Header Ads

Islamic Quotes Urdu Facebook Cover. QuotesGram

ক্বায়িম-মাক্বামে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম, আলাইহিস সালাম উনার মুবারক শানে কিছু কথা



চিন্তা-ফিকিরের ঊর্ধ্বে, বর্ণনার ঊর্ধ্বে, লিখার ঊর্ধ্বে, বলার ঊর্ধ্বে যাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযুর্গী রয়েছে, উনাদের প্রথম সারির, সর্বোচ্চ তবকার ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন- আল মানছূর হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত এমন যে, যা ফিকির করে আয়ত্বে আনা যায় না, বর্ণনা করে শেষ করা যায় না, লিখে খাতা কলম শেষ হলেও শেষ হয় না শান-মান ফাযায়িল-ফযীলত বুযুর্গী। বলতে বলতে বক্তা ওয়ায়িয, খতীব, আলোচক ক্লান্ত হয়ে যায়, তবুও শেষ হয় না উনার কৃত্বিত্বের ব্যক্তিত্বের, ফযীলতের পরিধি, সীমা রেখা, শেষ ঠিকানা। অর্থাৎ উনি হচ্ছেন, মেছাল হীন, তুলনা হীন আগত বিগত ওলীআল্লাহ উনাদের মাঝে এক বিরল ওলীআল্লাহ। উনার মেছাল উনিই। উনার তুলনা উনিই। উনাকে কারো সাথে তুলনা করা বেয়াদবী বৈ অন্য কিছু হতে পারে না। কবির ভাষায়-
ত্রি-ভুবনে খলীফায় উমাম
উনার মেছাল নেইতো জানা
ইতিহাসে বিরল মান মর্যাদা
আরশে আ’যীমে হয় ছানা।
কবি আরোও বলেন
যশ খ্যাতি আর পূর্ণতায় উনার এমনই স্থান
পৌঁছতে পারেনা কখনো কোন জিন-ইনসান।
বিভিন্ন দিক থেকে উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, ও বুযূর্গী প্রকাশ পায়। যেমন :
আওলাদুর রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম : ইবাদত-বন্দেগী, রিয়াযত-মাশাক্কত করে ওলীআল্লাহ হওয়া যায় কিন্তু কখনও আওলাদুর রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হওয়া যায় না।
ইহা হচ্ছে মাকবুল, মাহবূব ও মুরাদ শ্রেণীর ব্যক্তিত্বের অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আওলাদুর রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُل لَّا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ أَجْرًا إِلَّا الْمَوَدَّةَ فِي الْقُرْبىٰ
অর্থ: “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি (উম্মতদেরকে) বলুন, আমি তোমাদের নিকট কোন প্রতিদান চাইনা। আর এর প্রতিদান তোমরা দিতেও পারবে না। তবে আমার নিকটজন তথা আহলে বাইত শরীফগণ উনাদের প্রতি তোমরা সদাচরণ করবে, উনাদেরকে তা’যীম-তাকরীম, ও মুহব্বত সম্মান করবে।” (মহাপবিত্রতম সূরা শূরা শরীফ : মহাপবিত্রতম আয়াত শরীফ ২৩)
এ মহাপবিত্রতম আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীর “তাফসীরে মাযহারী” উনার ৮ম জিঃ ৩২০ পৃষ্ঠায় বর্ণিত রয়েছে-
اجرا الا ان تودوا اقربائى لا اسئلكم واهل بيتى وعترتى
অর্থ: “আমি তোমাদের নিকট প্রতিদান চাইনা তবে তোমরা আমার নিকটাত্মীয়, আহলে বাইত শরীফ ও বংশধর উনাদের (যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক) হক্ব আদায় করবে।
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-আমি তোমাদের মাঝে দুটি নিয়ামত মুবারক রেখে গেলাম। যতক্ষণ এ দুটি মুবারক নিয়ামত মুবারক আকড়ে ধরবে ততক্ষণ তোমরা পথ ভ্রষ্ট হবে না। এ নিয়ামত মুবারক দুটি হচ্ছেন-মহাপবিত্রতম কালামুল্লাহ শরীফ এবং আমার আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
অনুরূপ আরও অসংখ্য অগণিত মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনাদের মাঝে আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত ও বুযুর্গী ইত্যাদির কথা বর্ণিত রয়েছে।
মূলত বর্ণিত অবর্ণিত সব মহাপবিত্রতম আয়াত শরীফ ও মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনাদের হাক্বীক্বী মিছদাক হচ্ছেন মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
মাদারযাদ ওলী আল্লাহ:
যিনি বা যাঁরা মায়ের রেহেম শরীফ থেকেই ওলী আল্লাহ হয়ে ধরার বুকে তাশরীফ নেন উনাদেরকে বলা হয় মাদারযাদ ওলী আল্লাহ। খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আল মানছূর হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন মাদারযাদ ওলীআল্লাহ। শরীয়ত ও মারিফত উনাদের সমস্ত ইলম-আমল, ছিরত-ছূরত নিয়েই তিনি ধরার বুকে আগুয়ান হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মাদারযাদ কুরআনে হাফিজ:
যিনি মায়ের রেহেম শরীফ থেকে মহাপবিত্রতম কালামুল্লাহ শরীফ হিফজ করে মহাপবিত্রতম বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন, তাকে বলা হয় মাদারযাদ কুরআনে হাফিজ। মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিও উনার মায়ের রেহেম শরীফ উনার থেকেই হাফিজে কুরআন। সুবহানাল্লাহ!
আওলাদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম:
মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হচ্ছেন- সারা বিশ্ব থেকে কুফরী-শিরক-বিদয়াত বেশরা, বাতিল নাহক্ব নিধনকারী মহাপবিত্রতম কুরআন শরীফ, মহাপবিত্রতম সুন্নাহ শরীফ, মহাপবিত্রতম ইজমা শরীফ ও মহাপবিত্রতম কিয়াস শরীফ উনাদের নিয়মনীতি জারিকারী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ, খলীফাতুল্লাহ খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আস সাফফাহ আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার আদরের দুলাল, নয়নের মণি হৃদয়ের ধন আওলাদ আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি কাউকে কবুল ও মনোনীত না করেন হাজারো কোশেশ করে, চেষ্টা করে, সাধনা করে আওলাদে মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম হওয়া যাবেনা।
ছহীবে কাশফ ওয়াল কারামত:
ছহীব” অর্থ মালিক অধিকারী, “কাশফ” অর্থ খুলে যাওয়া, দেখতে পাওয়া। আর কারামত অর্থ অলৌকিক, অসাধারণ ঘটনা কার্যাবলী, যা সাধারণভাবে পরিলক্ষিত হয় না। যিনি যাহিরী ও বাতিনীভাবে খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টি রাজ্যের সব কিছু প্রকাশ্যে বা অপ্রকাশ্যে দেখতে পান এবং যার মাধ্যমে অসংখ্য কারামত সংঘটিত হয় উনাকে বলা হয় ছহীবে কাশফ ওয়াল কারামত। আর মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনি হচ্ছেন উপরোক্ত আলোচনার হাক্বীক্বী মিছদাক। কেননা উনি যাহিরী ও বাতিনীভাবে কায়িনাতের সব দেখতে পান। কোন সৃষ্টিই উনার দৃষ্টির অগোচরে নেই। সুবহানাল্লাহ! এরকম অসংখ্য অগণিত ঘটনা উনার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। যা অন্যান্য লিখকদের লিখা পড়লেই জানা যাবে।
আল মানছূর:
কায়িনাতে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ঈদে বিছাল শরীফ উনার পর ১২ জন খলীফা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। উনাদের মধ্যে যিনি এগারতম খলীফা হবেন উনাকে মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনার পরিভাষায় আল মানছূর আলাইহিস সালাম বলা হয়েছে। আর মহাপবিত্রতম হাদীছ শরীফ উনাতে বর্ণিত “আল মানছূর” উনিই হচ্ছেন মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ!
আল মানছূর অর্থ যিনি সাহায্য প্রাপ্ত। অর্থাৎ যিনি খালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পক্ষ থেকে ইহকালীন ও পরকালীন যাহিরী ও বাতেনী সমস্ত কার্যক্রমে সাহায্য প্রাপ্ত হয়ে থাকবেন। তিনিই হচ্ছেন “আল মানছূর”। আর এই লক্বব মুবারক হচ্ছে মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার জন্য খাছভাবে মনোনীত ও নির্ধারিত। সুবহানাল্লাহ!
খলীফাতুল উমাম :
খলীফাহ অর্থ প্রতিনিধি, আর উমাম শব্দটি امة (উম্মত)-এর বহুবচন অর্থ জাতি সমূহ, উম্মতগণ, কওম বা গোত্র। যিনি সমস্ত উম্মত উনাদের প্রতিনিধি তিনিই হচ্ছেন খলীফাতুল উমাম। আর এ মুবারক লক্বব উনার হাক্বীক্বী মালিক বা ছহীব হচ্ছেন মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ! এ মুবারক লক্ববখানি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করে যে, হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি একসময় সারা কায়িনাতের সকল মুসলমান উনাদের খলীফা হবেন। মূলত উনি খলীফা হয়েই পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়েছেন। তবে খলীফা হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা কিছু দিনের মধ্যেই প্রকাশ পাবে ইনশাআল্লাহ।
বিলাদত শরীফ উনার শুভ দিন শুভ মাস:
যে মাসে রহমত উনার দরজা খুলে দেয়া হয়, জান্নাত উনার দরজা খুলে দেয়া হয়, আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। জান্নাত উনাকে নতুন সাঝে সাজানো হয়। দুষ্ট জিন ইবলিশকে বন্দী করে রাখা হয়, একটি নফল আমল করলে তাতে ফরয আমল উনার সওয়াব দেয়া হয়। একটি একটি ফরয আমল উনাকে পালন করলে ৭০টি ফরয আমল উনার সওয়াব দেয়া হয়, যে মাসে মহাপবিত্রতম কালামুল্লাহ শরীফ অবতীর্ণ হয়, যে মাস রহমত, বরকত, সাকীনা, মাগফিরাত, নাজাত ইত্যাদির দ্বারা ভরপুর। সেই মুবারক মাস উনার নাম হচ্ছে মহাপবিত্রতম মাহে রমাদ্বান শরীফ। এটি (আরবী বছরের) হিজরী সন উনার ৯ম মাস। আরবী ৯ম মাসের ৯ম দিনের ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীমি উনার রাত্রি ৯টায় মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি পৃথিবীতে তাশরীফ নিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাপবিত্রতম বিলাদত শরীফ উনার শুভ মাস, শুভ দিন ও শুভক্ষণ ইত্যাদির দিক লক্ষ্য করলেও উনার অসংখ্য অগণিত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত পরিস্ফুটিত হয়।
ইখতিতাম:
একদিক, দুই দিক, তিন দিক দিয়ে নয়। অসংখ্য অগণিত দিক দিয়ে ফিকির করলে মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত বুযুর্গী ফুটে উঠে। যা অকল্পনীয়, অভাবনীয়, অবর্ণনীয়। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি, খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম, আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম এবং সর্বোপরি মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনারা আমাদেরকে মুহিউদ্দীন, নূরুদ্দীন, বদরুদ্দীন, খলীফাতুল উমাম হযরত শাহযাদা হুযূর ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী ইত্যাদি উনাদের হাক্বীক্বত উপলব্ধি করার তাওফীক ও যোগ্যতা দান করুন। (আমিন)

সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি ওলীআল্লাহগণ উনাদের সমস্ত ছিফতগুলোর পরিপূর্ণ হিফাজতকারী। সুবহানাল্লাহ!

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাাইহিম উনাদের বিশেষ খুছুছিয়ত মবারক হলো; উনারা প্রথমত, যাহিদ বা দুনিয়া বিরাগী। ২, রগীব বা দায়িমীভাবে আখিরাতমুখী। ৩, নিজের আমল সম্পর্কে সর্বদা সজাগ বা সচেতন। ৪, মহান আরøাহ পাক উনার ইবাদতে সর্বদা মশগুল। ৫, চরম পর্যায়ের পরহেযগার। ৬, মুসলিম উম্মাহর ইজ্জত ও আবরুর রক্ষায় সতর্ক। ৭, উম্মাহর মাল সম্পদ হিফাযতে অত্যাধিক তৎপর। ৮, উম্মাহকে তিনি নছীহতকারী। সুবহানাল্লাহ!
বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে সমস্ত নিয়ামত মুবারক হাদিয়া করেই মহান আল্লাহ পাক যমীনে প্রেরণ করেছেন। তিনি চরম পর্যায়ের যাহিদ বা দুনিয়া বিরাগী। তাইতো এই মুবারক কৈশোরেও নিজেকে তিনি চার দেয়ালের মাঝে আটকে রাখেন। দুনিয়াদারী, হারাম- নাজায়িয, বেপর্দা বেহায়াপনাসহ শরীয়তবিরোধী কোনো কিছু কোনোভাবেই উনাকে ¯পর্শ করতে পারে না। রিয়াজত-মাশাক্কাতের পূর্ণ অনুশীলনে তিনি দায়িমীভাবে ব্যাপৃত। যিনি দুনিয়া বিরাগী তিনি তো দায়িমীভাবেই আখিরাতমুখী হবেন, এটাই স্বাভাবিক। সুবহানাল্লাহ ওয়া সুবহানা রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ের হুজুরীতে অভ্যস্ত। তিনি উনার আমল মুবারক সম্পর্কে এতোই সচেতন যে, তিনি একটি মুস্তাহাব সুন্নতও কখনো তরক করেন না। অন্যান্য শিশুরা যে বয়সে হৈ হুল্লোড় আর ডানপিটে ভাব প্রকাশ করে থাকে, তিনি উনার সেই বয়স মুবারকে এক বিশেষ গাম্ভীর্যতা প্রকাশ করতেন। অর্থাৎ তিনি একদিকে উনার আমল মুবারক সম্পর্কে অত্যাধিক সচেতন, অপরদিকে মহান আল্লাহ পাক উনার স্মরণ মুবারক এবং নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক অনুসরণ ও অনুকরণে তিনি দায়িমীভাবে মশগুল। সুবহানাল্লাহ! আর এমন মহান ব্যক্তিত্ব সর্বোচ্চ পর্যায়ের পরহেযগার হওয়ার বিষয়টি দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট।
সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি উম্মাহকে সর্বোত্তম নসীহতকারী। রাজারবাগ শরীফ সিলসিলাভুক্ত সকলেই সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার ইলহাম-ইলক্বা সমৃদ্ধ নসীহত মুবারক সম্পর্কে সম্যক অবগত। হীনম্মন্যতার দরুণ পিছিয়ে পড়া মুসলিম উম্মাহকে আবারো জাগাতে হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার জবানী ও কলমী নসীহত মুবারক সত্যি বেমেছাল।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে মহান ব্যক্তিত্ব উনার আমল দেখলে নেক আমল করার ইচ্ছা জাগে, নসীহত মুবারক শুনলে মহান আল্লাহ পাক উনার কথা স্মরণ হয়, তোমরা উনার অনুসরণ করো।”
এ কথা দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট যে, হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এমনি অজুদ মুবারক, যিনি জামিউছ ছিফত বা সর্বপ্রকার সর্বত্তোম ছিফত বা গুণাবলীর অধিকারী। উনার স্মরণ বান্দাহ-উম্মতকে মহান আল্লাহ পাক উনার, নূরে মুজ্স্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং মুজাদ্দিদে আ’যম হাবীবে আযম সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনাদের স্মরণ, অনুসরণ-অনুকরণে নতুনভাবে উদ্দমী এবং আগ্রহী করে তোলে।
মূলকথা হচ্ছে, বাহরুল উলূম ওয়াল হিকাম, খাযীনুর রহমাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি জামিউছ ছিফত রূপে উসওয়াতুন হাসানাহ। তিনিই ওলীআল্লাহগণ উনাদের সমস্ত ছিফতগুলোর পরিপূর্ণ হিফাজতকারী। সুবহানাল্লাহ! সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- বেশি বেশি উনার আলোচনা মুবারক করা। উনার অনুসরণ-অনুকরণ করা।

No comments

ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য।

  ডাল একটি বরকতময় পবিত্র খাদ্য। ডাল খাওয়ার ফলে কলব প্রসারিত হয় এবং চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসুল আলাইহিমুস সালাম উ...

Powered by Blogger.