উম্মতে হাবীবীর শবে বরাতের রাতে ২ রাকায়াত নামাজ পড়া হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনার উম্মতের মধ্যে দরবেশ ব্যক্তির ৪০০ বছর একটানা ইবাদতের চাইতে উত্তম।

مر حضرت عيسى بن مريم عليه السلام على جبل
فراى فيه صخرة بيضاء فطاف بها حضرت عيسى عليه السلام وتعجب عنها فاوحى الله اليه اتريد
ان ابين لك اعجب مما رأيت قال نعم فان فلقت الصخرة عن رجل بيده عكارة خضراء وعنده شجرة
عنب فقال هذا رزق كل يوم فقال كم تعبد الله فى هذا الحجر فقال منذ اربع مائة سنة فقال
حضرت عيسى عليه السلام يا ربى ما اظن انك خلقت خلقا افضل منه فقال من صلى ليلة النصف
من شعبان من امة محمد صلى الله عليه وسلم ركعتين فهو افضل من عبادته اربع مائة عام
قال عيسى عليه السلام ليتنى من امة محمد صلى الله عليه وسلم.
অর্থ: হযরত ঈসা ইবনে মারইয়াম আলাইহিস
সালাম তিনি একটি পাহাড়ের উঁচু চূড়ার উপরে দিয়ে চলছিলেন। হঠাৎ করে ওই পাহাড়ের উপরেই
একটি সাদা পাথর দেখতে পেলেন। অতঃপর আল্লাহ পাক উনার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি
ওই পাথরের চারপাশে ঘুরে আশ্চর্যান্বিত হলেন। অতঃপর উনার আশ্চর্যবোধ দেখে মহান আল্লাহ
পাক তিনি উনার নিকট ওহী পাঠিয়ে বললেন, হে আমার নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম! আপনি সাদা পাথরখানা দেখেই অবাক হয়েছেন, এর চেয়ে আশ্চর্যজনক বস্তু আপনি কি দেখতে চান?
জবাবে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, জি বলতে না বলতেই পাথরটি ফেটে গেলো। উহার মধ্যে সবুজ রঙের লাঠি
হাতে নিয়ে একজন বুযুর্গ ব্যক্তি দাঁড়ানো আছেন এবং উনার সামনে একটি আঙ্গুরের গাছ আছে।
অতঃপর সেই বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, ইহা আমার প্রতি দিনের
খাবার। এরপর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি ওই বুযুর্গ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বললেন, আপনি কতকাল পর্যন্ত এই সাদা পাথরের ভিতরে মহান আল্লাহ পাক উনার
ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত আছেন? হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম
উনার এই প্রশ্নের জবাবে বুযুর্গ ব্যক্তি বললেন, সুদীর্ঘ চারশত বৎসর ধরে এই পাথরের ভিতরে আমি ইবাদত-বন্দেগী করছি। তখন হযরত ঈসা
আলাইহিস সালাম তিনি (আরো আশ্চর্য হয়ে) বললেন, ইয়া বারে ইলাহী! আমার ধারণা যে, হয়তোবা আপনি এই বুযুর্গ ব্যক্তির চেয়ে আর কোনো উত্তম মাখলুক সৃষ্টি করেননি। হযরত
ঈসা আলাইহিস সালাম উনার এই আবেগপূর্ণ বাণী শুনে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, উম্মতে হাবীবী উনাদের কোনো ব্যক্তি যদি অর্ধ শা’বানের রাতে তথা
শবে বরাতে ২ রাকায়াত নামায আদায় করে উহা ওই বুযুর্গ ব্যক্তির চারশত বৎসরের ইবাদত হতেও
উত্তম হবে। (নুযহাতুল মাজালিশ নামক কিতাবের ১ম খন্ডের ১৫৭ পৃষ্ঠায়) সুবহানাল্লাহ!
অতঃপর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তিনি এই
কথা শুনে বললেন, হায় আফসোস! আমি যদি আখিরী নবী, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামূল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত তথা উম্মতে হাবীবী
হতে পারতাম। সুবহানাল্লাহ!
আজ দিবাগতরাত হচ্ছে সেই সুমহান রাত। সবার
উচিত এ রাতের ফযিলত সম্পর্কে সচেতন হয়ে রাতে ইখলাছের সাথে ইবাদত বন্দেগী করা।
No comments