ছহীহ হাদিছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রমযান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়েছেন
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রমযান মাসে বিশ রাকায়াত (তারাবীহ্) নামায পড়েছেন মর্মে হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে
বর্ণিত হাদীছ শরীফ উনার তাহক্বীক ও লা-মাজহাবীদের আপত্তির জবাব।
ইবনে আবি শায়বার রহমতুল্লাহি আলাইহি ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উস্তাদ। কিতাবের নাম মুছান্নাফে ইবনে আবী
শায়বা। এই কিতাবের ২য় খন্ড ১৬৪ পৃষ্ঠা। হাদীছ নং ৭৬৯২ তে-
حدثنا يزيد بن هارون قال- اخبر نا
ابراهيم ابن عشمان، عن الحكم عن مقسم عن ابن عباس- ان رسول الله صلى الله عليه
وسلم كان سصلى فى رمضان عشرين ركعة والوتر- (اخرجه فى مصنف بن ابى شيبة= وكذا فى
مسندالكشى= معجم لليغوى= الكبير للطبرانى= سنن الكبرى للبيهقى التعليق الحسن= مسند
عدى= مسند عبد بن حميد= المطالب العلية= فتح الملهم شرح صحيح المسلم= مر قاة
المفاتيح شرح مشكوة المصابيح= مرأة المناجيح شرح المشكوة= درس مشكوة= اوجز المسالك
شرح مؤطا امام المالك- وصححه فى العلاء السنن= ومعارف مدنيةشرح ترمذى)
অর্থঃ- হযরত ইয়াযীদ ইবনে হারুন বলেন, হযরত ইব্রাহীম ইবনে ওসমান আবূ শাইবা, হিকাম হতে তিনি মুকসিম হতে তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণনা করেন, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, নিশ্চয় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রমযান মাসে বিশ রাকায়াত (তারাবীহ) ও বিতর(আলাদা) পড়েছেন।”
(দলীলঃ ইবনে আবী শায়বা ২/১৬৪: হাদীস শরীফ- ৭৬৯২, তিবরানী মু’জামুল কবীর ১১/৩৯৩ : হাদীস ১২১০২, বায়হাক্বী সুনানে কুবরা ২/৪৯৫ : হাদীস ৪৩৯২, তাবরানী ম’জামুল আওসাত ১/২৪৩: হাদীস ৭৯৮, মুন্তাখাব মিনাল মুসনাদ, তারিখে বাগদাদ ৬/১১৩, ফতহুল বারী শরহে বোখারী ৪/২৫৪: হাদীস ২১৩, আত তামহীদ ৮/১১৫, মাযমাউয যাওয়াইদ ৩/১৭২, তাহযীবুল কামাল ২/১৪৯, তা’লীকুল হাসান)
কেউ কেউ বলে থাকে যে, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাজের স্বপক্ষে কোন ছহীহ্ হাদীছ শরীফ-এর প্রমাণ নেই। মূলতঃ
হাদীছ শরীফ ও তার উসূল সম্পর্কে
সঠিক জ্ঞানের অভাবেই তারা একথা বলে থাকে। কারণ বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের স্বপক্ষে যে হাদীছ শরীফগুলো পেশ করা হয়, তার প্রায় প্রত্যেকটিই ছহীহ্ ও নির্ভরযোগ্য সনদে বর্ণিত। কেউ কেউ হযরত ইবনে আব্বাস
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত
হাদীছ শরীফকে জঈফ বলে থাকে, অথচ এটা সম্পূর্ণই
ভুল। কারণ হাদীছ শাস্ত্রের উসূল
মোতাবেক হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা ছহীহ্ প্রমাণিত হয়।
বাতলিপন্থীরা উক্ত হাদীস শরীফরে একজন রাবী "হযরত ইব্রাহমি ইবনে ওসমান আবি শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দ্বয়ীফ বলে থাক। আসুন আমরা দেখি রিজালবাদী গন উক্ত রাবী সর্ম্পকে কি মতামত দিয়েছেঃ-
اس حديث كو راوي ابراهيم بن عثمان كي وجه سے ضعيف كهنا بوجه ذيل صحيح نهين (١) قال ابن عدي وهوخير من ابراهيم بن ابي حية اس سے ثابت هوا كه ابراهيم بن عثمان ابراهيم بن ابي حية سے زياده ثقه هيه
বাতলিপন্থীরা উক্ত হাদীস শরীফরে একজন রাবী "হযরত ইব্রাহমি ইবনে ওসমান আবি শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দ্বয়ীফ বলে থাক। আসুন আমরা দেখি রিজালবাদী গন উক্ত রাবী সর্ম্পকে কি মতামত দিয়েছেঃ-
اس حديث كو راوي ابراهيم بن عثمان كي وجه سے ضعيف كهنا بوجه ذيل صحيح نهين (١) قال ابن عدي وهوخير من ابراهيم بن ابي حية اس سے ثابت هوا كه ابراهيم بن عثمان ابراهيم بن ابي حية سے زياده ثقه هيه
“হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- হাদীছ শরীফকে, রাবী ইব্রাহীম ইবনে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জন্যে নিম্নোক্ত কারণে দ্বয়ীফ বলা শুদ্ধ হবেনা।(১) রাবী ইব্রাহীম ইবনে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে, আল্লামা ইবনে আদ্দী বলেন, তিনি (ইব্রাহীম ইবনে ওসমান) ইব্রাহীম ইবনে আবী হাইয়্যাহ হতেও উত্তম রাবী। (আল কামেল -১/২৪১)
এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইব্রাহীম ইবনে ওসমান রহমতুল্লাহি
আলাইহি, ইব্রাহীম ইবনে আবী হাইয়্যাহ রহমতুল্লাহি
আলাইহি উনার হতেও অধিক ছেক্বাহ্ রাবী। (তাহ্যীব, লোময়াতুল মাছাবীহ্)
অর্থাৎ ইব্রাহীম ইবনে আবী হাইয়্যা তো অবশ্যই ছেক্বাহ্ রাবী, তার চাইতেও উত্তম ছেক্বাহ্ রাবী হলেন- ইব্রাহীম ইবনে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি। অতএব, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ সামাজ সম্পর্কিত হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফকে, রাবী ইব্রাহীম ইবনে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কারণে জইফ বলার কোন অবকাশ নেই। কারণ প্রমাণিত হয়েছে যে, হযরত ইব্রাহীম ইবনে ওসমান রহমতুল্লাহি আলাইহি জঈফ নন বরং ছেক্বাহ্ রাবীর অন্তর্ভূক্ত।
সুতরাং হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানাও
ছহীহ্ হাদীছ শরীফের অন্তর্ভূক্ত।ইমাম ইবনে আদী বিশুদ্ধ হাদীস বর্ণনা করেন বলে সত্যায়ন
করলেন । সাথে সাথে তাকে ‘ইবনে
আবূ হাইয়্যা’ থেকে উত্তম বলে অভিহিত করলেন । অথচ ঐ ইবনে আবূ হাইয়্যা সম্পর্কে হাদীস শাস্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ
ইমাম ইবনে মাঈন রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন “আবূ হাইয়্যা হলো হাদীস শাস্ত্রের শায়খ , নির্ভরযোগ্য উচ্চমাপের বর্ণনাকারী” । (লিসানুল মীযান ১/৫৩)
ইবরাহীম বিন উসমান আবূ শাইবা রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে ইমাম ইয়াযীদ বিন হারুন
রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেন ,“আবু শাইবার সময়কালে তাঁর
চেয়ে ন্যায়পরায়ন বিচার মানুষের মধ্যে অপর কেউ করেনি”। (তাহযীব-১/১৪৫)
বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাজের স্বপক্ষে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা যে সহীহ্, তা নিন্মোক্ত কিতাবের বর্ণনা দ্বারাও প্রমাণিত হয়। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে,
حضرت ابن عباس اور حضرت عمر رضي الله عنهما دونون صحابي هين انگے درميان كوءي ضعيف راوي نهين جس سے حديث ابن عباس كو ضعيف كهه سكے كيونكه خلفاء راشدين و غيره صحابة كا بيس ركعات پر عمل ومواظبت اسكے معتبر هونے کی دليل هے - علامه بحرالعلوم رحمة الله عليه فرماتے ھے -ومواظبة اصحابة علي عشرين قرينة صحة هذه الرواية
বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাজের স্বপক্ষে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা যে সহীহ্, তা নিন্মোক্ত কিতাবের বর্ণনা দ্বারাও প্রমাণিত হয়। এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে,
حضرت ابن عباس اور حضرت عمر رضي الله عنهما دونون صحابي هين انگے درميان كوءي ضعيف راوي نهين جس سے حديث ابن عباس كو ضعيف كهه سكے كيونكه خلفاء راشدين و غيره صحابة كا بيس ركعات پر عمل ومواظبت اسكے معتبر هونے کی دليل هے - علامه بحرالعلوم رحمة الله عليه فرماتے ھے -ومواظبة اصحابة علي عشرين قرينة صحة هذه الرواية
অর্থঃ- হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি ও হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উভয়েই (জলীলুল ক্বদর) ছাহাবী। ওনাদের মধ্যখানে কোন জঈফ রাবী নেই, যার কারণে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার হাদীছ শরীফকে জঈফ বলা যেতে পারে এবং এটা বুঝা যেতে পারে যে, ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের আমলের ভিত্তি জঈফ হাদীছ শরীফের উপর। কেননা খোলাফা-ই-রাশেদীন ও অন্যান্য সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের বিশ রাকায়াতের উপর নিয়মিত আমল ও ঐক্যমত হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা সহীহ্ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার অকাট্য দলীল। আল্লামা বাহ্রুল উলূম রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাজের উপর হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মুয়াযেবাত (নিয়মিত আমল) ও ঐক্যমত, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা সহীহ্ হওয়ার ক্বরীনা বা স্পষ্ট দলীল। (রাসায়েলুল আরকান)
উপরোক্ত আলোচনা দ্বারা স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে, তারাবীহ্ নামায বিশ রাকায়াত, এর স্বপক্ষে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা মোটেও জঈফ নয়, বরং তা সম্পূর্ণই সহীহ্। অতএব, সহীহ্ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- রমযান মাসে বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তেন। আর এ বিশ রাকায়াতের উপরই পরবর্তীতে হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণের মধ্যে ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়।
আরো ইরশাদ হয়েছে,
نقل حافظ الحديث ابن حجرا لعسقلانى- انه صلى الله عيه وسلم- صلى بالناس عشرين ركعة ليلتين- فلما كان فى الليلة الثالثة اجتمع الناس فلم يخرج اليهم ثم قال من الغد انى خشيت ان تفرض عليكم فلا تطيقونها- متفق على صحته (لا مع الدرارى شرح سحيح البخارى)
অর্থঃ-
“হাফিজুল হাদীছ, আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেন যে,
সাইয়্যিদুল
মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- দুই রাত্র হযরত
সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা
আনহুগণকে নিয়ে বিশ রাকায়াত
তারাবীহ্ নামায জামায়াতের সাথে আদায় করেন। তৃতীয় রাত্র যখন আসলো, হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম
রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণ একত্রিত হলেন, কিন্তু হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক
ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নামায পড়ার জন্যে উনাদের নিকট বের হয়ে আসলেন না। অতঃপর বললেন, আমার ভয় হচ্ছে,
এটা
তোমাদের উপর ফরজ হয়ে যায় কিনা। আর
ফরজ হয়ে
গেলে তোমরা তা আদায় করতে সক্ষম হবেনা।”
এটা সহীহ্ হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত। (লামিউদ্ দুরারী শরহে বুখারী, তাল্খীছুল হাবীর ফি তাখরীজে আহাদীসির রাফিয়িল কাবীর ২য় জিঃ পৃষ্ঠা-১১৯, মিরকাত শরহে মিশকাত,
আল এনায়া
আলা মুস্তাখ্লাছিল হাক্বায়েক, আল্ কেফায়া মায়াল হিদায়া, আল হাবী লিল্ ফতওয়া লিস্ সুয়ূতীতে উল্লেখ আছে)
এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মুহাদ্দিস, রঈসুল মুহাদ্দিসীন, তাজুল ওলামা ওয়াল মাশায়েখ, হযরত শাহ্ আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিসে দেহ্লভী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
فالظاهر انه نبت عندهم
صلوة النبى صلى الله عليه وسلم عشرين ركعة كماجاء فى حديث ابن عباس فاختاره عمر
رضى الله عنه. (فتح المنان)
অর্থঃ-
প্রকাশ থাকে যে, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম থেকে প্রমাণিত। যেমন হযরত
ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফে এসেছে। আর আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
এটাই গ্রহণ করেন। (ফাতহুল মানান)
আর আল্লামা তাহ্তাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তারাবীহ্ নামায সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পর রায় দেন যে,
فعلى هذا يكون عشرون ثابتا من فعله صلى الله عليه وسلم. (طحطاوى، درالمختار)
অর্থঃ- (তাহ্তাবী কিতাবে বর্ণিত) বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে প্রমাণিত হলো যে, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফে’ল বা আমল দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত। (তাহ্তাবী, দুররুল মুখ্তার)
হাফেজ ইবনে হাজার রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেন,“যে হাদীস অনুযায়ী আমল করা উম্মতের নিকট গৃহীত হয়েছে এবং যে বিষয় অনুযায়ী আমল করার প্রতি উম্মতের ঐক্য (ইজমা) চলে আসছে, নি:সন্দেহে তা গ্রহণ করার মতো অনেক কারণ ও বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হাদীস শরীফ অপেক্ষাও শক্তিশালী।” (তাদরীবুর রাবী সুয়ূতী -১/৬৭, আন-নুকাত আলা কিতাবে ইবনে ছালাহ/আসক্বলানী -১/৪৯৪।)
আর আল্লামা তাহ্তাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তারাবীহ্ নামায সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পর রায় দেন যে,
فعلى هذا يكون عشرون ثابتا من فعله صلى الله عليه وسلم. (طحطاوى، درالمختار)
অর্থঃ- (তাহ্তাবী কিতাবে বর্ণিত) বিস্তারিত আলোচনার ভিত্তিতে প্রমাণিত হলো যে, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ফে’ল বা আমল দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত। (তাহ্তাবী, দুররুল মুখ্তার)
হাফেজ ইবনে হাজার রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেন,“যে হাদীস অনুযায়ী আমল করা উম্মতের নিকট গৃহীত হয়েছে এবং যে বিষয় অনুযায়ী আমল করার প্রতি উম্মতের ঐক্য (ইজমা) চলে আসছে, নি:সন্দেহে তা গ্রহণ করার মতো অনেক কারণ ও বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হাদীস শরীফ অপেক্ষাও শক্তিশালী।” (তাদরীবুর রাবী সুয়ূতী -১/৬৭, আন-নুকাত আলা কিতাবে ইবনে ছালাহ/আসক্বলানী -১/৪৯৪।)
ইমাম বদরুদ্দীন যারকাশী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,“দুর্বল হাদীস যদি উম্মত ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে , তখন এর উপর আমল করা হবে। এটাই হলো বিশুদ্ধ নীতি । এমনকি তখন ঐ দুর্বল হাদীসটি
মুতাওয়াতির বা বিপুল সংখ্যক সনদে বর্ণিত সর্বাপেক্ষা বিশুদ্ধ হাদীসের পর্যায়ে পরিণত
হবে”। (আন-নুকাত আলা কিতাবে
ইবনে ছালাহ/যারকাশী -১/৩৯০)
হাফেজ ইবনে হাজার রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেন,
“হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার নিদর্শন সমূহের একটি হলো , উলামায়ে কিরামের এই হাদীসের বিষয় বস্তু অনুযায়ী আমল করতে একমত হওয়া। তখন ঐ হাদীসটি গ্রহণ করা হবে । এমনকি এর উপর আমল করা ওয়াজিব হবে । উসূলে হাদীসের ইমামগণ এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা ব্যক্ত করেছেন। (আন-নুকাত আলা কিতাবে ইবনে ছালাহ /আসক্বলানী -১/৪৯৪)
অতএব, বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামাযের উপর হযরত ছাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুগণসহ সকল উম্মতের ইজমা এ কথাই প্রমাণ করে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ রাকায়াত তারাবীহ্ নামায পড়তেন ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীছ শরীফখানা সহীহ্।
No comments