সুলতানুল হিন্দ হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উসীলায় এক কোটিরও বেশি বিধর্মী পবিত্র ঈমান লাভ করেন
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এসেছে,
নূরে মুজাসসাম
হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এই উম্মতের ইছলাহের জন্য, হিদায়েতের জন্য প্রতি হিজরী শতকের শুরুতে একজন সংস্কারক বা তাজদীদ
করনেওয়ালা অর্থাৎ মুজাদ্দিদ পাঠাবেন। যিনি দ্বীনের তাজদীদ করবেন, মানুষকে হিদায়েত করেবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি ৭ম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ হিসেবে সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা
হাবীবুল্লাহ চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বিশ্ববাসীর হিদায়েতের জন্য প্রেরণ করেন।
পাশাপাশি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
পবিত্র রওজা শরীফ-এ যখন হযরত খাজা হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আগমন করলেন
এবং উনার দীদার লাভ করলেন তখন স¦য়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, হে খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান
রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি হিন্দুস্তানে চলে যান সেখানে গিয়ে হিদায়েতের কাজ করুন। সেখানে
কুফরী, শিরকী চলছে, মহান আল্লাহ পাক উনার নাফরমানী হচ্ছে; আপনি সেখানে যান হিদায়েতের কাজে মনোনিবেশ করুন।
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে
লক্বব মুবারক দিলেন “কুতুবুল হিন্দ” তথা হিন্দুস্তানের কুতুব (হাদী)।
বর্ণিত রয়েছে এখনো যদি ভারতবর্ষে কোনো ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হতে চান
তাহলে উনার অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। সুবহানাল্লাহ!
সৃষ্টির শুরু থেকে এ পর্যন্ত তিনি এক বিরল দৃষ্টান্ত রচনা করেছেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার মাধ্যমে পৃথিবীর ইতিহাসে এক কোটিরও বেশি
লোককে মুসলমান করেছেন, পবিত্র ঈমান দিয়েছেন।
সুবহানাল্লাহ!
একদা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক
উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
বিশেষ সাক্ষাৎ মুবারক লাভ হলে তিনি বললেন,
হে মুঈনুদ্দীন!
‘মুঈনুদ্দীন’ শব্দের অর্থ হচ্ছে দ্বীনের সাহায্যকারী। আপনার দ্বারা যমীনে এক কোটিরও
বেশি লোক পবিত্র ঈমান এনেছে, প্রায় সমস্ত পবিত্র সুন্নতই
আপনার দ্বারা পালিত হচ্ছে। তবে একটা পবিত্র সুন্নত মুবারক যে এখনো বাকি রয়ে গেলো। আলোচনা
শেষ হয়ে গেলো। মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মুবারক সন্তুষ্টি হাছিলের লক্ষ্যে পবিত্র দ্বীন
উনার খিদমতের আঞ্জাম দিতে গিয়ে তখনো উনার নিকাহ মুবারক করা হয়নি। নিকাহ করা হচ্ছে খাছ
সুন্নত। এরপর মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব,
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার
মুবারক নির্দেশক্রমে তিনি পবিত্র সুন্নত আদায়ের লক্ষ্যে দু’টা নিকাহ মুবারক করে নেন।
সুবহানাল্লাহ!
কাজেই পবিত্র সুন্নত উনার সূক্ষাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ, যা ছিলো উনার মর্যাদার
বহিঃপ্রকাশ। উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম,
হাবীবুল্লাহ
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের খালিছ মুহব্বত, তায়াল্লুক, নিসবতের কারণেই উনার মাধ্যমে
মহান আল্লাহ পাক তিনি এই মহান খিদমত নেন।
No comments