বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষানীতি হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী; অর্থাৎ বর্তমান শিক্ষানীতি হচ্ছে কুফরী সম্বলিত। নাউযুবিল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, ‘পবিত্র ইলম হচ্ছে পবিত্র আমল উনার ইমাম।’ সুবহানাল্লাহ!
বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষানীতি হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী; অর্থাৎ বর্তমান শিক্ষানীতি হচ্ছে কুফরী সম্বলিত। নাউযুবিল্লাহ! কাজেই বাংলাদেশ
সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- অনতিবিলম্বে কুফরী সম্বলিত শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে দেশের
শিক্ষানীতিতে অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল, কলেজসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্মানিত ইসলামী
শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখা।
কারণ বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ মানুষ হচ্ছেন মুসলমান এবং রাষ্ট্রদ্বীন হচ্ছে ‘ইসলাম’।
কাজেই ৯৮ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম উনার দেশের জনগণ এ কুফরী সম্বলিত শিক্ষানীতি
কখনো গ্রহণ করতে পারে না।
- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস
সালাম
১৯ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪১
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মানুষ দুর্নীতি, নারী টিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ও মজুদদারিসহ হাজারও
অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার অভাব। অর্থাৎ
দ্বীনি ইলম বা সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার অভাবেই মানুষ এসব অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। কেননা
দুর্নীতি, নারী টিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ও মজুদদারির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ তথা সম্মানিত ইসলাম কি বলেছেন তা অনেকেরই জানা নেই। জানা থাকলে
হয়তো অনেকেই এসবে জড়িত হতো না। তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা দোয়া করো; হে আমাদের মহান রব তায়ালা! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে
দিন।’ আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, “পবিত্র ইলম হচ্ছে আমল উনার ইমাম।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, সরকার দেশ থেকে দুর্নীতি, নারীটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ও মজুদদারিসহ সমস্ত অপরাধ নির্মূল করতে চায়।
অথচ এদেশের শিক্ষানীতিতে সম্মানিত ইসলামী শিক্ষা প্রায় সম্পূর্ণই অনুপস্থিত। সম্মানিত
ইসলামী শিক্ষা বাদ দিয়ে ভালো কিছু আশা করা বোকামী বৈ কিছুই নয়। কাজেই বাংলাদেশ সরকারের
জন্য ফরয হচ্ছে- কুফরী সম্বলিত শিক্ষানীতি পরিবর্তন করে দেশের শিক্ষানীতিতে অর্থাৎ
মাদরাসা, স্কুল, কলেজসহ সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের
সিলেবাসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্মানিত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা
হিসেবে রাখা। কেননা দ্বীনী ইলম অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যই ফরযে আইন। তাই পবিত্র
কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের অসংখ্য স্থানে দ্বীনি ইলম অর্জন করার নির্দেশ
মুবারক, উৎসাহ ও ফযীলত মুবারক বর্ণনা করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি
ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা বলো অর্থাৎ আমার নিকট দোয়া করো- হে আমাদের মহান
রব তায়ালা! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।” সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা দোলনা থেকে কবর
পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম অন্বেষণ করো।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ ও মহিলা উনাদের জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শিক্ষা বা দ্বীনী ইলম উনার অভাবেই
দেশে দুর্নীতি, নারীটিজিং, সন্ত্রাস, মাদক ও মজুদদারিসহ হাজারো অপকর্ম সংঘটিত হচ্ছে। তাই ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশের
সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- দেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সম্মানিত ইসলামী
শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখা। এর অন্যথা ৯৮ ভাগ মুসলমান কখনো মেনে
নিবে না। আর তাহলেই সর্বপ্রকার অপরাধ থেকে দেশকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।
-০-
No comments