মি’রাজ শরীফের আমল(রাতে নামাজ ও দিনে রোযা) হাদীছ শরীফ উনার দলিল দ্বারা প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
হাল যামানার নব্য ফিত্নাবাজ সালাফী,
লা-মাজহাবী ওহাবীরা বলে থাকে শবে মিরাজের আমল হাদীছ শরীফ দ্বারা নাকি প্রমাণিত
নয়।নাউজুবিল্লাহ!
হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ،
حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ
بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا
خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي
عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ
عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ،
وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ
مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللهُ مُحَمَّدًا
"، " وَرُوِيَ ذَلِكَ بِإِسْنَادٍ آخَرَ أَضْعَفُ مِنْ هَذَا كَمَا "
যেমন- হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু
আনহু হতে বর্ণিত- প্রিয় নবী, হুজুর পুরনুর ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, "রজবে এমন একটি দিন ও একটি
রাত রয়েছে, যে এদিন রোজা রাখবে, আর রাত
জেগে ইবাদত করবে, তবে সে যেন ১০০ বছরের রোজা রাখল এবং ১০০ বছরের
রাত জেগে ইবাদত করলো, আর তা হচ্ছে রজবের ২৭ তারিখ।" (শোয়ায়বুল
ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৬, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২:
হাদীস ৩৫১৬৯, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে
রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)
أَخْبَرَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ
مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ
أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ
الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ
النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " فِي رَجَبٍ
لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ
لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ
رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ
الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ،
ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ،
وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ،
وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ،
وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ
صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي
مَعْصِيَةٍ "
অর্থঃ হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে
বর্ণিত, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রজব মাসের একটি
রাত রয়েছে যে রাতে ইবাদত করলে ১০০ শত বছরের (নফল) ইবাদতের সাওয়াব পাওয়া যায়। আর
সেটি হচ্ছে রজব মাসের ৩ দিন বাকি থাকার রাত (২৭ ই রজব/শবে মি'রাজ/মি'রাজের রজনী)। আর এ রাতে ১২ রাক‘আত
নামায পড়বে আর প্রত্যেক রাক‘আতে সূরা ফাতেহা ও তার সাথে অন্য সূরা দ্বারা এক সালামে
দুই রাক‘আত নামায আদায় করবে এবং নামায শেষে সুবহানাল্লাহ, আল-হামদুল্লিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ,
আল্লাহু আকবার ১০০ বার পড়বে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপরে ১০০ বার দরুদ শরীফ পড়বে এবং তারপরে
আল্লাহ পাক উনার কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য র্প্রাথনা করবে, দিনে রোযা রাখবে তাহলে মহান রব শুধুমাত্র গুণাহের কাজে জন্য দু‘আ ব্যতীত সকল
দোয়া কবুল করবেন।সুবহানাল্লাহ!
(শোয়াবুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল
যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬পৃ, হাদিস-৩৫৩১,
ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৭ : হাদীস ১২, তাবয়িনুল আযাব
বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস
১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৭০, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা, আসারুল মারফুয়া
১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)
No comments