তোমরা সিংহের আক্রমণ থেকে যেভাবে পলায়ন করো, কুষ্ঠরোগীর থেকেও সেভাবে পলায়ন করো- এটা হাদীছ নয়।

وعن
عائشة : أن امرأة سألتها أكاد رسول الله يقول فى المجذومين فروا منهم فراركم من الأسد
؟ فقالت عائشة كلا والله ولكنه قال : لا عدوى فمن أعدى الأول وكان مولى لى أصابه ذلك
الداء فكان يأكل فى صحافى ويشرب فى أقداحى وينام على فراشى . قالوا : وقد أبطل رسول
الله العدوى
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম থেকে বর্ণিত রয়েছে, একদিন উনাকে একজন মহিলা জিজ্ঞাসা করলেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কি এরূপ বলেছেন
যে, তোমরা সিংহের আক্রমণ থেকে যেভাবে
পলায়ন করো, কুষ্ঠরোগীর থেকেও সেভাবে পলায়ন
করো? জবাবে উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা
ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম বলেন, মহান আল্লাহ পাকের ক্বসম!
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এরূপ বলেননি। বরং হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, ‘ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছুই নেই। তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেছেন, তাহলে প্রথম উটটিকে কে সংক্রামিত করলো?’ আর আমাদের একজন আযাকৃত খাদেমা ছিলেন, যাঁর কুষ্ঠরোগ হয়েছিলো। তারপরেও উক্ত খাদেমা আমার প্লেট -এ খাবার
খেতেন, আমার বাটি মুবারক-এ পানি পান করতেন
এবং আমার বিছানা মুবারক-এ ঘুমাতেন। উনারা বলেন যে, আবশ্যই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ছোঁয়াচে বা সংক্রামক রোগকে
বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন।” (শরহে বুখারী লি ইবনে বাত্তাল ৯/৪১০; প্রকাশনা: মাকতাবাতুর রাশাদ, রিয়াদ)
No comments