ সংবাদ পৌছায়| তার উপর দিয়েও একটি পাখি উড়ছিলো| সে সংবাদ পৌছানোর পর পাখিটি কঙ্কর নিক্ষেপ করায়
সেও ভক্ষিত তৃণের ন্যায় দলিত মথিত হয়ে যায়|
এ পবিত্র সূরায় বর্ণিত ঘটনা থেকে বান্দা ও উম্মতকে এ নছীহত গ্রহণ করতে হবে যে, মহান আল্লাহ্ পাক উনার ঘর পবিত্র কা’বা শরীফকে
সবসমই কুদরতীভাবে হিফাযত করেছেন,
করেন
ও করবেন| কাজেই, এই পবিত ঘর হিফাযত করার জন্য বান্দাদের কখনও
চিন্তিত ও পেরেশান হওয়ার প্রয়োজন নেই|
পবিত্র
কা’বা শরীফ, পবিত্র মক্কা শরীফ
উনার হিফাযতকারী মহান আল্লাহ্ পাক স্বয়ং নিজেই| সি.সি টিভি বা কোন ব্যক্তি বা কোন গোষ্ঠী উনার হিফাযতকারী নয়|
অথচ দেখা যাচ্ছে, সউদী ওহাবী সরকার
ও উলামায়ে ‘ছূ’ যারা ইহুদী-নাসারা,
কাফির-মুশরিক
এক কথায় বেদ্বীনদের গোলাম তারা একত্রিত হয়ে পবিত্র কা’বা শরীফ হিফাযতের নাম দিয়ে পবিত্র
মক্কা শরীফের পবিত্র হেরেম শরীফের ভিতরে অর্থাৎ পবিত্র কা’বা শরীফ, ছাফা,
মারওয়া, মিনা,
মুজদালিফা, আরাফা ইত্যাদি স্থানে প্রায় দশ হাজারেরও বেশী
সি.সি টিভি ফিট করেছে| অনুরূপ পবিত্র মদীনা
শরীফেও রয়েছে| অথচ হাজার হাজার
পবিত্র হাদীছ শরীফে রয়েছে, “ছবি তোলা, আঁকা হারাম” | অর্থাৎ সউদি ওহাবী সরকার ইহুদী-নাসারাদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে
পবিত্র হজ্জের সময় মুসলমানদের দ্বারা হারাম কাজ করিয়ে মুসলামানদের পবিত্র হজ্জকে নষ্ট
করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে| তাই সউদী সরকারের
জন্য ফরয হলো, এই সমস্ত সি.সি টিভিগুলি
খুলে নেয়া| আর যদি না খুলে তাহলে
দুনিয়ার সমস্ত মুসলমানদের জন্য ফরয হলো,
এর
শক্ত প্রতিবাদ করা|
No comments