হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বিবাহ পদ্ধতিতে (শরীয়ত সম্মত ভাবে) যমীনে পাঠিয়েছন।
হাদীছ শরীফ
عن حضرت محمد بن على مرسلا قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ان الله تعالى اخرجنى من النكاح ولم يخرجنى من السفاح.
অর্থঃ- হযরত মুহম্মদ বিন আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মুরসাল সনদে বর্ণনা
করেন তিনি বলেন, হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশোদ মুবারক করেনন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক আমাকে বিবাহ পদ্ধতিতে (শরীয়ত সম্মত
ভাবে) যমীনে পাঠিয়েছন। কোন অশালীনতার মাধ্যমে আমাকে যমীনে প্রেরণ করেননি।”
(বায়হাক্বী, কানযুল
উম্মাল/৩১৮৬৬)
হাদীছ শরীফ
عن حضرت على رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خرجت من نكاح ولم اخرج من سفاح مبن لدن ادم الى ان ولدنى ابى وامى لم يصبنى من سفاح الجاهلية شئ.
অর্থ: হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ মুবারক করেন, আমি বিবাহ
বন্ধনের মাধ্যমেই যমীনে তাশরীফ এনেছি। কোন অশালীনতা আমাকে স্পর্শ করেনি। হযরত আদম
আলাইহিস্ সালাম থেকে শুরু করে আমার পিতা হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম ও আমার
মাতা হযরত আমিনা আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত কারো মাধ্যমেই জাহিলিয়াতের কোন অশালীনতা
আমাকে স্পর্শ করতে পারেনি।” (বায়হাক্বী,
ইবনে
আদী, আল আদানী, কানযুল উম্মাল/৩১৮৬৮)
হাদীছ শরীফ
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنهما قال قال النبى صلى الله عليه وسلم لم يلتق ابوابى قط على سقاح.
অর্থঃ- হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ মুবারক করেন, আমার পিতা-মাতা
(পূর্ব পুরুষ) কখনোই দুশ্চরিত্রর দোষে দোষি ছিলেন না।
হাদীছ শরীফ
عن حضرت ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ما ولدتنى بغى قط منذ خرجت من صلب ادم عليه السلام ولم تزل تنازعنى الامم كابرا عن حضرت كابر حتى خرجت من افضل حيين من العرب ها شم وزهرة.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
ইরশাদ মুবারক করেন, “হযরত আদম
আলাইহিস্ সালাম -উনার পৃষ্ঠ মুবারক থেকে (হযরত আব্দুল্লাহ আলাইহিস্ সালাম পর্যন্ত)
কখনোই কোন ব্যভিচারী ব্যক্তি আমাকে ধারণ করেনি। আর সর্বদাই (শুরু থেকে শেষ
পর্যন্ত) সর্বকালের উম্মতগণ আমার দ্বারা (আমাকে গ্রহণ করার আকাঙ্খা করে) বড় থেকে
বড় হতে চেয়েছে। এমনকি আমি আরবের দুই শ্রেষ্ঠ সম্প্রদায় হাশিম ও জাহরা-এর মাধ্যমে
বের হয়েছি (যমীনে তাশরীফ এনেছি) (ইবনে আসাকির, কানযুল উম্মাল/৩২০১৬)
হাদীছ শরীফআখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন,
لم ازل انقل من اصلاب الطاهرين الى ارحام الطاهرات على ان جمع ابائه صلى الله عليه سلم وجميع امهاته الى ادم وحواء عليهما السلام ليس فيهم كافر.
অর্থঃ- আমি সর্বদা পুতঃ পবিত্র নারী ও পুরুষদের মাধ্যমেই স্থানান্তারিত হয়েছি। সুতরাং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-উনার পূর্ব পুরুষগণ হযরত আদম আলাইহিস্ সালামও হযরত ও আলাইহাস্ সালাম পর্যন্ত কেউই কাফির ছিলেন না। (বরং সকলেই পরিপূর্ণ ঈমানদার ও আল্লাহ পাক-এর খাছ বান্দা ছিলেন। (আবূ নঈম, তাফসীরে কবীর ১৩/৩১, নূরে মুহম্মদী, তাহকীকুল মাক্বাম আলা কিফয়াতিল আওয়াম)
হাদীছ শরীফ
عن حضرت ابن عباس رضى الله تعالى عنه ان ابا ابراهيم عليه والسلام لم يكن اسمه ازر وانما كان اسمه تارخ.
অর্থঃ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম-্উনার পিতার নাম আযর নয়, বরং উনার পিতার নাম মুবারক হলো- হযরত তারিখ আলাইহিস্ সালাম। (ইবনে আবি হাতিম, ইবনে কাছির ৬/২৪৮, তাফসীরে কবীর)
No comments