বিশেষ রাত্রিতে বিশেষভাবে ইবাদত বন্দেগী করা বিদয়াত হবে কেন?
কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ হয়েছে:
وَذَكِّرْهُم بِأَيَّامِ
اللَّـهِ ۚ
অর্থাৎ: তোমরা আল্লাহ পাক উনার বিশেষ
দিন সমূহ স্মরন কর। (পবিত্র সূরা ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম-০৫)
এ আয়াত শরীফ দ্বারাই বিশেষ দিবস বা রাত্রি
পালন করা প্রমানিত।
অথচ পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত্রির
ইবাদত-বন্দেগী নিয়ে ধর্মব্যবসায়ী উলামায়ে ‘সূ’ তথা দেওবন্দী মৌলুভীদের গাত্রদাহ শুরু
হয়েছে। অবশ্য এমন গাত্রদাহ তারা পবিত্র ঈদে মীলাদ শরীফ, পবিত্র শবে বরাত, পবিত্র আখিরী চাহার শোম্বাহ
শরীফ, পবিত্র লাইলাতুর রাগায়িব শরীফ ইত্যাদির ক্ষেত্রেও করে থাকে।
একটি খারিজী মুখপত্রে বদআক্বীদা বদ আমলে কেতাদুরস্ত মৌলুভী তাকী ওসমানী লিখেছে- ২৭
রজবের এই রাতে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ইবাদত-বন্দেগী করা সরাসরি বিদয়াত। নাঊযুবিল্লাহ!
এখন আমরা যদি বলি পবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম
তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার রাত্রে বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগী করা যাবে না কিংবা বিদয়াত
এমন কথা সরাসরি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র
সুন্নাহ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ, পবিত্র
কিয়াস শরীফ উনাদের মধ্যে কোথায় আছে? হারাম ছবি, ভিডিও করনেওয়ালা ফাসিক মৌলুভীর কথাই কি গ্রহণযোগ্য হবে? এছাড়া মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি সারা বৎসরের এতোগুলো রাত্রি থেকে বেছে খাছ
করে বিশেষভাবে পবিত্র ২৭শে রজবুল হারাম উনার রাত্রিকে পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার জন্য
মনোনীত করেন। তাহলে বান্দা-বান্দী উম্মত যদি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানার্থে শুকরিয়া জ্ঞাপন করতে গিয়ে সেই বিশেষ রাতে
বিশেষভাবে ইবাদত-বন্দেগী করে সেটা কেন বিদয়াত হবে? নাকি মুফতে
শফীর পুত্র বিদয়াতী আমল আক্বীদা প্রচার করতে করতে চারদিকে শুধু বিদয়াতই দেখে। সে যে
প্রতিনিয়ত হারাম ছবি তোলে, ভিডিও করে, দেশে
দেশে গিয়ে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার অপব্যাখ্যা করে সুদী ব্যাংকিংয়ের তালিম দিয়ে থাকে
সেগুলো কি হবে? সেগুলো তো সরাসরি পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র
সুন্নাহ শরীফ-এ হারাম কুফরী বলে উল্লেখ আছে। হারাম কুফরীতে লিপ্ত মৌলভীর পক্ষে কি করে
পবিত্র মি’রাজ শরীফ উনার শান উপলব্ধি করা সম্ভব? মূলত,
কস্মিনকালেও সম্ভব নয়।
No comments