আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! উম্মু আবীহা আন নূরুর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পবিত্র নিসবাতুল আযীমা শরীফ এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি চান- হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম
উনাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করতে। অর্থাৎ
উনাদেরকে পবিত্র করার মতো পবিত্র করেই সৃষ্টি করেছেন।’ সুবহানাল্লাহ!
আজ সুমহান মহাপবিত্র ২রা যিলহজ্জ শরীফ।
সুবহানাল্লাহ! উম্মু আবীহা আন নূরুর রবি’য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম
উনার মহাসম্মানিত পবিত্র নিসবাতুল আযীমা শরীফ এবং ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মহাপবিত্র বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
তাই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহ্র জন্য
দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনাদের সম্মানার্থে উনাদের পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা
করা অর্থাৎ উনাদের সম্মানার্থে পবিত্র ওয়াজ শরীফ, পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ এবং দোয়ার মাহফিলের আয়োজন করা। আর সরকারের
জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র মাহফিল উনার সার্বিক আনজাম দেয়ার সাথে সাথে উনাদের
পবিত্র জীবনী মুবারক সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা এবং উক্ত দিবস
উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা।
- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল
উমাম আলাইহিস সালাম
২ মাহে যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৩৯
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন আন নূরুর রাবি’য়াহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি আনুষ্ঠানিক নুবুওয়াত
প্রকাশের ৩ বৎসর পূর্বে পবিত্র ২০ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ইয়াওমুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
করেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
দুনিয়াবী বয়স মুবারক ছিল ৩৭ বৎসর। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বিভিন্ন কিতাবের বিভিন্ন বর্ণনা থেকে বিষয়টি স্পষ্ট যে, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার
সম্মানিত নিসবত মুবারক হাছিল করার লক্ষ্যে এবং উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক উনার আনজাম
মুবারক দেয়ার জন্য অনেক হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা নূরে
মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আন নূরুর
রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ
আবদ্ধ হওয়ার জন্য আরজী মুবারক পেশ করেন। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এই বিষয়ে আমি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ওহী মুবারক উনার অপেক্ষায় আছি। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের
পরামর্শে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট আন নূরুর রবি‘য়াহ
সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বিষয়ে প্রস্তাব নিয়ে যান এবং নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ
উপস্থিত হয়ে উনাকে সম্মানিত সালাম মুবারক দেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সম্মানিত সালাম মুবারক উনার জবাব দিয়ে বলেন, হে সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম!
আপনি কিছু বলবেন কী? তখন সাইয়্যিদুনা হযরত
কাররামাল্লাহূ ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সম্মানিত নিসবতে
আযীম শরীফ উনার সম্মানিত প্রস্তাব মুবারক নিয়ে এসেছি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জবাবে বললেন, ‘মারহাবান ওয়া আহলান’। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন,
আমি একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় উনার নিকট সম্মানিত
ওহী মুবারক আসলেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি যখন সম্মানিত ওহী মুবারক উনার কারণে আনন্দিত
হলেন,
তখন আমাকে বলেন, হে হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু! আপনি কি জানেন হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম
তিনি সম্মানিত আরশ উনার মালিক মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে কি সংবাদ মুবারক নিয়ে
এসেছেন?
আমি বললাম, আমার পিতা-মাতা আপনার
জন্য কুরবান হোক! হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি সম্মানিত আরশ উনার মালিক মহান আল্লাহ
পাক উনার পক্ষ থেকে কি সংবাদ মুবারক নিয়ে এসেছেন? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করলেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে বলেছেন
আমি যেন আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার সাথে সাইয়্যিদুনা
হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ
সুসম্পন্ন করি।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের উপস্থিতিতে ‘সম্মানিত
মসজিদে নববী শরীফ’-এ সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত
নিসবতে আযীম শরীফ পড়ান। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার সম্মানিত নির্দেশ মুবারক-এ সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম
উনারা উপস্থিত হন। তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ৫০০ দিরহাম সম্মানিত মহর ধার্য্য করে সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ পড়ান।
সুবহানাল্লাহ! তারপর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি একপাত্র খেজুর মুবারক নিয়ে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাদের
মাঝে ছিটিয়ে দেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে আযীমুশ শান সম্মানিত নিসবতে আযীম শরীফ-এ উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘য়াহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে
যেই সকল সম্মানিত বিষয় মুবারকগুলো হাদিয়া মুবারক করেছিলেন, তা হলো- ১.একটি মাদুর মুবারক। যা মিশরীয় কাপড় মুবারক দ্বারা
তৈরি ছিলো এবং যার ভিতরে দেয়া হয়েছিলো পশম। ২.একটি বিছানা মুবারক, ৩. একটি চকি মুবারক, ৪. চামড়ার তৈরি বালিশ মুবারক যা খেজুরের ছালে পূর্ণ ছিলো, ৫. একটি অথবা দুইট মাটির তৈরি পাত্র, ৬. একটি পানির মশক- যা চামড়ার তৈরি ছিলো, ৭. একটি বাটি মুবারক, ৮. একটি শস্য ভাঙ্গানোর জাঁতা, কোনো বর্ণনায় দুটি জাঁতা, ৯. একটি নামাযের মাদুর, ১০. একটি খেজুর পাতার তৈরি চাটাই, ১১. ১টি তামার বদনা, ১২. একটি কম্বল মুবারক, ১৩. দুই টুকরো কাপড় মুবারক, ১৪. রুপার তৈরি দুটি বাহুবন্ধনী, ১৫. ২টি ঘোড়া, ১৬. হাতির দাতের তৈরী
চিরুনী মুবারক ১৭. এগুলো ছাড়া আরেকটি চামড়ার পাট্টা দেয়া হয়েছিলো। যেটাতে পবিত্র কুরআন
শরীফ উনার কয়েকটি সম্মানিত সূরা শরীফ লিখা ছিলো। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, আন নূরুর রাবি’য়াহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের
পর মাত্র প্রায় ছয় মাস যমীনে ছিলেন। তিনি হিজরী ১১ সনে ৩রা পবিত্র রমাদ্বান শরীফ সাইয়্যিদু
সাইয়্যিদিল আইয়্যাম ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার বাদ আছর পবিত্র বিছালী শান
মুবারক প্রকাশ করেন। উনার পবিত্র জানাযার নামায হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস
সালাম তিনি পড়ান। উনার পবিত্র রওজা শরীফ পবিত্র জান্নাতুল বাক্বীতে অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অপরদিকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত হযরত আওলাদ আলাইহিস সালাম অর্থাৎ ইবনু রসূলিনা, আশবাহুল খলক্বি বি-রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদু খলক্বিল্লাহ, আল মুবাশ্শির সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র যিলহজ্জ
শরীফ মাস উনার ২ তারিখ মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি ৮ম হিজরী
সনের ২রা যিলহজ্জ শরীফ লাইলাতুল জুমুয়াহ বা জুমুয়াবার রাতে দুনিয়ার যমীনে মহাসম্মানিত
বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়াবী জিন্দেগী মুবারক অনুযায়ী
তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত
বয়স মুবারক ছিলেন ৬১ বছর। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত আওলাদ আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক রাখেন-
সাইয়্যিদুনা হযরত ‘ইবরাহীম’ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি উনার সম্মানিত বিলাদতী
শান মুবারক প্রকাশের সপ্তম দিনে উনার পক্ষ থেকে দুইটি সম্মানিত দুম্বা সম্মানিত আক্বীক্বা
মুবারক দেন এবং উনার সম্মানিত মাথা মুবারক মু-ন করান। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনিই শুধু উম্মুল
মু’মিনীন আছ ছানিয়াহ আশার হযরত ক্বিবতিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যমে দুনিয়ার যমীনে
সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। আর অন্য সকল আওলাদ আলাইহিমুস সালাম উনারা
এবং আওলাদ আলাইহিন্নাস সালাম উনারা উম্মুল মু’মিনীন আল ঊলা সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা
আলাইহাস সালাম উনার মাধ্যেমে দুনিয়ার যমীনে সম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন নূরে মুজাস্সাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আবনা আলাইহিমুস
সালাম উনাদের মধ্যে “আর রবি’ তথা চতুর্থ”। আর সম্মানিত আওলাদ আলাইহিমুস সালাম এবং আওলাদ
আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে ‘আছ ছামিন তথা অষ্টম’। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইবনু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম
তিনি দশম হিজরী সনের সাইয়্যিদুশ শুহূর মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১০ তারিখে
সম্মানিত বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি দুনিয়ার যমীনে কতদিন অবস্থান
মুবারক করেছিলেন- এ সম্পর্কে বিভিন্ন মত পরিলক্ষিত হয়। কোনো বর্ণনায় ১৬ মাস, কোনো বর্ণনায় ১৭ মাস আর কোনো বর্ণনায় ১৮ মাস বলে উল্লেখ আছে।
তবে ‘১৬ মাস’ এ মতটিই মশহুর ও ছহীহ। সাইয়্যিদুনা হযরত আন নূরুর রবি’ আলাইহিস সালাম
উনার পবিত্র রওযা শরীফ সম্মানিত ‘জান্নাতুল বাক্বী’ শরীফ উনার মধ্যে অবস্থিত। নূরে
মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সম্মানিত
কাফন মুবারক, সম্মানিত জানাযা উনার নামায মুবারক এবং
উনাকে সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখা ইত্যাদি নিজ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করেন।
সুবহানাল্লাহ! -০-
No comments