সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কোনো কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকদের প্রশংসা করা, সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করাও হারাম এবং কুফরী।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিদয়াতীকে সম্মান দেখালো, সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ক্ষতি সাধনে সাহায্য করলো।’ নাউযুবিল্লাহ!
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কোনো কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকদের প্রশংসা করা, সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা
সম্বোধন করাও হারাম এবং কুফরী। তাই প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলমান দেশের সরকারের জন্য
ফরয হচ্ছে- কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিক ব্যক্তিদের
প্রশংসা করা, তা বক্তব্যে হোক বা লেখালেখিতে হোক অথবা পাঠ্যপুস্তকে হোক অর্থাৎ
সর্বক্ষেত্রেই তাদের প্রতি সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।
নচেৎ ঈমানদার হিসেবে থাকা কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।
- ক্বওল শরীফ: সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস
সালাম
১৭ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪১
যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইউস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যূল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামিউল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, মাওলানা সাইয়্যিদুনা হযরত
ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত
উনার দৃষ্টিতে কোনো কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকদের প্রশংসা
করা, সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক
শব্দ বা বাক্য ব্যবহার করা এবং সম্মানসূচক শব্দ
দ্বারা সম্বোধন করাও হারাম এবং কুফরী। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই ইজ্জত-সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন মহান আল্লাহ
পাক তিনি, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং সমস্ত মু’মিন-মুসলমানগণ উনারা।” সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি ছোটদের স্নেহ
করে না, বড়দেরকে ও আলিমগণ উনাদেরকে সম্মান করে না সে আমার উম্মত নয়।”
অর্থাৎ প্রশংসা ও সম্মানের অধিকারী হচ্ছেন একমাত্র মহান আল্লাহ পাক তিনি, উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তিনি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ওয়ালিদাইন শরীফাইন তথা হযরত আব্বা ও আম্মা আলাইহিমাস সালাম
উনারা, হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা, হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস
সালাম উনারা, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা, হযরত ইমাম-মুজতাহিদ-আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ ও মু’মিনে কামিলগণ উনারা।
সুবহানাল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, অতএব, প্রমাণিত হলো- কোনো কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকের প্রশংসা করা, তাদেরকে সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করা, তাদেরকে সম্মানসূচক শব্দ
দ্বারা সম্বোধন করা জায়িয নেই। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট যমীনের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট প্রাণী হচ্ছে কাফির
সম্প্রদায়, যারা পবিত্র ঈমান গ্রহণ করেনি।’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর
পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিদয়াতীকে সম্মান দেখালো, সে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম
উনার ক্ষতি সাধনে সাহায্য করলো।’ নাউযুবিল্লাহ!
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো উল্লেখ আছে- নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন কোনো ফাসিকের প্রশংসা করা হয়, তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি
এত অসন্তুষ্ট হন যে, তাতে উনার পবিত্র আরশ মুবারক কেঁেপে উঠে। নাউযুবিল্লাহ!
বিদয়াতীদের সম্মান করলে এবং একজন ফাসিকের প্রশংসা করলে যদি এ অবস্থা হয়, তবে কাফির-মুশরিকদের প্রশংসা করলে এবং এদেরকে সম্মান দেখালে কি হবে? এটা চিন্তা-ফিকির করতে হবে।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, অথচ আজকে অনেক মুসলমানকে দেখা যায় যে, তারা কোনো কোনো কাফির বা বিধর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করে থাকে তাদের বক্তব্যে ও লেখালেখিতে।
আবার অনেকে বক্তব্য ও লেখালেখিতে এদের প্রতি সম্মান দেখাতে গিয়ে এদেরকে সম্মানসূচক
শব্দ দ্বারা সম্বোধন করে অথবা এদের সম্পর্কে সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার করে। নাউযুবিল্লাহ!
যা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে সম্পূর্ণই হারাম ও কুফরী।
মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি
বলেন, মূলকথা হলো- সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কোনো কাফির
বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিকদের প্রশংসা করা, সম্মান দেখানো, তাদের ক্ষেত্রে সম্মানসূচক শব্দ বা বাক্য ব্যবহার
করা এবং সম্মানসূচক শব্দ দ্বারা সম্বোধন করাও হারাম এবং কুফরী। তাই প্রত্যেক মুসলমান
ও মুসলমান দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কাফির বা বিধর্মী, বিদয়াতী ও ফাসিক ব্যক্তিদের প্রশংসা করা, তা বক্তব্যে হোক বা লেখালেখিতে
হোক অথবা পাঠ্যপুস্তকে হোক অর্থাৎ সর্বক্ষেত্রেই তাদের প্রতি সম্মানসূচক শব্দ ব্যবহার
করা থেকে বিরত থাকা। নচেৎ ঈমানদার হিসেবে থাকা কস্মিনকালেও সম্ভব হবে না।
-০-
No comments