৫০০ ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের উপস্থিতিতে শবে বরাতের বর্ননা

================================================================
হিজরি ২য় শতাব্দীর বিখ্যাত মুসলিম ইতিহাসবিদ
ইমাম ওয়াকেদী রহমতুল্লাহি আলাইহি ( ১৩০-২০৭ হি) মুসলমানদের বিজয় গাথা নিয়ে ফুতুহুশ
শাম যা বাংলায় মরনজয়ী ছাহাবা নামে ২ খণ্ড বের করা হয়েছে,সে বই লিখেছিলেন। ইমাম ওয়াকেদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বইয়ের
সকল তথ্য যারা জিহাদ করেছেন , যারা ছাহাবায়ে কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন উনাদের সন্তান ছিলেন, যাদের পিতা জিহাদে অংশগ্রহণ করেছিলেন , যারা দেখেছেন তাদের সকলের কাছে গিয়ে এমনকি সরাসরি জিহাদ যে স্থানে হয়েছিল সে ময়দানে
গিয়ে স্বচক্ষে দেখে এই পুস্তক রচনা করেছেন।
এই বই মুসলিম মিল্লাতের জন্য অসীম গুরত্বপুর্ন।
সারা বিশ্বে এই বই একনামে সমাদৃত। আজ ১২০০-১৩০০ বছর পরেও এই বইয়ের আবেদন এতটুকু কমেনি।
ইতিহাসবিদদের নিকট এই বই এক অমূল্য রত্ন।
এই বইয়ের বাংলায় অনুবাদকৃত ২৫৪ পৃষ্টায়
ছাহাবায়ে ক্বিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন শবে বরাতের ফযিলত বর্ননা করেছেন।
হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
উনার দুনিয়া থেকে বিদায়ের ৩ বছরের মাথায় ৬৩৬ খৃঃ রোম সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে ইয়ারমুকের
জিহাদ পরিচালিত হয়। এই জিহাদের প্রাক্কালে খৃষ্টানদের আবুল কুদস আশ্রম বিজয় করতে সিপাহসালার
হযরত আবু উবাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হযরত আবদুল্লাহ বিন জাফর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু ( যিনি ছিলেন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচাতো ভাই হযরত
জাফর বিন আবু তালিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর ছেলে) নেতৃত্বে ৫০০ শত জনের এক দল প্রেরণ
করেন যাতে বদরী ছাহাবীও ছিলেন। ঐ বীর ছাহাবীদের মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট ছাহাবী হচ্ছেন
হযরত আবু জর গিফারী, আবদুল্লাহ বিন আবু আওফা,আমের বিন রবীয়া, আবদুল্লাহ বিন উনাইস, আবদুল্লাহ বিন ছালাবা
উকবা বিন আবদুল্লাহ আল সুলামী,ওয়ায়িলা বিন আল আসকা
, সাহল বিন সাদ,আবদুল্লাহ বিন
বিশর,
শৈব বিন ইয়াজিদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন।
হযরত আবদুল্লাহ বিন জাফর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু যেদিন তাঁর বীর সাথীবর্গকে নিয়ে আবুল কুদস আশ্রম বিজয় করতে বের হন , সেদিন ছিল পনের শাবান । আকাশে তখন পুর্নিমার
চাঁদ।
হযরত অয়ায়িলা বিল আল আসকা রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন “ আমাকে আবদুল্লাহ বিন জাফর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বললেন” কি
চমৎকার এ রাতের চাঁদ! আমি বললাম ‘ওহে আল্লাহর রাসুল হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের চাচাতো ভাই এর ছেলে । এটা শাবানের ১৫তম দিবসের রাত । এটা একটা বড় বরকতময় রাত। এ রাতে মানুষের জীবিকা ও মৃত্যুর ফায়সালা হয় এবং গুনাহ
ক্ষমা করা হয়। তাই আমি এ রাত আল্লাহর ইবাদতে কাটাতে চাই”। ( মরনজয়ী ছাহাবা , পৃ ২৫৩-২৫৪ , মীর পাবলিকেশন্স, বায়তুল মোকাররম,প্রথম প্রকাশ
২০০৪ )
১৪০০ বছর পুর্বে যে শবে বরাতের কথা ছাহাবায়ে
কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগন বর্ননা করেছেন এবং পালন করেছেন আজ সে শবে বরাতের
বিরুদ্ধে কতিপয় জাহেল বিদয়াত ফতোয়া দেয়! নাউযুবিল্লাহ।
কত বড় নিকৃষ্ট মুনাফিক হলে শবে বরাতকে
বিদয়াত বলে তা মুসলমানদের ফিকির করা উচিত।
মুসলমানকে ভাবতে হবে সে কি কতিপয় মুনাফিক, জাহেল, বকলম, দাজ্জালে কাযাব তাদের কথা শুনবে নাকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহুমগন উনাদের অনুসরণ করে শবে বরাত পালন করবে?
No comments